![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
জুলাই অভ্যুত্থানের সূত্রপাত হয়েছিলো কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কার করে যাতে মেধাবীদের সরকারি চাকুরিতে সুযোগ বৃদ্ধি পায়। শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীতে কোটা প্রথা বাতিল করলেও তেরো গ্রেড থেকে বিশতম গ্রেডে বিভিন্ন কোটা থেকে গিয়েছিলো ।চল্লিশতম বিসিএস ছিলো প্রথম কোটা মুক্ত বিসিএস যেখান থেকে এক নতুন যুগের সূচনা হয়। কিন্তু '২৪ এর জানুয়ারিতে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা ৫৬% কোটা প্রথা আবার চালু করেছিলেন। উহার তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত ওরফে কুমড়ো পটাশ কিছু গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন কোনো কোটা না থাকায় উহার দলের লোকজনের সরকারি চাকুরির খায়েশ পূর্ণ হচ্ছে না। তাছাড়া প্রশাসন আওয়ামী লীগ মুক্ত হয়ে গেলে যে কোন সময় গণেশ উল্টে যেতে পারে। এরপর শেখ হাসিনা পুনরায় কোটা বহাল রাখার পক্ষে মত দেন এবং তরুণদের দেয়া হাতে হ্যারিকেন নিয়ে ভারতে পলায়ে যান।
জুলাই অভ্যুত্থানের পিছনে আরো কিছু বিষয় কাজ করেছিলো। আজকে যাদের প্রাইমারী ৩য় ধাপে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরও নিয়োগ বাদ দেয়া হলো তাদের সাথে জুলাই অভ্যুত্থানের কানেকশন আছে। আবেদ আলীর প্রশ্নফাঁসের বিসিএস ক্যাডার, ৪৬ তম বিসিএস প্রিলিমিনারী প্রশ্ন, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির ২০২১ ভিত্তিক সারকুলারের সিনিয়র অফিসার পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের নিউজ যখন পত্রপত্রিকায় আসে তখন সকল চাকুরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষুব্ধ ছিলো সরকারের উপর। আমিও এসব ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন। একে-তো করোনার কারণে মানুষের চাকুরি চলে যাচ্ছে কিন্তু নতুন তেমন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে না অন্যদিকে সরকারি চাকুরিতে দেদারসে প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে ছাত্রলীগের পোলাপান দের চাকুরি পাওয়া দেখে তাদের ব্যাচমেটরা সরকারের উপর নাখোশ ছিলো। শেখ হাসিনা বেসরকারি কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করে সরকারি চাকুরির প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য একটি পে-স্কেল ঘোষণা করছিলেন । শিক্ষার্থীরা দেখলো সরকারি চাকুরি মানে মান সম্মান প্রভাব ও প্রতিপত্তি তাই সকল পেশা বাদ দিয়ে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য সবাই প্রথম বর্ষ থেকে পড়াশোনা শুরু করলেন। কিন্তু দিনের পর দিন প্রশ্নফাঁস উহাদের হতাশ করেছিলো।
প্রাইমারী ৩য় ধাপের জন্য যাদের সুপারিশ করা হয়েছিলো তারা মূলত পূর্বের তৃতীয় শ্রেণী ও প্রাইমারীর কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। অভ্যুত্থানের ইমিডিয়েট পূর্বে শেখ হাসিনা যে ৯৩ শতাংশ মেধা কোটা চালু করেছিলেন উহা এখানে অনুসরণ করা হয়নি। ইন্টেরিম সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে পূর্বের সিস্টেম অনুসরণ না করে তারা ৯৩ শতাংশ মেধা কোটার সিস্টেম অনুসরণ করবেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যারা এখন রাস্তায় আন্দোলন করছে তাদের ইন্টেরিম সরকার ক্ষমতায় এসে সুপারিশপ্রাপ্ত করেছে। কিন্তু কেন ? তখন তো পুরানো কোটা পদ্ধতি বাতিল হয়ে সকল গ্রেডের জন্য মেধা কোটা ৯৩ শতাংশ বহাল ছিলো। ইন্টেরিম সরকার কেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কে নির্দেশ দিলেন না যে বর্তমানে জারীকৃত প্রজ্ঞাপন মেনে সুপারিশ করতে হবে। এখন যে আন্দোলন হচ্ছে এর দায় তাহলে কাদের ? অবশ্যই সরকার কে এর দায় নিতে হবে। আপনি চুয়াল্লিশতম বিসিএস মৌখিক ভাইভা পুনরায় নিলেন কিন্তু প্রাইমারীর ক্ষেত্রে কেন অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে সুপারিশ করে দিলেন ? যারা সুপারিশপ্রাপ্ত হলো আগের কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে তারা দুইভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হইলেন। প্রাইমারীর সারকুলার দিয়েছিলো ২০২৩ সালের মার্চ মাসে। পর্যায়ক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের সারকুলার হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার্থীরা সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে চাকুরি করছেন কিন্তু তৃতীয় ধাপের মানুষজন সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে নিয়োগ হতে বঞ্চিত হলেন। সারকুলারের প্রায় একবছর পর ২০২৪ সালের মার্চ মাসে তৃতীয় ধাপের এক্সাম হয়। এত দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ও নতুন কোটা পদ্ধতি চালু হওয়ার জন্য আজকে এত ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে সবাই কে। যারা সুপারিশপ্রাপ্ত হলেন তাদের মধ্যে নারী, পোষ্যকোটার মাধ্যমে চান্স পাওয়া অনেকে বাদ যাবেন। কারণ সে দুই কোটা এখন আর বলবৎ নেই। এতে সুপারিশকৃতদের অনেকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হবেন।
প্রাইমারী তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চিটাগাং বিভাগের জন্য সারকুলার দেয়া হয়েছিলো। যখন সারকুলার দেয়া হয় তখন আমিও টেকনিক্যালি বেকার ছিলাম। আমি ফরম তুলেছিলাম। রোজার মধ্যে এক্সাম হয়েছিলো ২০২৪ সালে। আমি ভোরবেলায় যখন সাহরি খেয়ে পড়তে বসি তখন হটাৎ আমার একজন পরিচিত আমাকে whatsapp করে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর পাঠায়। সে বলে আরো লাগলে তাকে জানাইতে। আমি তখন সিদ্ধান্ত নেই এই এক্সাম আমি দিবো না। কারণ তখন প্রাইমারীতে ৮০ শতাংশ কোটায় নিয়োগ দেয়া হতো। এভাবে প্রশ্নফাঁস হলে আর এমনিতেও কোন চান্স নাই। যাই হউক সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ৩য় ধাপের যখন রেজাল্ট পাবলিশ হয় তখন আমি ১০ম গ্রেডের অন্য একটি জবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলাম। ৩য় ধাপে যারা টিকেছিলেন খুব কম সংখ্যক মেধায় নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাই যারা কোটার সুযোগে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন নিয়োগ বাতিল হওয়াতে তাদের মাথায় হাত !
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৫৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি কি শেখদের শিষ্য নাকি? শেখ হাসিনা মেধাবীদের নষ্ট করে গেছে।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:১৪
নিমো বলেছেন: ভাই আপনারা সব জায়গায় কেবল শেখদের দেখেন। ঘুষ কি এদেশের নূতন সমস্যা? ঘুষ যারা খায় সব কি কেবল শেখ হাসিনার আমলে কোটায় আসা? ঘুসখোীের মধ্যে মেধা নাই।সামগ্রিক ভাবে ভাবতে পারেন না কেন? আমাদের অর্ধ শতাব্দীর গাফিলতি যে শেখ হাসিনা, জা-শি, বাংলাদেশ নালিশ পার্টি, কিংবা হালের হাসনাত-সারজিস নামক কুলাঙ্গার জন্ম দিয়েছে, এটা স্বীকার করতে দ্বিধা হয় কেন?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৩২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এসব কিছুই হতো না যদি নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতার পালা বদল হতো।
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:১৬
নিমো বলেছেন: মেধা আবার নষ্ট হয় কেমনে? সেটা তাহলে কেমন মেধা?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৩২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মেধা সংঙ্গদোষে, লোভে পড়ে নষ্ট হতে পারে।
৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:১৯
নিমো বলেছেন: আর যা সহজে নষ্ট হয়, সেটার দরকারই বা কী?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৩৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দরকার আছে। না হলে দেশ কিভাবে উপকৃত হবে?
৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৫১
নিমো বলেছেন: চিন্তার কিছু নাই। চ্যাটজিপিটি, ডিপসিক নামক কৃত্রিম মেধা যথেষ্ঠই উপকারি। কিন্তু কৃত্রিম সততা বলে কি কিছু বের হয়েছে। হওয়ার সুযোগও নাই। আর কোটা আন্দোলনের মূল দাবিতে যৌক্তিক সংস্কারের দাবি ছিল। বাতিল কিংবা কোটা না মেধা নামক কুতর্কের অবকাশ ছিল না। শুধু মেধা থাকলেই চর ফ্যাশন থেকে আসা কেউ ঢাকায় বড় হওয়া একজনের সাথে পেরে উঠবে না। মেধার বিকাশে পরিবেশও জরুরি। জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ে কি মেধা নাই। আছে, কিন্তু ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের মত পরিবেশ নাই, তাই সেই থাকা মেধার বিকাশও নাই। ভালো থাকুন। গাড়ি কেবল ফেরারি হলেই হবে না, রাস্তাও মসৃণ হতে হবে। মাছ কি পানিতে উড়তে পারবে কিংবা পাখি আকাশে সাঁতরাতে। উপযুক্ত পরিবেশ না দিলে মেধাও কাজে আসবে না।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনা কেন ১৫ বছরে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারবে না?
৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজী/সোনাগাজী সামুতে নেই। এখন সামুতে আমার মন নাই। একটুও ভালো লাগছে না। তার সাথে অন্যায় হয়েছে। বারবার তার সাথে অন্যায় হয়েছে। এই অন্যায় যারা করেছে অবশ্যই তারা শাস্তি পাবে। প্রকিতির একটা বিচার আছে।
চাঁদগাজী একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন শিক্ষক, পিএইচডি, ব্যবসায়ী, পরোপকারী, দাতা। অসংখ্য দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসার খরচ দিয়েছেন। কৃষকদের সহযোগিতা করেছেন।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি আরেকটি ব্লগ খুলেন। সেখানে তাকে ইনভাইট করেন। উনার ইমেইল আইডি আছে? কামাল১৮ আমার পোস্ট আজকাল পড়ে না।
৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কোটামোটা চিরতরে বিলুপ্ত করা হোক।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৪৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫২
শাহ আজিজ বলেছেন: চমৎকার রিপোর্ট হয়েছে । আরও লিখবেন ।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মেধার জয় হোক।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৩৪
নিমো বলেছেন: খালি মেধা হলেই হবে, সততা দরকার নাই। ঘুষ খেতে মেধা হলেই চলবে, চলছে, চলেছে।