![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ভালো নেই। জুলাই অভ্যুত্থানের পর যে আশা ও আকাঙ্খা মানুষের মধ্যে ছিলো ছয়মাস পর তা অনেকটাই ফিকে হতে চলেছে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কবলে পড়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ তাতে যোগ দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ! বাংলাদেশকে বরাদ্দকৃত অর্থ নয়ে রীতিমতো এটম বোমা ছাড়লেন মুখ দিয়ে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন দেশে পাঠানো তহবিল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। এরকম ঘোষণায় বাংলাদেশের জন্য অনুমোদিত তহবিল স্থগিত হয়ে যায়। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প সেখানেই থামলেন না। বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্র অনুদান পাঠিয়েছে বলে দাবী করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ! ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য থেকে আমরা জানতে পারি প্রায় ২৯ মিলিয়ন ডলার বা ৩৫০ কোটি টাকা বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামোকে স্থিতিশীল করার জন্য বাইডেন প্রশাসন অনুমোদন দিয়েছিলো।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই সহযোগিতা বন্ধ করে দিবেন। বাংলাদেশের একটি বেনামি প্রতিষ্ঠানের মাত্র দুইজন কর্মী এই অর্থ পেয়েছেন বলে কটাক্ষ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশে সম্প্রতি ইউএসআইডির কর্মকান্ড নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রাপ্ত বাংলাদেশের অনুদানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিলো ইউএসআইডি। এই সংস্থার মাধ্যমে বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হতো। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউএসআইডি বন্ধের জন্য জোড় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকেই ভারত দাবী করে আসছে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে আমেরিকার সিআইএ ও পাকিস্তানের আইএসআইয়ের হাত রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ এই অভ্যুত্থান কে একটি স্পন্টিনিয়াস মুভমেন্ট মনে করে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পতনের জনআকাঙ্খা বাস্তবায়ন হয়েছিলো জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময় বাংলাদেশের শাসকদের লা-পরোয়ার কারণে এখন খোদ অভ্যুত্থান হুমকির মুখে পড়েছে। মোদি-ট্রাম্পের বৈঠক নিয়ে ইন্টেরিম সরকার ভিতরে শংকিত থাকলেও বাইরে তারা ড্যাম কেয়ার মনোভাব দেখিয়ে জনগন কে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে কিছুটা সফল হয়।
ইলন মাস্কের সাথে বৈঠক করলেও তা কোন সুস্পষ্ট এজেন্ডা ভিত্তিক ছিলো না। নরেন্দ্র মোদির সফরের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন সংবাদ সম্মেলনে একের পর এক শব্দ বোমা নিক্ষেপ শুরু করলেন। ট্রাম্পের বাংলাদেশ নিয়ে নিজস্ব কোনো এজেন্ডা আছে ? আমেরিকার ইতিহাসে এভাবে খোলামেলা ভাবে অন্য দেশের রাজনীতিতে আমেরিকার প্রভাব খাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে কোন প্রেসিডেন্ট আলোচনা করেনি। যদি থলেতে আরো বিড়াল থেকে থাকে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক বিড়াল থলের মধ্য থেকে বের করতে থাকেন তবে বাংলাদেশের কিছু এনজিও ও অনেক ব্যক্তিবর্গ নিশ্চিত বিপদে পড়তে যাচ্ছেন। পরাজিত শক্তি তখন সে সব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ কে টার্গেট করে আঘাত আনার চেষ্টা করবে আর সরকারের পক্ষ থেকে বসে বসে তা দেখা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না । রাষ্ট্রের উপর সরকারের পুরোপুরি কতৃত্ব এখনো প্রতিষ্ঠিত হয় নি। এ যেন অনিবার্য সংঘাতের পূর্ব লক্ষণ ইশান কোণে মেঘের মতো জমাট বেঁধেছে !
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৫৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হবে না। ভাঙন ধরেছে অলরেডি!
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২০
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ট্রাম্প জনপ্রিয়তা পেতে পুর্বের সরকারের সকল অনুদান , তহবিলই নাকচ করবে । সেটা বাংলাদেশই হোক বা যেই দেশকেই দেয়া হোক না কেন। এ নিয়ে অহেতুক জল ঘোলা করার কিছু নাই।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শান্তিবাদী দলে যোগ দিয়েছেন নাকি? চোরাগুপ্তা হামলা কি পরিমাণ বাড়বে জাস্ট দেখতে থাকুন।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৩
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি আগেও খারাপ ছিল, এখনও খারাপ। তাই বলে গৃহযুদ্ধ বাধার কোন পরিস্থিতি তৈরী হয়নি।
আপনি যে আসলে কোন মত যে ধারন করেন তা বোঝা মুসকিল। মাত্র চার মাস আগে এই ব্লগে জয়েন করে নিজেকে ২৮ বছরের একজন তরুন হিসাবে দাবী করেন। অথচ এই বয়সের কোন তরুনের ব্লগে এতটা সময় দিতে পারার কথা নয়। যদি বেকারও হয়, তাও সম্ভব না। কারন একজন তরুনের কাছে বিষয়টা বোরিং লাগবে। তাছাড়া আপনার কোন লেখায় বা কমেন্টে তারুন্যের ছাপও নেই। ব্লগে নবীন হলেও দেখা যায় যে আপনি এই ব্লগের নারী নক্ষত্র সব খবর জানেন। আবার সুনির্দিষ্ট কোন মতামতও আপনি ধারন করেন না। সব পক্ষের মানুষের সাথেই তাল মেলান! আপনি আসলে কে ? ব্লগ টীমের কেউ কি ?
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ব্লগের কোন নাড়ি নক্ষত্র আমি জানি না। আমি ক্লাস ফোর থেকে পেপার পড়ি। তাই আমার থট প্যাটার্ন আপনাদের মতো নয়। আমার মামা ছিলেন বাংলাদেশের বিখ্যাত একটি ইংরেজি দৈনিকের সাংবাদিক। তার কাছে আমার অনেক অজানা বিষয় জানা হয়েছে। একটি সাব্জেক্ট কে বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে দেখার চেষ্টা করি আমি।
অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার লেখার এত ভিউ হবে না। কিন্তু সামুতে হয় দেখে সময় বেশি দেই। আমি ভিউ'র সস্তা ফাঁদে পড়েছি। ভবিষ্যতে মুক্ত ভাবে ব্লগিং করবো ইনশাল্লাহ।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৪
নিমো বলেছেন: বোম চমস্কির ইন্টারভেনশনস পড়ুন, যদি পড়া বা থাকে। ট্রাম্প সেই অর্থে আলাদা কিছুই করছে না। হয়তো চামচের বদলে হাত দিয়ে দিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করছে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ট্রাম্পের বক্তব্য আমার কাছে সুবিধা ঠেকছে না। ভারত ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফান্ডিং নিয়ে যতটা বললেন অন্য দেশে কি উদ্দেশ্যে ফান্ডিং করা হয়েছে তা বিস্তারিত বলেন নাই।
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৫
নিমো বলেছেন: নোম চমস্কি হবে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বুঝতে পেরেছি! ধন্যবাদ।
৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪৭
কামাল১৮ বলেছেন: আওয়ামী লীগের কথা কে বলছে।আপনার অবস্থা হয়েছে ,ঠাকুর ধরে কে,আমি কলা খাইনি।আমি বলছি এই সরকারের বারোটা বাজাবে।তার পর জনগনের সরকার কায়েমহবে।ভোটে যে জিতবে সেই সরকার গঠন করবে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মোদি যার জন্য এত দৌড়ঝাপ করছে উনার আর ফেরা সম্ভব নয়। রিয়েলিটি মেনে নেন।
৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২২
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ট্রাম্পের গায়ের পোশাকটা ভালোমত বাঙালীরা বানালেই যুদ্ধ বন্ধ করে দিবে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশের পোশাকের প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প।
৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৩৪
মেঘনা বলেছেন: গৃহযুদ্ধের জন্য এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মাটি খুবই উর্বর। একদিকে পাকিস্তানপন্থী জামাতি-মানসিকতা অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধপন্থী বাঙ্গালী মানসিকতা, এছাড়া সংখ্যালঘু ( সব আমলে মাইর খাওয়া ) হিন্দু বৌদ্ধরাও ভারতের আশ্রয় প্রশ্রয়ে অন্য সময়ের তুলনায় যথেষ্ট সোচ্চার, তারাও একটা সেমি স্টেকহোল্ডার।
ডোনাল্ড ট্রাম্প / আমেরিকা কী চায় ?
ভূরাজনৈতিক কারণে বঙ্গোপসাগর এলাকায় আমেরিকার যদি একটি সামরিক ঘাঁটির প্রয়োজন থাকে তাহলে সেটা সেন্টমার্টিন বা সন্দীপ বা কক্সবাজার হতে পারে এবং সেজন্য আমেরিকার একটা চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক তাবেদার সরকার দরকার।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৪৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনার পতন দরকার ছিলো। বাইডেন প্রশাসন কে ধন্যবাদ যদি আসলে কিছু করে থাকে। সমস্যা হচ্ছে ইন্টেরিম সরকারের লোকজন সব অনভিজ্ঞ!
৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৫:৫০
কু-ক-রা বলেছেন: উহার (সৈয়দ কুতুবের) চিন্তা ভুল। মার্কিন অর্থায়ন বন্ধ হইয়া বরং ভাল হইয়াছে। ইহাতে উহারা (মার্কিন) বাংলাদেশকে উহাদের ইচ্ছামত ব্যবহার করিতে বাধাঁগ্রস্থ হইবে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:২৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:০৭
কামাল১৮ বলেছেন: কাকে মেনে নিতে বলছেন।আমি মেনে নিলে কি মোদি তার পরিপল্পনা থেকে সরে আসবে।প্রথম ও দ্বিতীয় পরিকল্পনা ফেল করলে তয় দাপে সামরিক ব্যবস্থা।এর জন্য বিরাট সামরিক অস্ত্র সস্ত্র কিনছে আমেরিকা থেকে।এফ ৩৫ সহ।গাজা বানিয়ে ছাড়বে আমাদের দেশকে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৫৫
কামাল১৮ বলেছেন: ট্রাম্প কিছুই চায় না।সব দায়িত্ব দিয়েছে মোদির উপর।মোদি কাজ সুরু করে দিয়েছে।আস্তে আস্তে সব দৃশ্যমান হবে।