নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিবেশী দেশ ভারত নিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ-জনগণের মতভেদ কেন?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০


ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে শোচনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এর দায় বাংলাদেশের মানুষের তুলনায় ভারতের মিডিয়া এবং মুষ্টিমেয় কতিপয় ভারতীয় বেকুবদের বেশি। শেখ হাসিনার ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকেই ভারতের কিছু গোদি মিডিয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে। অথচ দেশের মানুষ যার উপরে সবচাইতে বেশি ক্ষিপ্ত সেই হাসিনা এখন ভারতের রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। বাংলাদেশের একজন হিন্দু ধর্মীয় নেতাকে গ্রেফতারে ভারতকে বেশ উদ্বিগ্ন হতে দেখা যায়। নিজের দেশের নাগরিক কে গ্রেফতার করতে গিয়ে অন্য দেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার পেছনে কি কারণ থাকতে পারে সেটা বাংলাদেশের অনেকেই ঠিকঠাক মতো বুঝেছেন বলে মনে হয় না। আবার ধর্মীয় গুরুকে অবমাননার দায়ে ইসকনের সদস্যরা একজনকে ধোলাই করতে গিয়ে সেনাবাহিনী-পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়। পরে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ৮৩ জন কে গ্রেফতার করে। পরদিন বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সাথে ভারতের সেনাপ্রধানের বৈঠকে একটি ছবি নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। বাংলাদেশ তার নিজের নাগরিকের অধিকার সমুন্নত রাখতে পারছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব সে দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর। কিন্তু ভারতের এমন উদ্বিগ্ন হওয়া অথবা বৈঠক করা সত্যিই অবাক করার মতোই ব্যাপার। এতে বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের অনধিকার চর্চার বিষয় টি বারংবার সামনে চলে আসে।

বাংলাদেশের যারা আওয়ামী লীগ বিরোধী মতাদর্শের মানুষ, সাধারণ জনগণের একটি অংশ এবং সর্বশেষ রাজনীতিবিদেরা ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ দেখান। ভারত বয়কট ক্যাম্পেইন চালু করেন। অনেকে আবার এক কাঠি সরেস আছেন। ভারতের থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেসব তথ্য উপাত্ত দিয়ে প্রমাণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ভারতের ডাউনফল দেখা বাংলাদেশের এক বৃহৎ অংশের তরুণদের এখন স্বপ্ন। ক্রিকেটে ভারত হারলে খুশির সীমা নাই বাংলাদেশের মানুষের। অথচ নিজের দেশের খেলার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ভারতের মানুষ এক সাথে পুরো মাছ কিনে খেতে পারে না বলে উপহাস বাংলাদেশের মানুষের কিন্তু নিজেরাই আবার সুপার শপ স্বপ্নের পিস ইলিশ মাছের টুকরা কম্বো প্যাকেজ কেনার জন্য লাইন ধরছে। টিসিবিতে লাইন ধরছে মধ্যবিত্ত এবং শিক্ষার্থীরা। ভারতের ৬০ কোটি মানুষ খোলা জায়গায় পায়খানা করে এই তথ্য বাংলাদেশের মানুষকে তীব্র আনন্দ দেয়। বাংলাদেশের মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় দেখে চোখ কপালে উঠে যায় অনেক ভারতীয় মানুষের! এইভাবে চলছে দুই দেশের তুলনা করার প্রতিযোগিতা!

ভারতের চরম শত্রু দেশ পাকিস্তান ভারত সম্পর্কে কেমন মনোভাব পোষণ করে? তারাও কি বাংলাদেশের মানুষের মতো ভাবেন? পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরা তীব্র ভারত বিদ্বেষী ও কট্টোর সমালোচক হলেও ভারতের সরকার ও জনগণের মিলিত প্রচেষ্টায় ভারত যে উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে তা সরাসরি স্বীকার করেছেন। পাকিস্তানের দক্ষিণপন্থী ইসলামিক দল জমায়েত উলামা ইসলামের নেতা মৌলানা ফজলুর রহমান ভারতের উন্নতির প্রশংসা এবং পাকিস্তানের অবনতির সমালোচনা করেছিলেন। পাকিস্তানের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে মৌলানা ফজলুর বলেন যে, “আমরা আপনাদের ইচ্ছানুযায়ী আইনও তৈরি করতে পারি না। আমরা সবাই এই নিয়ে গর্ব করি যে, সংসদের ভিভিআইপি নেতা আমরা। ভারত এবং আমরা (পাকিস্তান) একই দিনে স্বাধীন হয়েছিলাম। আর আজ ভারত যেখানে পরাশক্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখছে সেখানে আমরা বাঁচার জন্য ভিক্ষা করছি। এর জন্য দায়ী কে ? "

বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের সাথে পাকিস্তানের রাজনীতিবিদদের ভারত নিয়ে এত মতপার্থক্য কেন? আমরা সাধারণ মানুষ যখন ভারতের সাথে বাংলাদেশের অবস্থা তুলনা করি তখন কি ভারতের উন্নতির দিক গুলো বিবেচনা করি ? আমরা যখন ভারতের মুদ্রার অবমূল্যায়নে উল্লাস প্রকাশ করি তখন কি নিজেদের মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে এখন ১ ডলার= ১২৭. ৫০ টাকা হয় সেটা লক্ষ্য করি?


ভারতের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের তীব্র ঘৃণা শুরু হয় ২০১৪ সালে ভারতের বাংলাদেশের নির্বাচনে নগ্ন হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে। এর শেষ কবে হবে কেউ জানে না। কেউ কেউ প্রকাশ্যে বলছে ভারত কে জাতীয় শত্রু ঘোষণা করতে আবার কেউ বলছে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করতে। তবে রাজনীতিবিদরা ভারত ইস্যু জিইয়ে রেখে ভোটের মাঠ দখল করতে চান সে ব্যাপারে সন্দেহ নাই। ড. ইউনূসের সরকারও নিজেদের একই পন্থায় জনপ্রিয় করে তোলার কৌশল নিয়েছেন। দেখা যাক পানি কতদূর গড়ায়!

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমাদের নাগরিক ভারতের দালাল হলে তার প্রতি ভারতের টান থাকবেই।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সত্য বলতে নেই। :P

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: ভারত একটি গনতান্ত্রিক দেশ।পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বেশির ভাগ সময় কেটেছে সামরিক শাসনের অধিনে।আরো অনেক পার্থক্য আছে মোটা দাগে এটাই প্রধান।ধর্মীয় পার্থক্য আরেকটি কারণ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বুঝলাম।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৫

বিষাদ সময় বলেছেন: আলোচনাটি ভাল লাগলো। ২০১৪ এর পর থেকে না আমাদের রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকেই তীব্র ভারত বিদ্বেষ বিরাজমান। কখনও এটা প্রকট আকার ধারণ করে আবার কখনও কিছুটা প্রশমিত হয়।
ভারত বিদ্বেষ মূলতঃ তিনভাগে বিভক্ত ১) ৭১ এর কারণে ভারত বিদ্বেষ ২) ধর্মের কারণে ভারত বিদ্বেষ ৩) ভারতের কার্যকলাপে ভারত বিদ্বেষ।

এর মধ্যে শেষোক্ত বিদ্বেষ যুক্তিযুক্ত তবে এ ধরেনের ব্যক্তির সংখ্যা খুব কম।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভারতের সাথে আজাইরা যুদ্ধের আলাপ না করে নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারলে লাভ আছে।

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২০

ঊণকৌটী বলেছেন: ভারতের সাথে আজাইরা যুদ্ধের আলাপ না করে নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারলে লাভ আছে। আপনার লেখার কিছু আলোচনা করি, প্রথমত ভারত হাসিনা কে সমর্থন দিয়েছিলো কারণ পৃথিবীর প্রতিটি দেশ যার যার স্বার্থ অনুযায়ী তার নীতি নির্ধারণ করে, ভারত তাই করেছে, উদ্দেশ্যে একটাই তার পাশের প্রতিবেশী দেশে যাতে মৌলবাদী জঙ্গী না তৈরী হয় | দুই আজকের যে পরিস্থিতি দুই দেশের সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে, ভারত ট্যুরিস্ট ভিসা দিচ্ছে না, শুধুমাত্র মেডিকেল ভিসা দিচ্ছে, কারণ টা কি কখনো ভেবেছেন, কারণ ভারত ভয় পায় সন্ত্রাসী না ভারতে এসে সন্ত্রাস করে | আর বাংলাদেশ ভারতের সর্বমোট
বাণিজ্য, 2.5% বুঝতে পেরেছেন 4.2 trilon ডলার অর্থনীতি ভারতের তো তারপরেও বাংলাদেশ কে চাল আলু পেঁয়াজ সাধারণ সব সামগ্রী সরবরাহ করছে, যা বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয়, ও আরেকটা তথ্য ভারত পৃথিবীতে 150 টা দেশে চাল সরবরাহ করে, নিজের 144 কোটি লোকের অন্ন সংস্থান করে| শেষ মন্তব্য পাকিস্তান বুঝে বাংলাদেশ কেনো বুঝে না, কারণ পাকিস্তান হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে ভারতের সাথে শত্রুতা করলে কি ফলাফল হয়, একটা জিনিস জানা দরকার ভারত বাংলাদেশের বাণিজ্য মোটামুটি 12 বিলিয়ন ডলার কিন্তু এইটা কি জানেন বর্ডার বাণিজ্য প্রায় 9 বিলিয়ন ডলার যেইটা প্রায় বন্ধের মুখোমুখি, একটা ল্যান্ড লক দেশ, ভারত যদি শুধুমাত্র পাকিস্তানের মতো চোখ ফিরিয়ে নেয় বাংলাদেশের থেকে তবে বিকল্প চিন্তা করেছেন কি? পাশাপাশি একটা পাকিস্তানি ভাইয়ের ভিডিও দেখেন |












২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনা মোটেও জঙ্গীবাদ দমনে কাজ করেন নি বরং আরো ক্ষেত্র তৈরি করে গিয়েছে। ভারত একটি গণতানন্ত্রিক দেশ হয়ে অন্য দেশের নির্বাচনে কিভাবে হস্তক্ষেপ করে? শুধু ভারত নয় বাংলাদেশের নির্বাচনে রাশিয়া, চীন, ইরানের প্রভাব ও আছে। কিন্তু ভারতের কথা কেন লিখলাম? কারণ ভারত বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ। ভারত শেখ হাসিনাকে জঙ্গীবাদ নির্মূলের ফরমুলা হিসাবে ভালো শিক্ষা ব্যবস্থার পরামর্শ দিলে মানা যেত কিন্তু তারা আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা কে নিয়ে তামাশা করেছে।

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২২

ঊণকৌটী বলেছেন: Click This Link

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪৯

ঊণকৌটী বলেছেন: দেখুন আপনার গভর্নমেন্ট আপনার সরকারের দায় অন্য দেশের ওপরে দিবেন না |,প্রতিটি দেশের নাগরিকদের দায়িত্ব তার নিজের স্বার্থ রক্ষার, যদি না পারেন, সেইটা আপনি অথবা বাংলাদেশের সমস্যা |

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভারতের দোষ তো আছেই। ইহা এড়িয়ে যাই কি করে? আমার সরকার তো বিদেশি শক্তি গুলোর কারণে গঠিত হতে পারছে না। সাথে আছে দেশীয় কিছু বদমাইশ।

৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২২

আদিত্য ০১ বলেছেন: ভারত বিরোধী খেলা মনে হয় না নির্বাচনের আগে থামবে। তবে আমেরিকা হস্তক্ষেপে নির্বাচনের পর এমনই থেমে যাবে।আমেরিকা বল ছেড়ে দিছে, গোল যে দিতে পারে। খেলা মনে হয় ১ বছরেই শেষ হবে,এখন জামাতও চিল্লাইয়ে মার্কেটে বলতেছে "নির্বাচন ২০২৫-এ হইতে হবে"

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জামাত কত কথাই বলে। এদের বক্তব্য রেফারেন্স হিসাবে দিলে নিজেই ঠকবেন।

৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২৪

ঊণকৌটী বলেছেন: . একটা কথা আপনা বলেই শেষ কথা, পরনির্ভরশিল না হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ান, সর্ব ক্ষেত্রে, শিক্ষার বিকল্প নাই, just follow it.

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: একমত।

৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৫৫

কামাল১৮ বলেছেন: বার্তার কথা বাদ দেন।এখন আরাকান আর্মিকে সামলান।তাদের কোন রাষ্ট্র নাই।রাষ্ট্রিয় নিয়ম কানুন তারা মানবে না।তারা হলো জোর যার মুল্লুক তার।সাথে আছে ভারত চীন।তাদের স্বর্থ আছে।কোটি কোটি ডলার ইনভেষ্ট আছে ভারত ও চীনের।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দেখি কি হয়।

১০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: ভারত হবে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বুঝতে পারসি

১১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীতে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মানুষের পা পড়েনি। ঠিক তেমনি মানুষ অযথা ফালতু কথা বলতে ভালোবাসে। দেশ বা রাজনীতি নিয়ে। আপনি আমি চাদগাজী সবাই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসি।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি যে সব বিষয় নিয়ে কথা বলেন পড়ে আপনার জন্য চিন্তা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.