![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাবের কথা সবার নিশ্চয়ই মনে আছে ? বিগত সরকারের সময়ে প্রণীত নতুন ক্যারিকুলামের বিরুদ্ধে পাবলিকলি প্রতিবাদ করে যাকে চাকুরি হারাতে হয়েছিলো। মাহতাব সাহেব সপ্তম শ্রেনীর শারীরিক শিক্ষা বইয়ের জেন্ডার সংক্রান্ত চ্যাপ্টার নিয়ে সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। তার অভিযোগ ছিলো সরকার বইয়ে এলজিবিটিকিউ লেখা অন্তর্ভুক্ত করে বাচ্চাদের কোমল মনকে কলঙ্কিত করতে চায়। এই ঘটনার জল অনেকদূর পর্যন্ত গড়িয়েছিলো। যারা ক্ষমতাসীন ছিলেন এবং যারা ক্ষমতাসীনদের সাপোর্ট করতেন তাদের রোষের মুখে পড়ে ব্রাক ইউনিভার্সিটি আসিফ মাহতাব কে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করে । আসিফ স্যার কে লঘু পাপে গুরু দন্ড দেয়া হয়েছিলো।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশের ক্ষমতায় নতুন সরকার আসলো। বিগত সরকার স্বৈরাচারী মনোভাবের ছিলো বিধায় লঘু পাপে গুরু দন্ড দেয়া খুবই সাধারণ ঘটনা ছিলো। তবে আসিফ মাহতাব স্যারের ঘটনার প্রছন্ন প্রভাব ঠিকই সমাজে থেকে গেল। এখন যারা ক্ষমতাসীনদের সাপোর্টার তাদের দাবীর মুখে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন একই রকম ব্যবস্থা নিয়েছে। জোর যার মুল্লুক তার - এই প্রবাদের বাস্তব প্রতিফলন আমরা সমাজে দেখতে পাচ্ছি।
গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা - ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে সোমবার সারাদেশে পালিত হয়। অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো ড্যাফোডিলের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩য়/৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু খন্ডকালীন শিক্ষক তাহমিনা রহমান তাদের মিছিলে অংশ না নিতে চাপ দেন। তিনি শিক্ষার্থীদের হুমকি দেন ডাবল এবসেন্ট দিবেন বলে। প্রাইভেট গ্রুপের আলাপ পাব্লিক হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ভাইরাল হয়ে যায়। একশ্রেণীর মানুষ জনমত গঠন করে ম্যাডাম কে বরখাস্তের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবী তুলে। কতৃপক্ষ সমালোচনার মুখে ম্যাডাম কে চাকুরি থেকে এখন সাময়িক ও ভবিষ্যতে স্থায়ী ভাবে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখানে সবসময় প্রভাব বিস্তার করে তারাই যাদের সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় থাকে। উক্ত ঘটনায় ম্যাডামের ক্যারেক্টার এস্যাসিনেশন করা হলো, চাকুরি খেয়ে দেয়া হলো, ইয়াহুদী-নাসাদের দালাল ট্যাগ দেয়া হলো। কেউ ম্যাডামের বক্তব্যের ব্যাখ্যা বা ক্ষমা চাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে নাই। এমনভাবে শোরগোল করা হলো ড্যাফোডিল কতৃপক্ষ বিষয়টিতে অন্যকারো হস্তক্ষেপের পূর্বে নিজেরাই ব্রাকের দেখানো পথ অনুসরণ করলো।
ম্যাডাম কি চাকুরি চলে যাওয়ার মতো কোনো অপরাধ করেছে ? শাস্তি হিসাবে কতৃপক্ষ উনাকে মিছিলে যেতে নির্দেশ দিতে পারতো। ম্যাডামের বেতনের কিছু অংশ কর্তন করে ফিলিস্তিননে অনুদানের কাজে লাগানো যেত । এভাবে পাবলিক করে কেন উনার ভবিষ্যৎ কে সংকটের মুখে ফেলা হলো ? ম্যাডাম তার ভুলের বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নাই । সবচেয়ে বেশি দৃষ্টিকটু লেগেছে যারা প্রাইভেট গ্রুপের মেসেজ পাবলিক করেছে। ম্যাডামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষকে জানাতে পারতো। শিক্ষার্থীরা এখন টিচারদের গণনার মধ্যেই রাখে না। টাকা দিয়ে ডিগ্রী কেনা যায় এই ধারণা যেদিন থেকে সমাজে চালু হয়েছে সেদিন থেকে শিক্ষকদের সম্মান কমে গিয়েছে।
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির কতৃপক্ষ খুব সম্ভবত অফলাইন মবের ভয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অতীতে মবের মাধ্যমে সৃষ্ট ঘটনার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় সবার মধ্যেই আতঙ্ক কাজ করছে। ড্যাফোডিল কতৃপক্ষের ভয় যে অমূলক নয় তার প্রমাণ আজকের দিনেও পাওয়া যায়। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর সময় মব ক্রিয়েট করে কেএফসি, পিজ্জা হাট ও বাটার শোরুম ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে হাজারো পণ্য নষ্ট করা হয়েছে। কক্সবাজারের মতো স্থানে যেখানে পর্যটকের সমাগম হয় সেখানে রেস্টুরেন্টে ভাংচুর হয়েছে। যেহেতু এসবের বিরুদ্ধে কোনো বিচার হবে না তাই আগে থেকেই ড্যাফোডিল কতৃপক্ষ প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে।
দেশে আজ থেকে শুরু হয়েছে চারদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন। এমন সময় যদি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশের সুযোগে কেউ অশান্তি সৃষ্টি করতে মাঠে নামতে চায় তার জন্য সরকারের উচিত আগে থেকেই ব্যবস্থা নেয়া । এমন ঘটনা প্রথমবার নয় যে সরকার সামাল দিতে পারবে না। জাতিসংঘের মহাসচিব যখন দেশে এসেছিলেন তখনো দেশে মব আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছিলো। পহেলা বৈশাখের আর মাত্র সপ্তাহখানেক সময় বাকি আছে। গতমাসেই আন্দাজ করেছিলাম দিন যত ঘনিয়ে আসবে কেউ না কেউ মাঠে নেমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করবে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:১২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শিক্ষিকা যতই ব্যক্তিত্বহীন হউক উনার চাকুরি সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে খেয়ে দেয়া যাবে না। শেখ হাসিনার সাথে এই ম্যাডামের তুলনা হাস্যকর। । শেখ হাসিনা জুলাই অভ্যুত্থানের আগেই গুরু পাপে দন্ডিত ! ২০১৪ সালে ক্ষমতা ছাড়লেই বিডিআর হত্যার দায়ে জেলে ঢুকতো।
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:০৪
অপু তানভীর বলেছেন: মাহতাব মিয়ার ঐটাকে আর যাইহোক প্রতিবাদ বলে না, স্ট্যান্ডবাজি বলে। সেই স্ট্যান্ডবাজির জন্য সে ভাল মার্কেট পেয়েছে। সেটা খুব ভাল করেই জানতো যে এমন করলে পাবলিক খাবে ভাল।
তবে এই শিক্ষিকাতে চাকরি চুত্য করার ব্যাপারটা ভাল লাগল না।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:১৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দুইজন কেই ঠুনকো অপরাধে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। বাংলাদেশে চাকুরি পাওয়া অনেক কঠিন !
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই শিক্ষিকা দুনিয়ার কোন খবর রাখে বলে মনে হয় না। অথবা সে তার পোস্টে মিথ্যা কথা বলেছে। ছাত্ররা দাবি জানাচ্ছে আর সে এই কর্মসূচি সম্পর্কে জানার প্রয়োজনও বোধ করে নাই। আসলে সে মিথ্যা কথা বলেছে। সে প্রথমে বল প্রয়োগ করে থামাতে চেয়েছে। পরে আবার ক্ষমা চেয়েছে। আপনার কাছে হাস্যকর মনে হলেও হাসিনার সাথে মিল আছে। হাসিনা প্রথমে ভয় দেখিয়েছে এবং কোন কিছুর তোয়াক্কা করেনি। পরে যখন বিপদ দেখেছে তখন মায়া কান্না করেছে এবং দাবি মেনে নিয়েছে। কিন্তু কোন লাভ হয় নাই। এই শিক্ষিকার ক্ষেত্রেও সেটা হয়েছে।
২০১৪ সালে হাসিনার কোন দণ্ড হয় নাই। সে ভয় দেখিয়ে ঠাণ্ডা করতে চেয়েছিল এই শিক্ষিকার মত। পরে আবার ভোল পালটেছে। এই কারণে তুলনা করেছি। আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসরণ করে তাকে চাকুরি থেকে বহিষ্কার করা হবে। আপনি পুরো কথাটা সঠিকভাবে বলেননি। ফলে মানুষ বিভ্রান্ত হবে। যে শিক্ষক এই ধরণের সংবেদনশীল একটা আন্তর্জাতিক বিষয়ের গুরুত্ব বোঝে না তার শিক্ষক হিসাবে থাকার যোগ্যতাই নেই। ভালো পড়ালেই চলবে না তার নৈতিক অবস্থান গ্রহণযোগ্য হতে হবে। সে এই আন্তর্জাতিক সংবেদনশীল কর্মসূচিকে বুলশিট বলেছে। আবার ঠেলায় পড়ে মাফ চেয়েছে। কত বড় জালেম এবং চতুর সে। এই ধরণের ব্যক্তির শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতাই নেই। শুধু এই অপরাধের জন্যই তার চাকরী চলে যেতে পারে। আর এটা তো মিডিয়া ট্রায়াল না। সে কি করেছে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও জানে। তার দণ্ড সঠিক আছে।
তবে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিত। সে মোটেই লঘু পাপ করে নাই। সে কী ধরণের অপরাধ করেছে তার মাত্রা সম্পর্কেও তার ধারণা নাই। আপনার গুরুর ভাষায় এরাই মনে হয় প্রশ্ন ফাঁস। বুকিশ জ্ঞান ছাড়া এদের মধ্যে কিছুই নাই।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৪৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পুনরায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:৩০
কামাল১৮ বলেছেন: ভারতে মিডিয়া থেকে সেই উসকানিই দেওয়া হচ্ছে।জোর করে রংপুর ও চট্রগ্রাম দখল করার কথা প্রচার করা হচ্ছে।উদাহরণ হিসাবে রাশিয়ার ইউক্রেনের বিরাট এলাকা দখলের কথা প্রচার করা হচ্ছে।আমেরিকা মেনেও নিয়েছে রাশিয়ার দখল।বলা হচ্ছে ভারত দখল করলেও আমেরিকা মেনে নিবে।জোর যার মুল্লুক তার সুন্দর শিরোনাম।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:৩৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভারত আপনার জন্মভূমি না বলে আফসোস হয় ? ভারত এটা সেটা দখল করবে শুনে এত খুশি কেন ?
৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ২:১৬
কামাল১৮ বলেছেন: আমি খুশি কোথায় দেখলেন।আমিতো সত্য যা তাই জানালাম।সারাদিন প্রচার করছে জের করে দখল করে নাও।আলামত কিছু দেখাও যাচ্ছে।ইসুটা আমরাই তাদের হাতে তুলে দিয়েছি।চিকেন নেক সেভেন সিষ্টার নিয়ে কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করছিলো।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:২৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মাঝে মধ্যে বলা লাগে এরকম। ভারত বেশি হাউকাউ করেছিলো!
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:২৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আচ্ছা!
৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: জোর যার মুল্লুক তার !
কথাটা একদম সত্যি। দেখুন অবস্থা-
জুতা চুরী করছে, ৩২ নম্বর ভেঙ্গে দিলো, ছাত্ররা ইচ্ছা মতো দূর্নীতি করছে, আবার বলছে ৭১ আর ২৪ এক, কত বড় ছাগল।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আওয়ামী লীগের শিক্ষা কখনো ভালো হয় না। ইহা প্রমাণিত !
৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
রাজীব নুর বলেছেন:
জোর যার মুল্লুক তার !
কথাটা একদম সত্যি। দেখুন অবস্থা-
জুতা চুরী করছে, ৩২ নম্বর ভেঙ্গে দিলো, ছাত্ররা ইচ্ছা মতো দূর্নীতি করছে, আবার বলছে ৭১ আর ২৪ এক, কত বড় ছাগল।
ভাই রে, মালে গণিমত জায়েজ আছে।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৫৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আম্লিকের শিক্ষা ইহারা অন্তরে ধারণ করেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্যক্তিত্বহীন এই শিক্ষক। তা না হলে সে আবার ক্ষমা চাইল কেন। সে ভুল করেছে সেটা আগে বুঝলো না কেন। এই ধরণের ব্যক্তি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয় কি করে। সে যদি তার অবস্থানে স্থির থাকতো এবং তার পক্ষে যুক্তি প্রদর্শনে অটল থাকতো তাহলে বোঝা যেত যে সে একজন নীতিবান শিক্ষক। সে প্রথমে চাকরীর ভয়ে ছাত্রদের ভয় দেখিয়েছে। পরেও চাকরীর ভয়ে ক্ষমা চেয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পারে নাই। পরিস্থিতি সামলানোর যোগ্যতাও তার নাই। সে তো ডাবল অনুপস্থিতি দেয়ার এখতিয়ার রাখে না। কেন সেই ভয় সে দেখিয়েছে। শেখ হাসিনাও একই কাজ করেছিল। প্রথম ভেবেছিল ডাণ্ডা আর হ্লেমেট দিয়ে ঠাণ্ডা করে দিবে। পরে ভয়ে দাবি মেনে নিল। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার সেটা হয়ে গিয়েছিল। গাধা পানি ঘোলা করে খায়।