নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

অশিক্ষা কুশিক্ষা মানুষের দুর্দশা বাড়িয়ে চলেছে

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১১


রাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিকড় গ্রামের একটি ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে - আমরা কতটা ভুল পথে হাঁটছি। পহেলা আগস্ট মিনারুল ইসলাম তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যা করেন। কারণ? ঋণের দায় আর খাদ্যাভাব। তার চিরকুটে লেখা ছিল - "এত কষ্ট আর সহ্য করতে পারছি না।" মাত্র এক মাস পরে তার বাবা রুস্তম আলী এক লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ১২০০ মানুষকে চল্লিশার খাওয়া দিলেন। জীবিত ছেলেকে বাঁচাতে পারলেন না, কিন্তু মৃত নাতি-নাতনিদের জন্য লাখ টাকা খরচ করলেন।

৩৬ বছরের মিনারুল ইসলাম একজন দিনমজুর। জুয়া খেলার নেশায় পড়ে একাধিক এনজিও ও ব্যক্তিগত ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েন। প্রতি সপ্তাহে কিস্তি দিতে হতো। খাবার কিনতে পারতেন না। ৭-৮ বছর আগে বাবা রুস্তম আলী দেড় লাখ টাকার ঋণ পরিশোধ করতে জমি বিক্রি করে ছেলেকে একবার বাঁচিয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষার অভাবে মিনারুল বুঝতে পারেননি জুয়ার ভয়াবহতা। আবার একই গর্তে পড়লেন। মৃত্যুর তিন দিন আগে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে বলেছিলেন, "বাড়িতে খাবার নেই।" সামান্য টাকা পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকায় পুরো পরিবারের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হয়নি।

মিনারুলের মৃত্যুর পর স্থানীয় মানুষরা রুস্তম আলীকে বললো: "চারজনের মরার কারণে বাড়ি ভারী ভারী লাগছিল । ছোট ছিলেপিলেরা ভয় পাচ্ছিল; চল্লিশা করলে ভয় ভাঙবে"। ৭০ বছরের বৃদ্ধ রুস্তম আলী বলেন, "বাপ-দাদার আমল থেকেই দেখে আসছি। আমিও মনের আবেগে করলাম''। রুস্তম আলী চল্লিশার জন্য এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। শোধ করবেন কীভাবে, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন, ''১৫-১৬ কাঠা জমি আছে। এক কাঠা বেচব, বেচে ধার শোধ করব। তা ছাড়া তো আর কোনো উপায় নেই''।

ইউপি চেয়ারমান সাঈদ আলী মোর্শেদ স্বীকার করেন, "ইসলামের দৃষ্টিতে এটা নাই। কিন্তু কেউ মারা গেলে এটা করতে হয়।" নিজেও জানেন ভুল, তবুও করতে হয় ! যেখানে জীবিত মানুষ খাবার পাচ্ছে না, কিন্তু মৃতদের জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ হচ্ছে । ধর্মীয় নেতারাও জানেন এসব অনুষ্ঠানের কোন ভিত্তি নেই ; তবুও সমাজের চাপে করতে হয়।

রুস্তম আলী এখন আবার জমি বিক্রি করবেন। এবার মৃত নাতি-নাতনিদের চল্লিশার ঋণ শোধ করতে। যে টাকা দিয়ে তিনি হয়তো জীবিত ছেলে ও পরিবারকে বাঁচাতে পারতেন। মিনারুলের শেষ আর্তনাদ ছিল: "আর কারও কাছে হাত পাততে হবে না।" কিন্তু আমাদের অশিক্ষা ও কুশিক্ষার কারণে তার বাবাকে আবার হাত পাততে হলো। এবার মৃতদের জন্য। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে !


ঋণের দায়ে আত্মহত্যা’ করেছিলেন মিনারুল, ঋণ নিয়ে ১২০০ জনের জন্য চল্লিশা- Prothom Alo
আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে-খাওয়ার অভাবে-Desh Rupantor







মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



যেই ১২০০ ইডিয়টকে খাওয়ায়েছে, তাদের মাঝে ২/৩ মসজিদের ইমাম ছিলো; ওরা থামায়নি; কারণ, ইসলাম মানুষকে বানরে পরিণত করে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: গোশত খাওয়াতে পারেনি। মাছের মুড়ি ঘনটো খেতে বারোশো লোক হাজির হয়েছে । এলাকায় এডুকেটেড লোকজন কিংবা টিচার এসব নিয়ে কথা বলা উচিত ।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২

কামাল১৮ বলেছেন: রিজিকের মালিক আল্লাহ।এমন আল্লার দরকার নাই।নিজের চেষ্টায় বাঁচতে শিখুন।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি ভালো আছেন ? বহুদিন পর কমেনট করলেন ।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২১

এ পথের পথিক বলেছেন: সুদ, জুয়া এসব বর্তমান পরিবার/সমাজকে ধ্বংস করছে ।
শরিয়া শাসনে সুদ, জুয়া আর বিদআতী কার্যক্রম বন্ধ করা হবে, ইনশাআল্লাহ্‌ ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জিহাদ শুরু করুন। আমরা হবো তালেবান বাংলা হবে আফগান ।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫২

প্রামানিক বলেছেন: সুদ খাওয়া হারাম, সুদের জ্বালায় মানুষ আত্মহত্যা করে কিন্তু যারা হারাম হারাম করে তাদের কাউকেই দেখি না কর্জেই হাসানা দিয়ে মানুষকে সহযোগীতা করতে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এরা মুখে মুখে বহু কথা বলে। ১২০০ লোক না খেয়ে ২০০ টাকা করে দিলে মনিরুলের লোন শোধ হয়ে যেত । মরার আগে মনিরুলের চুলোয় হাড়ি চড়ছে কিনা সেটা নিয়ে কারো খবর ছিলো না । নাচতে নাচতে ফয়তা খেতে চলে এসেছে।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৩

সুলাইমান হোসেন বলেছেন: মিনারুলের মতো মানুষদের জন্য মৃত্যু খুবই উত্তম রিযিক।মিনারুলের ঘটনাটা খুবই করুন ছিলো।আজ যদি সমাজে ইসলামিক শাশনব্যবস্তা চালু থাকতো তাহলে আমাদেরকে এমন করুন দৃশ্য দেখতে হতোনা।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মনিরুল কারো বাসায় চুরি , ডাকাতি করেনি। কাউকে খুন করেনি কিংবা রেইপ করেনি। সে ভুল পথে ছিলো। যারা ফয়তা খেয়েছে তারা আরো বড়ো ভুল পথে আছে।

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চল্লিশা করার মূল কারণ আসলে এটা আর সামাজিক সংস্কার। ছেলের দরদের ভেইল নেই এদের কাছে। থাকলে ছেলেকে একটু সাহায্য করতে পারত।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যে বারোশো লোক ফয়তা খেয়েছে এরা এখনো মানুষ হয়ে উঠেনি। এরা বন মানুষ ।

৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৩

মাথা পাগলা বলেছেন: গত সপ্তাহে মনে হয় পড়েছিলাম, ওঝার জন্য ৫ ঘণ্টা দেরিতে হাসপাতালে আনায় - সাপের কামড়ে মৃত্যুবরন। তবে আশার কথা গত ২~৩ বছরে মুক্তমনা মানুষের সংখ্যার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

কওমি জননী জননীকে দোষারোপ করলেন না যে? মনে হয়, আপনি আপনার চিন্তা-ভাবনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: না । শেখ হাসিনার কিংবা লিগ কে নিয়ে আমার রাগ খুব একটা পারসোনাল আইডোলজি থেকে না । খারাপ কাজ করেছেন , মানুষের উপর জুলুম করেছেন তাই রাগ। রাগের রকম ফের আছে। আমার পরিবার লিগের এমপিদের হাতে নিরযাতিত কারণ তারা আমাদের ঠকিয়ে এবং পাওয়ার শো করে জমি দখল করে নিয়েছে। কিনতু আমরা মরে যাইনি এবং এখনো নিজের কেপাবিলিটি তে দাড়িয়ে আছি। আমাদের সাথে যা হয়েছে সেটা সামুতে যারা লিখেন তাদের খুব কমের সাথেই ঘটেছে। তাই উনারা পেপারে কি লিখে সেটা এনে সামুতে বমি করেন । আমি এই কাজ করি না । কারণ নিজ চোখে দেখেছি মানুষ কিভাবে লিগের আমলে বিপদে পড়েছিলো।

আজকের লেখার সাথে পলিটিক্স এর সংযোগ কম। বরং এনজিও ও সমাজের ভুল ধারণা তুলে ধরতে চেয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.