![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
জুলাই অভ্যুত্থানের পর ইন্টেরিম সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগ জুলাই-আগস্ট মাসে আন্দোলনের সময়ে কি করছিলেন কেউ তা জানে না । উপদেষ্টারা অনেকেই এক হালি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। আবার কোনো কোনো উপদেষ্টাকে কোনো মন্ত্রণালয় দেয়া হয় নি। মূলত আড়ালে থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে আমলারা। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে অবশ্যই উপদেষ্টাদের দিক নির্দেশনার প্রয়োজন আছে। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই উপদেষ্টাদের কার্যক্রম নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে হতাশা রয়েছে। কোনো কোনো উপদেষ্টা ক্রমাগত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন আবার কেউ তার উপর বর্তানো মন্ত্রণালয়ের কাজ বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে । জুলাই অভ্যুত্থানের পর গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়া দরকার ছিলো।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন জাহাঙ্গীর সাহেব। তিনি একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা;বেসামরিক বাহিনী পরিচালনায় উনার দক্ষতার অভাব রয়েছে। এক এগারো সরকারের সময়ও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একজন অমায়িক ও নরম দিলের মানুষ। তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের তোয়াজ করে চলেন। সাংবাদিকদের চা-নাস্তা খেয়ে যেতে বলেন। সৃষ্টিকর্তার প্রতি উনার অগাধ বিশ্বাস আছে বলেই তিনি পরম নির্ভয়ে বলতে পারেন "আল্লাহ দেশ চালাচ্ছেন" ! আইনশৃংখলা পরিস্থিতি উন্নতি দূরে থাক এখন পর্যন্ত পুলিশকে উনার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন নাই। অথচ জাহাঙ্গীর সাহেবের পূর্বে সাখাওয়াত সাহেব ছিলেন দক্ষ ও বেসামরিক দায়িত্ব পালনে চৌকস ব্যক্তি। উনার কপালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেশিদিন সইলো না। জাহাঙ্গীর সাহেব তাঁর জায়গায় রিপ্লেস হয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পক্ষে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি উন্নতি করা সম্ভব না হওয়ায় অন্তত দশ থেকে পনেরো বার উনার পদত্যাগের দাবীতে বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে। কোনো কোনো সমাবেশে জাহাঙ্গীর সাহেবের গায়েবানা জানাযা পড়া হয়েছে । এত কিছুর পরও উপদেষ্টা মহোদয় কে পদত্যাগ করানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে অনেকের মধ্যে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ; যারা রাস্তায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবী করছে আসলে এরা মাঠ দখলে রাখার জন্য এমন কৌশল নিয়েছে। ইন্টেরিম সরকারের প্রধান শক্তি সংগঠন পরিকল্পিত ভাবে ছাত্র-জনতাকে মাঠে নামিয়ে জনগণের দাবী আদায়ে তাদের প্রচেষ্টা জনগণের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। গতকাল রাত তিনটার সময়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলনের সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ উপদেষ্টার ঘরের বাহিরে দাড়িয়ে ছিলেন। এত রাতে হাসনাতের কি কাজ ছিলো উপদেষ্টার সাথে তা জানা যায় নি। ঢাবিতে উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ব্যাপারে ব্রিফিং করতে এসেছিলো হাসনাত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে ? নাকি হাসনাত যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় তার জন্য আগে থেকেই উপদেষ্টার বাড়ির সামনে দাড়িয়ে ছিলো ? সাংবাদিকদের দেখে হাসনাত প্রস্হান করেছিলো।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উপর অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও অর্পণ করা হয়েছে। এতে উনার উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। উপদেষ্টা মহোদয় কে শুধু মাত্র একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রেখে বাকি মন্ত্রণালয় অন্য উপদেষ্টাদের মধ্যে বন্টন করা যেতে পারে। এতে চাপমুক্ত হয়ে তিনি কতখানি দায়িত্ব পালন করতে পারেন তা বোঝা যাবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পুনরায় সাখাওয়াত সাহেব কে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। তবে কোনো আল্টিমেটামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না এইটা মোটামুটি শিউর। রাস্তায় উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ ও আন্দোলন মূলত ওয়েল প্লান মেটিকুলাস ডিজাইন যা জনগণের চোখে ধুলো দেয়া ছাড়া আর কোনো কাজে আসবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:২৮
কামাল১৮ বলেছেন: ইউনুস কেন পদত্যাগ করছে না।সেই একই করনে তিনিও পদত্যাগ করছে না।সবাই এক সাথে পদত্যাগ করবে।একটু সময় দেন!