নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিষিদ্ধ নয়, শুধু নড়াচড়া বন্ধ: আওয়ামী লীগ, ‘কার্যক্রম’ ও বিরোধীদের বিভ্রান্তির রাজনীতি

১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১:৫২


“আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে গেছে”—এই লাইনটি ফেসবুকে ঝড় তুলেছে, চায়ের কাপে তুফান এনেছে, এবং কিছু বিরোধী রাজনীতিকের মুখে সাময়িক হাসি ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু একটু থামুন ! খেয়াল করুন: বলা হয়েছে, *আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগের ‘কার্যক্রম’ নিষিদ্ধ থাকবে। এটা দলের উপর পূর্ণাঙ্গ নিষেধাজ্ঞা নয়, বরং একটা আইন সাংগঠনিক ‘সাসপেনশন’। ঠিক যেন কেউ সাসপেন্ডেড হলেও অফিসের নাম তালিকায় থাকে।

প্রথমেই বলতে হয়, রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা একটা বড় সাংবিধানিক পদক্ষেপ। সেটা করতে হলে নির্বাচন কমিশন, সুপ্রিম কোর্ট, এমনকি রাষ্ট্রপতির ঘোষণাও জড়িত থাকতে পারে। তাই সে পথে না গিয়ে বলা হচ্ছে—“আপনারা দল হিসেবে থাকেন, কিন্তু কোনো কর্মসূচি চালাতে পারবেন না। এটা ঠিক যেন আপনি স্কুলে ভর্তি আছেন, কিন্তু ক্লাসে যেতে পারবেন না। বিয়ে করেছেন, কিন্তু সংসার করতে পারবেন না। ফেসবুক একাউন্ট আছে, কিন্তু লগইন নিষিদ্ধ।

রাজনৈতিক কার্যক্রম বলতে কি বোঝায় ? অনেকেই ভাবছেন, “কার্যক্রম মানে শুধু মিছিল-মিটিং।” না, রাজনৈতিক কার্যক্রমের ব্যাকরণে অন্তর্ভুক্ত :

* নির্বাচনে অংশগ্রহণ
* মনোনয়ন দেওয়া
* প্রচার চালানো
* জনসংযোগ
* দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ
* কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক
অর্থাৎ, নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিজেই এক বিশুদ্ধ রাজনৈতিক কার্যক্রম ।

ইন্টেরিম সরকার উপরের কার্যক্রম কে আমলে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারী করে সেটা এখন দেখার বিষয় । সরকার সাপ মারতে চাইছে লাঠির ক্ষতি না করে। একদিকে আন্তর্জাতিক পরাশক্তিদের বলবে, আমরা আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করি নাই। তারা যদি নির্বাচনে আসতে চায় তবে আসুক। ইন্টেরিম ভালো করেই জানে, এই সরকারের অধীনে আওয়ামী লীগ কোনোভাবে নির্বাচনে যাবে না। তারা নির্বাচন করার মতো অবশ্য মাজায় জোর নাই। অন্যদিকে দেশে যারা আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করতে চায় তাদের আপাতত ঠান্ডা করা গেল। পুলিশ এখন ভ্যালিড প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের মিছিলে বাধা দিতে পারবে।

সবচেয়ে আশ্চর্যের জায়গা হলো, কিছু বিরোধী নেতা ও সমর্থক উচ্ছ্বসিত হচ্ছেন, ভেবে নিচ্ছেন যেন আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে।এটা ঠিক যেন কেউ হাসপাতালে দেখতে গিয়ে সিসিইউতে দেখে আনন্দে বলে—"ও তো মরেই গেছে !"আসলে যা হয়েছে তা হলো, আওয়ামী লীগকে মাঠ থেকে সাময়িকভাবে সরিয়ে দিয়ে খেলাটা একপাক্ষিক করা হয়েছে।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন যা চলছে তা এক ধরনের “সেমি-সাসপেনশন থিয়েটার” । দল নিষিদ্ধ না, কার্যক্রম নিষিদ্ধ। ভোট বৈধ, প্রচার নয়। এমন একটা অর্ধ-বিচারিক, অর্ধ-রাজনৈতিক ব্যাবস্থা দাঁড়িয়ে আছে, যার লক্ষ্য মূলত নিয়ন্ত্রণ , আর মোড়ক—“ন্যায়বিচার”।

এই অবস্থায় যারা ভেবে নিচ্ছেন, সব শেষ—তারা ভুল করছেন। আর যারা ভাবছেন, সব ঠিক চলছে—তাদের ভুল আরও ভয়ংকর। কারণ রাজনীতি যখন ধোঁয়াশায় চলে, তখন গণতন্ত্র হয় মঞ্চ নাটক, আর দলগুলো হয় দর্শকবিহীন অভিনেতা।

বি:দ্র: বাংলাদেশের বড়ো রাজনৈতিক দল বিএনপি যে প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছে উপদেষ্টারা এখন সেই পথকেই সমাধান হিসাবে দেখছে। তবুও বিএনপি ভালা না, তারা আরো ভালা নিয়ে ঘর করতে চায় ! =p~


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০২৫ রাত ২:৫২

যামিনী সুধা বলেছেন:




জংগীরা গৃহযুদ্ধ করতে চায়; মনে হয়, তারা প্রস্তুত। ওরা যখন চাচ্ছে, তাইই হবে।

২| ১১ ই মে, ২০২৫ ভোর ৪:৫২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সাধারন লোকের কপালে অনেক কষ্ট আছে,

................................................................
যখন প্রলয় আসে, তখন অন্যায়কারী শাস্তি পায়
কিন্ত কিছু আমজনতাও ক্ষতিগ্রস্হ হয় ।

৩| ১১ ই মে, ২০২৫ ভোর ৫:২৫

কামাল১৮ বলেছেন: একটা সময় আসে যখন আম জনতা বলে কিছু থাকে না।যেমন ৭১ রে।হয় আপনি স্বাধীনতার পক্ষে নয়তো বিপক্ষে।সেই সময় প্রায় কাছে চলে এসেছে।

৪| ১১ ই মে, ২০২৫ ভোর ৬:১৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: কে বলেছে ড.ইউনুস Newbie politician, যে দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে! এক কথায় পাশার উল্টে দেওয়া খেলা। কই ছিলেন তিনি, আর কোথায় এসে ঠেকেছেন। উন নিষিদ্ধ করতে চান নাই তবে যা করেছেন তাতে সাপও মরে গেল লাঠিও ভাঙতে হল না। আমি ধরে নিয়েছিলাম যে একেবারে নিষিদ্ধ করবেন, না হয় তা নাগরিকদের সরাসরি ভোটে করতে পারেন অথবা করতেনই না। যাক লীগ নিজেকে শুধরানোর সময় পাবে। যদি বাকা থাকে তাহলে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.