| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৈয়দ কুতুব
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

রাজনীতির মাঠে কখনোই সহজ সমীকরণ দেখা যায় না। সাধারণ মানুষের চোখে দুই আর দুই মিলে চার হয়, কিন্তু রাজনীতিবিদদের চোখে সেই চার থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে যায়। শামীম ওসমানের সেই কথাটা আবার মনে করিয়ে দেয রাজনীতিবিদরা দুই আর দুই মিলে বাইশ দেখতে পারে। হাসনাত আবদুল্লাহ, রাজনীতিতে প্রবেশের পর থেকে যেন এই ‘সুপার পাওয়ার’-এর ভরসা নিয়েছেন। শুধু তিনি নয়, আকতার, নাহিদ, পাটোয়ারী—সবাই এখন দুই আর দুই মিলে বাইশ দেখতে পারেন। তাদের দাবি, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্য কারও মাধ্যমে জারি হলে তা মানা হবে না।
তাদের এই অবস্থান আপাতদৃষ্টিতে জুলাই বিপ্লবের ম্যান্ডেটকে প্রধান উপদেষ্টার হাতে কেন্দ্রীয়করণের প্রয়াস বলে মনে হলেও, এর পেছনে লুকিয়ে আছে এক গভীর কৌশল। কারণ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন থেকে শুরু করে যাবতীয় কার্যক্রমে দেশের বিদ্যমান সংবিধানকে অনুসরণ করে চলছে। সেই হিসাবে, প্রধান উপদেষ্টার একক আদেশে সনদ বাস্তবায়ন করা সাংবিধানিকভাবে দুর্বল এবং প্রশ্নবিদ্ধ। এই জায়গায় এনসিপি রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর ওপর 'ফ্যাসিবাদের অনুচর' ট্যাগ লাগিয়ে তার মাধ্যমে আদেশ জারির সম্ভাবনাকে সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে। এটি কেবল একটি রাজনৈতিক বিরোধ নয়, বরং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে নিশ্চিত করার এক সূক্ষ্ম চাপ।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা এবং এনসিপির এই নির্দিষ্ট আবদার আসলে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক চিত্রনাট্য তৈরির একটি অংশ। একটি সম্ভাবনাময় পরিস্থিতি হলো, রাষ্ট্রপতি চুপ্পু যদি দ্রুত পদত্যাগ করেন, তবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হতে পারেন। কিন্তু এই পদক্ষেপে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং সেনাবাহিনীর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারদের নীরব সম্মতি পাওয়া আবশ্যক, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রাখা এবং প্রধান উপদেষ্টার সাংবিধানিক রীতিনীতি উপেক্ষা করে আদেশ জারির সম্ভাবনা নিয়ে নীরবতা: সবই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে নেপথ্যে কোনো গভীর রাজনৈতিক বোঝাপড়া চলছে।
এনসিপি কেন জেনে বুঝে এই অসাংবিধানিক পথে হাঁটতে চাইছে? তারা কি দেশের আইন-কানুন সম্পর্কে অবগত নয়? অবশ্যই তারা অবগত। এই অবস্থানে থাকার মূল কারণ সম্ভবত দূর ভবিষ্যতে প্রফেসর ইউনূসকে নির্বাচিত সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেখতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। বর্তমান পরিস্থিতিতে উপদেষ্টাদের ভবিষ্যতে লাভজনক পদ গ্রহণে যে নিষেধাজ্ঞা আনার কথা ছিল, ছাত্র উপদেষ্টাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে তা স্থগিত রাখা হয়েছে। এটি প্রফেসর ইউনূসের জন্যেও ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকারের রাষ্ট্রপতি হওয়ার একটি রাস্তা খোলা রেখেছে। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি সহজেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে পারবেন এবং এতে এনসিপির দাবি পূরণ হবে।
এনসিপির এই 'বাইশ' দেখার হিসাবটি তাই স্পষ্টতই একটি বড় নেগোসিয়েশনের দিকে ইঙ্গিত করে। এই নেগোসিয়েশনের মূল দাবি হতে পারে: 'আমরা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় বসানোর পথ সুগম করব, বিনিময়ে রাষ্ট্রপতি পদে আমাদের পছন্দের ব্যক্তিকে নিশ্চিত করতে হবে এবং সংসদে এনসিপির জন্য প্রয়োজনীয় আসন বা প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।' এই কৌশলগত চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে এনসিপি একদিকে জুলাই বিপ্লবের ম্যান্ডেটকে ধরে রাখতে চাইছে, অন্যদিকে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে বসিয়ে ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে নিজেদের প্রভাব নিশ্চিত করতে চাইছে ।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জুলাই সনদ না হলে ইলেকশন নিয়ে জটিলতা কাটবে না ; ইহাকে পুজি করে দরকষাকষি চলছে ।
২|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩২
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
ভেবে দেখেন, সুদখোর চেষ্টা করছে রাজাকার দিয়ে দেশ চালাতে, ইডিয়ট কাকে বলে!
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সব দোষ শেখ হাসিনার । আরো বেশি করে পরিবারের লোকজন কে খেতে দিন । খেয়ে দেশ ফোকলা করে দিয়েছে ।
৩|
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:২০
মাথা পাগলা বলেছেন: লেখক বলেছেন: সব দোষ শেখ হাসিনার । আরো বেশি করে পরিবারের লোকজন কে খেতে দিন । খেয়ে দেশ ফোকলা করে দিয়েছে ।
হাসিনা নিয়ে আপনি ইদানীং মনে হয় মানসিকভাবে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত। মনে হয় ভালো কোনো বই পড়লে আপনার মনটা শান্ত হবে।
লেখকের নাম বলে দিচ্ছি - আহমেদ ছফা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১১
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
বাংগালীদের সনদ ১টা, মুক্তিযুদ্ধের সনদ।
হাসনাত আবদুল্লার পুর্বসুরী রাজকারেরা পরাজিত হয়েছে ১৯৭১ সালে; তাদের সন্তানেরা আমেরিকান ক্যু'এর পোড়া আলু চিবাইতেছে, ভালো; রাজাকারদের কোন সনদ থাকতে পারে না।