![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
কালের কন্ঠ(বসুন্ধরা গ্রুপ) গত ২১শে এপ্রিল সংবাদ করেছিলো দুদকের চেয়ারম্যান মন্তব্য করেছেন "অন্তবর্তী সরকার দূর্নীতিমুক্ত"। তিনি কিভাবে জানলেন যে সরকার দুর্নীতিমুক্ত ? একজন সংবিধিবদ্ধ স্বতন্ত্র সংস্থার প্রধান হয়ে কোনোরূপ তদন্ত ছাড়া দুদকের চেয়ারম্যান কি করে এমন কথা বলতে পারেন ? একসময় সরকারি চাকুরির সুবাদে তার আমলাতান্ত্রিক চাটুকারিতা তিনি মনে হয় ছাড়তে পারেন নাই। এর কিছুদিনের মধ্যে সংবাদ মাধ্যমে উপদেশ আসিফ মাহমুদের এপিএস ও উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের পিও নাকি ভয়াবহ দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। সেজন্য তাদের অব্যহতি দেয়া হয়েছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে দুদক যখন এপিএস এবং পিও স্বপদে বহাল ছিলেন তখন তাদের ব্যাপারে তদন্ত করতে পারেনি। অব্যহতি দেয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
দুদকের আইনের আর্টিকেল ১৭ তে স্পষ্ট ভাবে বলা আছে দুদক চাইলে স্ব- উদ্যোগে তদন্ত করতে পারে যে কারো বিরুদ্ধে। কারো অনুমতির প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু সম্ভাব্য দূর্নীতিবাজ দের বিরুদ্ধে তারা তদন্ত শুরু করেছেন সম্ভবত সরকার হতে গ্রীন সিগন্যাল পাওয়ার পর। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে আমাদের ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার এপিএস মোয়াজ্জেমের পক্ষ নিয়ে স্টাটাস দিয়েছিলো যখন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। এখন যদি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে আসিফ মাহমুদ কি বলবেন ? এপিএস মোয়াজ্জেম নাকি বিসিএস পরীক্ষার জন্য পদত্যাগ করেছেন। শেষ পর্যন্ত দূর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হয় কিনা তা দেখার জন্য পুরো জাতি অপেক্ষা করছে। অবশ্য কেউ যদি দুদকের চেয়ারম্যানের কথা বিশ্বাস করেন তবে তার পক্ষে তদন্তের পর অভিযোগ পাওয়া যাবে কি যাবে না তা বোঝা খুব কঠিন কিছু নয়।
দুদক তদন্ত শুরু করেছে এপিএস ও পিও'র বিরুদ্ধে। কিন্তু 'নতুন দরবেশ ' গাজী সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে কেন তারা তদন্ত শুরু করছে না? খোদ এনসিপি তার পদ সাময়িক ভাবে স্থগিত করেছে দূর্নীতির বিরুদ্ধে। গাজী ভাই গভীর রাত পর্যন্ত সচিবালয়ে তদবীর বাণিজ্য করতেন। তিনি ডিসি নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন যদিও তার মতে ফ্যাসিবাদের দোসর কেউ যাতে ডিসি হতে না পারে তার জন্য তিনি পরামর্শ দিতেন দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে। কিন্তু আমাদের মহামান্য দুদকের তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে বাধা কোথায় ? নাকি সরকার থেকে গ্রীন সিগন্যাল পাওয়ার পর তদন্ত শুরু হবে? সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল শুরু হলে এরপর দুদকের টনক নড়বে। আসলে দুদকের চরিত্র হাসিনা কালীন সময়ে যা ছিলো এখনো তাই আছে। মুখে যতই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলা হোক না কেন দেশ চলছে পুরাতন সিস্টেমে।
আসিফ মাহমুদের ভাগ্য খারাপ। । সে নিজে থেকে কোনো দূর্নীতিতে জড়ান না কিন্তু তার কাছের মানুষজন সবাই তার ক্ষমতা ব্যবহার করে করাপশন ও অনিয়ম করে বেড়াচ্ছে। তার বাবা ছেলের পাওয়ারে ঠিকাদারি লাইসেন্স করেছে যদিও তা জানাজানি হওয়ার পর বাতিল করা হয়েছে। আসিফের এপিএস নিয়োগ বাণিজ্য ও বদলির তদবীরে জড়িত হয়ে পড়েন। যদিও আসিফ মাহমুদ তার কিছুই জানেন না। আসিফ মাহমুদ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন তার খুবই ঘনিষ্ঠ মানুষ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক কাউকে না জানিয়ে বিসিবির আড়াইশো কোটি টাকা ভিন্ন ব্যাংকে রাখছেন বেশি লাভের আশায়। যখন এসব নিয়ে কথা উঠেছে এখন নতুন নতুন ব্যাখ্যা হাজির করা হচ্ছে। অন্যের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা চলছে। আসিফ মাহমুদ এসব ব্যাপারেও কিছুই জানেন না। আসলে এতই আলা-ভোলা টাইপ আমাদের আসিফ ভাই সবাই ভাইয়ের আন্ডারে তাই করাপশন করার সুযোগ পাচ্ছে।
।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৫৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মন্দ কাজ করার পর তা ভালো কাজ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব না। আগে মন্দ কাজের জন্য শাস্তি পেতে হবে যদি প্রমাণ মেলে।
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৪৬
কামাল১৮ বলেছেন: আপনি কি তদন্ত করে বলছেন আসিফ মাহমুদ দুর্নীতি করেনি।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৫৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কোথাও লিখেছি যে আসিফ কোন করাপশন করেনি ? তদন্তের কাজ দুদকের আম-জনতার নয়।
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:০২
কামাল১৮ বলেছেন: “সে নিজে থেকে কোন দুর্নীতিতে জড়ান না” এটা কার লেখা
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:০৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বুঝলে বুঝপাতা, না বুঝলে তেজপাতা
৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ২:৪০
যামিনী সুধা বলেছেন:
এরা বড় বড় কর্পোরেশন থেকে হাজার কোটী টাকা নিচ্ছে ভয় লাগিয়ে।
৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৪:২৩
কু-ক-রা বলেছেন: উহা (সৈয়দ কুতুব) পলাতক ফ্যসিস্টের ধুর্ত প্রেতাত্মা। উহারা পাকিস্তান জুজুর ধুঁয়া তুলিয়া দেড় যুগ বাংলাদেশকে "র" এর বদ্ধভুমিতে পরিনত করিয়াছিল।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৪৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ভালো কাজ মন্দ কাজকে মুছে দেয়।
তাই, ভালো কাজে উৎসাহ দিতে হবে।