নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যদি আমরা নিজেরা বদলে যাই,\nতবেই আমাদের সমাজ বদলাবে।

লাল মাহমুদ

লাল মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপির নাটক এখন অসহ্য মনে হয়। আর কত কাল তারা এমন নাটক করবে?

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫৭


গত ২৫ এপ্রিল সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন বিএনপি থেকে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান। এরপর সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে দলটির আরও চার সংসদ সদস্য শপথ নিয়েছেন। এই শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে বিকাল ৪টায় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলন করেন, এরপর শপথ নিতে সংসদ সংসদ ভবনে হাজির হন বিএনপির চারজন, সর্বশেষ রাত ৮টায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সংবাদ সম্মেলন পর্যন্ত চার ঘন্টায় তিন রকমের কথা বলেছেন নেতারা।

বিকালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হারুনুর রশীদ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তে শপথ নিয়েছি বললেও সংবাদ সম্মেলনে ‘বিএনপির নির্বাচিত এমপিদের ভাগিয়ে নেওয়া হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে শপথ অনুষ্ঠানের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্তে সংসদে গেছে বিএনপি।’

তবে শপথ নিতে বাকি থাকা একমাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সে বিষয়টি তিনি স্পষ্ট করেননি। আপনি কবে শপথ নেবেন এবং শপথের সময় চেয়ে চিঠি দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘অপেক্ষা করুন, সময়মতো জানতে পারবেন।’

এর আগে সোমবার সকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নিচ্ছেন না, বিষয়টি পরিষ্কার হলেও আবদুস সাত্তার ভুঁইয়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) ও মোশাররফ হোসেনের (বগুড়া-৪) সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। সকাল থেকেই তাদের সেলফোন বন্ধ থাকায় শপথ নেওয়ার বিষয়টি ছিল ধোঁয়াশায়।

পরে সোমবার বিকাল ৫টার দিকে সংসদে শপথ নিতে যান বিএনপি থেকে নির্বাচিত চারজন সংসদ সদস্য। তারা হলেন— চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুনুর রশীদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভুঁইয়া, বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন।


এসময় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হারুনুর রশীদ বলেন, ‘যে ছয়জন নির্বাচিত ছিলাম তার মধ্যে পাঁচজন দলীয় সিদ্ধান্তে বিশেষ করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শপথ নিয়েছি। সংসদে গিয়ে দলীয় চেয়ারম্যান ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী কারান্তরীণ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি তুলবো।’

তবে তার বক্তব্যের কিছু আগে সোয়া ৪টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অভিযোগ বলেন, বিএনপির নির্বাচিত এমপিদের ভাগিয়ে নিয়ে সংসদকে বৈধতা দেওয়া যাবে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের নির্বাচিত এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়াকে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘গত ২৭ এপ্রিল এক সভায় তিনি (উকিল আব্দুস সাত্তার) ঘোষণা দেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নেবেন না। তারপর সরকারি একটি সংস্থার কয়েক ব্যক্তি তার সঙ্গে নিরিবিলি কথা বলতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর তাকে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা হয়, কিন্তু আমাদের নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে তা সফল হয়নি।’

পরে রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেন। পরে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সর্বময় ক্ষমতা অর্পণ করা হয় তারেক রহমানের ওপরে। আমাদের গঠনতন্ত্রের ধারা অনুযায়ী তিনি তার সিদ্ধান্তের কথা জানান। সেই সিদ্ধান্তেই আজকে চারজন এমপি শপথ নেন।’
খবরঃ বাংলা ট্রিবিউন

ক্লাস নাইনে পড়ার সময় আমার এক স্যার কি এক প্রসঙ্গে যেন একটা গল্প বলেছিলেন। গল্পটা এরকম, দু'জন লোক ঝগড়া করছিল। তো ঝগড়ার এক পর্যায়ে একজন আর একজনকে মাটিতে ফেলে বুকের উপর চেপে বসে। আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে দু'জনকে আলাদা করে দিয়ে ঝগড়াটা মিটিয়ে দেয়। তখন নিচে পড়া লোকটি চলে যাওয়ার সময় অপর লোকটিকে বলে,"আজ দুপুরে খাই নাই, দেইখা তুই আমারে নিচে ফালাইতে পারলি"।
গল্পটা বলার উদ্দেশ্য হলো, বিএনপির নেতৃবৃন্দ তাদের নির্বাচিতদের শপথ আটকাতে না পেরে এখন উলটো বলছে, তাদের দলীয় সিদ্ধান্তেই নাকি নির্বাচিতরা শপথ নিয়েছে।

আচ্ছা, বিএনপি কি দেশের মানুষদের সব আবাল ভাবে!! তারা আর কতকাল জাতীর সামনে এভাবে নাটক করবে? তাদের কি লাজ লজ্জা কোনো কালেই জন্মাবে না। এই হাসিনা সরকারের শাসন আমলে দেশে যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, তার থেকে আরও বহু গুন বেশি উন্নয়ন হতো , যদি বিএনপি তাদের সঠিক রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করতো। আরেক আবাসিক নেতা প্রায় প্রত্যেক দিন একটা করে কাগজ হাতে নিয়া, আর কয়েক জনকে সাথে নিয়া সংবাদ সম্মেলন করে। আর যতসব আজগুবি কথা বইলা চিল্লাচিক করে। তারপর যখন হাত পায়ে বাতের ব্যথা শুরু হয়, তখন গর্ত থেকে উনি বেরিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা শহর অচল করে দেন। শালার বিক্ষোভ রে,,,,
আমি মনে করি, কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ, সে আওয়ামী লীগ বিরোধি হতে পারে, কিন্তু বিএনপিকে সমর্থন করতে পারে না। আর এখনো যারা বিএনপির সমর্থক আছে, বা বিএনপিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, তারা হয় মস্তিষ্ক বিকৃত না হয় জ্ঞান পাপী।

ছবিঃ গুগুল থেকে নেওয়া।


মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এতদিন ফকরুল বলছিল শপথ নিতে সরকারের চাপ আছে।
আজকে বললেন 'তারেকের' চাপে সবাইকে শপথ নিতে হচ্ছে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:৪১

লাল মাহমুদ বলেছেন: বিএনপি আজকে যে ভঙ্গুর অবস্থানে এসেছে, তার জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী তারেক রহমান। তারপরও কেন বিএনপির বর্তমান দেশীয় নেতৃত্ববৃন্দ তার পা চাটা নিয়ে এতো ব্যস্ত তা, আমার বোধগম্য নয়। তারেক যদি চাপই দিবেন, তবে এতো নাটকের কি দরকার ছিল!!! সবই হচ্ছে দলীয় লোকজনকে ধাপ্পা খাওয়ানো।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


জেনারেল জিয়া মানুষকে বিএনপি'তে নেয়ার আগে সিউর হয়েছিলেন যে, এগুলো ইডিয়ট।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:৪৯

লাল মাহমুদ বলেছেন: জেনারেল জিয়া নিজে কৌশলী লোক ছিলেন। তিনি দুঃসময়ে ক্ষমতার মসনদে বসে, একদিকে সাধারন মানুষের মনে আশার বীজ বপন করেছিলে, আর অন্যদিকে তার পথের যত বাধা ( মুক্তিযুদ্ধা অফিসার) সব নির্বিচারে নিধন করেছিলে। আর রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন অর্থনৈতিক লোভী কিছু অমানুষ দিয়ে। যার খেসারত তাট দল, তার স্ত্রী এবং এদেশের মানুষ এখন দিচ্ছে।


মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ চাঁদগাজী আংকেল।

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫

বাংলার মেলা বলেছেন: আপনার কাছে এখন? আমার কাছে তো বিএনপির নাটক অসহ্য মনে হত সেই ২০১০ সাল থেকেই।

০২ রা মে, ২০১৯ রাত ১১:১৯

লাল মাহমুদ বলেছেন: ২০১০ সালের পর তারা রিহার্সাল করে মঞ্চস্থ করেছে কিছু দিন। এখন তো রিহার্সাল না কই সব মঞ্চস্থ হচ্ছে। আর তাদের যে অভিনেতার মান, তাতে করে মনে হয় টাং গাইলের বাদাইমার অভিনয়ও ভালো আছে,,,,

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
উত্তম পোস্ট।

২৮ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:২৯

লাল মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ,, প্রিয় মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.