নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাসিক মুকুল

সম্পাদনা করি আমিরাত-বাংলা মাসিক মুকুল। ভালবাসি মা, মাটি ও মানুষকে..

লুৎফুরমুকুল

আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।

লুৎফুরমুকুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্যরকম

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

লুৎফুর রহমান

রাতের বেলা ঘুমে ছিলাম মোবাইলে কল এলে
একটি মেয়ে হ্যালো বলে লেপটা দিলাম ফেলে
বিরতিহীন বলতে থাকে জানিস বিথী জানিস
কালকে ক্লাস আসার সময় ডায়রীটারে আনিস
বল্লাম আমি হেসে হেসে হ্যালো ম্যাডাম শোনেন
নয় চালাকি আমার সাথে রাস্তা নিজের গুণেন
ঘুমের ঘোরে রাগ ওঠেছে ফোনটা দিলাম কেটে
সকাল বেলা ভয়েস শুনি অটোরেকর্ড ঘেঁটে।
পরের দিনে বিকেল বেলা মেসেজ এলো -সরি
রং নাম্বারে কলটা ছিল এমসি কলেজ পড়ি
কলব্যাকে সাথে সাথে হলো অনেক কথা
নামটা জানায় প্রীতি এবং ভাঙ্গে নীরবতা
আমিও বলি স্বস্তি পেয়ে নাম-লোকেশন-থানা
অমন করে দুজনারই পরিচয় হয় জানা
ভেবেছিলাম কল দিয়েছে খারাপ কোন মেয়ে
জ্বালাবে যে আমায় শুধু সরল সোজা পেয়ে
সহপাঠি বিথীর কাছে ফোনটা দিতে গিয়ে
আপনাকে যে জ্বালান দিলাম সরি মানে ইয়ে
আমিও সরি রাতেরবেলা ফোনটা কেটে দিলাম
মেসেজ পেয়ে সাথে সাথে ঘুরিয়ে খবর নিলাম
আপনি দেখি সাদা সিধে লাগছে ভাল খুব
বন্ধু হতে পারেন আমার লাগছে অনেক লোভ
মাঝে মাঝে কথা হবে রাত বারোটার পরে
তখন সবাই ঘুমিয়ে থাকে একলা থাকি ঘরে
পয়লা বোশেখ ফ্রেন্ডশীপের এসএমএসটা পেয়ে
এমএমএসটা পাঠিয়ে দিলাম নিজেই গান গেয়ে
ওপাশ থেকে কল আসলো কথা বলা শুরু
ঘামছি আমি কাঁপছে শরির বুকটা দুরু দুরু
আচ্ছা শাওন আপনি থেকে তুমি বলে ডাকি
অনুমতি পাবার লাগি অপেক্ষাতে থাকি
তুমিও আমায় তুমি বলো নামটা ধরে ডেকো
আমার ভাল বন্ধু হয়ে সারাজীবন থেকো
এমন করে বছর গেলো নতুন বছর এলে
ইচ্ছে পাখি মনের ঘরে পেখম শুধু মেলে
করবো দুজন দেখা এখন দেখা করা বাকি
জানিয়ে দিয়ে উত্তরেরই অপেক্ষাতে থাকি
বল্লো প্রীতি আসবে তুমি স্বাধিনতার দিন
লাল রঙের জামা আমি পরবো যে রঙিন
গেলাম প্রীতির ভার্সিটিতে পাঞ্জাবিটা পরে
সাথে থাকা বন্ধু আমায় বারে-বারে ধরে
সাহস বুকে নেইতো জমা কাঁপছে শরির তাই
এদিক-ওদিক তাকাই দেখি প্রীতি আসে নাই
হঠাৎ দেখি পরির মতো একটি মেয়ে এসে
তুমি শাওন জিগায় আমায় মুচকি করে হেসে
মাথা নিচু করে বলি উনি নাকি বিথী
মাথা নেড়ে জবাব দিলো অপ্সরি প্রীতি
আড্ডা হলো চারিজনে ক্যাম্পাসের ওই ঘাসে
আমি প্রীতি বন্ধু দুজন তারাও ছিল পাশে
আচ্ছা শাওন আবার পড়ো বিদেশ টা না হলে
নইলে পরে চাকরি নিয়ে ভাসবে চোখের জলে
ইউকে যাবার স্বপ্ন আমার যখন হলো নাশ
তখন থেকে করতে থাকি কষ্ট নামের চাষ
এনজিওতে চাকরি নিছি হয়নি তোমায় বলা
বাবার পরে ঘরটা চালাই এমনিতে পথ চলা
এমন অনেক গল্প শেষে বাসায় এলাম ফিরে
দেখি প্রীতির পড়ছি প্রেমে এখন ধিরে ধিরে।

রাত পোহাতো ফোনের কলে হতো যখন ভোর
অফিস যাবো বলে আবার বোনটি খোলে দোর
বোনের সাথে ফ্রি ছিলাম তাই করলাম শেয়ার
বোনটি দিল সাহস আমার প্রেমটা জানান দেয়ার
একটি কথা বলবো প্রীতি ভয়টা লাগে আজ
আরো শাওন লজ্জা রাখো বলো খুলে আজ
তোমার মুখে বোল না এলে বলবো আমি শোনো
চোখটি তোমার বন্ধ করে এক থেকে দশ গুণো
ভালবেসে ফেলছি তোমায় শাওন আমার জান
আমিও তোমায় ভালবাসি প্রীতি সোনার চাঁন
নতুন প্রেমের হাওয়া বুকে নায়ক নায়ক ভাব
মগজ জুড়ে প্রেমের লিরিক সাথে ইমো 'লাভ'
ক্লাস শেষে আসতো প্রীতি করতো দেখা রোজ
সবাই বলে দোস্তরে তোর দারুণ রকম চুজ
ঘুরতে দেখে প্রীতির বাবা দিলো কড়া বারণ
প্রীতির ক্লাস বন্ধ হলো আমি তারই কারণ
উনার সখার ছেলের সাথে প্রীতির বিয়ে হবে
আগেই উনি কথা দিছেন শৈশবেতে কবে।

শাওন তুমি আমায় পেতে বাবার কাছে আসো
দাও জানিয়ে আমায় তুমি কত্তো ভালবাসো
গেলাম প্রীতির বাবার কাছে বিয়ের আলাপ নিয়ে
শাসিয়ে দিলেন বেকার বলে ঠাট্টা হাসি দিয়ে
এক শর্তে বিয়ে দিবো বিদেশ তুমি গেলে
প্রতিষ্ঠিত হলে ভেবো আমার মেয়ে পেলে
প্রীতি এসে চোখে চোখে করুণ করে চেয়ে
বাবা আমায় রহম করো অনলি ওয়ান মেয়ে
বল্লো বাবা বিয়ে দেবো শর্ত তবেই পাকা
টাকা ছাড়া ঘুরে কি ক' সংসারেই চাকা
বাসায় ফিরে মায়ের কাছে সব ঘটনা বলি
মাও বলে এতিম ছেলে উঠরে এখন জ্বলি
এদিক-ওদিক ব্রাজিলের একটি ভিসার লাগি
আদম দালাল সবার কাছে ডেইলি আমি ভাগি
অনেক পরে মিল্লো ভিসা টাকাও হলো রেডি
প্রীতির বাসায় গিয়ে বলি বিদায়টা দেন ড্যাডি
আমার থেকো প্রীতি তুমি আসবো যখন ওরে
বউ সাজিয়ে তুলবো তোমায় আমার আপন ঘরে
প্রীতির বাবায় বল্লো কিন্তু সময় বছর তিন
এখন থেকে গুণতে থেকো তোমার সকল দিন
প্রীতি বলে তোমার রবো পারবে তুমি জানি
বিদায় বেলায় আসো এবার বুকেতে নেই টানি
বাসায় ফিরে মায়ের বুকে কান্না করি শেষ
বিমান ছাড়ে নগর আকাশ ছেড়ে দিলাম দেশ
দিনে রাতে কষ্ট করে করতে থাকি কামাই
ইচ্ছে শুধু প্রীতির বাবা করবে আমায় জামাই
কেমন আছো শাওন তুমি তোমার আশায় আছি
তুমি ছাড়া প্রাণহিনা জান ডেইলি আমি বাঁচি
দু বছর পর প্রীতির বাবার সখার ছেলে আসে
পড়াশোনা চাটগাঁ থেকে শেষ হলো মার্চ মাসে
প্রীতির পিছে ঘুরতে থাকে টিজ করতে চায়
দেখে সবই প্রীতির ভায়ে এবং প্রীতির মায়
জানিয়ে দিলো প্রীতির বাবা শাওন যদি আসে
প্রীতি-শাওন দুজনাকে দুজন ভালবাসে
ওই ছেলেটা শোনে এমন আগুন লাগে গায়
কেমন করে শোধ নিবে সে ফন্দি এঁটে যায়
ঘুমে যখন প্রীতি ছিল ছবিটা নেয় তুলে
সাপের মতো ফণা তুলে ঘাড় বাঁকিয়ে ফুলে
পরের দিনে প্রীতির কাছে প্রেমের পরশ চায়
নরম হাতের গরম থাবা প্রীতির কাছে পায়
রেগেমেগে ফটোশপে ফেক ছবি সব বানায়
দুনিয়াটারে প্রীতি খারাপ ফেসবুকে তা জানায়
জানলো প্রীতি নিজের কথা ফেক কাহিনী সব
কষ্ট লাগে মানতে এমন মিথ্যে ব্ল্যাম জব
প্রীতির বাবা বাজার যেতে হাঁটতে গেলে পাড়ায়
খারাপ মেয়ের বাবা বলে লোকজনা মুখ বাড়ায়
আমার তখন তিন বছরের আছে বাকি দশ
করছি কামাই অনেক টাকা হলো অনেক যশ
ব্রাজিল থেকে দেশে যাবো ব্যাগেজ হলো করা
চোখের আগে দুনিয়া ঘুরে লাগলো মাথায় ধরা
পর্ণো জ্বালার অপবাদে জীবন জানায় ইতি
যার লাগি এই ব্রাজিল আসা জান পাখি প্রীতি
ফ্যানের সাথে উড়না দিয়ে নোটে গেছে লেখে
মরার পরে শাওন যেন মুখটা না দেখে
শাওন তোমার ছিলাম আমি জেনে তুমি নিও
আমার জানের চেয়ে তুমি আমার কাছে প্রিয়
দেশে গিয়ে আর কি হবে তাই ফিরিনি দেশ
প্রীতির সাথে আমার জীবন অমনি হলো শেষ।

[এটা সমাজের বাস্তব ঘটনা নিয়ে কাল্পনিক ব্যক্তি ও জায়গার নাম ব্যবহার করা হয়েছে, এমনকি এ ঘটনা আমার সাথে সম্পর্কিত নয়]












মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আজিজার বলেছেন: দারুন

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১

লুৎফুরমুকুল বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.