নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
আপনি বাংলাদেশে পড়াশোনা করে থাকলে বলুন তো কত বছর বয়সে গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন ? আমার নিজের ক্ষেত্রে যতদূর মনে পড়ছে ২৩ বছর সময় লেগেছে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে। আমি যে ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছি উহা মিলিটারীদের ইউনিভার্সিটি হিসাবে লরিচিত যেখানে সেশনজট নাই। আমার সাথের অনেক বন্ধুরা সরকারি চাকুরির প্রিপারেশন নেয়ার জন্য ঠিক মতো একাডেমিক পড়াশোনা করতো না। উহারা বিসিএস ক্যাডার হবে তাই অনার্স থার্ড ইয়ার থেকে পড়াশোনা করতো চাকুরির জন্য। এতে গবেষণা ও রিসার্চ পেপারের বারোটা বেজে গিয়েছিল। আমি এত মেধাবী ব্যক্তি নই তাই একাডেমিক পড়া শেষ করতেই হিমশিম খেতাম। চাকুরির জন্য পড়াশোনা তাই অনার্স রানিং থাকার সময় করি নাই। পোস্ট গ্রাজুয়েশনের সময় আমার সরকারি চাকুরির টুকটাক পড়া শুরু হয়। তখন থেকে বাংলাদেশের সংবিধান, সংসদ সহ সকল প্রশাসনিক ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছিলাম। ইউনিভার্সিটির এডমিশনের সময় অতো ডিটেইলস পড়া লাগেনি তাই পড়তে গিয়ে অলমোস্ট সব কিছুই নতুন মনে হয়েছিল।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমাদের দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসে তার জন্য কতগুলো সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এর মধ্যে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব পেয়েছেন বদিউল আলম মজুমদার। তার নেতৃত্বাধীন কমিশন সুপারিশ করেছে সংসদ সদস্য হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ২৫ থেকে আরো এগিয়ে এনে ২১ বছর করার জন্য। তাছাড়া সংসদে তরুণদের জন্য ১০ ভাগ সিট বরাদ্দ করার সুপারিশ করেছে কমিশন।
মূলত জুলাই অভ্যুত্থানে যেসব তরুণ অংশগ্রহণ করেছিল তাদের বেশিরভাগের বয়স ২৫ এর কম। তারা যেহেতু শেখ হাসিনার মতো এত বড়ো বিগ ফিশের পতন ঘটায়েছে এদের সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য যোগ্য হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। শেখ হাসিনা ও আম্লিকের পতন ঘটানো চাট্টিখানি ব্যাপার নয় বলে সংস্কার কমিশনের ধারণা হয়েছে।
১৮/২০/২১ বছর বয়সী ছেলে/মেয়েদের যুদ্ধের জন্য যোগ্য হিসাবে বিবেচনা করলেও দেশ পরিচালনার জন্য উহারা কতখানি যোগ্য? তাদের অভিজ্ঞতা ও পড়াশোনা কি আছে? বাংলাদেশের মতো এত জটিল একটি দেশে সংসদ সদস্য হিসাবে এত কম বয়সী ছেলে যার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার সময় পায়নি সে কিভাবে উত্তম ভাবে দেশের আইনপ্রণেতা হবে। একুশ বছর বয়সী একটি ছেলের ব্রেইন পরিপূর্ন ভাবে ডেভোলপ করে না বলে বিজ্ঞানের শত শত রিসার্চ রয়েছে। কিন্তু সকল কিছু থোড়াই কেয়ার করে একুশ বছর বয়সে সংসদ সদস্য নির্বাচন করার সুপারিশ কিভাবে কেউ করতে পারেন? যতদূর শুনেছি বেশ কয়েকটি দেশে চল্লিশ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হওয়া, ত্রিশ বছর বয়সের নিচে মন্ত্রী হওয়ার ঘটনা পর্যালোচনা করে নাকি এমন সুপারিশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের সাথে অন্য দেশের তুলনা চলে ? উন্নত দেশে সব কিছু পরিচালিত হয় সিস্টেমেটিক ওয়েতে। সেখানে কত বছর বয়সে আপনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, মন্ত্রী হবেন কিছুই ম্যাটার করে না। কিন্তু বাংলাদেশে সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য যথেষ্ট প্রায়োগিক অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। তাছাড়া সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য একজন বেকার যে কোন পেশার সাথে জড়িত নয় সে কিভাবে খরচ বহন করবে?। বাংলাদেশে একুশ বছর বয়সী ৮০ ভাগ তরুণ বেকার থাকে। এসব বিষয় কি কমিশনের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে ভুলে গিয়েছিলেন?
বাংলাদেশে অধিকাংশ সুশীলদের প্রায়োগিক জ্ঞান কম। এদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে সংস্কারের জন্য। যদি প্রতিটি কমিশনে একজন করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রাখা হতো এমন উদ্ভট সিদ্ধান্ত তারা নিতেন না। নিজেরা সারাজীবন এনজিও চালিয়ে বিদেশি টাকায় ও বিদেশি জ্ঞানে জীবন অতিবাহিত করেছেন। এখন হয়েছেন সংস্কার কমিশনের প্রধান। আর কি ভালো সংস্কার জাতি আশা করবে এদের কাছ থেকে?
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:০১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সব আম্লিকের দোষ
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৪:৫৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সংসদের তাহলে মাত্র ২ খানা কক্ষ থাকিবে?
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:০২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: থাকলে ভালো হতো। খরচ কমতো৷
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৫:১১
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: দেশের উন্নয়ন চললে তো মানুষের চাকুরী হবে । সবই তো বন্ধ ।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:০৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: রাজনৈতিক অস্থিরতা এই দেশ থেকে যাবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৩:০৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই বার তিনারা এমপি হৈবেন তো!