নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড. ইউনূস কি স্বৈরশাসক হাসিনার চেয়ে ভিন্ন কিছু বলেন জনসম্মুখে?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১১



ড. ইউনূস একজন নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব। উনি তার কথার জাদুতে হাজারো মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন ড. ইউনূস। সেই ব্যক্তিটি এখন আমাদের দেশের ক্ষমতায় সবচেয়ে পাওয়ারফুল পজিশনে আছেন। চাষাভুষার দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন দেখে সবাই খুব আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছিল। তাই সকলে ড. ইউনূসের জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণ গুলো মনোযোগ দিয়ে শুনে থাকেন। প্রথমের দিককার ভাষণ গুলো খুবই অনুপ্রেরণা দায়ক ছিল। বিগত স্বৈরশাসক হাসিনা যখন জনসম্মুখে ভাষণ দিতেন তখন তিনি জনসাধারণকে খাবার কম খেতে উৎসাহ দিতেন, উদ্ভুট রেসিপি শেয়ার করতেন, বিরোধী দল কে পদ্মা নদীতে গোসল করানোর হুমকি দিতেন, বিদুৎ বন্ধ করে দেয়ার কথা বলতেন, তার পরিবার দেশ স্বাধীন করেছে সেজন্য জনগণ কে শ্রদ্ধাশীল হওয়ার পরামর্শ দিতেন। ড. ইউনূস এমন কিছুই বলেন নাই। খুব সিম্পল ভাষায় অভ্যুত্থানের পর সংস্কার কার্যক্রম করতে চান জনগণের কাছে সে ইচ্ছা তুলে ধরেছিলেন। আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রফেসর ইউনূসের ভাষণ গুলোতে এমন কিছুই পাওয়া যেত।

ড. ইউনূস একজন অর্থনীতিবিদ। শেখ হাসিনা ও তার দলের লোকজন উন্নয়নের নামে দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে গেছেন। একে তো ঋণের বোঝা তার মধ্যে কাজ নাই অনেকের। দেশে প্রায় ১৯ লাখ তরুণ বেকার। তাছাড়া দ্রব্যমূল্যের দামের তুলনায় মানুষের আয় তেমন বাড়েনি। এমন ঘোলাটে পরিস্থিতিতে দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন ড. ইউনূস। সারাবিশ্বের সাথে যিনি কানেক্টেড এমন একজন লোক দেশের ক্ষমতায় আসার পর নিশ্চয়ই বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ার কথা ? আশ্চর্যজনক হলেও সত্য বিনিয়োগ তেমন আসেনি। ড. ইউনূস নির্বাচিত সরকার নন এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে এমনটি হইতে পারে। ড. ইউনূস যখন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে মোটেভেশনাল স্পীচ দিতেন তখন খুব বেশি কর্মসংস্থানের কথা বলতেন। তরুণদের ব্যবসা করতে আইডিয়া দিতেন। অথচ ক্ষমতায় আসার ৫ মাস পরও জাতির উদ্দেশ্যে কোন ভাষণে দেখি না তিনি কর্মসংস্থান নিয়ে, কারখানার শ্রমিক নিয়ে তেমন কোন কথা বলেন। ইউনূস সাব শুধু তরুণদের আত্নত্যাগের কথা, জুলাই অভ্যুত্থানের কথা বলে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক সংস্কার চান কিন্তু দেশের অর্থনীতির কি সংস্কার করবেন, বন্ধ কারখনার শ্রমিকদের কিভাবে কাজে ফিরিয়ে আনা যায়, গার্মেন্টস কেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, অভ্যুথানের পর অনেকে কারখানা আগুনে পুড়ে গেছে যার ফলে মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে এসবের সমাধান নিয়ে কোন কথা বলতে শোনা যায় না।

ড. ইউনূসের বাকি উপদেষ্টাদের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত মানুষের কর্মসংস্থানের পথ আরো রুদ্ধ করে দিয়েছে। এক উপদেষ্টা ফুটপাত অবৈধ উচ্ছেদ করতে যান, অন্যজন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা বন্ধ করতে চান এবং পোশাক শ্রমিকদের ক্রমাগত আন্দোলনে সকল পক্ষ নিয়ে বসার পরিবর্তে ফ্যাসিবাদের দোসর উপাধি দিয়ে উপদেষ্টারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করা হয়েছে বলে মনে করেন। ড. ইউনূস ও কি এমনটাই মনে করেন নাকি? ছাত্ররা আরো স্পেসিফিক ভাবে বললে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা ড. ইউনূসের কাছে বিশেষ প্রিয় কিন্তু যখন তিনি দেশের দায়িত্ব নিবেন তখন সকলের কথা উনার ভাবতে হবে। ৪/৫ মাসে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা অত্যন্ত কঠিন কিন্তু আগের কর্মসংস্থানগুলো কেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সে জন্য কি কোন ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার ? দেশের অর্থনীতি সংস্কারের কি কোন কমিশন গঠন করা হয়েছে অর্থনীতিবিদদের নিয়ে ? দেশের ইকোনমি যদি ঠিক না থাকে তবে বাকি সংস্কারের কি মূল্য থাকবে জনগণের কাছে?

ড. ইউনূস আবার নোবেল পেতে পারেন উনার three zero তত্ত্বের কারণে। তিনি বিদেশে অনেক পুরস্কার পান বিভিন্ন নতুন ব্যবসার আইডিয়ার জন্য কিন্তু বাংলাদেশের জন্য উনি কি আইডিয়া দিয়েছেন? উনার থ্রি জিরো তত্ত্ব চাকুরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা মুখস্থ করছেন চাকুরি পাওয়ার জন্য। ইহা কি শুধুই মুখস্থ করার বিষয় প্রয়োগ করার বিষয় নয়? আসলে এলিট শ্রেণী থেকে যারা দেশের শাসন ক্ষমতায় আসেন তাদের পক্ষে এলিট ক্লাসের সাথে যোগাযোগ স্থাপন যতটা সহজ সাধারণ মানুষের সাথে ততটা নয়। ড. ইউনূস যাস্ট সে বিষয় টি আবারো প্রমাণ করলেন!

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩৭

ক্লোন রাফা বলেছেন: রাষ্ট্র পরিচালনা আর কোন আইডিয়া নিয়ে গবেষণা এক বিষয় নয়। সকল ফরম্যাট সকল দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। লেকচার দিয়ে কনভিন্স করা যতটা সহজ । প্রাক্টিক‍্যাল কাজে প্রমাণ করা তত সহজ নয়।
উনার আইডিওলজি বাস্তবায়ন করার কোন ফোর্সও উনার নেই। কাজেই উনি ব‍্যর্থ হলে আশ্চর্যের কিছু নেই ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এই প্রথম আপনার সাথে একমত।

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮

শিশির খান ১৪ বলেছেন: উনি তো শান্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারছে না প্রত্যেক দিন স্বৈরাচারের দোসররা ভিন্ন রূপে নতুন কোনো ইস্যু নিয়ে হাজির হচ্ছে। আটো রিকশা আন্দোলনে ছাত্রলীগ ,গার্মেন্টস আন্দোলনে ছাত্রলীগ ,সংখ্যালঘু আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সব জায়গায় বাধা তৈরী করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তো থেকেও নেই। সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা পদের লোভে দালালি শুরু করছে। আমলারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। একটা মানুষ কতো দিক সামলাবে ? বি এন পি সহ অন্যান্য দল যদি ফুল সাপোর্ট দিতো তাও সম্ভব ছিলো কিন্তু তারা তো সেটা না করে ভারতের নির্দেশ অনুসরণ করছে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ড. ইউনূসের ভাষণে আমি একই কথার পুনরাবৃত্তি দেখি। নতুন কিছু দেখি না। অর্থনীতির সংস্কার প্রয়োজন।

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিদেশী বিনিয়োগ কোন ব্যক্তির চেহারা দেখে আসে না। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরাই যেখানে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না সেখানে বিদেশীরা কেন আসবে। বিদেশীরা তো একা বিনিয়োগ সাধারণত কমই করে। লোকাল পার্টনার থাকে। দেশের ট্যাক্স আইন, ঋণের সুদ ইত্যাদি এখন দেশের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের জন্য উপযোগী না। ১৫% সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করা অনেক কঠিন। দেশের ট্যাক্স আইন এমন ভাবে করেছে যে লাভ না হলেও ট্যাক্স দিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই। আগের মত ট্যাক্স অফিস ম্যানেজ করা যায় না। ঘুষের হার অনেক বেড়ে গেছে গত ১৫ থেকে ২০ বছরে। বর্তমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণেও বিনিয়োগ এখন হবে না।

ডঃ ইউনুসকে আপনারা ক্ষমতায় থাকতেই দিতে চাচ্ছেন না। যে চাপে উনি আছেন, ওনার পক্ষে নির্বাচন ছাড়া আর কিছু করা সম্ভব না। তাছাড়া উনি একা কিছু করতে পারবেন না। একটা টিম দরকার ছিল। কিন্তু এই উপদেষ্টা মণ্ডলী মুলত এঞ্জিও কর্মী। এদের দিয়ে কিছু হবে না।

হাসিনা আপা বিদায় হয়েছে এটাই আমাদের বড় পাওয়া। আর কিছু চাওয়া উচিত না।

ডঃ ইউনুসের কাজ মানুষ উদ্দীপিত করা। দেশে বা বিদেশে অনেকেই ওনার কথা শুনে অনুপ্রানিত হয়। তার মধ্যে অনেকে হয়তো সফল হয়। উনি ব্যবসা বাণিজ্য বা চাকরী দিয়ে দেবেন এমন ভাবা ঠিক হবে না। রাষ্ট্র চালানো ওনার কাজ না। উনি তার যোগ্যও না। কিন্তু দেশের সংকটে উনি এসেছেন। উনি আসাতে পরিস্থিতি সামলানো সহজ হবে। ওনার একটা ফেইস ভেলু আছে। আল্লাহ আল্লাহ করেন যেন বিএনপি যেন আওয়ামীলীগ নেতা ও কর্মীদের নিয়ে বাণিজ্য শুরু না করে। তখন আপনাকে আবার রাস্তায় নামতে হবে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ড. ইউনূস কে ক্ষমতা থেকে সরাবে এমন কুতুব এই বাংলায় নেই। সমস্যা হলো তিনি এক জায়গায় বারবার আটকে যাচ্ছেন। অর্থনীতির বড়ো অসুখে আক্রান্ত দেশ। ইহা সারাতে না পারলে সংস্কার করে সুফল আসবে না।

অনেকদিন পর মন্তব্য করায় ধন্যবাদ।

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৭

কাঁউটাল বলেছেন: আপনার কথা অনেকটা এমন:

হাউয়ামি লীগের লোকজন ভারতীয় "র" এর সাথে মিলে এত এত যায়গায় হাগু করতেছে, ড. ইউনুস এইসব হাগু সাফাইএর কাজে ব্যতিব্যস্ত হচ্ছেন না কেন?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দেখেন আপনার যা মনে হয়। অনেক দিন পর কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার প্রোফাইলের ছবি আর পোস্টের মধ্যে অনেক মিল।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ :-B

৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:০৯

কামাল১৮ বলেছেন: আপনার মতো আর দুইচার জন কুতুব থাকলে কোন কিছুই জয় করা অসম্ভব না।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমার থেকে বড়ো বড়ো ব্রেইন কিছু করতে পারলো না। এদেশের মানুষ নিজে ভালো থাকতে চায় কিনা সন্দেহ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.