নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিষিদ্ধ নয়, শুধু নড়াচড়া বন্ধ: আওয়ামী লীগ, ‘কার্যক্রম’ ও বিরোধীদের বিভ্রান্তির রাজনীতি

১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১:৫২


“আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে গেছে”—এই লাইনটি ফেসবুকে ঝড় তুলেছে, চায়ের কাপে তুফান এনেছে, এবং কিছু বিরোধী রাজনীতিকের মুখে সাময়িক হাসি ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু একটু থামুন ! খেয়াল করুন: বলা হয়েছে, *আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগের ‘কার্যক্রম’ নিষিদ্ধ থাকবে। এটা দলের উপর পূর্ণাঙ্গ নিষেধাজ্ঞা নয়, বরং একটা আইন সাংগঠনিক ‘সাসপেনশন’। ঠিক যেন কেউ সাসপেন্ডেড হলেও অফিসের নাম তালিকায় থাকে।

প্রথমেই বলতে হয়, রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা একটা বড় সাংবিধানিক পদক্ষেপ। সেটা করতে হলে নির্বাচন কমিশন, সুপ্রিম কোর্ট, এমনকি রাষ্ট্রপতির ঘোষণাও জড়িত থাকতে পারে। তাই সে পথে না গিয়ে বলা হচ্ছে—“আপনারা দল হিসেবে থাকেন, কিন্তু কোনো কর্মসূচি চালাতে পারবেন না। এটা ঠিক যেন আপনি স্কুলে ভর্তি আছেন, কিন্তু ক্লাসে যেতে পারবেন না। বিয়ে করেছেন, কিন্তু সংসার করতে পারবেন না। ফেসবুক একাউন্ট আছে, কিন্তু লগইন নিষিদ্ধ।

রাজনৈতিক কার্যক্রম বলতে কি বোঝায় ? অনেকেই ভাবছেন, “কার্যক্রম মানে শুধু মিছিল-মিটিং।” না, রাজনৈতিক কার্যক্রমের ব্যাকরণে অন্তর্ভুক্ত :

* নির্বাচনে অংশগ্রহণ
* মনোনয়ন দেওয়া
* প্রচার চালানো
* জনসংযোগ
* দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ
* কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক
অর্থাৎ, নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিজেই এক বিশুদ্ধ রাজনৈতিক কার্যক্রম ।

ইন্টেরিম সরকার উপরের কার্যক্রম কে আমলে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারী করে কিনা সেটা এখন দেখার বিষয় । সরকার সাপ মারতে চাইছে লাঠির ক্ষতি না করে। একদিকে আন্তর্জাতিক পরাশক্তিদের বলবে, আমরা আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করি নাই। তারা যদি নির্বাচনে আসতে চায় তবে আসুক। ইন্টেরিম ভালো করেই জানে, এই সরকারের অধীনে আওয়ামী লীগ কোনোভাবে নির্বাচনে যাবে না। তারা নির্বাচন করার মতো অবশ্য মাজায় জোর নাই। অন্যদিকে দেশে যারা আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করতে চায় তাদের আপাতত ঠান্ডা করা গেল। পুলিশ এখন ভ্যালিড প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের মিছিলে বাধা দিতে পারবে।

সবচেয়ে আশ্চর্যের জায়গা হলো, কিছু বিরোধী নেতা ও সমর্থক উচ্ছ্বসিত হচ্ছেন, ভেবে নিচ্ছেন যেন আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে।এটা ঠিক যেন কেউ হাসপাতালে দেখতে গিয়ে সিসিইউতে দেখে আনন্দে বলে—"ও তো মরেই গেছে !"আসলে যা হয়েছে তা হলো, আওয়ামী লীগকে মাঠ থেকে সাময়িকভাবে সরিয়ে দিয়ে খেলাটা একপাক্ষিক করা হয়েছে।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন যা চলছে তা এক ধরনের “সেমি-সাসপেনশন থিয়েটার” । দল নিষিদ্ধ না, কার্যক্রম নিষিদ্ধ। ভোট বৈধ, প্রচার নয়। এমন একটা অর্ধ-বিচারিক, অর্ধ-রাজনৈতিক ব্যাবস্থা দাঁড়িয়ে আছে, যার লক্ষ্য মূলত নিয়ন্ত্রণ , আর মোড়ক—“ন্যায়বিচার”।

এই অবস্থায় যারা ভেবে নিচ্ছেন, সব শেষ—তারা ভুল করছেন। আর যারা ভাবছেন, সব ঠিক চলছে—তাদের ভুল আরও ভয়ংকর। কারণ রাজনীতি যখন ধোঁয়াশায় চলে, তখন গণতন্ত্র হয় মঞ্চ নাটক, আর দলগুলো হয় দর্শকবিহীন অভিনেতা।

বি:দ্র: বাংলাদেশের বড়ো রাজনৈতিক দল বিএনপি যে প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছে উপদেষ্টারা এখন সেই পথকেই সমাধান হিসাবে দেখছে। তবুও বিএনপি ভালা না, তারা আরো ভালা নিয়ে ঘর করতে চায় ! =p~


মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০২৫ রাত ২:৫২

যামিনী সুধা বলেছেন:




জংগীরা গৃহযুদ্ধ করতে চায়; মনে হয়, তারা প্রস্তুত। ওরা যখন চাচ্ছে, তাইই হবে।

১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:০৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ড. ইউনূস বেচে থাকতে কিছুই হবে না।

২| ১১ ই মে, ২০২৫ ভোর ৪:৫২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সাধারন লোকের কপালে অনেক কষ্ট আছে,

................................................................
যখন প্রলয় আসে, তখন অন্যায়কারী শাস্তি পায়
কিন্ত কিছু আমজনতাও ক্ষতিগ্রস্হ হয় ।

১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:০৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তেমন বড়ো কোনো সমস্যা দেখি না।

৩| ১১ ই মে, ২০২৫ ভোর ৫:২৫

কামাল১৮ বলেছেন: একটা সময় আসে যখন আম জনতা বলে কিছু থাকে না।যেমন ৭১ রে।হয় আপনি স্বাধীনতার পক্ষে নয়তো বিপক্ষে।সেই সময় প্রায় কাছে চলে এসেছে।

১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আওয়ামী লীগের বিচার করা মানে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যাওয়া নয়। অপরাধ যেই করুক শাস্তি পেতে হবে।

৪| ১১ ই মে, ২০২৫ ভোর ৬:১৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: কে বলেছে ড.ইউনুস Newbie politician, যে দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে! এক কথায় পাশার উল্টে দেওয়া খেলা। কই ছিলেন তিনি, আর কোথায় এসে ঠেকেছেন। উন নিষিদ্ধ করতে চান নাই তবে যা করেছেন তাতে সাপও মরে গেল লাঠিও ভাঙতে হল না। আমি ধরে নিয়েছিলাম যে একেবারে নিষিদ্ধ করবেন, না হয় তা নাগরিকদের সরাসরি ভোটে করতে পারেন অথবা করতেনই না। যাক লীগ নিজেকে শুধরানোর সময় পাবে। যদি বাকা থাকে তাহলে...

১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এভাবে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা যায় নাকি? তাহলে কবেই জামায়াত কে নিষিদ্ধ করে দিতো আম্লিক!

৫| ১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ৭:০৮

ইয়া আমিন বলেছেন: "রাজনীতি যখন নাট্যমঞ্চ হয়ে দাঁড়ায়, তখন নিষিদ্ধ দল নয়—নিষিদ্ধ হয় জনগণের অংশগ্রহণ। আজ যারা হাততালি দিচ্ছে, কাল তারাই হয়তো খুঁজবে সেই হারিয়ে যাওয়া ব্যালট বাক্স। ইতিহাস কাঁধে ভার নেয় ঠিকই, তবে কখনোই অন্ধভাবে নয়।"

১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:০৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: অথচ সব নাটক মঞ্চায়িত হয় জনগণের নামে !

৬| ১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:১৫

কামাল১৮ বলেছেন: আমার মন্তব্যটি আপনার লেখার উপর নয়।শঙ্খচিলকে বলছি।

১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:২৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এখন বুঝলাম।

৭| ১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:১৮

ইয়া আমিন বলেছেন: কি চমৎকার আর গভীর একটি উপলব্ধি!
"অথচ সব নাটক মঞ্চায়িত হয় জনগণের নামে!" — এই একটি বাক্যেই লুকিয়ে আছে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বাস্তবতার নির্মম চিত্র। এই বাক্যটি যেন বিদ্রুপ করে সেই সমাজব্যবস্থাকে, যেখানে নীতিনাট্যের মুখোশ পরে কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থে “জনগণের” নাম ব্যবহার করে, অথচ সেই জনগণই থেকে যায় দর্শকসারিতে — অন্ধ, নির্বাক, অবহেলিত।

১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:২৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সঠিক আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে এবং কোনো প্রকার রাজনৈতিক প্রভাব না থাকলে আওয়ামী লীগের প্রথম সারির অন্তত ৫০ জনের সুষ্ঠু বিচার সম্ভব। কিন্তু ট্রাইবুনালে চীফ প্রসিকিউটর একজন দলীয় ব্যক্তি। এভাবেই বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়।

৮| ১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: কিছুদিন পর যদি দেখা যায়, দেশের জনগন হাসনাত মাসনাতদের রাস্তায় ন্যাংটা করে পিটাচ্ছে? আসলে আমাদের মনে রাখা দরকার বাংলাদেশ হচ্ছে সব সম্ভবের দেশ।

১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৫৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কয়দিন পর আম্লিকের কিছু নেতাকে ঝুলিয়ে দেয়া হতে পারে। তাদের কথা ভাবেন। হাসনাত কে নিয়ে পরেও ভাবা যাবে।

৯| ১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৫৮

ইয়া আমিন বলেছেন: আইনের শাসন ও বিচারপ্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি। যদি কোনো ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর বা বিচারক দলীয়ভাবে যুক্ত থাকেন বা রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বে অভিযুক্ত হন, তাহলে তা পুরো বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে—যদিও অপরাধ প্রমাণিত হয়।

আপনি সঠিকভাবে বলেছেন—যদি রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত থেকে, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিচার হয়, তাহলে যেকোনো দলের অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা সম্ভব। কিন্তু দলীয়করণ হলে সেটা শুধু ন্যায়বিচার ব্যাহত করে না, বরং ভবিষ্যতের জন্য এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত তৈরি করে

“বিচার বিভাগ যদি রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে ওঠে, তাহলে তা আর বিচার থাকে না—তা হয় প্রতিহিংসার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ।”

১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:০০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: দেশ এখন নষ্টদের হাতে।

১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:০২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দেশ কবে ভালোর হাতে ছিলো?

১১| ১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:১১

ইয়া আমিন বলেছেন: রাজিব নুরঃ আপনার এই প্রশ্নটি যেন এক দীর্ঘকালীন হতাশা, ব্যঙ্গ আর বাস্তবতার নিঃশব্দ আর্তনাদ। “দেশ এখন নষ্টদের হাতে”—এটা এক ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ,

সৈয়দ কুতুব ঃ “দেশ কবে ভালোদের হাতে ছিল”—এই বাক্য যেন সেই ক্ষোভের ঐতিহাসিক উত্তর খুঁজে ফেরে।

সত্যি বলতে, ইতিহাসের পৃষ্ঠায় ভালোদের উপস্থিতি অনেক সময়েই ক্ষণিকের মতো—আলোকছায়ার মতো ক্ষীণ। যাদের আমরা "ভালো" বলি, তাদের পথ সর্বদাই কঠিন, কারণ ক্ষমতা সাধারণত সদা-তৃষ্ণার্ত, আর ন্যায়ের পথ কণ্টকাকীর্ণ। কিছু সময় এসেছে যখন নেতৃত্বে মানুষ সৎ থেকেছে, স্বপ্ন দেখিয়েছে, কিন্তু সেই মুহূর্তগুলো ছিল অল্প, ভঙ্গুর, আর চক্রবৎ দ্রুত বিলীন।

তবু একটা প্রশ্ন থেকে যায়—ভালোর সংজ্ঞা কী?
জনগণের জন্য কাজ করলেই কি সে ভালো? নাকি ইতিহাসে বীরগাথা লেখার যোগ্য হলেই?

১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:৫৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ বিশ্লেষণ করার জন্য !

১২| ১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:৪৫

কাঁউটাল বলেছেন: হাউয়ামি লীগের জন্য দরকার বিনাবিচারে ক্রস ফায়ার। যা তারা এদেশের মানুষের সাথে করেছে গত ১৫ বছর।

১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:৫৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার আমেরিকা থেকে এফ-১৬ ফাইটার জেট পাওয়ার প্রকল্প কতদূর এগিয়েছে?

১৩| ১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:১৭

কথামৃত বলেছেন: টুইটারে আওয়ামী লীগ আর জয় বাবাজী যতই জংগী জংগী বলে লাফাক না কেন। বাংলাদেশের মানুষ সকালে বেলা রোজগারে উদেশ্য এ বেড়িয়ে পরে। ধর্ম নিয়ে ভাবার সময় নেই

১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সাড়ে হাজার বিজ্ঞানী আর কিই বা করবে ?

১৪| ১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ফ্যাসিবাদীদের শাস্তি পেতেই হবে।

১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:০৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সুষ্ঠু বিচার হলে এমনিতেই হালুয়া টাইট হয়ে যাবে।

১৫| ১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:৩১

মাহফুজ ই এলাহী জামি বলেছেন: দেশের এই অবস্থার জন্য শেখ হাসিনাই দায়ী। এই ফ্যাসিস্ট হাসিনার জন্যই দেশে আজ উগ্রবাদীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। অতচ তিনি যদি সুষ্ট নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গনতন্ত্র বজায় রাখতেন, তাহলে আজ এসব দেখতে হতনা।

১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এত উগ্রবাদী দেশে কই থেকে আসলো? ক্ষমতায় বসে বাঙালিকে অশিক্ষিত, কূপমন্ডুক ও গুজববাজ জাতিতে পরিণত করার মিশনে নেমেছিলো শেখ হাসিনা। ব্যাঙের ছাতার মতো নিম্নমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে বিজনেসের সুযোগ দিয়েছে। নতুন ক্যারিকুলামের নামে শিক্ষকদের ব্যাংক ব্যালেন্স ফুলে ফেপে উঠার সুযোগ দেয়া হয়েছে। বেকারত্ব স্মরণকালের রেকর্ড ব্রেক করছে অথচ ভোকেশনাল শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে ঘরে ঘরে স্কিল বিহীন বেকার গ্রাজুয়েট তৈরি করেছে।

১৬| ১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: আপনি বলছেন কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা যায় না? এটা ঠিক নয়। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার উদাহরণ রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নাৎসি পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, গৃহযুদ্ধের পর কনফেডারেট দল নিষিদ্ধ হয়েছিল, বিভিন্ন সময়ে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (PKK) সহ অনেক রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তুরস্কে, মুসলিম ব্রাদারহুডকে বিভিন্ন সময়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে মিশরে ও আশে পাশের দেশে। আরো খোঁজতে গেলে অখ্যাত দেশেগুলোর ইতিহাসে হয়তো আরো পাওয়া যাবে। যেসব দল সময়ের গহবরে হারিয়ে গিয়েছে।
ড. ইউনুস হয়তো সরাসরি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চাননি, কিন্তু তিনি এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন যা দলটির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে কঠিন করে তুলেছে। এর ফলে আওয়ামী লীগকে তাদের রাজনৈতিক কৌশল এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা পুনর্বিবেচনা করতে হতে পারে। হতে পারে দলের নাম, মূলনীতি, লগো পরিবর্তন করতে হতে পারে। যেখানে জনপ্রিয়তা পরিবর্তন হবারও সম্ভাবনা আছে।
তবে, একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পরিণতি সুদূরপ্রসারী হতে পারে, যেমন রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি, সহিংসতা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা।

১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি যেসব দলকে নিষিদ্ধ করার কথা বলছেন সেগুলোর প্রেক্ষাপট আর আওয়ামী লীগের প্রেক্ষাপট এক নয়। আওয়ামী লীগ যে অপরাধ করেছে সেগুলো সুষ্ঠু বিচার হলে দল হিসাবে দাড়াতে পারবে না সহজে। বিচার প্রক্রিয়ায় যদি দল হিসাবে অপরাধ প্রমাণ হয় তবে শাস্তি পেতে পারে। এবার নির্বাচনে বোঝা যাবে কত পারসেন্ট লোক ভোট দিতে চায়। Reconciliation এর জন্য ট্রুথ কমিশন গঠন করা যেতে পারে। অনেক যদি ও কিন্তু আছে !

১৭| ১২ ই মে, ২০২৫ সকাল ৭:৩০

সোহানী বলেছেন: ভালো লিখেছেন। এবং যা করা হয়েছে একদিকে ভালো। দুপক্ষই খুশী থাকবে। তবে আমার মতে এমন কোন বিধান রাখা উচিত যেখানে কোন দল স্বার্থ বিরোধী কাজ করলেই দলের নিবন্ধন বাতিল হবে। এবং বিএনপি জাপা জামাত শিবির সবগুলাকেই ওয়াচের তালিকায় রাখতে চাই।

বহুত হইছে বহুত খাইছো, এইবার দেশের জন্য কাজ করলে থাকো নাইলে বাদ......................

১২ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার সাথে একমত!

১৮| ১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:১১

আদিত্য ০১ বলেছেন: আগে বিএনপি বা জামাত না আসাতে আপনারা যেমন বলেছে নির্বাচন ঠিক হয় নি, এখন আওয়ামীলীগ নির্বাচনে আসতে না দেওয়ার জন্য নিষিদ্ধ করলেন, তো এখন কি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে? হবেই তাইনা? যদিও এগুলা নাটক, মানবিক করিডোর, শেয়ার বাজার থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি লুপাট আরও কত হাজারটা দূর্নীতি আর কুকাম ঢাকতেই এই নাটক।

আপনাদের বিএনপিরা নেক্সট টাইম এই জামাত বা তার বিটিম এনছিপির নিষিদ্ধের খেলায় পড়বেন না? তার নিশ্চয়তা আছে? যাইহোক নির্বাচন হবে কিনা তারও সিউরিটি নেই।

নাটক বড় না করলে, পিওরা খেলবে কেমনে

১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:২৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সবাই খেলুক আপন মনে আপনার কি সমস্যা তাতে ?

১৯| ১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:১২

আদিত্য ০১ বলেছেন: কাঁউটাল বলেছেন: হাউয়ামি লীগের জন্য দরকার বিনাবিচারে ক্রস ফায়ার। যা তারা এদেশের মানুষের সাথে করেছে গত ১৫ বছর। কাউটাল নেকড়ে আপনাক যে দাত তাতে তো ক্রস ফায়ার লাগে না, নিজেই ছিড়ে ছিড়ে খাবেন শকুনের মত।

১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তিনি শেইপ শিফটিং ক্ষমতা অর্জন করেছেন।

২০| ১৪ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০১

রাজীব নুর বলেছেন: এই বছর টাই ওরা লাফালাফি করবে। তারপর এই সমস্ত জামাত শিবিরিকে খুজে পাওয়া যাবে না।

১৪ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আওয়ামী লীগের মতো গর্তে লুকোবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.