নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
সামুর একজন সিনিয়র ব্লগার শিশির খান@আমার গতকালের ব্লগে লিখা একটি কমেন্টের উপর আমার দৃষ্টি পড়ে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছ্রন এবং একই সাথে চিন্তিত জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া ছাত্রদের নিরাপত্তা নিয়ে। উনার চিন্তিত হওয়ার কারণ একবারে অমূলক নয়। বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদের উপর চোরাগুপ্তা হামলা হচ্ছে। ইনকিলাব মঞ্চের ছাত্ররা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য আন্দোলন করছে। আওয়ামী লীগের ক্রিমিনাল নেতা-কর্মীরা এখনো তেমন গ্রেফতার হয় নি এবং তারা ক্রমাগত ছাত্রদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এত সব চিন্তা মাথায় নিয়ে নিউজ খুঁজতে শুরু করলাম সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তা দেখার জন্য। নিউজ পড়ে আমি কিছুটা হতাশা অনুভব করছি। সরকার সাধারণ মানুষ কে বড়ো আশা দেখায়েছিল জুলাই অভ্যুত্থানের অভিযুক্তদের বিচার নাকি জাতিসংঘের অধীনে হবে। কিন্তু জাতিসংঘ বারবার তথ্য পাওয়ার জন্য সরকার কে টাইমলাইন বেধে দিলেও সরকার তেমন সহযোগিতা করছে না। অল্প কিছু তথ্য হাতে এসেছে জাতিসংঘের তদন্ত দলের যা সম্পূর্ণ রিপোর্ট তৈরি করতে সহায়ক নয়।
এক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা ও সদিচ্ছার অভাব রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জাতিসংঘের তদন্ত দল বাংলাদেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর লোকদের সাথে দেখা করতে চাইলেও সাড়া মেলেনি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নিরাপত্তা বাহিনীর তথ্য জাতিসংঘের কাছে গেলে দেশ বিদেশে সুনাম ক্ষুন্ন হবে। আর তার জন্য দেশের মানুষের উপর গুলি চালানো নিরাপত্তা বাহিনীর বিচার সরকার চায় কিনা তা নিয়ে এখন সন্দেহ দেখা যাচ্ছে। জুলাই অভ্যুত্থানে যারা দেশের মানুষকে হত্যা করেছে, থানা লুট করেছে, বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ করেছে তাদের বিচার যদি ছাত্র-জনতার সরকার না করতে পারে আর কবে বাংলাদেশের মানুষ ন্যায় বিচার পাইবে ?
দৈনিক সংবাদ পত্র সমকাল থেকে জানা গিয়েছে মোট ১৬ ধরণের তথ্য জানতে চেয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত দল সরকারের কাছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত কতজন নিহত ও আহত হয়েছেন– এর তথ্য নাম, তারিখসহ শহর, লিঙ্গ, বয়স ও ধর্ম অনুযায়ী দিতে হবে। মৃত্যুর কারণও জানতে চায় তারা। নিরাপত্তা বাহিনীর কতজন সদস্য এ সময়ের মধ্যে নিহত ও আহত হয়েছেন, তাও জানতে চেয়েছে তথ্যানুসন্ধান দল।
জুলাই-আগস্টে সামরিক, আধাসামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য চেয়েছে প্রতিনিধি দল। কোন শহরে কোন বাহিনী, বাহিনীর ইউনিট, কারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সে বিষয়ে নথিসহ তথ্য চায়। এর পাশাপাশি কোন কোন ধরনের অস্ত্র ও গুলি ব্যবহার করা হয়েছে, ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে হেলিকপ্টার, গাড়িসহ প্রধান সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে, কোথায় এগুলো মোতায়েন করা হয়, তাও চেয়েছে।
ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অভিযান পরিকল্পনা, বল প্রয়োগের মাত্রা এবং রুলস অব এনগেইজমেন্টের লিখিত, এসএমএস অথবা মৌখিক নির্দেশের তথ্য চেয়েছে। কী পরিস্থিতিতে অস্ত্র ব্যবহারের আদেশ দেওয়া হয়েছে, তারও তথ্য চেয়েছে। ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের কোথায় রাখা হয়েছিল, কারা আটক করেছিল, আটক জায়গার দায়িত্বে কারা ছিলেন, তাও চেয়েছে জাতিসংঘ।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল এবং তার সত্যতা ও আইনি ভিত্তি জানতে চেয়েছে তথ্যানুসন্ধান দল। গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে এবং গ্রেপ্তারের পর কী ধরনের নির্দেশনা ছিল, আহতদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের জন্য কী নির্দেশনা ছিল, চিকিৎসকদের মৃত্যু সনদ দেওয়াসহ ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে কী নির্দেশনা ছিল, জানতে চায় জাতিসংঘ।
জুলাই-আগস্টের অপরাধকে কেন্দ্র করে বর্তমানে কী ধরনের ফৌজদারি অপরাধের তদন্ত চলছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়। কারা নাগরিকদের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল, সহিংসতার নির্দেশ দিয়েছে কারা, তারও তথ্য চেয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবেদনও চায় তথ্যানুসন্ধান দল। এ ছাড়া কারফিউ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, নারী-শিশুসহ যৌন নিপীড়ন, আন্দোলনকারী, রাজনৈতিক কর্মী, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি, হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোর তথ্যের বিস্তারিত চেয়েছে জাতিসংঘ।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে সরকার। ইকোনমির অবস্থা খারাপ।
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২১
আমি সাজিদ বলেছেন: আপনি একটা ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ খুলেন। সেখানেও লিখেন।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ! আমি ভবিষ্যতে লেখালেখি এবং ফ্রিলান্সার সাংবাদিক হিসাবে কাজ করার ইচ্ছা আছে।
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯
শিশির খান ১৪ বলেছেন: ভাই দেখতেছেন না এরা সবাই একে একে ছাড়া পেয়ে গেলো। হাসান মাহমুদ ,আরাফাত ,আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের সবাই তো একে একে ছাড়া পেয়ে গেলো। এমনকি ভাতের হোটেলের হারুন ,মুনির গং ও ছাড়া পেয়ে পালিয়ে গেলো। বিচার তো দূরের কথা এরা উলটা শক্তি সঞ্চয় করে ফের আক্রমণ করে কিনা সেটাই দেখেন। বি এন পি নেতারা উলটা আওয়ামীলীগ এর পক্ষে কথা বলে এদের উপর ভরসা নাই। অন্তর্বর্তী সরকার বড়জোর এক দেড় বছর তারপর তো সেই আগের সিস্টেম ব্যাক করবে।সাপ না মারলে ফের ছোবল দেয় এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার সাথে একমত।
৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: না বিচার হবে না। কিন্তু বিচার হওয়া উচিৎ।
অন্তত একবার বিচার হোক। তাহলে দেশের জন্য ভালো হবে। যেমন ধরেন বিএনপির আমলের অসৎ লোকদের ধরা হয়েছিলো। কিন্তু তারা ছাড়া পেয়েছে। এবার তারাই আবার ক্ষমতায় আসবে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এখানে একটা টুইস্ট আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
জাতিসংঘকে এসব জানাতে জানাতে নির্বাচন এসে যাবে।