নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব দল নির্বাচনে অংশ না নিতে পারলে দেশে গৃহযুদ্ধ হবে ?

১২ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৩


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এবং সাবেক এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমন কথা বলেছেন। শামীম হায়দার পাটোয়ারীদের একটি ফ্যামিলি বিজনেস আছে। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নামে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় উহার পিতা ঢাকার বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ীতে প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন। উত্তরাধিকার সূত্রে এখন ছেলেরা এই বিশ্ববিদ্যালয় চালান। ইউজিসি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শাখা ক্যাম্পাস বাদ দিয়ে কেবল একটিমাত্র ক্যাম্পাসের ঘোষণা আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়টি বাড্ডা সাতারকুল এরিয়াতে শিফট হয় ২০২৩ সালে। গত বছর জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ব্রাক, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সাথে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টস রা শেখ হাসিনার পতনে রাস্তায় ছিলো। বলা যাইতে পারে আওয়ামী লীগের অংগসংগঠনের মানুষজনের দ্বারা পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে আওয়ামী লীগের পতনে ভুমিকা রাখে কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কিছুই করতে পারলেন না। শামীম হায়দার পাটোয়ারী জুলাইয়ের কোটা আন্দোলনের পর থেকে অবাধে টিভি চ্যানেলের টকশোতে যান। নানা বিষয় নিয়ে উনার মতামত দেন। বলা যাইতে পারে সাংবাদিক মাসুদ কামাল, পান্নাদের চেয়ে মার্জিত সফট লীগের মুখপাত্র হিসাবেই তিনি সবখানে অলমোস্ট বিনা বাধায় বক্তব্য রেখে চলেছেন।

ইন্টেরিম সরকার জাতীয় পার্টির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না কেন? এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ তাদের নিজেদের সুবিধার জন্য জাতীয় পার্টি কে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে । জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় অফিসে ঢাকায় আগুন দেয়া হয়েছিল। এছাড়া রংপুরেও কয়েকটি কার্যালয়ে আগুন দেয়া হয়। কিন্তু সরকার জাতীয় পার্টি কে নিষিদ্ধ করে না। এই ব্যাপারে দুইরকম কথা প্রচলিত আছে। এক. জাতীয় পার্টির নাকি মিডল ইস্ট কানেকশন ভালো। চরমোনাই পীরের সাথে কানেকশান ভালো। তাই জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকার তেমন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। দুই. জাতীয় পার্টির ইন্ডিয়ান কানেকশান ভালো। অতীতে আমরা দেখেছি ভারত থেকে ডেলিগেটস এসে কিভাবে এরশাদ সাহেবকে প্রধান বিরোধী দল হওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের গৃহপালিত বিরোধী দল হিসাবে জাতীয় পার্টির বদনাম আছে।কিন্তু এই দুইটি দলের মধ্যে এমন গভীর কানেকশান গড়ে উঠার কথা ছিলো না। জাতীয় পার্টি আগে ছিলো স্বৈরাচার আর গত দশবছর হয়েছে স্বৈরাচারের দোসর। সে দোসর এখনো রাজনীতি করে যাচ্ছে মুক্তভাবে কিন্তু কেহ উহাকে থামাতে পারছে না।

ইন্টেরিম সরকার জানিপপের চেয়ারম্যান কলিমুল্লাহ কে দুদকের মামলায় জেলে পাঠিয়েছে। এদিকে বারিষ্টার শামীম তো এক্স এমপি ছিলো। আওয়ামী লীগের সময়ে তিনি কোনো অপকর্মের সাথে জড়িত হন নাই এমন কথা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। দুদক কি করছে? সরকারই বা জাতীয় পার্টির ব্যাপারে কি ভাবছে? যদি জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ না করা হয় কিংবা কার্যক্রম স্থগিত না করা হয় তবে কিসের ভিত্তিতে তারা জাপাকে আটকাবে নির্বাচনে অংশ যাতে না নিতে পারে? জাতীয় পার্টি যদিও লীগের দোসর ছিলো সরকার যদি চরমোনাই পীরের মতো জাতীয় পার্টির সামনে ললিপপ ঝুলাতো তবে ইহারাও কাবু হয়ে যেত। জাতীয় পার্টির চরিত্র অনেকটা এরশাদের মতোই। সরকার এদের ব্যাপারে নড়েও না চড়েও না। এদিকে নির্বাচন কে সামনে রেখে জাতীয় পার্টিতে চলছে নাটক। জি এম কাদের ও রওশন এরশাদ গ্রুপের মধ্যে চলছে ফাটাফাটি। জি এম কাদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার কিন্তু রওশান এরশাদের বিরুদ্ধে কোনো একশন নিতে দেখলাম না।

ব্যারিস্টার শামীম হায়দারের কথায় ফিরে আসি। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ না নিতে পারলে গৃহযুদ্ধ করবে ? তাদের সেই ক্যাপাবিলিটি নাই। তিনি আসলে আওয়ামী লীগের ভয় দেখিয়েছেন। কিন্তু অবস্থা দেখে যা মনে হচ্ছে দেশি-বিদেশি কোনো শক্তি এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা সে ব্যাপারে ঐক্যমত্যে পৌছাতে পেরেছেন। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে কারণ সরকার সাধারণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না সে সাথে আবার লীগ যদি বিশৃংখলা করে তবে সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকাই কঠিন হবে। এমনিতেও সরকারের আর ইচ্ছা নেই বেশিদিন ক্ষমতায় থাকার কিংবা সরকার যাদের কথায় উঠে বসে তাদের ইচ্ছা নেই।

আওয়ামী লীগের কি তবে এইবারের নির্বাচনী ট্রেন মিস হয়ে গেল? এই বিষয়টি নিয়ে প্রতিদিন টকশোতে শোরগোল হয়। আওয়ামী পন্থী বুদ্ধিজীবীরা বলে বেড়াচ্ছেন লীগের সমর্থকদের অধিকার হরণের চেষ্টা চলছে। এই কথা ২০১৪ সাল থেকে উনাদের মনে ছিলো না যে অন্যান্য দলের সমর্থকরা তাদের পছন্দের মার্কাকে ভোট দিয়ে জেতাতে পারে নাই। সেসময়ে ইনক্লুসিভ নির্বাচনের কথা উনাদের মনে ছিলো না। এখন ইন্টেরিম হতে সকল রাজনৈতিক দলকে ভিলিফাই করা হচ্ছে এই বলে সামনের নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। কিন্তু যদি বিশ্ব মোড়লেরা বলে যে নির্বাচন সহী হয়েছে তখন উনারা কি করবেন? প্রফেসর ইউনুস ইন্টারন্যাশনাল খেলোয়াড়। নিশ্চয়ই তিনি কিছু ভেবে রেখেছেন। আগামী কয়েকমাসের মধ্যে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে।

অস্বীকার করার উপায় নেই আওয়ামী লীগ একটি নির্বাচনমুখী দল। কিন্তু তারা বিগত তিনটা ইলেকশনে বাকিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারে নাই বিধায় উহাদের আজ এমন দুরবস্থা। অন্যের অধিকার হরণ করলে কেমন লাগে সেটা বোধকরি এবার তাদের অনুভব করার সময় এসেছে। এমনিতেও নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের যে উন্নয়নের বেলুন আছে তা ফুটা হয়ে যেত জনতার প্রত্যাখ্যান দেখে। সেদিক থেকে ইন্টেরিম সরকার তাদের ভূমিধ্বস পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছে। কই তার জন্য সাধুবাদ জানাবে তা না করে জাতীয় পার্টিকে ব্যবহার করে গৃহযুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

বিজন রয় বলেছেন: সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক বা না করুক এদশে একদিন গৃহযুদ্ধ হবেই। এটা আমি আজ থেকে ২৬ বছর আগে কোনো এক সভাতে বলেছিলাম। আমার সে কথা ফলবে সেরকম অনেক কিছুই দেশে ঘটছে।

১২ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সাধারণ মানুষের কপাল খারাপ। এমনিতে সরকার বা কারো থেকে হেলপ পায় না । যা করার নিজেদেরই করতে হয় ।

২| ১২ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:১৭

নতুন মেসাইয়া বলেছেন:



যেই বিদয়ে রচনা আসুক না কেন, আপনি গরুর রচনাই লিখে দেন, চলুক!

১২ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:২৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যাক আপনি অবশেষে প্রশংসা করলেন। :)

৩| ১২ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:১৯

কামাল১৮ বলেছেন: আপনি কি লেখেন আপনি নিজেও জানেন না।

১২ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৩০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: লেখায় ঢু মারার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



এবারের নির্বাচন সুন্দর হবে না।
লিখে রাখেন।

১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:০৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মাইনাস আওয়ামি লিগ ইলেকশন হবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.