নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'৭৪ সালের কুখ্যাত বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল এখন সময়ের দাবী !

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫


বিগত আম্লিক সরকারের আমলে যে কুখ্যাত আইনের অপব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক করে গায়েব করার চেষ্টা চলতো তা হলো ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন। এই আইন ব্যবহার করে শত শত মানুষকে আটক করে গুম করে দেয়া হতো। ভাগ্য ভালো থাকলে পরে গ্রেফতার দেখানো হতো। তখন পরিবার অন্তত হাফ ছেড়ে বাচতো যে যাক গুম হয় নি। কি আছে এই আইনে আগে সেটা দেখা যাক !

১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী, ক্ষতিকর কাজ থেকে নিবৃত্ত রাখার জন্য সরকার যেকোনো ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ দিতে পারবেন। আবার এই আইনের ৩(২) ধারা অনুযায়ী, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যদি সন্তুষ্ট হন যে এই আইনের নির্দিষ্ট ধারার ক্ষতিকর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত, তাহলে ওই ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ দেবেন। বিশেষ ক্ষমতা আইনের যেসব ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিকে আটকাদেশ দেওয়া যায়, সেগুলো হচ্ছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বা প্রতিরক্ষার ক্ষতি করা, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদেশি রাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সংরক্ষণের ক্ষতি করা, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বা জননিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার ক্ষতি করা, বিভিন্ন সম্প্রদায়, শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণাবোধ বা উত্তেজনা সৃষ্টি করা, আইনের শাসন বা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা বা উৎসাহ প্রদান করা বা উত্তেজিত করা। ক্ষতিকর আরও কাজ হচ্ছে জনসাধারণের জন্য অত্যাবশ্যক সেবা বা অত্যাবশ্যক দ্রব্যাদি সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করা, জনসাধারণ বা কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি বা আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বা আর্থিক ক্ষতি করা।

এই আইনের অনেক শব্দ অস্পষ্ট এবং রাজনৈতিক দলগুলো খুব সহজেই শব্দের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে যে কাউকে মামলা ছাড়াই আটক করতে পারে। প্রায় একই ধরণের আরেকটি আইন হচ্ছে ডিজিটাল সিকিউরিটি আ্যাক্ট ! এসব আইনের কারণে রাষ্ট্রে বসবাসরত নাগরিকের ন্যায় বিচার পাওয়ার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়ে আসছে বহুদিন ধরে।

সম্প্রতি মিস আর্থ নামে খ্যাত মেঘনা আলম কে বিশেষ আইনে গ্রেফতার করেছে ইন্টেরিম সরকার। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে তিনি নাকি বাংলাদেশের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধনে লিপ্ত আছেন। তাই কোনো প্রকার মামলা ছাড়াই বিশেষ আইনে তাকে গ্রেফতার করে সিএমএম কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ত্রিশ দিনের জন্য তাকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়।

মেঘনা আলমের সাথে অত্যন্ত পাওয়ারফুল একটি দেশ সৌদি আরবের রানিং রাষ্ট্রদূতের বাগদান হয়েছিলো। কিন্তু মেঘনা পরে জানতে পারেন যে রাষ্ট্রদূতের আরেকজন স্ত্রী রয়েছে। মেঘনা আলম তার ভুল বুঝতে পেরে রাষ্ট্রদূতের স্ত্রীকে ফোন দিয়ে ক্ষমা চায় এবং বাগদান ভেঙে দেয়। বোঝাই যাচ্ছে সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রভাবে সরকার বিশেষ আইন ব্যবহার করে মেঘনা আলম কে গ্রেফতার করেছে।

দেশে নির্বাচনের আলাপ যখনই জনপ্রিয় উঠে ইন্টেরিম সরকার সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চায়। এতদিন হয়ে গেছে শেখ হাসিনার পতনের তবু এই কুখ্যাত আইন এখনো বাতিল হয় নি। অনির্বাচিত সরকারের কোনো পিছুটান নেই যে তারা এই কুখ্যাত আইন বাতিল করতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলোর মতো। তাদের তো অন্য কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। তাহলে এই আইন বাতিল করতে এত গড়িমসি কেন ?



মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৪১

কামাল১৮ বলেছেন: চিন্ময় বাবুকে আটকে রাখতে এই সব আইন দরকার আছে।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:০৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে মামলা হয়ে আগে ! তবে তার মামলা ও বিচার খুবই ধীর গতিতে চলছে ।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:১১

নকল কাক বলেছেন: বাদ না করে সংস্কার করা যেতে পারে

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:১৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সংস্কার বা বাতিল কিছুই না করে সেই আইন ব্যবহার করা শুরু করেছে সরকার।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৫৫

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: বিশেষ ক্ষমতা আইন একটি বিপজ্জনক আইন, যা পুলিশকে প্রমাণ ছাড়াই যেকোনো নাগরিককে গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়। এমন আইন যেখানে সন্দেহই যথেষ্ট, সেখানে এর অপব্যবহার নিশ্চিত। এটি নাগরিক অধিকারের জন্য একটি গুরুতর হুমকি।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাতিল করা সময়ের দাবী !

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:১৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন অতীতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেই বেশি ব্যবহৃত হয়েছে, সাধারণ নাগরিক কারো ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ বিরল। একজন নারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগ ক্ষমতার অবিশ্বাস্য অপপ্রয়োগ ছাড়া আর কিছুই নয়। পুলিশের বিবৃতিতে আন্ত:রাষ্ট্রীয় সম্পর্কে অবনতির চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে, যেটা আদালতে বিচার্য বিষয়, তার জন্য নিবর্তনমূলক গ্রেপ্তার অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়। আটক হওয়া নারীর ফেসবুক পোস্ট উদ্ধৃত করে অনেকে সউদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের টানাপোড়েনের কথা বলেছেন। সেক্ষেত্রে সউদি রাষ্ট্রদূত বা দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট মামলা ছাড়া পুলিশ কেন একজন নাগরিককে গ্রেপ্তার করবে? বিশেষ ক্ষমতা আইনের এই আটকাদেশ অবিলম্বে বাতিল করা হোক। সউদি দূত সংক্ষুব্ধ হলে তাঁকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়াই হবে সরকারের জন্য যৌক্তিক পদক্ষেপ।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সেরা মন্তব্য !

৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৩০

Sulaiman hossain বলেছেন: এটা তো একটি জঘন্য আইন।তারাতারি বাতিল করা দরকার।(আম্লিক সরকার তো এমনিতেই ছিল নর্তনের বুড়ি,আরো পেয়েছিল অতিরিক্ত ঢোলের বারি!!)৷ সরি ভাই,কথাটা বাংলা প্রবাদ থেকে নিয়েছি, প্রবাদটি হল,এমনি নাচুনে বুড়ি,আরো পাইছে ঢোলের বারি।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:৩৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



এই আইন কেউই বাতিল করবে না।
বাংলাদেশের খারাপ মানুষদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে এই আিইনের দরকার আছে।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:৪০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: স্বৈরাচার টাইপ কথা !

৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:৫১

নিমো বলেছেন: আপনি কি মনে করেন ৭৩ সালের নির্বাচন ঠিক হয়েছে ? এর পরে আমি পোস্ট নিয়ে কথা বলবো।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৩৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি অতীত নিয়ে মন্তব্য করতে পারি না। কারণ আমি তা দেখিনি। বই পড়া জ্ঞান এবং লোক মুখে শোনা কথায় আপনাকে উত্তর দেয়ায় আগ্রহী না।

৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৫:৩৯

কাঁউটাল বলেছেন: ঐ মহিলা কোন শত্রু দেশের এজেন্ট না - এইটা কিভাবে বুঝলেন?

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৩৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এজেন্ট হলে আগে চিন্ময় প্রভুর মতো মামলা হবে। তারপর গ্রেফতার !

৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: জামাত শিবির কখনই ক্ষমতায় আসসবে না। নো নেভার।
এটা বাংলাদেশ। ৭১ এর পরাজিত শক্তি কোনোদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এখানে জামাত-শিবিরের কি ফাংশান? এই আইন তো আম্লিক ব্যবহার করেছে সবচাইতে বেশি !

১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমরা সব জানি এবং বুঝি।
আমরা ফিডার খাই না।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নুডলস খান ?

১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এখানে জামাত-শিবিরের কি ফাংশান? এই আইন তো আম্লিক ব্যবহার করেছে সবচাইতে বেশি !


বুঝবেন। দেরী হোক যায়নি সময়।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:১০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কিসের সময় যাবে? আজ যা কিছু হচ্ছে সবকিছুর দায় আম্লিকের!

১২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫২

কাঁউটাল বলেছেন: লেখক বলেছেন: এজেন্ট হলে আগে চিন্ময় প্রভুর মতো মামলা হবে। তারপর গ্রেফতার !

অত্যন্ত লঘু চিন্তার কথা। সব এজেন্ট সমান না। সব এজেন্ট একভাবে অপারেট করে না। সবার মিশনও এক না।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:১২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি ঠিকমতো আইন কানুন বুঝেন না। দেশের গোয়েন্দা সংস্থা কিভাবে কাজ করে সেটাও বুঝেন বলে মনে হয় না। আপনার প্রধান কাজ হলো নিজের পছন্দসই দলের সকল খারাপ কাজ কে ডিফেন্ড করা। অনেকটা রাজিব নুরের মতো।

১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪

নিমো বলেছেন: আগের পোস্টটা মুছে ফেলেছেন কেন? এখন নাকি বাক বাকুম স্বাধীবতার স্বর্ণযুগ চলছে। তাহলে কী সমস্যা হলো?

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:১৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: একজনের দুইটা পোস্ট প্রথম পাতায় ভালো লাগছে না দেখতে। যখন লুংগী মজহারের বক্তব্য দেখেছিলাম খুব রাগ হয়েছিলো। এখন মাথা ঠান্ডা আছে।

১৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:০০

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি অতীত নিয়ে মন্তব্য করতে পারি না। কারণ আমি তা দেখিনি। বই পড়া জ্ঞান এবং লোক মুখে শোনা কথায় আপনাকে উত্তর দেয়ায় আগ্রহী না।

আচ্ছা খুবই ভালো কথা। ব্লগের অনেক কী-বোর্ড বিপ্লবী প্রায়শই বলে থাকেন, মুজিব স্বৈরাচার, বাকশাল করেছেন, বিরোধী দল লুপ্ত করেছেন, আরও হেন অন্যায় নেই করেন নি। তাহলে উনার পরে দেশে স্বর্ণযুগ আনয়নকারীরা এই কালো কানুন আইন হিসেবে বজায় কেন রাখলেন?

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:২৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সবাই নিজ স্বার্থে ব্যবহার করেছে। কিন্তু বিগত ১৫ বছর তা সীমালঙ্ঘনের পর্যায়ে চলে গেছে। এখন এই আইন বাতিল সময়ের দাবী।

১৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:০৪

নিমো বলেছেন: @কাঁউটাল, হায়! ফ্যাসিবাদ, বৈষম্য বিরোধীর মুখে একি কথা! মুখোশ আর ধরে রাখা যাচ্ছে না।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:২২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তিনি ভালোভাবে না বুঝেই কমেন্ট করেন । ব্লগার জুলভার্নের কমেন্ট আমার পোস্টের বিষয়বস্তু কে আরো প্রাণ দিয়েছে।

১৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৫১

সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: পড়লাম

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে নাগরিকদের বেশীর ভাগই অসভ্য সেখানে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল হবার কোন সম্ভাবনাই নেই।
আগামী ৫০ বছরেও কেউ এই আইন বাতিল করবে না।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এবার নাগরিকের দোষ !

১৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০৫

কাঁউটাল বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি ঠিকমতো আইন কানুন বুঝেন না। দেশের গোয়েন্দা সংস্থা কিভাবে কাজ করে সেটাও বুঝেন বলে মনে হয় না। আপনার প্রধান কাজ হলো নিজের পছন্দসই দলের সকল খারাপ কাজ কে ডিফেন্ড করা। অনেকটা রাজিব নুরের মতো।

অপ্রাসংগিক কথা বলে আলোচনার মেরিট এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:১২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি প্রথম কমেন্টে এসে একটা ডাউট ক্রিয়েট করলেন। দ্বিতীয় কমেন্টে এসে বিভিন্ন স্তরের এজেন্ট আছে এবং তাদের পাকড়াও করার কৌশল ভিন্ন এই কথা বলতে চেয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে আইনের স্বপক্ষে কথা বললেন। সরকারের পক্ষ নিলেন।

অথচ যারা প্রকৃত ভুক্তভোগী যেমন ব্লগার জুলভার্ন কত সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিষয়টি ! কারণ যারা ভুক্তভোগী তারাই জানে এর কুফল !

১৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৩৪

উদাসীন মেঘ ১২১৯ বলেছেন: কুখ্যাত '৭৪এর বিশেষ ক্ষমতা আইন' প্রণয়ন করেছেন পলাতক, ফ্যাসিস্ট শেখাসিনার বাবা বাকশাল শ্রষ্টা শেখ মুজিব। এই বিশেষ নিবর্তন মূলক আইনের মাধ্যমে তিনি তৎকালীন জাসদ, ন্যাপ সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারা অন্তরীণ করার ব্যবস্থা করেছিলেন।
গণ আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতনের পর বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের অন্তবর্তী সরকার ১৯৯১ সালে এই আইন নির্বাহী আদেশে বিলোপ করেছিলেন। কিন্তু ৯৬ সালে শেখাসিনা ক্ষমতায় এসে এই আইনটি পূনরুজ্জীবিত করে বাবার মতোই বিরোধীদমনের কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। শুধু তাই নয়, শেখাসিনা এই আইনের আপগ্রেড ভার্সন হিসেবে 'জননিরাপত্তা আইন' নামে আরেকটি কালো আইনও তৈরী করেছিলেন। পরবর্তীতে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি সরকার এই আইনটি বাতিল করে দেয়।
বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রণয়ন এবং সবচে বেশী ব্যবহার হয়েছে আওয়ামিলীগের হাতে। অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে আওয়ামিসরকার এই আইনে যথেচ্ছা প্রয়োগের মাধ্যমে বিরোধী দলগুলোগুলোকে কঠোর হস্তে দমন করেছিলো। এখন এই আইনটি যথাপোযুক্ত প্রয়োগের মাধ্যমে ইউনুস সরকার সম্প্রতি আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা পলাতক ফ্যাসিস্টদের প্রেতাত্মাদের কঠোর হস্তে দমন করতে পারে। এই নিবর্তনমূলক আইনের শিকার হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের লোকজনও এর ভয়াবহতা হাড়ে হাড়ে টের পাক। তবে কোন নিরীহ ব্যক্তি যেন এই আইনের যাতাকলে পিস্ট না হয়, সেটাই প্রত্যাশা।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:০৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

২০| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:২৭

কাঁউটাল বলেছেন: কমেন্টের উত্তর দিতে না পারলে ডিলিট করে দিতে হয়? তাই না?

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৫২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কমেন্ট পড়েই দেখি নাই। আপনার ইনিয়ে বিনিয়ে একটা খারাপ আইন কে বৈধ করায় বিরক্ত।

২১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮

কাঁউটাল বলেছেন: বাক স্বাধীনতার কথাও বলবেন, আবার কমেন্টও ডিলিট করবেন - এইটা তো দ্বিমুখি আচরণ হয়ে গেল।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমার নামে ভুয়া ট্যাগিং করার পরও আপনার প্রতি যথেষ্ট সদয় আমি। কিন্তু একটা কালো আইন কে বৈধ করার পিছনে যেভাবে মন্তব্য করেই যাচ্ছেন ইহা সুস্থ মানসিকতার লক্ষণ নয়।

২২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


যদি বেঁচে থাকেন তাহলে ২০ বছর পরে মিলাইয়া দেইখেন আমার কথা।
আপনারা আমরা যারা নাগরিক তারা কি সভ্য?
আপনি কি সভ্য?
আমি কি সভ্য?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৫৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কঠিন প্রশ্ন ! :-*

২৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: নুডলস খান?

কেন খাওয়াবেন?

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৩৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মিরপুর আসলে খাওয়াতে পারি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.