নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

Fun Post : পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খেয়ে মরিচ ও ভর্তা খান ...... !

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৫৬


এমন মন্তব্য করেছেন বাংলার কাল মার্ক্স ফরহাদ মজহার সাহেবের স্ত্রী মৎস উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার। তিনি বরাবরই ইলিশ মাছের প্রতি বেশি যত্নবান। সাধারণ মানুষ যাতে বড়ো ইলিশ মাছ খেতে পারে তার জন্য তিনি জাটকা ইলিশ খেতে নিষেধ করেছেন। এর আগেও তিনি ভারতে ইলিশ মাছ পাঠাবেন না বলে জানিয়েছিলেন। দেশের মানুষের প্রতি উনার টান আছে। গত ৭ই এপ্রিল থেকে ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ রাখতে বলেছে সরকার। অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ আসন্ন প্রায়। সব মিলিয়ে ফরিদা আক্তার এমন বক্তব্য দিয়েছেন। পান্তা-ইলিশ কোনো বাঙালির সংস্কৃতি ছিলো না। ঢাকায় এর প্রচলন শুরু হয় ১৯৯০ সালে। সাধারণত চৈত্র সংক্রানির দিনে মুড়ি-মুড়কি, বাতাসা, নাড়ু এসব ছিলো বাঙালির প্রধান খাদ্য। সময়ের বিবর্তনে আজ তা অনেকটাই হারিয়ে গেছে।

ইলিশ বাঙালির খুব প্রিয় একটি মাছ। শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকায় ছেলেবেলা কাটানোর ফলে দরিদ্র শ্রেণীর ইলিশ মাছ কিনে খাওয়ার যে আকাঙ্খা আছে তা বুঝতে পেরেছিলাম। শ্রমিক পরিবারে জাটকা ইলিশ কেনা হলে সে কি আনন্দ ! সেদিন বাচ্চারা ভাত একটু বেশি খেত। তাদের জিজ্ঞাসা করলে খুব গর্ব করে বলতো ইলিশ মাছ দিয়ে ভাত খাইসি। ইলিশ মাছের প্রতি বাঙালির এই অকৃত্রিম টান কখনো যাবে না। যারা এখন টিনেজ সময় পার করছে এরা মাংস জাতীয় খাবার বেশি পছন্দ করে। বাসায় মাছ রান্না হলে তাদের ভাত গলা দিয়ে নামতে কষ্ট হয়।

ইলিশ মাছের অত্যধিক দাম হওয়ায় অনেক বাচ্চারা ইলিশ মাছ কি বস্তু তা চিনে না। একবার টিভিতে মাদরাসা পড়ুয়া এক বাচ্চাকে জাতীয় মাছের নাম জিজ্ঞাসা করা হলে সে উত্তর দিয়েছিলো পাঙাশ আমাদের জাতীয় মাছ । বাচ্চাটা কি ভুল উত্তর দিয়েছে ? যে মাছ খেতে তুলনামুলক ভাবে সহজলভ্য সেটাই তো জাতীয় মাছ হওয়া উচিত। এত দামী একটি মাছকে ইলিশ মাছ ঘোষণা করা উচিত হয় নি !

মৎস উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে অনেকে হাসি ঠাট্টা করছে। পূর্বে কোনো উৎসব চলার সময়, দাম বাড়লে বিকল্প পণ্য ব্যবহারের জন্য যারা পরামর্শ দিতেন তাদের সাথে উনার বক্তব্যের মিল পাওয়া যায়। বিগত বছরগুলোতে আমরা এধরণের যেসব বক্তব্য শুনেছিলাম :

১- ভাতের বদলে আলু খান।
২- ভাত কম খান। সাথে আলু বেশি খান।
৩- বেগুনিতে বেগুনের পরিবর্তে কুমড়ো ব্যবহার করুন।
৪- গোরুর মাংসের বদলে কাঠালের বার্গার খান।
৫- পেয়াজ ছাড়া রান্না করুন।
৬- সারা বছর সিদ্ধ ডিম সংরক্ষণ করুন।
৭- রমজানে খেজুরের বদলে বড়ই খান।

কোনো ডায়ালগ কি বাদ গেল ? পাঠক চাইলে কমেন্টে জানাতে পারেন কারা কারা উল্লেখিত মন্তব্য করে জনসাধারণ কে বিনোদন দিতেন। :)

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:০৪

Sulaiman hossain বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্ট, ইলিশ আমারও প্রিয়। কিন্তু দুষ্প্রাপ্য

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:২৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ !

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:২১

রাজীব নুর বলেছেন: পহেলা বৈশাখে কে কি খাবে সেটা কি একজন উপদেষ্টা বা প্রধানমন্ত্রী ঠিক করে দেবেন?
আমার যা মন চায় এবং আমার সাধ্য অনুযায়ী খাবো।

সারা বছর খোজ নাই। বৈশাখের দিনে আসছে মাতব্বরি করতে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপার ধারা বজায় রেখেছেন তিনি।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:২৭

নাহল তরকারি বলেছেন: পহেলা বৈশাখের সময় পান্তা ইলিশ খেতেই হবে। পান্তা ইলিশ না খেলে মান ইজ্জত চলে যাবে। এমনটি আমি মনে করি না। ঐ দিন সকালে যদি খিচুরী দিয়ে বেগুন ভাজি, আলু ভর্তা খেতে পারতাম..... তাহলে কতই না ভালো হতো।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:২৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:২৯

নতুন বলেছেন: অনেক সময় ব্যবসায়ীরা মানুষকে হুজুগে মাতায় নিজেদের ফয়দার জন্য। ইলিশ নিয়েও হাইপটা তেমন।

যদি ঐ সময়ে বেশি ইলিশ খেলে ইলিশের উতপাদনে সমস্যা হয় তবে এই ট্রেন্ড ভাংতে চেস্টা করাই উচিত।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ফরিদা আক্তারের দেশের মানুষের প্রতি /ইলিশের প্রতি টান আছে।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজী ছাড়া ব্লগ জমছে না।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: উনি বন্দি থাকুক !

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০৮

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ফরিদা আক্তারের দেশের মানুষের প্রতি /ইলিশের প্রতি টান আছে।


দেশের প্রতিটান থাকলে তাদের সিদ্ধান্তে দেশের সবার ভালো হবে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৩৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হ্যা।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২০

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: এই মহিলা খালেদ মহিউদ্দিনের টকশোতে গিয়েও ধরা খেয়েছিল। কথাই বলতে জানে না। অন্তবর্তী সরকারে বেশ কিছু অপদার্থ উপদেষ্টা আছে। এদের হটানো উচিৎ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৩২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: উনার কথাগুলো খুব কিউট ! B-)

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:৩৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: পান্তা-ইলিশ খেতেই হবে এমন কোন নিয়ম নেই। শেষ কবে এ জাতীয় খাবার খেয়েছি মনেও পড়ে না। যে যা খুশি খাক। টাকা থাকলে তিমি মাছ খাক, সমস্যা কোথায়।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৭:২১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পান্তা-তেলাপিয়া ও খেয়েছি। ইলিশ মাছ এখন আর জাতীয় মাছ হতে পারে না।

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: উনি বন্দি থাকুক !

উনি বন্ধী থাকলে আপনার সুবিধা হয়?

১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ব্লগের পরিবেশ শান্ত থাকে! উনি কঠিন কঠিন প্রশ্ন করেন। :|

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.