![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
গাজার প্রতিটি বিস্ফোরণে কেবল ধ্বংস হয় না —প্রতিধ্বনিত হয় একটি প্রশ্ন: মুসলিম বিশ্ব কোথায় ? মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির আয়নায় এই প্রশ্নটি এক খণ্ড অন্ধকার, যা শুধু আন্তর্জাতিক রাজনীতির ব্যর্থতা নয়, মুসলিম বিশ্বের অভ্যন্তরীণ ছদ্মযুদ্ধের নগ্ন উদাহরণও বটে। গাজা একদিকে প্রতিরোধের প্রতীক, অন্যদিকে এক আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক 'চেসবোর্ড'—যেখানে প্রতিটি চালের পেছনে রয়েছে গোপন সমঝোতা, নীরব সমর্থন, এবং ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা। এই চিত্রটি বোঝা জরুরি, যদি ফিলিস্তিন প্রশ্নে মুসলিম বিশ্বের নিষ্ক্রিয়তা ও দ্বিচারিতা অনুধাবন করতে হয়।
হামাসের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এই বিতর্ক আজ গাজার প্রতিটি নাগরিকের গায়ে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বোমার আঘাতে মৃত্যু যেন ‘অবধারিত শাস্তি’ হয়ে উঠেছে—শুধু এ কারণে যে, তারা এক ‘ইরানপন্থী’ গোষ্ঠীর আওতায় বাস করছে। রাজনীতি এখানে এতো নিষ্ঠুর যে শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী—কারোর পরিচয় ব্যক্তি নয়, বরং রাজনৈতিক ‘অ্যালায়েন্স’। হামাস যে ইরানঘেঁষা, তাতে সন্দেহ নেই। ২০০৬ সালে নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকেই তারা মধ্যপ্রাচ্যের ‘শিয়া ব্লক’-এর একটি কার্যকর মুখ। এই অবস্থানে সৌদি আরবসহ অন্যান্য সুন্নি রাষ্ট্রের অস্বস্তি দীর্ঘদিনের। কিন্তু প্রশ্ন হলো, একটি রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে একটি গোটা জনগোষ্ঠীকে শাস্তি দেওয়ার বৈধতা কে দেয় ?
সৌদি আরব একদিকে ইসলামী বিশ্বের ‘খাদেমুল হারামাইন’ (দ্বয় পবিত্র মসজিদের রক্ষক), অন্যদিকে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ‘স্ট্র্যাটেজিক মিডিয়েটর’ হতে চায়। ২০১৯ সালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে যে ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করা হয়, তা কেবল অর্থনৈতিক রূপান্তর নয়, বরং ভূরাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারেরও রূপরেখা। ইরানকে কোণঠাসা করে সৌদি নেতৃত্ব সুন্নি বিশ্বের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে চায়। এই প্রেক্ষাপটে গাজার ঘটনাবলি তাদের কাছে একটি ‘আনফরচুনেট পলিটিকাল ব্যাকড্রপ’ ছাড়া কিছু নয়। এ কারণে তারা বারবার মধ্যস্থতার কথা বললেও, প্রতিরোধের নৈতিকতা বা গাজার মানুষের আত্মত্যাগকে রাজনৈতিকভাবে স্বীকৃতি দেয় না।
সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এখনো শক্তিশালী। যদিও ব্রিকসে সৌদি আরবের পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগদান কিছুটা ভারসাম্য রক্ষা করেছে, তবু তারা এখনও পেট্রোডলারের ওপর নির্ভরশীল। এই নির্ভরতা পশ্চিমা বিশ্বকে সন্তুষ্ট রাখার অদৃশ্য চুক্তির অন্তর্ভুক্ত। ফলত, গাজার ইস্যুতে সৌদি বা উপসাগরীয় শক্তিগুলো প্রকাশ্যে ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানে যেতে চায় না।
ইতিহাসে এমন মুহূর্ত বহুবার এসেছে—যখন ন্যায় ও রাজনীতি একে অপরের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। যেমন : কারবালা ; গাজা সেই ধারারই এক চলমান অধ্যায়, যেখানে বাস্তবতা হলো—ধর্মীয় ঐক্য কেবল কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ, কার্যত প্রতিটি মৃত্যু হয়ে উঠছে ভূ-রাজনীতির অনুঘটক এবং, ঠিক এইজায়গায় ইসলামী মূল্যবোধ মুখ থুবড়ে পড়েছে।
“তোমরা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করো তাদের বিরুদ্ধে, যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, কিন্তু সীমালঙ্ঘন করো না।” (সুরা বাকারা, ২:১৯০)।এই আয়াত যেমন যুদ্ধের অনুমতি দেয়, তেমনি সীমালঙ্ঘনের বিপক্ষে কড়া সতর্কবার্তাও দেয়। গাজার শিশুরা কি সীমালঙ্ঘনকারী? ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া কিশোরীর মুখ কি রাজনীতির খলনায়ক ? না, তারা শুধুই অব্যক্ত প্রতিরোধ। আর মুসলিম বিশ্বের নীরবতা—সেই প্রতিরোধের বিপরীতমুখী এক আত্নাবিক্রেতা হিসাবে ইতিহাসে জায়গা করে নিবে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৭:০৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মুসলিম বিশ্ব এক হয়ে উগ্রবাদী ধারা বন্ধ করে দিতে একমত হতে পারে। তাহলে অন্তত মানুষ কম মরবে।
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৭:৫৮
কামাল১৮ বলেছেন: মুসলিমদের চেয়ে বড় উগ্রবাদী কি বিশ্বে আর কেউ আছে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সেটা সব ধর্মের মানুষের মধ্যে আছে। নাস্তিকেরাও উগ্রবাদী হতে পারেন।
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম হেরে গেছে।
মুসলিমদের ধর্ম হেরে গেছে। আল্লাহ সাহায্য না করলে, মানুষের সাহায্য দিয়ে কি হবে?
বিজ্ঞান এবং ধর্মের লড়াই হয়েছে। ধর্ম হেরে গেছে। এখন মুসলমানদের উচিৎ চুপ থাকা।
তবে ইজরায়েলের উচিৎ ছিলো- পুরো গাজা ধ্বংস না করে হামাসকে ধ্বংস করে দেওয়া। সেই সাথে মুসলিম বিশ্বে যত ধর্মীয় সংগঠন আছে সেগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধর্ম৷ হারে নাই। মনুষ্যত্ব হেরে গেছে।
৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০৮
সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: ভাষা হারিয়ে ফেলছি ওরা এত নিষ্ঠুর
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:১০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সবার অবস্থা আপনার মতোই।
৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৪৫
নতুন বলেছেন: ধর্ম তো আইওয়াস মাত্র। আসল খেলা হইলো রাজনিতি। সেটাই জনগন বোঝে না।
মধ্যপ্রাচ্যের নিয়ন্ত্রন নিতে ইসরাইলকে বানাইছে আমেরিকা। এখন আরব দেশে অস্র বিক্রি, ব্যবসা, ধান্দায় বিরাট লাভ আমেরিকার।
সৌদি রাজ পরিবিরাবের বিলিওন ডলার বিনিয়োগ আমেরিকাতে। তারাই আরব রাজপরিবারদের ক্ষমতায় থাকার ব্যাপারে সাহাজ্য করছে।
ইসরাইল একটা ক্যান্সার যেটা সৃস্টিই করেছে আমেরিকা সবাইকে একটু ব্যাথায় কাতর রাখতে।
এটাই ধর্মীয় আবেগ দিয়ে রাজনিতিক বিষয়টা লুকিয়ে ফেলার চেস্টায় সফল আমেরিকা/ইসরাইল/মুসলিম রাজপরিবারগুলি।
এরার একটাই সমাধান যেটা জনগনের উচিত রাজপরিবারগুলির উপরে যথেস্ট চাপ সৃস্টিকরা যাতে আরব দেশের প্রধানরা আমেরিকারে চাপ দিয়ে দুইরাস্টে ভাগ করে বড় দেয়াল তুলে দুই রাস্টকে আলাদা করে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:০২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:০১
রানার ব্লগ বলেছেন: আজ গাজার এই মর্মান্তিক পরিস্থিতির জন্য একমাত্র হামাস এবং হামাস দায়ী। গাজার অধিবাসিদের গায়ে হামাসের সিল লাগিয়ে বিশ্ব দরবারে উপস্থিত করার দায় হামাসের। শিশু, নারী ও বৃধ্যদের নিরাপদ স্থানে না সরিয়ে তাদের যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহার করার ঘৃন্য দায় হামাসের। এই সকল বেদনাদায়ক মৃত্যুর দায় হামাসের এবং ইজরাইল হামাস কে প্রতিহত করতে গিয়ে সকল নারী শিশু বৃধ্য হত্যার দায়ে দন্ডিত ইজরায়েল সামরিক বাহিনী ও সরকার। হামাস ও ইজরায়েল সামরিক বাহীনি ও সরকারের বিচার বিশ্ব আদালাতে কামনা করছি। জেনোসাইড ঘটাতে এদের দায় মৃত্যু দন্ড কামনা করছি।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:০৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইবনে তাইমিয়া, মওদুদী, সালাফি,ওয়াহাবী এরা সবাই দায়ী। হামাস এদের প্রোডাক্ট !
৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এটা তো ভালো।
ভালো না?
সবাই শহীদ হয়ে যাচ্ছে।
বিনা হিসাবে জান্নাত।
এটাকে কি খারাপ বলা যাবে?
সবাই তো জান্নাতে যেতে চায়।
শহীদী মৃত্যু চায়।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মানুষের মৃত্যু নিয়ে ঠাট্টা নিচু মানসিকতার প্রকাশ।
৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ইসরাইলকে রক্ষার জন্য আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে সবকিছুই করবে; ওখানে অন্যকোন দেশকে মেরুদন্ড সোজা করতে দেবেনা আমেরিকা।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তেনারা সবাই এক জোট !
৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮
রাসেল বলেছেন: গাজায় গণহত্যা - মানবজাতির জন্য এক কলঙ্ক। অমুসলিম জাতি গোষ্ঠী যদি ন্যায়পরায়ণ হত, বিপথগামী না হত; তবে অবশ্যই এই অন্যায়ে বাধা দিত। সকলেই এখান থেকে ফায়দা লুটতে ব্যস্ত।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মুসলিম যদি ফায়দা নেয় অমুসলিমদের দোষ কি নিতে?
১০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ইহুদীরা যতদিন দুনিয়ায় থাকবে ততদিন এমন সব অমানবিক নৃশংসতা চলতে থাকবে। ধিক্কার জানাই বিশ্ব বিবেককে ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধিক্কার জানাই।
১১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৩
রাসেল বলেছেন: লেখক বলেছেন: মুসলিম যদি ফায়দা নেয় অমুসলিমদের দোষ কি নিতে?
তখন আমরা প্রভুর নিকৃষ্ট সৃষ্টি হয়ে যাই।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৫:৩৯
কামাল১৮ বলেছেন: খৃষ্টান বিশ্ব এক হলে কি অবস্থা হবে চিন্তা করতে পারেন।মুসলিম বিশ্ব এক হলে কিছুই হবে না।মুসলিম বিশ্ব একই আছে।আর কিভাবে এক হবে।