![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
ওরা ভেবেছিল তোমাকে হত্যা করলেই সব শেষ : কিন্তু তারা জানে না বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ" জুলাই অভ্যুত্থানের আগে দেওয়া বিপ্লবী সারজিস আলমের এই বক্তব্য আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। অথচ এ কথার ভেতরেই রয়েছে একটি গুরুতর ভুল। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু কেবল একজন নেতার সমাপ্তি ছিল না, তাঁর রাজনৈতিক ভিশনেরও মৃত্যু ছিল। ‘৭৫-এর মুজিব ছিলেন বাকশালি চিন্তার মানুষ যে বাংলাদেশ তিনি চেয়েছিলেন, আজকের বাংলাদেশ সেই পথের সঙ্গে অনেকটাই বেমানান।
২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতিটি ১৫ই আগস্ট প্রায় একইভাবে কেটেছে। ভোর থেকেই শুরু হয়ে যেত সেই পরিচিত গান: "যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই"। বিভিন্ন এলাকায় প্যান্ডেল টাঙিয়ে টোকাই ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সমাবেশ করত। সেখানে বসে খানাপিনা চলত। কিন্তু স্টুডেন্টদের পরীক্ষা কিংবা অসুস্থ রোগীদের কথা কেউ ভাবত না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও মৃত্যুবার্ষিকীতে অনুষ্ঠান থাকত। বাংলা, ইংরেজি, সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে তাঁকে নিয়ে অসংখ্য টপিক ছিল। পরীক্ষার আগে সাজেশন চাইলে শিক্ষকেরা বলতেন: "বঙ্গবন্ধু টপিকসটা পড়বা"। একবার আমার এক ছাত্রীর ১৫ই আগস্টের পরদিন ইংরেজি পরীক্ষা ছিল। তার মা গানবাজনায় বিরক্ত হয়ে বলেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের টপিক থেকে প্র্যাকটিস করাতে। গানের আওয়াজে তাঁর মাথা ধরে গিয়েছিল, এমনকি ছাত্রীর বাবা ভলিউম কমানোর জন্য গিয়ে অপমানিত হয়ে ফিরেছিলেন।
করোনার ঠিক আগে আমরা ঢাকার জমি হারিয়েছিলাম আওয়ামী ভূমিদস্যু ঢাকা-১৬ আসনের এমপি ইলিয়াস মোল্লার কারণে। ২০১৯ সালের ২২শে ডিসেম্বর আমাদের পরিবারের জন্য অত্যন্ত বিভীষিকাময় ছিল। ছলে-বলে-কৌশলে আমাদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়। আমি পুলিশের লাঠির আঘাত খেয়েছিলাম। আব্বু-আম্মু শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিলেন। নিঃস্ব অবস্থায় চলে যাওয়ার সময় ভাবছিলাম, এইসব ভূমিদস্যুদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতাম আমরা । প্রতি ১৫ই আগস্টে ৫০০ টাকা করে চাঁদা দিতে বাধ্য হতাম। না দিলে নানা ধরনের ভয়ভীতি ও চুরির মুখোমুখি হতে হত।
একইভাবে, আমাদের এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণের নামে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বাড়িওয়ালাদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নিত। প্রতি মাসে ১০০০ টাকা আর আগস্ট মাসে তা বেড়ে দাঁড়াতো ১৫০০ টাকায়। এই চাঁদার টাকায় মসজিদের পাশাপাশি অনেক টোকাই নেতার বাড়িঘরও তৈরি হয়েছিল। ১৫ই আগস্টের রাতে প্লাস্টিকের প্যাকেটে তথাকথিত ‘তবরুক’ দিয়ে যেত, যার মধ্যে মাংসের পরিমাণ খুবই কম থাকত। ৫০০ টাকা দিয়ে আমরা চারজনের পরিবার আরামে পোলাও কোরমা খেতে পারতাম, সেখানে এই তবরুকের জন্য আলাদা আগ্রহ ছিল না।
আমার এক দুষ্টু ছাত্র ১৫ই আগস্টের উচ্চ শব্দে বিরক্ত হয়ে চিৎকার করে বলেছিল, "জয় বাংলা, লুঙ্গি সামলা।" এর ফলস্বরূপ, সে টোকাই গ্যাংয়ের হাতে নিগৃহীত হয়েছিল। তারা তাকে অণ্ডকোষে ঘুষি মেরেছিল। এভাবেই আওয়ামী লীগ দলীয় কর্মীরা শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করত, যা মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি করেছে।
বাংলা বইতে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি সুন্দর গল্প পড়েছিলাম, যেখানে একজন রিকশা চিত্রশিল্পী শেখ মুজিবের ছবিকে সবার ওপরে রেখেছিলেন। এই গল্পটি হয়তো লেখকের কল্পনা, কিন্তু মানুষের মনে যদি কোনো আবেগ থেকেও থাকে, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড এবং তাদের জোরপূর্বক প্রচারণার কারণে তা বহুলাংশে কমে গেছে। জোর করে মাইক বাজিয়ে বা কাঙালি ভোজের আয়োজন করে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। বিগত বছরগুলোতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ১৫ই আগস্টের ভিড়, ধাক্কাধাক্কি, এবং ফটোসেশনের মতো কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধার পরিবেশ নষ্ট করেছে। আওয়ামী লীগের উচিত ছিল এই দিনে কাচ্চি ও ফটোসেশন ব্যবসা বন্ধ করে সাধারণ মানুষের জন্য ৩২ নম্বর বাড়িটি উন্মুক্ত রাখা এবং শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষদের সহায়তা করা।
তবে এবারের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন মনে হচ্ছে। বিভিন্ন পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, এবার তাঁর প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। একজন সমসাময়িক লেখক সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন: "পাগল যদি সাঁকোয় ওঠে, কখনো তাকে বলতে নেই সাঁকো নাড়াস না। কারণ একবার যদি পাগল শুনে, তবে সে সাঁকো নাড়বেই।" তাঁর মতে, বাংলাদেশ বহুকাল আগে থেকেই বিদ্রোহী। এদের রক্তে আছে দ্রোহ। ইন্টেরিম সরকারের "১৫ই আগস্ট কিছু করা যাবে না" বলে চাপিয়ে দেওয়ার কারণেই আজ শেখ মুজিবুর রহমান জনমানুষের একজন হয়ে উঠেছেন। তবে আমি এই আচরণকে ভেড়ার পালের মতো কিংবা ট্রেন্ড ফলো করা ছাড়া ভিন্ন কিছু ভাবতে রাজি নই।
রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে মানুষের ধারণা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়। সম্প্রতি জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। একজন তুখোড় ওয়াজি হিসেবে জামায়াতকে লাইমলাইটে আনার পেছনে তার অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু তার মৃত্যুর সময় তিনি যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। আমার এক চাচার মুখে শুনেছিলাম, তিনি শেষ সময়ে জামায়াতের রাজনীতি করা নিয়ে অনুতাপ করতেন ।
আওয়ামী লীগের আমলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ই আগস্ট জন্মদিন পালন করা শুরু করেছিলেন। এবার তিনি খুবই অনাড়ম্বরভাবে জন্মদিন পালন করেছেন। প্রফেসর ইউনূস তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী নিয়ে নীরব ছিলেন। এতে বোঝা যায়, তাঁর কাছে এখন বিএনপিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যা সম্ভবত তাঁর এক্সিট প্লানের অংশ।
১৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:২৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কাউকে ব্লক করার পক্ষে নই। কেবল বাস্তব ঘটনা নিয়ে লিখি এতে অনেকের গায়ে জুলুনি ধরে।
২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৩২
নতুন মেসাইয়া বলেছেন:
কেক খেয়ে বেগম গিয়েছিলেন জেলে; বেগমকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ইউনুস মিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৪১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনার মতো আপনি কেবল তাদের খারাপ দিকটাই দেখতে পান ।
৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:০৫
সুলাইমান হোসেন বলেছেন: আজ আর নেই সেই সোনালী বিকেলের দিনগুলো।
১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:১০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার খারাপ লাগছে ?
৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:২৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পতন না হলে মনে হয় না আওয়ামী লীগ সংশোধন হতো। আবার কখনও ক্ষমতায় এলে একই রকম আচরণ করবে। আওয়ামী লীগের পতন দেখেও তো অন্যরা শিখছে না।
১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৪০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার কাছে মনে হয় আজকে ৩২ এ গিয়ে আমজনতা ডিজে গান চালিয়েছে ? এগুলো শব পলিটিকাল লোকজনের কাজ । এরা যেটাকে আমজনতার কাছে বিজয় হিসাবে তুলে ধরছে সেটাতে জনতার মন নেই। জিনিসপাতির দাম বেশি । মানুষ নিরাপদবোধ করছে কম । এরকম তো হওয়ার কথা ছিলো না। পলিটিকাল দলগুলো যদি মনে করে তারা এসব দিয়ে ভুলিয়ে রাখবে তাহলে লিগের পতন থেকে কিছুই শিখেনি । লিগ ডিজিটাল বাঙালাদেশের নামে ভেবেছিলো জেন-জি কে কাবু করবে । তারাই খেলে দিয়েছে ।
৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৪৪
সুলাইমান হোসেন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার খারাপ লাগছে ? :-
না ভাই খারাপ লাগছে না।তবে রাত পোহালে শোনা যেত গানটা ভালো লাগতো
১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:০২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এখনো শুনতে পারেন ইউটিউবে ।
৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৪:০৮
ক্লোন রাফা বলেছেন: ইনকিলাব জিন্দাবাদ শুনে যারা অভ্যস্থ তাদের কানে রাত পোহালে শুনতে বিরক্ত লাগবে স্বাভাবিক।
ইলিয়াস মোল্লারা কোন দলের প্রতিনিধিত্ব করেনা । এরা আওয়ামিলীগ’কে বিক্রি করে ঠিক আজকের দখলদারদের মত করেছে। তাই বলে রাজাকার সমর্থন জায়েজ হয় না।
১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:৪১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: চারবারের এমপি নাকি লিগ কে ডিফাইন করে না । কুছ তো শরম কারো হে বাবু ভাইয়া ।
৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:৪২
বিজন রয় বলেছেন: আপনি আপনার খুশি মতো লিখবেন। আপনার লেখা পড়ে পাঠক আপনাকে সংজ্ঞায়িত করবে। কিন্তু আপনি লজ্জ্বা পাবেন না।
১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:৪২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আইছছা ।
৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:৪৭
নিমো বলেছেন: হ্যাশ ট্যাগ, লাইক, শেয়ার, ভিউ, ডলার বানিজ্যর রমরমায় শোক দিবস, মুজিব হত্যা খানিকটা আলো পাবে এটাই স্বাভাবিক। এর মধ্যেও হয়তো কিছু সততার শোক প্রকাশও ঘটবে। ইউনূস ইতোমধ্যেই ব্যর্থ হয়েছে, সুন্দর বিদায়ের জন্য যা কাম্য সেটাই উনি করেছেন।
১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:৪৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাঙালি কে আপনি সোশাল মিডিয়ার লাইক , শেয়ার আর ভিউ র কাঙাল বলতে পারেন। ইশকুলে বিমান ধসে পড়ার পর সেটা নিয়ে বিজনেস করতে বিজি ছিলো বাঙালি । মানসিকতা কোথায় নেমে গেছে। পজেটিভ বা নেগেটিভ যেভাবেি হোক ভাইরাল হওয়া লাগবেই । বাজে হেবিট।
৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি বেশি উচ্চাশা করবেন না।
৭১ এর পরাজিত শক্তি যথাসময়ে থেমে যাবে।
১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:০২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি লিগ কে দেখতে চাই মিনিমাম ৮/১০ বছর । এদের পানিশমেনট হওয়া জরুরি।
১০| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:২১
ক্লোন রাফা বলেছেন: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন কর্মী হওয়ার চাইতে মন্ত্রী বা এমপি হওয়া জলবত তরলং । টাকা আর মাসল পাওয়ার থাকলেই সেটা হওয়া সম্ভব।
একজন কর্মী হোতে হলে রাত দিন রোদ বৃষ্টি ঝড় মাথায় নিয়ে দলের জন্য কাজ করতে হয়।আমি এমন অনেক এমপি’কে জানি তারা এই দল সেই দল করে সারা জীবন এমপি মন্ত্রী ছিলো! পরিশেষে তারা কোন দলের নয়। “বোঝনা ব্যাপারটা” চন্চল চৌধুরি ডায়লগ ধার করে এটাই বলতে হয়।
১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: একজন এইট পাশ লোক এই ইলিয়াস । সে যে পরিমাণ জায়গা জমি লুট করেছে তার ভাগ মনে হয় কাউয়া কাদের পাইছে । চারবার একই সিট থেকে এর মতো পাডা এমপি হওয়ার মতো না।
১১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:২৯
ক্লোন রাফা বলেছেন: যাক অবশেষে আপার চেম্বারের কিন্চিত ব্যবহার দেখতে পাইলাম!
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু॥
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:২৩
কামাল১৮ বলেছেন: আপনার পরিবারে কে কে রাজাকার ছিলো।আপনার লেখায় রাজাকারের গন্ধ পাওয়া যায়।ব্লগের অনেকে আমাকে ব্লক করে রেখেছ।কেউ নাস্তিক হবার কারণে কেউ সত্য বলার কারণে।আপনি কবে ব্লক করছেন।