![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
নারী অধিকার নিয়ে কথা উঠলেই কিছু ভদ্রলোকের ঘুম ভেঙে যায়। রাষ্ট্র নড়েচড়ে বসে—একটু যেন ‘স্মার্ট’ ভাব ধরে। সেই ভাবেই নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন সুপারিশ করলো, সংসদের আসন সংখ্যা ৬০০ করা হোক। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় একজন সাধারণ, একজন নারী—দুইজন জনপ্রতিনিধি। কৌশলে ‘সমতা’র মোড়কে এক গাল বুলিয়ে আরেক গালে চপেটাঘাত। প্রথম প্রশ্ন—সংসদে আসলে হয়টা কী ?
একটা আইন যখন সংসদে আসে, সেটার খসড়া, যাচাই, সংশোধন সব আগেই সম্পন্ন হয়ে যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। সংসদ সদস্যরা সেটা পড়ে দেখার সুযোগ পান না বলেই বহুবার নিজেরা বলেছেন। তখন তারা যা করেন—'হ্যাঁ' কইলে কও, না কইলে ক্যান্টিনে গিয়ে চা ফুঁকে একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস দাও। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, আরও ২৫০ জন এমপি এনে কি এই চা-পানের খরচ বাড়ানো হবে ?
এই প্রস্তাব নারীর ক্ষমতায়নের মোড়কে ক্ষমতার কারচুপি। সমতা কি সংখ্যার মাধ্যমে আসে ? সংখ্যা বাড়িয়ে যদি প্রভাব বাড়তো, তাহলে তো ৩০০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫০ এমপি নিয়েও জাতি আরো সুন্দর ভাবে বাচতে শিখতো ! অথচ সংসদে নারীর উপস্থিতি আছে বহুদিন ধরেই—কিন্তু আইন প্রণয়নে, দলের নীতিনির্ধারণে, বা রাষ্ট্রের বড় সিদ্ধান্তে তাঁদের কতজন কতটুকু ভূমিকা রাখেন ?
কমিশন বলেছে, জিপার পদ্ধতিতে সমান নারী-পুরুষ মনোনয়ন হবে। বাহ, শুনতে কি যে আধুনিক ! কিন্তু এই মনোনয়ন কে দেবে ? সেই অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রহীন দলগুলো, যেখানে দলীয় প্রধান যা বলেন, সেটাই শেষ কথা। মনোনয়ন পাবে সেই নারী, যিনি মাঠে কাজ করেছেন? না কি যিনি নেতার পছন্দের পকেটে থাকেন ? এই বাস্তবতায় ‘জিপার পদ্ধতি’ আসলে হয়ে যায় ‘ পকেট পদ্ধতি ’। অর্থাৎ নারী হবেন, ঠিকই, কিন্তু তিনি দলনেতার ছায়ায় থাকা কেউ—নিজস্ব অবস্থানহীন, স্বরহীন।
নারীর ক্ষমতায়নের কথা উঠলেই অনেকে চান—আরও নারী এমপি হোক, আরও কোটা হোক, আরও আসন হোক। অথচ প্রশ্ন হওয়া উচিত—এই নারীরা কী সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন ? কী নিয়ন্ত্রণ করছেন রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ? সংসদে বা দলীয় রাজনীতিতে কতজন নারী স্বতন্ত্র মত পেশ করতে পারেন, কতজন নেতৃত্বের স্তরে পৌঁছান ? নারী অধিকার মানে যদি শুধু ‘চেয়ার পেতে দেওয়া’ হয়, তবে তা আদতে ‘চুপ করিয়ে রাখার উন্নত কৌশল।’
প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে যদি ১ জন করে এমপি হয়, তবুও রাজনীতির স্বচ্ছতা ফিরবে না—যদি দলগুলোর ভিতরে গণতন্ত্র না ফেরে, স্থানীয় সরকার শক্তিশালী না হয়, রাজনীতিকে পেশিশক্তি আর পুঁজির দখল থেকে মুক্ত না করা যায়। নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে যেসব পরামর্শ এসেছে, তাদের মধ্যে অনেকগুলো বাস্তবসম্মত— স্থানীয় পর্যায়ে নারীর প্রতিনিধিত্ব, সামাজিক সুরক্ষা, জনপ্রশাসনে নারীর অংশগ্রহণ—এসবই দীর্ঘমেয়াদে কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে পারে। কিন্তু তার বদলে যদি ফোকাস হয় শুধু এমপি বাড়ানোয়—তাহলে বোঝা যাবে- রাষ্ট্র আসলে নারীর ‘অধিকার’ নয়, নারীকে ‘উপস্থাপন’ করতে চায়।
৬০০ আসনের সংসদ মানে কি ৬০০ জন চিন্তাশীল প্রতিনিধি ? না কি ৩০০ জন ক্যান্টিনে বসে মোবাইলে স্ক্রল করা, আর বাকি ৩০০ জন চায়ের কাপ ধরে আসর জমিয়ে তোলা ? গণতন্ত্রের নামে এই নাটক চলতেই পারে, কিন্তু দেশ যখন ঝুলে থাকে উন্নয়নের ‘প্রকল্প’ আর দুর্নীতির ‘পারসেন্টেজে’, তখন নারীর নাম করে রাষ্ট্র যদি আরেকটা চেয়ার বসায়—তা কেবল বাহাদুরি নয়, রাজনৈতিক ব্যর্থতার গোপন বিজ্ঞাপন।
পিক ফর এটেনশন অনলি
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৩৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এইটার বুদ্ধিদাতা বদিউল আলম।
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৩০
যামিনী সুধা বলেছেন:
টেষ্ট
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৩৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ফাইনাল!
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৩২
যামিনী সুধা বলেছেন:
এক শিবির আমাকে কমেন্ট ব্যান করেছে, আমি ভেবেছিলাম সামুটিম করেছে; আপনার এখানে টেষ্ট করলাম বুঝার জন্য।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৩৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আল বটর বাহিনী খুব সক্রিয়। সাবধানে থাইকেন।
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:২৫
কামাল১৮ বলেছেন: শিবির চিনি কিন্তু এই বটর বাহিনী চিনলাম না।আল বদর বলতে চেয়েছেন কি।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৪৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আল বদর বাহিনী বর্তমানে ভারচুয়াল যুদ্ধে বেশ সক্রিয়। আদর করে সবাই তাদের আল বটর বাহিনী ডাকে
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমার বলতে চাওয়া কিছু বিষয় আপনি তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ।