নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
সংবিধান বিষয়ক সংস্কার কমিটি ড. ইউনূসের নিকট সুপারিশ রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। কোন কোন বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে তার বিস্তারিত জানা না গেলেও কিছু কিছু বিষয় যেমন: সংবিধানের মূলনীতির বিষয় নিয়ে করা সুপারিশ সম্পর্কে খন্ড খন্ড তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ৭২ এর সংবিধানে লিখিত চারটি মূলনীতির তিনটি বিয়োজন করে নতুন চারটি মূলনীতি সংযোজনের মাধ্যমে মোট পাঁচটি মূলনীতি সংবিধানে রাখতে সুপারিশ করা হয়েছে। বাদ পড়া তিনটি মূলনীতি হচ্ছে : জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। যে চারটি নতুন মূলনীতি সংযোজন করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো: সাম্য, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ এবং আরেকটা মনে নাই ।
এছাড়া আরো যেসব পরিবর্তন আনার কথা সুপারিশ করা হয়েছে তা হলো: ১- গণপ্রজাতন্ত্রী শব্দটি বাদ দিয়ে জনগণতন্ত্রী রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২- প্রজাতন্ত্র শব্দ বাদ দিয়ে নাগরিকতন্ত্র রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। ৩- বাঙালি জাতীয়তাবাদ পরিবর্তন করে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মূলনীতি থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেয়া নিয়ে বিদেশিদের সাথে ইন্টেরিম সরকার কিভাবে ডিল করবে সেইটা এখন দেখার বিষয়। কারণ গত বছরের নভেম্বর মাসে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পূর্ব এশিয়ার একটি দেশের রাষ্ট্রদূত জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে উহা রাখা হবে কিনা? অন্যদিকে প্রধান গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি এই ব্যাপারে কি বলে সেইটাও দেখার বিষয়। বাকি দলগুলো নামকা ওয়াস্তে রাজনৈতিক দল।
সমাজতন্ত্র বাদ দেয়া নিয়ে বিদেশিদের মধ্যে যারা সুপার পাওয়ার হিসাবে পরিচিত তারা অখুশি হওয়ার কথা নয়। আবার দেশের এক্সট্রিম ডানপন্থী ও বিএনপির সমস্যা থাকার কথা নয়। ব্লগের কতিপয় ব্লগারদের সমস্যা হইতে পারে। ।
সংস্কারের জন্য কি কি সুপারিশ করা হয়েছে তার প্রতি জনগণের তেমন আগ্রহ নেই। প্রতিদিন মারামারি ও ক্যাচাল দেখতে দেখতে মানুষ বিরক্ত। ভ্যাটের প্রভাব আস্তে আস্তে সমাজে পড়তে শুরু করবে কয়েকদিনের মধ্যেই। মনুষ্য সমাজে দুষ্ট জ্বীনের প্রভাব কিছুতেই কমছে না। ।
সামুতে বিরক্তিকর ব্লগার হিসাবে পরিচিত একজন আছেন যিনি সেপ্টেম্বর মাসে ধারণা করেছিলেন সংবিধানের মূলনীতি থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র বাদ পড়তে পারে। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এখন যারা ক্ষমতায় আছে তাহাদের এক অংশ ও সরকারকে পিছন থেকে ফায়ার দেওয়া বিদেশি সুপার পাওয়ার উপরে উল্লেখিত দুইটি মূলনীতি পছন্দ করেন না। অবশ্য এটা বোঝার জন্য আপনাকে কমন সেন্স বাদে আর কোন টাকা পয়সা খরচ করতে হবে না।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৩৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: অনেকেই আপনার মতো বলে থাকেন।
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩৯
কামাল১৮ বলেছেন: শেখ মুজিব সারা জীবন ছিলো পুজিবাদের দালাল স্বাধীনতার পর হয়ে গেলো সমাজতন্ত্রের দালাল।এর কারণ ছিলো,আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমেরিকার বিরোধিতা এবং রাশিয়ার সমর্থন।ভাসানী ভারত রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলেযান,হয়ে যান চীনের একনিষ্ঠ সমর্থক।আমার নিজের দেখা রাজনৈতিক চিত্র।আরো অনেক কিছু দেখার বাকি।
অপেক্ষা করছে কয়েক মাসের মধ্যে এই সরকারের পতন,তারপর তত্ত্বাবদায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সেখানে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহন।একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের চেষ্টা যেটা প্রায় অসম্ভব।২০০৮ সালের মতো আরেকটা নির্বাচন।
এই সরকারের অধিনেই নির্বাচনটি হতে পারতো কিন্তু এই সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ মুজিবুর রহমান বুর্জোয়া রাজনীতিবিদ ছিলেন বলেন আমার ধারণা। তিনটি বিদেশি শক্তি এই সরকারের এক অংশের উপর নাখোশ বলে জানতে পেরেছি। ভারত নয় সেটা! নির্বাচন ডিসেম্বরের আগেও হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার থেকে এমন গঠনমূলক মন্তব্য চাই। কি সারাদিন হাসিনা হাসিনা করেন!
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২৮
শাহ আজিজ বলেছেন: বঙ্গুবন্ধু তাই বলতেন যা তিনি বিশ্বাস করতেন না , এটা আমার ঐতিহাসিক দুঃখ ।