![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।
মালীগ্রামের তিন শহিদ
লুৎফুর রহমান
পাক হানাদের দোসর ছিল খবিস
রাজাকাররা সেদিন ছিলো চবিশ
রাজারবন্দে মুক্তি চালায় গুলি
মুক্ত করে পায় দোসরের খুলি।
একাত্তরের ঊনিশ আগস্ট ভোরে
পাক বাহিনী কড়া নাড়ে দ্বোরে
মালীগ্রামের তিনশ' পুরুষ ধরে
হাত বেঁধে দেয় সবার পিছন করে।
বুলেট-বোমার শব্দ শুনে হঠাৎ
জানের ভয়ে বন্ধ রাখে কপাট
তিনশ' থেকে আলগ করে তিন
তাঁদের মারে আগস্টেরই দিন।
রতু মিয়া, খলিল এবং চাঁন
বুলেট সেদিন কাড়লো তাঁদের প্রাণ
কানাইঘাটে বিষ্ণুপুরের খাল
তিনজনার রক্তে হলো লাল।
_____________________________
** কানাইঘাটের মালীগ্রামে ১৮ আগস্ট রাতে ২৪জন রাজাকার ছিলো সেতু প্রহরায়। খবর শুনে মুক্তিবাহিনী রাতে হামলা চালিয়ে ২জন রাজাকারকে নিহত করে এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। পরেরদিন ১৯ আগস্ট পাক বাহিনী মারীগ্রামে ইেসে গ্রামের ৩০০ পুরুষকে ধরে এনে পিছনে হাত বেঁধে বিষ্ণুপুরের খালের কাছে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ৩জনকে আলাদা করে। তাঁরা হলেন-রতু মিয়া, চাঁন মিয়া ও খলিল আহমদ। তাঁদের ৩জনকে গুলি করে হত্যা করে। পরে দরবস্থ সড়কের পাশে এই বধ্যভূমিতে গর্ত খুঁড়ে মাটিচাপা দেয়া হয় এই তিনজন শহিদের লাশ।
©somewhere in net ltd.