![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।
শহীদ ডা. শামসুদ্দীন আহমদ
লুৎফুর রহমান
চৌহাট্টা বুদ্ধিজীবি সমাধিটার মাঝে
স্বাধীনতা বলে শুধু অনেক বাঁশি বাজে।
লাল-সবুজের গন্ধমাখা সবুজ ঘাসের কাছে
একটি লোকের হাড় সেখানে যত্নে রাখা আছে।
দেশের বুকে নামলো যখন নিকষ কালো রাত
মুক্তিযুদ্ধে সেই লোকটি বাড়িয়ে দিলেন হাত
জানের ভয়টা দূরে রেখে করতো মানুষ ভালো
জ্বালিয়ে দিতো আপন হাতে ওদের জীবন আলো।
মসজিদ এবং হাসপাতালে পাকরা মারে মাইন
জংলি ওরা তা্ই মানেনি জেনেভার ওই আইন
এমনি করে একাত্তরের নয় এপ্রিলের দিন
প্রাণ হারালেন পাক গুলিতে ডাক্তার শামসুদ্দীন।
*** শহীদ ডা. শাসুদ্দীন আহমদ। তিনি ছিলেন তৎকালিন দেশের বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক। তিনি সিলেট হাসপাতালের ডাক্তার ছিলেন। ১৯৬৯ সালে ডা. শামসুজ্জোহা হত্যার মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট না দেয়ায় তিনি তখন থেকেই ছিলেন পাক বাহিনীর টার্গেটে। ১৯৭১ সালের ৯ এপ্রিলে সিলেট সরকারি হাসপাতালে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে পাক বাহিনী। এক পর্যায়ে হাসপাতালের ভেতরের কেবিনে ঢুকে ধরে ফেলে ডা. শামসুদ্দীন সহ চিকিৎসারত ডাক্তার ডা. শ্যামলকান্তি লালা, গাড়িচালক কোরবান আলী, মাহমুদুর রহমান সহ ৭জন রোগীকে। পরে সবাইকে গুলি করে হত্যা করে পাক সেনারা। ডা. শাসমুদ্দীন আহমদ এর লাশ সিলেট নগরীর চৌহাট্টস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। তাঁর নামে সিলেটে একটি হাসপাতাল আছে এবং তৎকালিন সিলেট সরকারি হাসপাতাল বর্তমানের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ছাত্রাবাসও আছে। তবে সিলেটের মুক্তিপ্রেমী মানুষের দাবি-স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হোক শহীদ ডা. শা্মসুদ্দীন আহমদকে।
©somewhere in net ltd.