| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
সৈয়দ কুতুব
	নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
 
ভোরের আলোয় রঙিন হওয়ার দিন
পহেলা বৈশাখ এসেছে বাংলার দোরগোড়ায়—রাঙা চেলি কাপড়ে মোড়া এক সকাল, যার হাত ধরে ফিরে আসে প্রাণের ছন্দ। আকাশে লাল সূর্যের আভা, হাওয়ায় মিষ্টি কাঁচা আমের গন্ধ, আর রাস্তায় রাস্তায় বাউলদের কণ্ঠে ভেসে বেড়ায়, "এসো, হে বৈশাখ, এসো এসো..."। বাংলা নববর্ষ শুধু তারিখের পরিবর্তন নয়, এটি আবহমান বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে আমাদের আত্মার সংযোগ।  
গান ও কবিতায়  বর্ষবরণ: শব্দের উৎসব
ঢাকার রমনা বটমূলে ছায়াঘেরা মঞ্চে কবিতার ঝংকার, চট্টগ্রামের ডিসি হিলে লোকসংগীতের ধ্বনি, আর সিলেটের টিলাগাঁওয়ে হেমন্তের গান—পহেলা বৈশাখের সুর তো এভাবেই ছড়িয়ে পড়ে। রবীন্দ্রনাথের "আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে" বা নজরুলের "ওঠো রে চাষি, জাগো রে ভাই"—এই দিনে কবিতার ছত্রগুলো যেন নতুন অর্থ খুঁজে নেয়। 
হালখাতা ও মিষ্টির রেওয়াজ: অতীতের স্মৃতি, বর্তমানের বার্তা
দোকানে দোকানে হালখাতার ধূম, মুড়ি-মুড়কির পসরা, আর পায়েসের স্বাদে মিশে থাকে সম্প্রীতির গল্প। ব্যবসায়ীরা লালপেড়ে কাপড়ে নতুন খাতা খোলেন, গ্রাহকদের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্কের সূচনা হয় মিষ্টিমুখের মাধ্যমে। এই রীতি শুধু অর্থনৈতিক নয়, এটি সামাজিক বন্ধনেরও প্রতীক—যেখানে লেনদেনের চেয়ে মানুষের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ।  
মঙ্গল শোভাযাত্রা: রঙ-তাল-ছন্দের মহাযজ্ঞ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের হাত ধরে জন্ম নেওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রা আজ সারাদেশের প্রাণ। বাঘ, পেঁচা, ঘোড়া—রঙবেরঙের মুখোশ আর ফুল-ফলের কারুকার্যে সাজানো এই মিছিল যেন বাংলার বহুত্ববাদী সংস্কৃতির জীবন্ত চিত্র। এখানে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলিম সবারই স্থান আছে—প্রতীকী এই উৎসব বলে দেয়, "বৈশাখ মানেই ঐক্য"।  
মাছে ভাতে বাঙালি, সাথে ভর্তা- মরিচ 
সকালের টেবিলে পান্তাভাত, কাঁচা মরিচ আর বিবিধ  মাছের ঘ্রাণে মাতোয়ারা হওয়ার দিন এটি। গ্রামীণ পরিবারে বউ-মায়েরা রান্না করেন নবান্নের পিঠা, শহুরে ফ্ল্যাটে আড্ডা জমে ডালপুরি-বেগুনি দিয়ে। খাবারের এই সমৃদ্ধি আমাদের কৃষি-সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা জানায়—যে সংস্কৃতি মাটি ও মানুষের সম্পর্ককে অটুট রাখে।  
শেষ কথা: বৈশাখ আমাদের অনন্ত যাত্রার নাম
পহেলা বৈশাখ শেষ হয় না—এটি বাংলার চিরন্তন প্রাণের ধারা। বছর ঘুরে আবার আসবে নতুন ফসল, নতুন স্বপ্ন, নতুন গান। কিন্তু এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়: "যতই আধুনিক হই, বাংলার শিকড় থেকে দূরে যাওয়া নয়।" বৈশাখের হাওয়ায় মিশে থাকুক প্রাণের জয়গান -"বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না..." 
ছবি ও শিরোনাম ক্রেডিট : ফিফা 
 
১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫  দুপুর ১২:৫৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শুভ নববর্ষ !
২| 
১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫  দুপুর ১২:২৫
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: সকাল আটটায় ঘুম ভেঙে দেখি আমার দুই মেয়ে আলুভর্তা বানাচ্ছে, আর স্ত্রী ইলিশ মাছ ভাজছেন। গরম ভাতে পানি দিয়ে পান্তা বানালাম, সঙ্গে আলুভর্তা আর কড়া ভাজা ইলিশ—মুখে জল আনা সেই স্বাদ! আজ আমরা একদিনের জন্য হলাম সম্পূর্ণ বাঙালি। সবাইকে শুভ নববর্ষ!
 
১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫  দুপুর ১২:৫৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শুভ নববর্ষ।
৩| 
১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫  রাত ৯:৩২
কামাল১৮ বলেছেন: আনন্দে কাটুক জীবন।শুভ নববর্ষ।
 
১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫  রাত ৯:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শুভ নববর্ষ।
৪| 
১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫  রাত ১:০৯
আদিত্য ০১ বলেছেন: শুভ নববর্ষ, আগামী দিন আপনি আরও ব্লগে ব্লগে মেতে উঠুন
 
১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫  রাত ১:৫৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| 
১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫  ভোর ৬:৩৩
রোবোট বলেছেন: শেষে এটা কোন ফিফার কথা বললেন?
 
১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫  সকাল ৯:৪৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: FIFA
৬| 
১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫  সকাল ৯:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: জামাত শিবির দেশের শান্তি নষ্ট করে দিচ্ছে।
 
১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫  সকাল ১০:৩৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আওয়ামী লীগ ও জামাত শিবির নিপাত যাক।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫  দুপুর ১২:১৪
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।