![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিঃসন্দেহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের গভীর উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তবে, এই অসন্তোষ কেবল পারমাণবিক বোমা তৈরির আশঙ্কায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তেহরানের বিস্তৃত আঞ্চলিক নীতি, প্রক্সি শক্তির ব্যবহার এবং পশ্চিমা-বিরোধী অক্ষ তৈরির সুদূরপ্রসারী আকাঙ্ক্ষা এর মূল কারণ। এই কারণগুলো মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে জটিল করে তুলেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইরানকে এক বিতর্কিত শক্তিতে পরিণত করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান তার প্রভাব বলয় বাড়াতে বদ্ধপরিকর, যা "শিয়া ক্রিসেন্ট" (Shia Crescent) ধারণার মাধ্যমে সুস্পষ্ট। এই কৌশলগত ধারণায় ইরান, ইরাক, সিরিয়া এবং লেবানন পর্যন্ত একটি শিয়া-প্রভাবিত করিডোর তৈরির প্রচেষ্টা লক্ষণীয়। এই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য অর্জনে ইরান বিভিন্ন প্রক্সি শক্তির ওপর নির্ভরশীল। লেবাননের হেজবোল্লাহ ইসরায়েলের জন্য এক বড় সীমান্ত হুমকি হিসেবে বিবেচিত। ইরান হেজবোল্লাহকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, অর্থ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে লেবাননে তাদের রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাব বজায় রাখতে সহায়তা করে। সিরিয়া যুদ্ধে হেজবোল্লাহ আসাদ সরকারের পক্ষে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছে, যা ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের এক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত।
ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো, যেমন— আসাইব আহল আল-হাক এবং কাতায়েব হিজবুল্লাহ , ইরানের সমর্থনপুষ্ট এবং এসব সংগঠন ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ করে। আফগানিস্তানের ফাতেমিয়ুন ডিভিশন এবং পাকিস্তানের জাইনাবিয়ুন ব্রিগেড-এর মতো শিয়া যোদ্ধাদের সিরিয়া যুদ্ধে আসাদ সরকারের পক্ষে লড়াই করার জন্য ইরান সংগঠিত ও অর্থায়ন করেছে। পশ্চিমা দেশগুলো দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, এই প্রক্সি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইরান মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে এবং সৌদি আরব ও ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি তৈরি করছে।
২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হলে ইরান বাশার আল-আসাদ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করে। ইরানের অভিজাত কুদস ফোর্স সিরিয়ায় সেনা পাঠায় এবং শিয়া মিলিশিয়াদের সংগঠিত করে। ইরান সিরিয়াকে বিপুল অর্থ, জ্বালানি ও অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করেছে, যা আসাদ সরকারের টিকে থাকার পেছনে অপরিহার্য ভূমিকা রেখেছে। ২০১৫ সালে রাশিয়া যখন সিরিয়ায় সরাসরি বিমান হামলা শুরু করে, তখন ইরান রাশিয়ার সাথে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের পাশাপাশি নিজেদের বিমানঘাঁটি ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছিল, যা উভয় দেশের মধ্যে কৌশলগত সমন্বয়ের ইঙ্গিত দেয়। এই প্রক্রিয়ায় সিরিয়ায় ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ায় নিহত ৫ লক্ষাধিক মানুষের ৭৫% ছিল সুন্নি মুসলমান। আলেপ্পো, হোমস, দারায়া ও গৌতার মতো এলাকায় সুন্নি অধিবাসীদের সারি হত্যা (mass execution), গুম এবং বাড়িঘর ধ্বংস করে শিয়া মিলিশিয়াদের বসতি স্থাপনের অভিযোগ রয়েছে।
২০১৩ সালে গৌতায় রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়, যার পেছনে আসাদ বাহিনী ও ইরান-সমর্থিত ইউনিটগুলোর হাত ছিল বলে অনেক আন্তর্জাতিক তদন্তে উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো এই গণহত্যায় ইরানের অংশীদারিত্বের জন্য তাদের ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সিরিয়া ছিল ইরান-ইরাক-সিরিয়া-লেবানন পর্যন্ত "শিয়া ক্রিসেন্ট" নামক এক ভূ-রাজনৈতিক নেটওয়ার্কের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আসাদ সরকারের পতন মানে ছিল হেজবোল্লাহর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এবং ইরানের আঞ্চলিক প্রভাবের মারাত্মক হ্রাস। ফলে, ইরান এটিকে তাদের জাতীয় নিরাপত্তার লড়াই হিসেবে দেখেছে এবং যেকোনো মূল্যে আসাদ সরকার টিকিয়ে রেখেছে—এমনকি যদি এর অর্থ হয় হাজার হাজার সুন্নি মুসলমানকে হত্যা করা।
ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা একটি বড় ফ্যাক্টর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ইরান এই শিয়া-যাজবাদী গোষ্ঠীকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। এই সমর্থন তিনটি প্রধান পক্ষের জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। প্রথমত, সৌদি আরবের জন্য হুমকি: হুতিরা প্রায়শই সৌদি আরবের তেল স্থাপনা, বিমানবন্দর ও শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এটি সৌদি আরবের নিরাপত্তা ও অর্থনীতিকে সরাসরি প্রভাবিত করে এবং আঞ্চলিক ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন আনে। দ্বিতীয়ত, ইসরায়েলের জন্য হুমকি: লোহিত সাগরের বাব-এল-মান্দেব প্রণালীর নিয়ন্ত্রণ হুতিদের হাতে থাকা মানে ইসরায়েলের সমুদ্র বাণিজ্য পথের নিরাপত্তার ঝুঁকি।
সাম্প্রতিক গাজাযুদ্ধের সময় হুতিরা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যা ইসরায়েলের জন্য নতুন নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি করেছে। তৃতীয়ত, ইয়েমেনের জনগণের জন্য হুমকি: হুতিদের আগ্রাসী নীতি এবং ইরানের সমর্থন ইয়েমেনের মানবিক সংকটকে আরও গভীর করেছে। লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন এবং দুর্ভিক্ষের শিকার। ইয়েমেনের সাধারণ সুন্নি জনগোষ্ঠী হুতিদের দ্বারা ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাপক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, যা রাশিয়ার ব্যাংক, জ্বালানি খাত, প্রযুক্তি আমদানি সবকিছুকে চাপের মুখে ফেলে। এই পরিস্থিতিতে ইরান ও রাশিয়া পরস্পরের ঘনিষ্ঠ হয়েছে। রাশিয়া ও ইরান নিজেদের মুদ্রায় লেনদেন শুরু করেছে (রুবল ও রিয়াল), যাতে ডলার এড়ানো যায়। রাশিয়া ইরানের মাধ্যমে "গ্রে মার্কেট" বা তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে ইউরেশিয়া ও এশিয়ায় তেল বিক্রির পদ্ধতি শিখেছে। গ্যাজপ্রম (Gazprom) ও ইরানের জাতীয় তেল কোম্পানির মধ্যে ৪০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয় ২০২২ সালে। রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে ড্রোন, ড্রোন প্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক উপাদান সংগ্রহ করে। ইরান রাশিয়াকে সাইবার সহযোগিতা এবং নতুন বাজারে প্রবেশের কৌশল দিতে সাহায্য করেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক সাহায্য হিসেবে ইরান Shahed-131 ও Shahed-136 “কামিকাজে ড্রোন” সরবরাহ করে, যেগুলো ইউক্রেনে বিদ্যুৎকেন্দ্র, আবাসিক এলাকা ও সামরিক স্থাপনায় ব্যবহৃত হয়েছে। এই ড্রোনগুলো কম দামে, স্বল্প সময়ের মধ্যে উৎপাদনযোগ্য, যা রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে সস্তা। ইরান ক্রিমিয়াতে রাশিয়ান সেনাদের ড্রোন ব্যবহার শেখায় এবং মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য (২০২৩) অনুযায়ী, রাশিয়া ইরানের সাহায্যে রাশিয়ার মাটিতে নিজস্ব ড্রোন কারখানা তৈরি করছে। আমেরিকা ও ইউরোপ ইরানকে "যুদ্ধ সহায়তাকারী" (War Sponsor) দেশ হিসেবে আখ্যা দেয়। ইরানের ড্রোন প্রযুক্তিকে ইউক্রেনে "জঘন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অস্ত্র" বলে বর্ণনা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সালেই ইরান ও রাশিয়ার ড্রোন সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। ইসরায়েল উদ্বিগ্ন, কারণ রাশিয়া-ইরান ড্রোন সহযোগিতা ভবিষ্যতে হেজবোল্লাহ বা হামাসের হাতে উন্নত প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে পারে। ইরান ও রাশিয়া একই কারণে একে অপরের ঘনিষ্ঠ—উভয়ের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আছে এবং উভয়েই পশ্চিমা হেজিমনির বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধের ব্যাখ্যা দেয়। সিরিয়া থেকে ইউক্রেন পর্যন্ত তারা যৌথভাবে কাজ করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৩ সালে বলেছিলেন: “Russia and Iran are strategic partners in resisting Western unilateralism।”
চীন-ইরান সম্পর্ক আজকের ভূ-রাজনীতিতে এক দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত বন্ধুত্ব, যার পেছনে রয়েছে অর্থনৈতিক, সামরিক, জ্বালানি ও পশ্চিমবিরোধী স্বার্থের মিল। চীনের সবচেয়ে বড় স্বার্থ হলো জ্বালানি নিরাপত্তা। চীন ইরানের অন্যতম প্রধান তেল ক্রেতা এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেও বিশাল পরিমাণ ইরানি তেল গোপনে কিনে চলেছে। ইরান চীনের কাছে তেল বিক্রি করে ডিসকাউন্টেড মূল্যে, যার ফলে চীনের আমদানি ব্যয় কমে। উভয় পক্ষের স্বার্থ এখানে জড়িত: ইরান নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও তেল বিক্রি করতে পারে এবং ডলার ছাড়া বাণিজ্য ও আর্থিক স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করে, আর চীন সস্তায় জ্বালানি আমদানি করে। চীনের "বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ" (BRI)-এ ইরানের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে, কারণ ইরান চীনের "নতুন সিল্ক রোড" বা BRI-এর মধ্যপ্রাচ্য করিডোরে অবস্থিত। চীন ইরানে রেলপথ, বন্দর, এক্সপ্রেসওয়ে, 5G এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বিনিয়োগ করছে। চাবাহার-বন্দর সংলগ্ন অঞ্চল এবং তেহরান–মাশাদ রেলপথ আপগ্রেড এর মতো প্রকল্পগুলো চীনের গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ।
২০২১ সালে চীন ও ইরানের মধ্যে ২৫-বছরের একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মধ্যে সামরিক মহড়া (চীন-ইরান-রাশিয়ার যৌথ নৌ-মহড়া), ড্রোন প্রযুক্তি, সাইবার নজরদারি এবং স্যাটেলাইট সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত। ইরান চীনের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা ও নজরদারি যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে। বিশ্লেষকরা বলেন, চীন ইরানকে "স্মার্ট শত্রু" বানাচ্ছে—অর্থাৎ পশ্চিমাদের মোকাবেলায় প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম করছে। ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চীন ও ইরান উভয়েই মনে করে পশ্চিমা বিশ্ব তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করছে। তারা একসাথে "নতুন বিশ্বব্যবস্থা" গঠনের ডাক দেয়, যেখানে ডলার নয় বরং বহু-মুদ্রা ও বহু-শক্তির বিশ্ব থাকবে।
চীন জাতিসংঘে ইরানের পক্ষে অবস্থান নেয়, যখন পশ্চিমারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে। এমনকি, ২০২৩ সালের শেষে বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা দেশগুলোর চাপের বিরুদ্ধে ইরান পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার কথা বলা হলেও, তা বাইরের কোনো শক্তির প্ররোচনায় বা হুমকিতে না হওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়। এটি পরোক্ষভাবে শেখ হাসিনা সরকারের সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করে—যেন তারা বাইরের চাপ ছাড়াই নির্বাচন করতে পারে।
সব মিলিয়ে, আমেরিকা ও ইসরায়েলের ইরানের প্রতি ক্ষোভ কেবল পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষায় সীমিত নয়, বরং তেহরানের আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তার, প্রক্সি যুদ্ধনীতি এবং বিশ্ব মঞ্চে পশ্চিমা প্রভাব খর্ব করার সুস্পষ্ট আকাঙ্ক্ষার সম্মিলিত ফল। এটি এমন এক জটিল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যেখানে যেকোনো একটি ইস্যু নয়, বরং একাধিক আন্তঃসংযুক্ত কারণ মধ্যপ্রাচ্য এবং এর বাইরেও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার ঝুঁকি তৈরি করছে।
২০ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:১৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: প্রথমে, গোরুর রচনা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। । আমি ২০১৮ সাল থেকে ইরান-সিরিয়া বিষয়ে নিুুউজ ফলো করছি। এটা সম্পূর্ণ আমার নিজের লেখা ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:০৪
ফারমার২ বলেছেন:
লেখায় অনেক কিছু ঠিক আছে, অনেকগুলো কথার কথা; পোষ্ট কি আপনি লেিখেছেন?
এটা ঠিক যে, আনবিক বোমা একটি ফালতু অভিযোগ