![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
পূর্বে সমন্বয়ক উপদেষ্টারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করার কথা বললেও প্রধান উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টার তাতে সম্মতি ছিলো না। প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করা হবে কি হবে না তা বিএনপির উপর নির্ভর করে বলে দায় চাপিয়ে দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক দল হিসাবে বিএনপি সরাসরি আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করার কথা বলতে পারে না। তাই বিএনপির মহাসচিব সবসময় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ বিষয়ে কথা হলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেন। এতে করে সমন্বয়কদের তীব্র ভৎসনা শুনতে হয় বিএনপিকে।
শেখ হাসিনার ৫ই ফেব্রুয়ারী ছাত্রলীগের বক্তব্য কে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেখা যায়। এর কিছু সময় পূর্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন সাহেব সরকারের নিকট আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করার দাবী জানান। তিনি প্রশাসনে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী দোসরদের বহিস্কারের দাবী জানান। এই বক্তব্যকে ব্যক্তিগত বলে এড়িয়ে যেতেই পারেন সালাউদ্দিন সাহেব । বিএনপির মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করতে দাবী জানান। অর্থাৎ বিএনপি এখন আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সমন্বয়কদের সাথে একমত !
প্রধান উপদেষ্টা জুলাই আহতদের সাথে সাক্ষাতের পর মিডিয়ায় বক্তব্য দেন। আওয়ামী লীগ কে বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান। তিনি খুব মজার কিছু কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের বিষয়ে । এতে স্যারের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা নিয়ে পলাতক লীগ হাসি মশকরা করতে পারে। এতে তাদের মনের কষ্ট যদি লাঘব হয় এই আর কি ! প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে নেতা-কর্মীদের যথাযথ সংশোধন করা হবে। এরপর ড. ইউনূসের উদ্যোগে গঠিত কিংস পার্টি বা অন্য কোন পার্টিতে তাদের যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে বেশ জোর দেন। অর্থাৎ কেউ আর আওয়ামী লীগ করতে পারবে না। মোহাম্মদ ইউনূসের এ ধরণের ব্ক্তব্য উলুবনে মুক্ত ছড়ানোর মতোই মনে হল !
সরকার আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি তাদের পালন করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে। কিন্তু কিভাবে তারা বাধা দিবে? আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত নিষিদ্ধ দল নয়। আওয়ামী লীগ কে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ভাবে নিষিদ্ধ না করলে তেমন কোন ফায়দা নেই। জার্মানিতে যেমন ডিনাজিফিকেশন করা হয়েছিল ঠিক একই ভাবে ডিআওয়ামীফিকেশন করার কথা ভাবা হচ্ছে। জার্মানীর নাৎসি পার্টি প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ মেরেছিল তাই তাদের গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধে নুরেমবার্গ ট্রাইবুনালে বিচার হয়েছিল। নাৎসি পার্টির স্যালুট, প্রতীক, পতাকা ব্যান করা হয়েছে। একই ভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা তাই ভাবছে সরকার। আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতার ছবি, প্রতীক, পতাকা, গান ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় নিষিদ্ধ করা যায় কিনা তা নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৈঠক করবে।
শেখ পরিবারের অপকর্মের জন্য আজ আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। তাই তাদের অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতা ও কর্মীরা বাইরের শক্তিগুলোর উপর বিশ্বাস করে ভাবছে যে আওয়ামী লীগ আবার ফিনিক্স পাখির মতো ফিরে আসবে। কিন্তু আওয়ামী লীগে এখন আব্দুল মালেক উকিলের মতো মানুষ নেই। আওয়ামী লীগ শেষ দশ বছর মাফিয়াদের সাথে বেশি সখ্যতা গড়ে তুলেছিল। জনগণের সাথে তাদের যোগাযোগ নেই। এত কিছুর পরও শেখ হাসিনা ভাষণ দিচ্ছেন। নিজেদের দলের নেতা কর্মীদের বিপদে ফেলছেন। তৃণমুল শেখ পরিবারের নেতৃত্ব নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ বহুভাগে বিভক্ত হতে পারে।
শেষ করছি হতাশা ব্যক্ত করে। পূর্ব পাকিস্তান পরিষদে ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিলো 'নৌকা'। বাঙালি এরপর নৌকা প্রতীকের উপর ভরসা করে ১৯৭০ সালের নির্বাচন ও শেষমেশ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। আওয়ামী লীগের ইতরামির কারণে আজকে সে প্রতীক নিষিদ্ধ হওয়ার পথে। এরপর হুমকির মুখে আছে 'জয় বাংলা' স্লোগান। তাছাড়া আওয়ামী লীগের কোন নেতাদের ছবি প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হবে তাও দেখবার বিষয়। শেখ মুজিব, মওলানা ভাসানী ও জাতীয় চার নেতার ছবি নাকি শুধু শেখ হাসিনার ছবি নিষিদ্ধ করা হবে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আমাদের আর কয়েকটি মাস মাত্র অপেক্ষা করা লাগতে পারে।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: অনেকদিন পর। শরীর ভালো?
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২০
কু-ক-রা বলেছেন: পাপের ফল
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: একমত।
৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: সব শালাকেই নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিৎ।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শালাদের নিষিদ্ধ করলে কাজ হবে?
৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২৯
ক্লোন রাফা বলেছেন: হুইট না ক্যানাবিস কোনটা খেতে এই পোষ্ট প্রসব করলেন⁉️ ৮০+ নিহত দাবি করছে সরকার । আমার ধারনা প্রকৃত
হিসাব চাইলে দুইশত মানুষের হিসেব দিতে পারবেনা। সরকারের হাতে নিহত হয়েছে। এর মাঝে আবার আওয়ামিলীগের অংগ সংগঠণের কর্মীও আছে। আমার ধারনা পুলিশ মেরেছে তার চাইতে বেশি।
গণহত্যার কোন সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করবেন এই হত্য। তারপর সমন্বয়কদের নিজেদের রেকর্ডকৃত বক্তব্য আছে স্নাইপার দিয়ে হত্যার। এত সহজ মনে হইতেছে সব কিছু‼️
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হা হা হা! যেটা আলোচনা হচ্ছে সরকারের ভিতরে তাই বলছি। শেখের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ফেরা অসম্ভব। দেশে গৃহযুদ্ধ লাগবে। দেশের বাইরে পলাতক কোন নেতা দিয়ে হবে না। দেশের ভিতর থেকে অন্য নামে আপাতত কেউ দল সংগঠিত করতে হবে। কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:২৩
শাহ আজিজ বলেছেন: আপনার লেখা পড়ার আগে আরও কিছু নোট পড়ছিলাম । সব মিলিয়ে ভয়ানক চিন্তায় পড়ে গেলাম । আপনার ফেসবুক আকাউনট আছে ? আমারটা অ্যাড করে নিন 672602538।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আছে।এড করে নিচ্ছি।
৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০৩
আদিত্য ০১ বলেছেন: নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ শুনতে আর ভালো লাগে না। নিষিদ্ধ করে দিলেই হয়। তাইলেই কাম শেষ। এই নিষিদ্ধ খেলা যেন এদের সাথে আবার কোন একদিন শুরু না হয়।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:১৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সংবিধাননে জামাত নাকি গনহত্যার বিচার সংযুক্ত করতে আপত্তি জানিয়েছে। এখন আওয়ামী লীগ জামাত একই গোয়ালের গরু!
৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৬
আদিত্য ০১ বলেছেন: ক্ষমতা বড় আজব জিনিস, যে পায় সেই সবকিছু। এই যে নিষিদ্ধ, মব ভায়োলেন্স, লুটপাট, ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়ানো, যা ইচ্ছে তাই করার যে খেলা চলছে, একসময় এই খেলা গুলা যেন ইউনুস, নাহিদ সারজিস ও জামাত বা ইসলামি দলগুলর সাথে হবে খুব জঘন্যভাবে, এইটা নিশ্চিত থাকেন। যাইহোক কামড়া কামড়ি বন্ধ হয়ত হবে না, কিন্তু প্রতিশোধ আসবে জঘন্যভাবে, দেইখেন
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনারা প্রতিপক্ষের সাথে যা অন্যায় করেছেন তা ভয়ংকর!
৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৮
আদিত্য ০১ বলেছেন: আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, কারসাজি, মারামারি, মব ভায়োলেন্স, লুটপাট, ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়ানো অনেক কিছু হবে। দেশের অবস্থা যা তাতে খারাপই হতে থাকবে
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আশা করি জাতির অধীনে সুষ্ঠু হবে।
৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৩৯
আদিত্য ০১ বলেছেন: ইউনুস কাগুর কি পা-এর নিচে মাটির কেমন তা দেখা উচিত, এখন তার বাইডেন বন্ধু নাই। হিলারি নির্বাচনে ফান্ডিং করা এখন সুদে আসলে বুঝাবে ট্রাম্প, এইটা পড়েছিলেন কি? view this link
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০১
রাসেল বলেছেন: যত দোষ আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগাররা নির্দোষ, নিষ্পাপ, ছলাকলাহীন।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইহা কেমন কথা!
১১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজী/সোনাগাজীকে অন্যায় ভাবে ব্যান করা হয়েছে।
আপনার আমার কি প্রতিবাদ করা উচিৎ নয়?
এত বড় একটা অন্যায় হলো!! আমরা কি চুপ করে বসে থাকবো?
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সোনাগাজী কে বলেন ফেইসবুক বা ইউটিউবে যেতে। ব্লগে তো ব্যান থাকেন ম্যাক্সিমাম !
১৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৫৫
আদিত্য ০১ বলেছেন: কুতুব ভাই, নিষিদ্ধ কত দূর, আর নির্বাচনে কে জিতবে, নাহিদ কি আগামী দলের হইয়ে প্রধান মন্ত্রি হবে?খবর টবর দেন
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:০৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দিচ্ছি ওয়েট করেন।
১৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৫৮
আদিত্য ০১ বলেছেন: লেখক বলেছেন: সোনাগাজী কে বলেন ফেইসবুক বা ইউটিউবে যেতে। ব্লগে তো ব্যান থাকেন ম্যাক্সিমাম
কেন সোনাগাজীর ওপর দেখা যাচ্ছে জুল্ ভার্ন, অপু, জটিলদের আপনারও ক্ষোভ অনেক। আগে তার লেখা পছন্দ করতেন, মিস করতেন, এখন তাঁকে ব্যান করার ব্যাপারে আপনার প্রতিবাদের কোন আগ্রহও নাই। উলটা তীর্যকভাবে কমেন্টে অনেক কিছু বলেন। অনেক যায়গায় দেখলাম
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:০৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিগ ব্রাদার ওয়াচিং উ! ধন্যবাদ।
১৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:০৮
আদিত্য ০১ বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিগ ব্রাদার ওয়াচিং উ! ধন্যবাদ। আর! উয়াচিং! সোনাগাজী বা আমরা ব্লগে থাকলেই কি আর না থাকলেই কি?আর কি আসে যায়, বাংলাদেশটাই এখন আপনাদের। সামান্য সামুতে আর কেমনে থাকবে!
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৫৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি ব্যান খেতে চাই না। আমি নতুন, নতুন
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৪
কামাল১৮ বলেছেন: সরকার নিজেই শক্ত অবস্থানে নাই।কচু পাতার পানির মতো সরকারের অবস্থান।