নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
জুলাই-আগস্ট মাসে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাজপথে ইসলামিক ছাত্রশিবির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ইহা আমার কথা নয়। সারজিস আলমের। আমরা যারা জুলাই অভ্যুত্থানে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারগুলোর পক্ষ থেকে আন্দোলনে গিয়েছিল বেশিরভাগ শিবির সমর্থিত কোচিংসেন্টার ছিলো। একচুয়ালি আমরা অনেকেই জানতাম না এসব কিছু। শেখ হাসিনার পলায়নের পর এসব কোচিং সেন্টার হটাৎ করেই ইসলামিক ছাত্র শিবির নিয়ে ফেইসবুক ও অফলাইনে কথা বলতো। যারা নিরপেক্ষ ছিলাম তারা সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কে একটি অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসাবে জানতাম। কিন্তু যখন ১৫৮ জন সমন্বয়কের মধ্যে ১২০ এর অধিক সমন্বয়ক ইসলামিক ছাত্র শিবিরের সাথে জড়িত শুনলাম তখন আস্তে আস্তে মোহ ভাঙতে থাকে। কারণ রাজনীতি অনেক খারাপ জিনিস। আমরা সাধারণ নিরপেক্ষ ছাত্রদের দেশে চাকুরি করে চলা লাগবে তাই কোন দলের ট্যাগ খেতে আমরা রাজি ছিলাম না। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী প্লাটফর্ম থেকে যেদিন নতুন রিপাবলিক ঘোষণা করার আল্টিমেটাম আসে তখন থেকেই আমরা সাধারণ ছাত্ররা কোন ধরণের আন্দোলনে যাওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দল। কিন্তু দলটির মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভূমিকা অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো। সেই কারণে তাদের অধিকাংশ বড়ো নেতা ফাঁসি ও যাবজ্জীবনের মুখোমুখি হয়েছে। এবার যেহেতু জামায়াতের ছাত্র সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তাই তারা স্বপ্ন দেখে ক্ষমতায় যাওয়ার। একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেই পারে। কিন্তু জামায়াতের প্রধান সমস্যা ইহা বিদেশি শক্তির খুব পছন্দনীয় দল নয়। কারণ জামায়াতের বিভিন্ন নেতার বক্তব্য পুরোপুরি অগণতান্ত্রিক। ইহারা বিভিন্ন বক্তব্যে ইসলামী শরিয়াহ শাসন চায় কিন্তু রাজনীতি করে গণতান্ত্রিক কাঠামোতে। দেশে যদি প্রকৃত গণতন্ত্রমনা মানুষ বা দল এখন ক্ষমতায় থাকতো তবে জামায়াতের রাজনীতি ফুল স্টপ হয়ে যেত। তাছাড়া জামায়াতে ইসলামী দেশের সংবিধান বদলে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনার আলোকে সংবিধান চায়। এতে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার তাদের বিতর্কিত ভূমিকা আবারও সামনে চলে আসে। জামায়াতে কোন মুক্তিযোদ্ধা নাই তবে জুলাই অভ্যুত্থানের অনেক শহীদ যোদ্ধা জামায়াত-শিবিরের দল করতো। একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূত অলরেডি দেশের সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতা থাকবে কিনা প্রশ্ন তুলেছে। এতসব কারণে জামায়াতের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের ইমেজ অতীতেও গ্রহণযোগ্যতা পায় নি ভবিষ্যতেও পাবে না।
আমরা মোটামুটি ধরে নিতে পারি ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে জামায়াতে ইসলামী ও তার ছাত্র সংগঠনগুলো প্লান করে যে অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম থেকে আন্দোলন করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারকে পতন ঘটাতে হবে। ইহা কোন খারাপ সিদ্ধান্ত নয়। কারণ আওয়ামী লীগ কোন সাধূ সন্ত মনীষীর দল নয়। উহা আরেক জালিম ও জুলুমবাজ সরকার ছিলো। জামায়াত-,শিবিরের এই প্লানে বিএনপি ও ছিলো। বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছিল অন্যদিক অন্যদিকে শিবির আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিক্স করা শুরু করে। ছাত্রলীগের বিভিন্ন পোস্ট তারা দখল করে ২০১৭ সালে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ও ২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনের সময় । জুলাই অভ্যুত্থানের সময় গণহারে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পোস্ট থেকে পদত্যাগ করা বেশির ভাগ পোলাপান ইসলামিক ছাত্র শিবিরের। গণহারে পদত্যাগ ছাত্রলীগকে দূর্বল করে তুলেছিল।
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও বিদেশি শক্তির নিকট গ্রহণযোগ্যতা পেতে বহু বছর ধরেই তাদের মধ্যে থেকে A টিম, B টিম ও C টিম গঠনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। অন্যদিকে ছাত্রদের তৈরি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম গুলোর সাথে জামায়াতের সখ্যতা লক্ষনীয়। সারজিস আলমের ইসলামিক ছাত্রশিবিরের প্রোগ্রামে যাওয়া তাই ইঙ্গিত করে। এখন ছাত্রদের তৈরি ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক প্লাটফর্ম অবশ্যই গণতন্ত্রমনা ও মধ্যপন্থী দল হিসাবে রাজনীতি করার চিন্তা ভাবনা করছে যা অনেকটা বিএনপির মতো হতে পারে। ছাত্রদের দ্বারা সংগঠিত দলটি ভবিষ্যতে জামায়াতে ইসলামীর গণতান্ত্রিক শাখা হিসাবে বিদেশি শক্তির নিকট নিজেদের তুলে ধরার সম্ভাবনা শতভাগ। জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রদের তৈরি রাজনৈতিক সংগঠন জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে যেতে পারে। সামনের নির্বাচন না হলেও তার পরের নির্বাচনে তারা এমন জোট বাধতে পারে। এক্ষেত্রে বিএনপির সাথে জামায়াতের জোট ভেঙে পড়তে পারে। বিএনপি এই বাস্তবতা অনুধাবন করতে শুরু করেছে। এতে সরকার ও স্ট্রং বিরোধী পক্ষ নির্বাচনের পর দেশবাসী পাবে বলে জামায়াতে ইসলামীর বদ্ধমূল ধারণা। বিদেশিদের জামায়াত-ছাত্রদের তৈরি দল নিয়ে কোন আপত্তি থাকার কথা নয়।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:২৩
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সব চিন্তার বাইরে, কারা কি করবে জানা যাচ্ছে না।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:২৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৪২
কামাল১৮ বলেছেন: এটা হবে শিবিরের আরেকটা বি টিম।দেশে রাজনৈতিক দলের কোন অভাব নাই।ডানপন্থী,বানপন্থী, মধ্যপন্থী ইসলামপন্থী।সনাতনিদেরও দল আছে।নতুন আর কি দল হবে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:২৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এসবের জন্য দায়ী আম্লিক!
৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৫:০৩
ক্লোন রাফা বলেছেন: জামাত,শিবির,হিজবুত,হেফাজত আর জঙ্গি এবং বরখাস্ত সামরিক সদস্য নিয়ে হবে এই দল‼️
কোনক্রমেই সাধারণ ছাত্র, জনতার দল যে নয়, এটা নিশ্চিত ॥
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:২৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মেজর ডালিমের কথা ভুলে গেলেন?
৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:২৯
ক্লোন রাফা বলেছেন: ডালিম হবে বিরোধী দলের পান্ডা নাম্বার ওয়ান / ঠিক ফারুক রশিদের মত।
নিশ্চই ১৫ ফেব্রুয়ারির সরকার মনে আছে আপনার। সো সরকারে ডালিমের যায়গা নাই।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:০৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ডালিম আসবে না।
৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৪৪
তাসফিন সালেহ (আহনাফ) বলেছেন: প্যাডে নাম লেখা ১৫৮ জন সমন্বয়কের মধ্যে ১২০ এর অধিক সমন্বয়ক ইসলামিক ছাত্র শিবিরের সাথে জড়িত কথাটি গুজব।দুয়েকজন ছোট-খাটো নেতা থাকতে পারে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:২৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪
কিরকুট বলেছেন: পুরা আন্দোলন যে শিবিরের চক্রান্ত । সেখানে ছিটাফোটাও যে বাংলাদেশের মানুষের কোন রুপ সম্পর্ক নাই তা আমি একদম প্রথম থেকেই জানাচ্ছিলাম । এর জন্য এই ব্লগের কিছু ছিল মারা জামাত কর্মী আমাকে বিভিন্ন ভাবে ট্রল করার চেষ্টা করেছে । যখন সত্য প্রকাশ পেলো আমি স্পস্ট করে দিলাম তাদের মুখ । তারা তখনি ভোল পালটে আবল তাবল বকতে লাগলো । আপনি বলতে পারেন জনগন যদি জড়িত না থাকে তাহলে তো মানুষ রাস্তায় কি ভাবে নামলো । ৭১ এর পরবর্তি সময় থেকে যে জনগোষ্ঠি কে তারা পেলে পুষে রেখেছে এরা তাদেরই ছানা পোনা । মাত্র ২ শতাংশ মানুষ ছিলো রাস্তায় । প্রমান আমি নিজে ।
আওমিলীগ তার পাপের ঘড়া পুর্ন করে ফেলেছিলো । তার ফলা তারা হাতেনাতে পেয়েছে । হাসিনা নিজেকে ও তার দলের লোভী নেতাদের কোন ভাবেই কন্ট্রল করতে না পেরে পালায়ন করেছে । খুবি অসম্মানজনক অবস্থায় । যা ইতিহাসে সেনদের পালায়নের সাথে তুলনা চলে । কাপুরুষের মতো পালায়ন ।
আপনি আপনার পোস্টের প্রথম প্যারায় লিখেছেন জামাতের ভুমিকা ৭১ এ প্রশ্নবিদ্ধ । আমি একদম একমত না । জামাতের ভুমিকা সকল প্রশ্নের উর্ধে । তারা সরাসরি জেনসাইডের সাথে জড়িত ছিলো । এখন যেমন তারা বিভিন্ন নামে সক্রিয় ৭১ এ তারা তেমনি ছিলো , আছে আগামীতেও থাকবে । লেজ সোজা হবার নয় । আমি চাইও না সোজা হোক । কারন শয়তান যদি ভালো হয়ে যায় তা সমাজের জন্য আরো বিপদজনক ।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শিবিরের জড়িত থাকা কোনো খারাপ কিছু নয়। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় সকল রাজনৈতিক দলের সংগঠনগুলো একটি অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরি করে আন্দোলন করে । এবারো সেইম হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে শিবিরের আচরণ এখনো পরিবর্তন দেখছি না। আগের মতোই সংবিধান বাতিল করা, ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করা ইত্যাদি সমস্যা থেকে তারা মুক্ত হতে পারেনি। পুরাতন জামাত-শিবির প্রজন্মের মতো তারাও একই পথে ওগুচ্ছে।
আওয়ামী লীগ কোন সাধু দল নয় যে তার সাথে অন্যায় হয়েছে। সাধারণ মানুষ ছিলো এই আন্দোলনে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের তেমন ফিলিংস এখন নাই। কারণ এরা দেশের সব সেক্টর লুটেপুটে খেয়েছে।
৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২৮
কিরকুট বলেছেন: বাংলাদেশে জামাত শিবির ও তার অঙ্গ সংগঠনের রাজনিতী করার কোন অধিকার থাকতে পারে না !!!
আওয়ামী লীগ কোন সাধু দল নয় যে তার সাথে অন্যায় হয়েছে। সাধারণ মানুষ ছিলো এই আন্দোলনে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের তেমন ফিলিংস এখন নাই। কারণ এরা দেশের সব সেক্টর লুটেপুটে খেয়েছে।
আমি একবারো বলি নাই আওমিলীগ সাধুদের দল । এরা জামাতের মতই মানুষের ইমোশন কে পুঁজি করে রাজনিতী করে এবং করে আসছে । অন্তত ৭১ পরবর্তি সময়ে । কিন্তু এই দলের একটা সোনালী ইতিহাস রয়েছে যা বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য জন সমাদৃত ।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:০০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি শুধু এটাই বলি কোন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক কাঠামোতে রাজনীতি করে ক্ষমতায় গিয়ে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র ও সংবিধান তৈরি করা জঘন্য অপরাধ । বাংলাদেশে প্রকৃত গনতন্ত্র নাই বলে এরা রাজনীতি করে যাইতেসে।
আওয়ামী লীগের অতীত যাই হোক তাদেরকে বর্তমানে লুটেরা দল হিসাবে মানুষ ভাবে। অতীতেও আওয়ামী লীগ সঠিক কাজ করতে পারেনি বিধায় আহকে এত রাজনৈতিক সংকট।
৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
সারজিস ঠিক বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি যেটা সন্দেহ করেছেন, ঠিক সেটাই।