নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
জুলাই অভ্যুত্থান বাঙালি জাতির জীবনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। সবার মনে আশা সঞ্চার করেছে এবার বুঝি সত্যিকারের বৈষম্য হীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। আর এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের মূল কারিগর হিসাবে যাদের ভাবা হয়েছিল তারা হচ্ছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতাদের। মানুষ ভেবেছিল এবার বুঝি আমাদের দেশের ছেলেরা কথায় না বড়ো হয়ে কাজে বড়ো হবেন! আগের প্রজন্ম যা পারেনি তাই এই প্রজন্মের কান্ডারী রা করে দেখাবেন।
জুলাই অভ্যুত্থানের চারমাস পার হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতাদের নিয়ে শঙ্কা ও হতাশা দেখা যাচ্ছে। এরজন্য দায়ী কিছু ছাত্র উপদেষ্টা এবং সমন্বয়ক। তাদের কথা বার্তা, আচরণে অহংকার, অপরিণামদর্শী চিন্তা ভাবনা, সমালোচনা সহ্য করতে না পারার মানসিকতা, অপরের উপর দায় চাপানোর কিছু ঘটনা নিয়ে পরাজিত শক্তি যেমন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ পাচ্ছে একই সাথে পক্ষের শক্তিগুলোও তাদের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না।
তথ্য উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর সবচাইতে প্রমজিং লেগেছিল নাহিদ ইসলাম কে। ঠান্ডা মাথায় আলোচনা-সমালোচনা,কথার উত্তর ও ঠান্ডা মেজাজের জন্য অল্পকিছু দিনের মধ্যে সবার মধ্যে নাহিদের ব্যাপারে পজেটিভ ভাবনা তৈরি হয়। মানুষের এমন ধারণার বিচ্ছেদ ঘটে যখন কতিপয় অজ্ঞাত লোকজন প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ের সামনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি করে। উপদেষ্টা নাহিদ বারংবার গণ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বললেও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সময় নাহিদ কোন মন্তব্য করেনি। সে প্রতিক্রিয়া দেখায় তিন দিন পর যখন বিশ্বে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের উপর চাপ বাড়ায়। তাছাড়া গণহারে সাংবাদিকদের আ্যাক্রিডেশন বাতিল করা নিয়েও নাহিদ এবং তার মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা হচ্ছে। নাহিদ রাজনৈতিক দলগুলোকে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছে যা মূর্খতার সামিল। এভাবে কেবল সংঘাত বাড়ে কাজের কাজ কিছুই হয় না। নাহিদ একটি দায়িত্বশীল পদে থেকে শেখ হাসিনা দেশে ফেরত আসলে তাকে ফাঁসি দেওয়া হবে এমন কথা বলে কেবল শেখ হাসিনার ন্যায় বিচারের পথে বাধা সৃষ্টি করছে যা তার অপরিণত মস্তিষ্কের প্রমাণ দেয়।
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম শুরু থেকেই নানা ভাবে বিতর্কিত ছিলো। ড. ইউনূস মাহফুজ আলম কে আমেরিকায় মাস্টারমাইন্ড হিসাবে পরিচিয় করিয়ে দেয়ার পর থেকে দেশে এবং বিদেশে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু হয়। মাহফুজ আলম হিজবুত তাহরীর সদস্য বলে বারবার অভিযোগ করা হয়েছিল। সে সব ধোপে টিকে নাই। অবশেষে মাহফুজ আলমের আসল পরিচয় প্রকাশ পায়। সে একজন পালনবাদের অনুসারী এবং তার রাজনৈতিক গুরু হচ্ছেন মহান লাল বিপ্লবী নেতা মাওলানা ভাসানী! মাস্টারমাইন্ড মাহফুজ আজ যা চিন্তা করেন বাঙালি সেটা বুঝি ৫০ বছর পর চিন্তা করবেন এমন টাইপ ইনটিলিজেন্ট পারসন বলে সবার মধ্যে ধারণা ছিলো। কিন্তু মাহফুজ কি করলেন? উল্টোপাল্টা ফেইসবুক স্টাটাস এবং কর্মকান্ডে মানুষকে বিভ্রান্ত করা শুরু করলেন। তিনি গৃহযুদ্ধ প্রাথমিক ভাবে সামাল দেয়ার কথা বোঝাতে চাইল্রন কিন্তু উনার কথায় অধিকাংশ মানুষের মনে হইলো তিনি দেশে গৃহযুদ্ধের আহবান জানিয়েছেন। মাহফুজ আরো বলেছেন পুরাতন প্রজন্ম সবাই খরচের খাতায় চলে গিয়েছে। এই ধরণের মন্তব্য দেশের প্রবীণ রাজনীতিবিদদের আহত করে। সর্বশেষ বিজয় দিবসের সময় মাহফুজ ফেইসবুকে স্টাটাস দিয়ে বৃহত্তর বাংলা গড়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। কিন্তু এতে করে পাশের দেশ ভারতের কিছু অংশ বাংলাদেশের মধ্যে চলে আসে যা তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়। মাহফুজ আলম অবস্থা বেগতিক দেখে আবার সেই স্টাটাস মুছে ফেলে। ভারতের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সমন্বয়করা মূলত বর্তমান সরকারের প্রধান সাপোর্ট হিসাবে কাজ করে। কিন্তু হাসনাতের আচরণ শুরু থেকে বিতর্কের জন্ম দেয়। যখন আনসার সদস্যরা সচিবালয় ঘেরাও দেয় তখন হাসনাত সচিবালয়ে ছিলো। সচিবালয়ে হাসনাতের কি কাজ থাকতে পারে তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছিল সে সময়। হাসনাতের উপর সচিবালয়ে হামলা হয়। হাসনাত আব্দুল্লাহ কটাক্ষ করে অনেক সময় রাজনীতিবিদ দের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন যা দৃষ্টিকটু। তাছাড়া আদালত পাড়ায় বলপূর্বক বিচারক অপসারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক অপসারণ হাসনাতের ইমেজ সংকটে ফেলে। হাসনাত আব্দুল্লাহ সবশেষ সময় টিভির ১০ জন সাংবাদিক কে হুমকি দেয় তার বিরুদ্ধে ভুল।নিউজ করার জন্য। হাসনাত এবং কতিপয় শিক্ষার্থী সময় টিভির মালিক সিটি গ্রুপের অফিসে গিয়ে সময় টিভির সাংবাদিকদের অপসারণে চাপ দেয়। সিটি গ্রুপ পাঁচজন সাংবাদিক কে চাকরিচ্যুত করে। দুঃখের বিষয় হলো এই নিউজ অন্য কোন মিডিয়া প্রচার করে নাই। অথচ উপদেষ্টা নাহিদ বলেছিলেন মিডিয়ার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা তার সরকার নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর।
সময় টিভি আওয়ামী লীগের অন্যতম দালাল মিডিয়া হিসাবে পরিচিত। গত ১৫ বছরে গ্রামেগঞ্জে আওয়ামী লীগের অতিরঞ্জিত উন্নয়নের গল্প প্রচারে সময় টিভি সিদ্ধহস্ত ছিলো। মানুষ নিউজ চ্যানেল দেখে টিভিতে সময় টিভি চালিয়ে রাখতো। আওয়ামী লীগের যত প্রোপাগাণ্ডা সব সময় টিভি প্রচার করতো। সঠিক নিউজ না পাওয়ায় মানুষের মধ্যে সচেতনা তৈরি হতে অনেক সময় লেগেছে। কিন্তু একটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকদের এইভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে চাকুরিচ্যুত করা সমাজের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। মিডিয়া কারো না কারো পক্ষেই থাকে। সারাবিশ্বেই এমন চল রয়েছে। লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে মিডিয়ার মাধ্যমে ডিজইনফরমেশন এবং ফলস ইনফরমেশন না ছড়ায়। হাসনাত চাইলে সময় টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে পারতেন। কিন্তু তিনি গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ পিলারে আঘাত করেছেন। বিদেশে বিভিন্ন মিডিয়ায় এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ করেছে। এই ঘটনায় অনেকে সরকারের দায় দেখছেন। কারণ হাসনাতের সাথে সরকারের বাকি ছাত্র উপদেষ্টা আরো স্পেসিফিক ভাবে বললে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদের কানেকশন রয়েছে। নাহিদ পারতেন এই সমস্যার সমাধান করতে। তা না করে অনেকটা গুন্ডাদের মতো হুমকি ধামকি দিয়ে সাংবাদিকের চাকুরি খাওয়া ছাত্রদের জন্য লজ্জার।
কোথায় থামতে হবে,সেটা শেখা বড্ড জরুরী।
নতুবা চলার পথটা জটিল হবে
নিশ্চিত থাকুন।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি ও ইহা চাই। আমার স্বপ্ন হিজড়া সম্প্রদায়ের থেকে কেউ প্রধানমন্ত্রী হবেন, মেথরের ছেলে প্রেসিডেন্ট হবেন!
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১০
কামাল১৮ বলেছেন: হিজড়া এবং মেথর কেনো? অন্য কেউ হলে সমস্যা কি?জনগন যাকে চাইবে সেই হবে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যাস্ট উদাহরণ গো কাগু। শ্রেণি বৈষম্য থাকবে না এটাই বুঝাইসি। এতে পরিবারতন্ত্র বিনাশ হবে। সঠিক রাজনীতি চালু হবে।
৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৪
নিমো বলেছেন: আসিফ মাহমদকে বাদ রাখলেন কেন?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আসিফ কে আলাদা ব্লগ লিখেছি। সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষ্যে।
৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৭
নিমো বলেছেন: সমন্বয়ক সারজিস, হান্নান এগুলোই বা বাদ কেন?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এদের গুলো তেমন ইফেক্ট ফেলবে না।
৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৬
বিষাদ সময় বলেছেন: সময় টিভি সংক্রান্ত কথায় মূল বিষয়টাই তো মিস করলেন। সময় টিভি আওয়ীমীলীগের দালালী করতো সেটা ঠিক। একাত্তর টিভি, বিটিভি কি আওয়মীলীগের কম দালালী করতো? বরং বেশিই করতো, কিন্তু তাদের নিয়ে সন্ময়কদের মাথা ব্যাধা নাই কেন? কারন তারা এখনও দালালীই করে, তবে দালালীর পক্ষ পাল্টাইছে। আর সময় টিভি নিয়া এত সমস্যা কেন কারণ তারা পল্টি মারতে দেরি করতেছে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: একাত্তর টিভি তে পারলে আমি গিয়ে হামলা করি! এরা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্য, ইরান- ইসরায়েল নিয়ে ফলস নিউজ করে সবচেয়ে বেশি। এরা নামে ৭১ কামে এরা আওয়ামী লীগের দালাল, প্রপাগাণ্ডা মেশিন।
বিটিভি সরকারি চ্যানেল। কিছু বলার নেই।
৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৮
আমি সাজিদ বলেছেন: তাঁর চোখ বাঁধা হলো।
বুটের প্রথম লাথি রক্তাক্ত করলো তার মুখ।
থ্যাতলানো ঠোঁটজোড়া লালা-রক্তে একাকার হলো,
জিভ নাড়তেই দুটো ভাঙা দাঁত ঝরে পড়লো কংক্রিটে।
মা…মাগো… চেঁচিয়ে উঠলো সে।
পাঁচশো পঞ্চান্ন মার্কা আধ-খাওয়া একটা সিগারেট
প্রথমে স্পর্শ করলো তার বুক।
পোড়া মাংসের উৎকট গন্ধ ছড়িয়ে পড়লো ঘরের বাতাসে।
জ্বলন্ত সিগারেটের স্পর্শ
তার দেহে টসটসে আঙুরের মতো ফোস্কা তুলতে লাগলো।
দ্বিতীয় লাথিতে ধনুকের মতো বাঁকা হয়ে গেলো দেহ,
এবার সে চিৎকার করতে পারলো না।
তাকে চিৎ করা হলো।
পেটের ওপর উঠে এলো দুইজোড়া বুট, কালো ও কর্কশ।
কারন সে তার পাকস্থলির কষ্টের কথা বলেছিলো,
বলেছিলো অনাহার ও ক্ষুধার কথা।
সে তার দেহের বস্ত্রহীনতার কথা বলেছিলো।
বুঝি সে-কারণে
ফর ফর করে টেনে ছিঁড়ে নেয়া হলো তার সার্ট।
প্যান্ট খোলা হলো। সে এখন বিবস্ত্র, বীভৎস।
তার দুটো হাত-
মুষ্টিবদ্ধ যে-হাত মিছিলে পতাকার মতো উড়েছে সক্রোধে,
যে-হাতে সে পোস্টার সেঁটেছে, বিলিয়েছে লিফলেট,
লোহার হাতুড়ি দিয়ে সেই হাত ভাঙা হলো।
সেই জীবন্ত হাত, জীবন্ত মানুষের হাত।
তার দশটি আঙুল-
যে-আঙুলে ছুঁয়েছে সে মার মুখ, ভায়ের শরীর,
প্রেয়সীর চিবুকের তিল।
যে-আঙুলে ছুঁয়েছে সে সাম্যমন্ত্রে দীক্ষিত সাথীর হাত,
স্বপ্নবান হাতিয়ার,
বাটখারা দিয়ে সে-আঙুল পেষা হলো।
সেই জীবন্ত আঙুল, মানুষের জীবন্ত উপমা।
লোহার সাঁড়াশি দিয়ে,
একটি একটি কোরে উপড়ে নেয়া হলো তার নির্দোষ নখগুলো।
কী চমৎকার লাল রক্তের রঙ।
সে এখন মৃত।
তার শরীর ঘিরে থোকা থোকা কৃষ্ণচূড়ার মতো
ছড়িয়ে রয়েছে রক্ত, তাজা লাল রক্ত।
তার থ্যাতলানো একখানা হাত
পড়ে আছে এদেশের মানচিত্রের ওপর,
আর সে হাত থেকে ঝরে পড়ছে রক্তের দুর্বিনীত লাভা-
আগের মন্তব্যটি মুছে দিন।
আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা চেতনা নিয়ে ব্যবসা করেছে বলে স্বাধীনতার চেতনাকে আওয়ামী ট্যাগ লাগিয়ে অস্বীকার করে রিসেট বাটন পুশ করাকে ঘৃণা করি।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি আওয়ামী লীগ কে ঘৃণা করি মূলত শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য। এরপর আওয়ামী লীগের চোরতন্ত্রের কর্মসংস্থান সৃষ্টির বাজে আইডিয়ার জন্য।
আমি হাসনাত আবদুল্লাহর ঢাবিতে একটি সংবাদ সম্মেলনে ছিলাম। সেখানে সে বলেছিল দেশের ৭২ সালের সংবিধান বাদ দিয়ে নতুন সংবিধান লিখার সরকার কে আল্টিমেটাম দেয়। নতুন প্রক্লেমেশন অব রিপাবলিক ঘোষণার কথা বলে। অথচ আমার ঢাবিয়ান বড়োভাই যারা আইন বিভাগে পড়তো তারা সবসময় বলতো আসিফ নজরুল স্যার ক্লাসে প্রায় বলতেন, ৭২ সালের পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর সংবিধান! সেদিন থেকে আমি আর ওদের দলের কোন অনুষ্ঠানে যাই না।
৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: ওরা দিনে দিনে আরও বেপরোয়া হচ্ছে.....নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী নামের নতুন একটা ফাটা কেষ্ট বের হয়েছে!
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: : সে ফাটাকেস্ট হলেও একটি জটিল কথা বলেছে। বিএনপি বাংলাদেশের প্রথম কিংস পার্টি !
খেলাফত মজলিস সম্মেলন করবে সেখানে বিএনপিকে ইনভাইট করেছে। কারণ তারা বুঝে বিপদে কেউ শেল্টার দিলে সেটা বিএনপি!
৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২০
আমি সাজিদ বলেছেন: কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পকে বুকে ধারন করে আমি কিন্তু আয়নাঘর আর গুম নির্যাতনকে অস্বীকার করছি না। আওয়ামী লীগ দেশের রাজনীতির যে ক্ষতি করেছে, তা ক্ষমার অযোগ্য।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শুনেন আওয়ামী লীগ কে ক্ষমতায় আনা হয়েছিল রাষ্ট্র মেরামতের জন্য, চরমপন্থা কে একবারে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। আওয়ামী লীগ কি করেছে?
৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩১
আমি সাজিদ বলেছেন: আওয়ামী লীগ কুমীরের এক বাচ্চা দেখানোর মতো স্বাধীনতা নিয়ে ব্যবসা করেছে। জাল ভোট করেছে। জেন ওয়াইয়ের সাথে প্রতারণা করেছে। বিএনপিকে গুম করেছে কিন্তু নাকের ডগায় চরমপন্থার বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কিছু করে নাই৷ শিক্ষাব্যবস্থাকে পেছনের দিকে নিয়ে গেছে। প্রায় সবাই করাপশনে নিমজ্জিত ছিল। আজকে দেশের রিসেট বাটন, ৩৬ জুলাই, জাতীয় সংগীত, পতাকা পরিবর্তনের হাওয়ার পেছনে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা দায়ী।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সাধারণ মানুষ হতাশ!
১০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:২৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
যেই কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন সেই কোটা সংস্কারের জন্য কোন কমিটি গঠিত হয় নাই।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ২:০৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনারা বসে বসে এই সরকারের ভুল রেকর্ড করা ছাড়া আর গতি নাই।
১১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:১৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নাহিদকে কা কাউকে প্রমিজিং ভাবার কারন নেই।
নাহিদ আসিফ মাহাফুজ এরা সবাই জামাত-হিজবুত হাই কমান্ডের নিয়োজিত এজেন্ট।
নইলে শতাধিক সমন্নয়কদের ভেতর এদেরকে কে সিলেক্ট করলো?
ইউনুস? ইউনুস একাধকবার বলেছে আগে এদেরকে চিনতো না।
আমি প্রথমে ধারনা করেছিলাম এদের নিয়োগ দিয়েছে আসিফনজরুল ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াতরা, পরে দেখলাম এদের চেয়ে ৫০ গুন ক্ষমতাবান জামাত-হিজবুত হাই কমান্ড।
আপনার প্রমিজিং নাহিদ ভুল করে সবচেয়ে মারাত্নক কথা বলেছিল।
সে একটি সাখ্যাতকারে বলেছিল "এই (মেটুকুলাস) প্ল্যান ব্যার্থ হলে আমাদের সর্বাত্বক সশস্ত্র হামলার জন্য (অস্ত্রসস্ত্র সহ) টিম রেডি ছিল।
মানে কোমলমতি ছাত্র জনতার নামে এক লাখের মত জামাত-শিবিরের প্যারা মিলিটারি মিলিশিয়া বাহিনীই রাস্তায় ছিল।
বছর খানেক আগে টাংগুয়ার হাওরের ঘটনার কথা ভুয়ে যাইয়েন না। সেই ঘটনায় বুয়েটের ১২ ছাত্র কথিত নিখোজ ছাত্র আটক করেছিল পুলিশ, পুলিশ বলেছিল সেখানে জঙ্গি (মিলিশিয়া বাহিনীর) ট্রেনিং চলছিল।
কিন্তু হাসিনা কোমলমতি হিসেবে দয়া দেখিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল বেকসুর।
এখন প্রকাশ্যে রাজুতে আয় বলে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন অফিস ভবনে সেনাবাহিনীর সামনেই অগ্নিসংযোগ করছে। আর বিভিন্ন সরকার বেসরকারি দপ্তরে স্কুল কলেজে বিশ্ববিদ্যালয় দলবেঁধে হামলা করে জোর করবে পদত্যাগ করানো। আর শূন্যস্থানে জামাত শিবিরের লোকজন নিয়োগ চলছে অবাধে।
ফ্যাসিস্ট মানে আগের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি অনাচার স্বৈরাচার চলছে।
আমি ভাল কির আশা আর দেখছিনা। আরো বিপদ বাড়বে, কারন আরো ১ লাখের মত জামাত-শিবিরের প্যারা মিলিটারি মিলিশিয়া বাহিনী নিয়োগ শুরু হয়ে গেছে
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি হচ্ছে দলকানা। নাহিদ সত্যিকার প্রমিজিং ছিলো। সজীব ওয়াজেদ জয় থেকে তার কথাবার্তা লজিক্যাল।
১২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪৯
মাস্টারদা বলেছেন: ভালো কাজগুলোও বলবেন না? নাকি শুধু সমালোচনা? ___শুধু বলতে চাইছি আমি আশাবাদী, আশা রাখতে চাই। আশাকরি ভুল থেকে শিখবে।
যদিও হাসনাতের সময় টিভির কাণ্ড অপরিণত আচরণ। সচিবালয় কাণ্ডে এটা আপনার মাথায় রাখলে ভালো হতো যে, আপনি জানেন ঝামেলা হতে পারে এবং আপনার সঙ্গীরা বিপদে পড়তে পারে তখন আপনি কোথায় থাকবেন?
প্রশ্ন হতে পারে জানলো কোত্থেকে? ___ঢাবির হলগুলোতে দেশের সবচেয়ে অ্যাডভান্সড রাজনীতি বিশ্বনীতির চর্চা হয়। যদিও ওর সামগ্রিক আচরণে উন্নয়নের সুযোগ আছে। এমনিতেই আমাদের সবার উন্নতির দরকার। কেউ পারফেক্ট নই।
মাহফুজের বিষয়ে আপনার মতামতে দ্বিমত নেই। পরমত বিষয়ে উচ্চতর মানসিকতা দেখানোর সুযোগ আছে।
ডেইলি স্টার + প্রথমআলোর বিষয়ে নাহিদের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট দেখি না।
বাহাত্তরের সংবিধানে অসাধারণ। কিন্তু সেটার কিছুর (আর্টিকেল ৭০, ৭০) বাস্তবায়ন না-হওয়া এবং কিছু আর্টিকেলের (বিশেষত নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়ে) অপব্যবহার এবং কিছু আর্টিকেলের সুযোগ নেওয়া কারণে সেটা আর সুন্দর নাই। দেখবেন অনেকে সহজ-সরল ভালো-মানুষের সরলতার সুযোগ নেয়। আপনি সেই মানুষের কী সাজেশন দেবেন? দুর্বলতা ঢাকবেন না?
আসিফ নজরুল স্যারের ক্লাসের বাকিটুকু আপনার বড়ভাই মিস করলেও আপনার বাস্তব চিন্তাশক্তিকে কেন মিস করতে দেবেন?
ভুল বুঝবেন না। এত বকার কারণ সময় আর আশা।
ধন্যবাদ
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ডিয়ার ব্লগার মাস্টার দা @ নাহিদ শেখ হাসিনার সম্পর্কে যে সব বক্তব্য দেয় এটা বুমেরাং হবে। আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা সারা বিশ্ব কে বলতে পারবে যে বিচার ফেয়ার হবে না।
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় শেখ হাসিনার বিচারের পথে আরেকটি প্রতিবন্ধক। এইটার সুযোগ নিবেই হাসিনা গং।
এরা নিজ নিজ মন্ত্রণালয় কিভাবে চালাচ্ছে তা নিয়ে সমালোচনা করছি না। কারণ উপদেষ্টা কোনটাই ভালো করতে পারছেন না। তবে অতিকথন সমস্যা হতে পারে। আপনার আশাবাদী মনোভাব কে সাধুবাদ জানাই।
১৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৫
সোহানী বলেছেন: কোথায় থামতে হবে তা জানা টা খুব জরুরী। কিন্তু কেউ মায়ের পেট থেকে তা শিখে আমে না। শিক্ষা, অভিজ্ঞতা, জানার ইচ্ছা সহ আরো অনেক কিছুর সমম্বয়েই জানতে পারে কোথায় থামতে হবে।
কিন্তু সমস্যা, এরা নিতান্তই বাচ্চা মানুষ। অভিজ্ঞতাতো দূরে থাক, রাজনীতির অ আ তারা বোঝে না। ড: ইউনুস যদি এ বাচ্চাদের জালে আঁটকে থাকলেতো সমস্যা!!
বিপ্লব করে স্বাধীনতা আনা, স্বৈরাচারকে দেশ থেকে তাড়ানো আর দেশ চালানো এক বিষয় নয়। এর জন্য দরকার দক্ষ রাজনীতিবীদ।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এমন জায়গায় বসে আছে নাহিদ, মাহফুজ এবং আসিফ যেখানে গিয়ে শিখার সুযোগ নেই। এখানে আগেই শিখে সবকিছু যেতে হয়। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫১
কামাল১৮ বলেছেন: যারা ভেবেছিলো বৈষম্যহীন সমাজ গঠন হবে তারা ভুল ভেবেছিলো।এখন বৈষম্যহীন সমাজের দরকার নাই,সম্ভবও না।এটা একটা গালভরা বানী।এখন দরকার গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র।গাজী সাহেবের ভাষায় উদার গনতন্ত্র।যেটা ইউরোপের দেশগুলিতে আছে।সমাজে হবে মুক্তচিন্তার চর্চা।