নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হে মানব! আর নয়তো দেরী; জেগে তুলে বিবেকের তরী করো হিংসার বলিদান। জন্মান্ধ হয়ে থেকো নাকো তুমি;মানুষ বলে হও বলিয়ান ।

তুমি জীবন খুঁজো সুখের নীড়ে, আমি জীবন খুঁজি দুঃখের ভীরে।,,, রহমান লতিফ,,,,

› বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্যা নোটবুক -৫

০৩ রা মে, ২০১৯ রাত ১০:৩২

পুত্র সন্তান ও লাল বাতি *********************
বিষয়টি জলের মতো স্বচ্ছ কিন্তু ঘোলা পানিতে নাক ছিটকানোর মতো। হ্যাঁ ' বলছিলাম সমাজ সচেতনতার অভাব হোক আর সামাজিক চিন্তা চেতনার দৈন্যদশা হোক পুত্র সন্তান পাওয়ার এক তীব্র আকাঙ্খা পিতামাতার মনে রয়ে যায়। হয়তো কেউ তা অকপটে স্বীকার করে আবার কেউ বলে আল্লাহ যা দেয় তাতেই খুশি। তবে কয়জন মেয়ে সন্তান জন্ম নেওয়ার পর হাস্যমুখে গ্রহন করে সে তর্কে নাই গেলাম।

ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সদস্য দেশ হিসাবে অতি সহজে ইউরোপ থেকে অনেকেই বৃটেনে মাইগ্রেশন করেছেন। তাদের মধ্যে ইতালি, স্পেন,পর্তুগাল ও অন্যান্য ই,ইউ সদস্যভুক্ত দেশ থেকে বহুসংখ্যক বাংলাদেশী পরিবার এসেছেন। অনেকে দীর্ঘদিনের ব্যবসা, বাড়ি,গাড়ি ছেড়ে চলে এসেছে আবার অনেকে পরিবারের অর্ধেক সদস্য বৃটেনে এসেছে বাকী অর্ধেক ইউরোপ ও লন্ডন যাওয়া আসা করে। এদের অনেকেই আবার বৃটেন থেকে বেনিফিট সুবিধা নেয় আবার ইউরোপের যে দেশের নাগরিক সে দেশ থেকেও সুযোগ সুবিধা নেয়। অবশ্য তাদেরকে এ ব্যপারে বললে খাড়া যুক্তি দিবে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শেখাতে এদেশে আসা। বৃটেনে ইসলামী ও আধুনিক শিক্ষার সুযোগ অনেক বেশি যা নাকি ইউরোপের অন্যকোন দেশে নেই । তাদের সকলেই মূলত বেনিফিট সুবিধা নেওয়ার জন্য যে বৃটেনে পাড়ি দেয়া তা ভুলেও স্বীকার করবে না। যা হোক এদের মধ্যে দু'একজন ভিন্ন থাকলেও থাকতে পারে।

আমার পরিচিত মিঃ উদদীন, স্ত্রী,ও দু'মেয়ে নিয়ে সপরিবারে ইতালি থেকে বৃটেনে এসেছেন প্রায় চার বছর। প্রথমদিকে কষ্ট করে শেফের কাজ করতেন আর বেনিফিট নিতেন। এখন প্রাইভেট ট্যাক্সি (উবার) করেন। প্রতিমাসে আবার ইতালি যান সেখানে তার নিজস্ব একটি দোকান আছে যা ভাড়া পান তা নিয়ে আসেন। ভদ্রলোক আমাকে জানালেন জীবনের সব চাহিদা মিটে গেছে শুধু একটা পুত্র সন্তান হ'লেই তিনি খুশি। আমি বললাম এদেশে মেয়ে হলে তো ভালো মা বাবাকে দেখাশোনা করে আর বিয়ে দিতে কোন ঝামেলা নাই। আর ইসলামী রীতি অনুযায়ী দুটি মেয়ে হলে তো দুটি জান্নাত পেয়ে যাবেন। লোকটা যে যুক্তি দিলো তাতে আমাকে বেশ ভাবনায় ফেলে দিলো। ভাবলাম 'নাহ' মানতে হবে পুত্র সন্তান পাওয়ার পিছনে উনার পাওয়ারফুল যুক্তি হলো, মেয়ে তো আর কাঁধে করে কবর দিতে পারবে না, জানাযা করতে পারবে না, যা একটা ছেলে পারবে তাই উনার একটা ছেলে দরকার।

এর কিছুদিন পর লোকটার সাথে দেখা ও তার হাতে বেশ কিছু কাগজপত্র । কুশল বিনিময় করে জানতে পারলাম উনি আইনজীবীর কাছে যাচ্ছেন। কোন বিষয় নিয়ে আইনজীবীর কাছে যাচ্ছেন তা জানার আগে হাসিমুখে বললেন, আপনাকে তো জানানো হয় নাই আমার তো একটা পুত্র সন্তান দুনিয়াতে এসেছে। উনার হাসিমাখা মুখ দেখে ভালো লাগলো। আমি বললাম তাহলেতো আপনার আর কোন আফসোস নাই! যাক, এবার তাহলে আপনি মারা গেলে পুত্র করব দিতে পারবে। তিনি হাসি দিয়ে বললেন বর্তমান যে সমস্যা আছে তা আগে দূর হোক, নইলে তো কাজ করতে পারবো না। বললাম এবার কি হলো আপনার! তিনি কাতর স্বরে জানালেন, মাস খানেক আগে যেদিন পুত্র সন্তান জন্ম নেয় সেদিন তিনি কাজে ছিলেন। হাসপাতাল থেকে ছেলে হয়েছে এমন ফোন পেয়ে তাড়াতাড়ি করে আসতে গিয়ে রেড ট্রফিক লাইট ক্রস করেছেন। কিন্তু বেরসিক ড্রাইভিং লাইসেন্স অথরিটি সিক্স পয়েন্ট দিয়ে দিছে। এখন আইন অনুযায়ী আগামী এক বছর গাড়ি চালাতে পারবেন না এবং পরবতীতে আবারো ড্রাইভিং পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে লাইসেন্স আনতে হবে। এখন আপিল করবেন যদি কোন সুরাহা হয়ে যায় ৷যদিও আপিল জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ( উল্লেখ্য ইউ,কের মটর আইন অনুযায়ী একটি ফুল ডাইভিং লাইসেন্সে ১২ পয়েন্ট থাকে,ডাইভিং অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী লাইসেন্সে পয়েন্ট ও সাথে জরিমানার বিধান আছে )

১) পুত্র সন্তান পাওয়ার আকুতি কারো নেই বললে ভুল হবে আর সে চাহিদা কোনদিন শেষ হবে না।
২) পুত্র সন্তান যে কতভাবে আবেগপ্রবণ মা-বাবাকে লালবাতি দেখায় তার কোন হিসেব নেই।
৩) আমারা যতই সুবিধা ভোগ করি না কেন আরো বেশি আদায় করে নেওয়ার কৌশল চলতেই থাকে।

আরো পড়ুন -
গড ইজ স্মাইলিংং টু'ডে,নোট -০১
ইউ আর এ পাকি বয়, নোট -০২
একজন বিদেশীনীর বঙ্গ দর্শন,নোট-৩
বন্ধুর কৃতজ্ঞতাও থ্রি ডাব্লিউ,নোট-৪

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৯ রাত ১১:০৭

সুমন কর বলেছেন: আমরা যতই শিক্ষিত হই না কেন, মনের অন্ধকার কুটিরে হলেও, "ছেলে সন্তান চাই"....এমন একটা ইচ্ছে থাকবে !! এটাই বাস্তব সত্য !! যা হোক, আমার এসব নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। শুধু সুস্থ আর স্বাভাবিকভাবে বেড়ে মানুষ হয়ে উঠুক, এটাই চাই।

লেখা ভালো লেগেছে। +।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ১২:৪২

বলেছেন: প্রিয় দাদা,
মানুষ হয়ে বেড়ে উঠুক এটাই হোক মহান ব্রত।
আপনার মন্তব্যের চুম্বক অংশে নিহিত আছে আমার পুরো নোটবুকের চাওয়া - পাওয়া।

ভালে থাকুন।

২| ০৩ রা মে, ২০১৯ রাত ১১:২১

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: 'মেয়ে তো আর কাঁধে করে কবর দিতে পারবে না, জানাযা করতে পারবে না, যা একটা ছেলে পারবে তাই উনার একটা ছেলে দরকার।' কি পাওয়ারফুল যুক্তি....

তবে ভাই, মায়ের ক্ষেত্রে যে সন্তানই আসে তাই নিয়েই সন্তুষ্ট থাকে। সত্যিকার অর্থে কোন মা এর জন্য আফসোসও করে না বলে আমার ধারণা। আর অনেক মহিলাই আছেন যারা চায় তাঁদের নাতি না হয়ে নাতনি হোক। নিজ চোখে এমনটা দেখা।

আর মেয়ে হলে পুরুষদের একটি আক্ষেপ থেকেই যায়... পুরুষরাও মেয়ে হোক চায়। তবে তখন চায় যখন দেখে তার সবগুলো সন্তানই ছেলে। তখন মেয়ের জন্য সব পিতার হৃদয়েই হাহাকার থাকে। এটাও নিজ চোখে দেখা।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ১২:৪৫

বলেছেন: ভাই,
আপনার মন্তব্যের ভক্ত হয়ে গেলাম,

সুস্থ সন্তান বেড়ে উঠুক আদর সোহাগ ও ভালোবাসায়।
তাদেরকে যেন ছেলে ও মেয়ে বলে হিনতার পরিচয় না দেয়।

আমার নিজেরও তেমনই দেখা ছেলে হলে মেয়ে চাই, আর মেয়ে হলে ছেলে চাই আসলে চাহিদার কোন শেষ নাই।

সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন।

৩| ০৩ রা মে, ২০১৯ রাত ১১:৩৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
ল ভাই,
ছেলে- ই কে দেয়/মেয়ে_ই কে দেয়? জন্ম মৃত্যু বিয়ে --এইতিন বিধাতা নিয়ে ,এ কথা আমরা সবাই জানি। তারপরও প্রত্যাশার শেষ নেই আশা'রও শেষ নেই, যেন বংশ রক্ষা হয় না ছেলে সন্তান না হলে। সব শ্রেণীর লোকদের এরকম একটা ধারণা থেকেই থাকে। পোস্টে ভালোলাগা রইল। শুভ রাত্রি।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ১২:৪৮

বলেছেন: বাহ!!

অসাধারণ মন্তব্য করেছেন।
বংশগতির মৌলিক ধারক কি শুধুই ছেলে এটা কি আমাদের দৈন্যতা নয়!
সমাজ সচেতনতা বৃদ্ধি পাক।
ছেলে মেয়েতে কোন ভেদাভেদ না করি।

ভালো থাকুন।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৩ রা মে, ২০১৯ রাত ১১:৪১

মুক্তা নীল বলেছেন:
১নং মন্তব্যে সুমন কর দাদা'র মন্তব্য খুব ভালো লিখেছেন
অল্প কথায়।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ১২:৪৯

বলেছেন: কবিরা কম কথায় সব বলে দেয় এটা মনে হয় তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ।
দাদা মন্তব্যে অসংখ্য প্লাস।


আবারো আসার জন্য কৃতজ্ঞতা।

শুভ কামনা।

৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ১:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



সন্তান ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ। তবে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে বাবা মা বৃদ্ধ হলে অনেকটা ছেলেদের উপর ডিপেন্ডেবল হয়ে যান। তবে বাবা মায়ের দেখাশুনা মেয়েরাও কম করেন না।

সুন্দর এ বিষয়টি তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ প্রিয় র. লতিফ ভাই।।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৩:৩৯

বলেছেন: কনস্ট্রাকটিভ মন্তব্যে আপনি পারদর্শী এটা নতুন করে বলার নেই।

এটা অনেকাংশে সত্য যে মেয়েরা আজকাল ছেলেদের তুলনায় মা বাবাকে অনেক বেশি খেদমত করে থাকে।

যে কোন সন্তান নিয়ে আমরা খুশি থাকি এটাই চাওয়া।


ভালো থাকুন।
।সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ২:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: উনার কি ১২ পয়েন্টএর মধ্যে মাত্র ছয় পয়েন্ট-ই ছিল? লাইসেন্স বাতিল হলো কিভাবে?

যাইহোক, সন্তান তো সন্তা্নই। ছেলে-মেয়েতে পার্থক্য করা, সে যে যুক্তিই হোক না কেন.......আমার মতে গ্রহনযোগ্য না। এগুলো কোন শিক্ষিত মানুষের কাজ না।
আমার তো মনে হয় উনার চারটা ছেলে দরকার মারা যাওয়ার পর উনাকে বহন করার জন্য! ;)

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৩:৪১

বলেছেন: মফিজ ভাই,
আশাকরি ভালো আছেন!

লাইসেন্সে আগেই পয়েন্ট ছিলো - এটা এড করে দেবো।

ধন্যবাদ।

চারটা ছেলে হোক -- হাসালেন ,, আপনার দোয়া উনাকে পৌঁছে দিবো।

ভালো থাকুন।
শুভ কামনা।।

৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ ভোর ৬:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমার মতে বর্তমান কঠিন যুগে এক সন্তানই ভাল।
যদিও এখানে পার বাচ্চা ২ হাজার ডলার ভাতা পার ইয়ার।
বাচ্চার বয়স ২১ পর্যন্ত। আরব অধিবাসীদের দেখা যায় হালি হালি বাচ্চা।

এখানকার বেশিরভাগ স্টেটে ৬ পয়েন্ট পেলে লাইসেন্স বাতিল। ৬ মাস। পয়েন্টের চেয়ে জরিমানাটা মারাত্মক। পার অকারেন্স ৫০০ থেকে ৩০০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ সকাল ৭:০০

বলেছেন: বড় ভাই,
আপনার অবজারভেশনে কোন দ্বিমত নেই।
সন্তান লালন পালন অনেক কষ্টের ব্যাপার তাদের মানুষ করে তোলাও শ্রমসাধ্য।
বৃটিশ সরকার আগে শিশু প্রতি সাপ্তাহিক ভাতা ২২ পাউন্ড দিতো এখন তা কর্তন করে দুটি শিশু পযর্ন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছে।

আরবরা তো রোহিঙ্গাদের জমজ ভাই-বোন তাই তাদের সন্তান নিতে কোন অসুবিধা নেই।
অবশ্য বেশি সন্তান নিলে বেহেশতে পাওয়া যায় কি না!!

সময় করে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।

ভালো থাকুন।

৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ সকাল ৭:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় লতিফভাই,

এ এক কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরলেন। পুত্র সন্তানের আগমনে মিস্টার উদ্দিনের আনন্দের আতিশয্যে এরকম ছোটখাটো ভুল করাটা অবশ্য খুবই স্বাভাবিক। পরে যখন ভুলের মাশুলটা বুঝতে পারেন তখন আর উনাদের তেমন কিছু করার থাকে না। পরিবার পরিজনদের নিয়ে ভোগান্তি হা হুতাশে তখন ভাগ্য নিয়ন্তা হয়ে দাঁড়ায়। হ্যাঁ আশার বলতে একমাত্র পুত্র সন্তানের মুখে আধো আধো হাসি, এটাই কেবল সান্ত্বনা।
অবশেষে বিদ্রোহী কবির কথাটি,
" এই বিশ্বের চিরকল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী,
অর্ধেক তার নর।"
আমরা আজও এ কথার মানে বুঝলাম না।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ সকাল ৭:১৫

বলেছেন: আহ দাদা,

এমন মন্তব্যে আলোর মশাল জ্বলে উঠে। আসলেই বড্ড কঠিন বাস্তবতা মানুষের চাহিদা যে অসীমের পানে সেটা বুঝাতে অসুবিধা নেই। সু-সন্তান কামনার চেয়ে পুত্র সন্তান কামনায় রত সে পিতার অস্থিমজ্জায় লালিত স্বপ্ন কতটা সুখের তা জানা নেই।

সমাজ আলোকিত হোক আপনাদের মতো সুজনদের হাত দিয়ে এই কামনা।
ফণীর ভয়াবহতা থেকে আপনিসহ গোটা পরিবার নিরাপদ আছেন শুনে খুশি হলাম।

ভালো থাকুন, আশীর্বাদ হয়ে থাকুন।


৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ সকাল ৭:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি অনলাইনে আছেন জেনে আবার এলাম। গতকাল মেসেঞ্জারে কাওসার ভাইয়ের সঙ্গে আড্ডা হচ্ছিল। আপনি ওনার ফোন এর দরজায় নক করাতে উনি আমাকে লাইন থেকে হটিয়ে দিলেন। কি আর করব? বাধ্য হয়ে মনের দুঃখে ঘুমিয়ে গেলাম। হাহাহাহা... আমরা ভালো আছি। সারারাত বৃষ্টি হয়েছে।এখনো সমানে বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। ইলেকট্রিক সাপ্লাইয়ের একটু বিঘ্ন আছে। সকালে পেপারে দেখলাম ওড়িশা উপকূলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশেরও উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বিপদ সংকেত জারি আছে।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩

বলেছেন: হা হা,,
সরি,
বন্ধের দিনে ঘুমিয়ে ছিলাম, আগে মন্তব্য দেখলেও উত্তর দেয়া হয় নাই।
আমাদের আলাপের অনেক অংশ জুড়ে আপনি ছিলেন,

ভালো থাকুন।

১০| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ সকাল ১১:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: মেয়ে তো আর কাঁধে করে কবর দিতে পারবে না, জানাযা করতে পারবে না, যা একটা ছেলে পারবে তাই উনার একটা ছেলে দরকার।' কি পাওয়ারফুল যুক্তি....
চাওয়া আর পাওয়া এই নিরন্তর যুদ্ধ মানুষের জীবনে থাকবেই।
বাবা আর মার জন্য ছেলে না মেয়ে ভাল সেটা সন্তান সু নাকি কু আর পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।
ধন্যবাদ।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৮:০২

বলেছেন: বাবা আর মার জন্য ছেলে না মেয়ে ভাল সেটা সন্তান সু নাকি কু আর পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। -- অসাধারণ বচন মাই মেন্টর।ভালো থাকুন।

সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১১| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পুলা জন্ম নিয়াইতো ফাইন খাওয়াইয়া দিলো ;)

হা হা হা

হুম। মানুষ স্বভাবতই বাহানা প্রিয়! নিজের স্বার্থ পূলনে চাই নানান রংয়ের বাহানা,
জ্ঞান যতক্ষননা পূর্নতায় পৌছবে অজুহাত চলতেই থাকবে।

পোষ্টে +++

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৮:১৪

বলেছেন: হা হা দাদা,

সেটাই চাহিদার কোন শেষ নাই,,

সময় করে পড়েছেন জেনে খুশি হলাম।

ভালো থাকুন।

১২| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৪২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: কত পরিবার আছে যেখানে একটা ফুটফুটে বাচ্চার জন্য হাহাকার করা হয়। কিন্তু কিছু মানুষ এখনো পুত্র সন্তান চান। যতোই তার মেয়ে সন্তান থাক না কেন। একেই বোধহয় বলা হয় "প্রদীপের নীচে অন্ধকার"।

পোস্টে ভালো লাগা :)

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৮:১৬

বলেছেন: আলোর নীচে আধার,,

আমার জানা পরিবার আছে যেখানে ১৬ বছর থেকে একটা শিশুর অপেক্ষায় আছেন। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞান আমাদের জন্য অনেক আশীর্বাদ হয়ে আছে।
যাহোক সময় করে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।

ভালো থাকুন।

১৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইউরোপের অন্য দেশ থেকে যেসব বাংগালীরা ইংল্যান্ডে এসেছেন, ওরা আপনার বাবার পয়সা থেকে বেনেফিট নিচ্ছেন? ইুরোপে থেকেও ইুরোপকে বুঝতে পারলেন না?

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৮:৩০

বলেছেন: একজন অর্থনীতির ছাত্র হিসাবে এটা বুঝি কিছু খাটাশ মুনাফালোভি দেশে হোক আর বিদেশে হোক বাবার সম্পত্তি মনে করে সুবিধা নিয়ে যায়। এদের সামান্যতম Self-respect বলতে কোনকিছু নেই।

১৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইউরোপ, আমেরিকায় বাংগালীরা কেন ছেলে চায়, সেটা আপনার মাথায় ঢুকবে না; এসব দেশে মেয়ে মানুষ-করা কঠিন, মেয়েরা বিদেশী ছেলেদের সাথে ঘুরে, অল্প বয়সে জিং জিং শুরু করে; বাংগালী, পাকী, আরবেরা এটা নিয়ে সমস্যায় আছে; ছেলেরা জিং জিং করলে এরা মেনে নেয়, মেয়েরা বিদেশীদের সাথে জিং জিং করলে মানতে পারে না; আপনার মাথায় এসব পর্যবেক্ষণের জন্য
প্রয়োজনীয় মগজ নেই

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৯

বলেছেন: আওনার তো দেখি মাথা না বিরাট তালগাছ!!
ছেলে হোক মেয়ে হোক মানুষ করা একান্ত পরিবারের প্রধান মা -বাবার উপর নির্ভর করে।

এটা কোন রাজনৈতিক পোস্ট নয় যে পর্যবেক্ষণ করবো এটা নোটবুক ভালো করে পড়েন।

চশমা ছাড়া পড়লে যা হয় আর কি।।

১৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রবাসে বাংগালী, পাকী ও আরবেরা কেন সন্তান হিসেবে ছেলে চায়, সেটা না বুঝে, আপনি ভুল মেসেজ দিচ্ছেন; প্রবাসে মেয়েকে মানুষ-করা অনেক কঠিন।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ১০:০৪

বলেছেন: এটা একান্ত নিজস্ব মতামত ভুল শুদ্ধ নিয়ে লাঠি-সোঁটা দিয়ে মারামারি করার জন্য নয়।।


মা বাবা যেমন ঠিক তেমন সন্তান বেড়ে ওঠে।।

ভালো থাকুন।




১৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৯:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



ছেলে কিংবা মেয়ে দেয়ার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তাআলারই হাতে। তিনি যাকে যা দেন তাতেই খুশি থাকা উচিত। অবশ্য ছেলে সন্তানের জন্য একটি সুপ্ত ইচ্ছে অধিকাংশ লোকেরই বুঝি থেকে থাকে।

আপনার শেষের নীতিকথাগুলো সবসময়ই সুন্দর হয়।

পোস্ট ভালো লাগলো। শুভকামনা সবসময়।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ১০:০৫

বলেছেন: আললাহ আমাদের বুঝার তাওফিক দান করুন।


সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবা৷।

১৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৯:৫২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ছেলে কাঁধে করে না নিলে কি কোন মানুষের লাশ দাফন হয়না ?

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ১০:০৯

বলেছেন: এমন কথা তো শুনি নে যে কারো লাশ দাফন হয়নি বরং ছেলে স্বচ্ছল থাকা অবস্থায় অনেক পিতা অসহায় দিনাতিপাত করে এরা মরার আগেই মরে যায়।
আবার ছেলে থাকা সত্বেও বাবার জানাযায় অংশগ্রহন করে না এমন অহরহ কাহিনি আছে।
আত্ন সন্তুষ্টি কিভাবে মিলে সেটাই হয়তো মানুষের জানা নেই।

ভালো থাকুন।
সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ১০:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ল,



আপনার এই "দ্য নোটবুক" পোস্টে এক একটি নোট থাকে যা ভাবায়, অবাক করে।
এই নোটটাও অবাক করার মতো।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ১০:১৩

বলেছেন: আহ!!

প্রশান্তির ছোঁয়া দিয়ে গেলে আপনার এমন যাদুকরী মন্তব্যে।

আপনার সবগুলো মন্তব্য দিয়ে বিশাল গবেষণার সাবজেক্ট হয়ে যাবে।

আপনাদের কাছ থেকে প্রতিদিন শিখি৷
আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
ভালো থাকুন।

১৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ১১:২০

করুণাধারা বলেছেন: পোস্টের শেষে দেয়া তিনটা বাক্য নিয়ে অনেকক্ষণ ভাবলাম, আপনি গভীর জীবন- দর্শন মাত্র তিনটা বাক্যে প্রকাশ করেছেন.....

এইরকম বাবার মেয়েরা খুব মনোকষ্টে থাকে, সব সময় একটা হীনমন্যতা তাদের ঘিরে রাখে; মনে হয় তাদের কোন দোষ আছে, তারা ভালো নয়...... এই জিনিসটা বাবার জন্য ইহ-পরকালে কখনো কোন কল্যাণ বয়ে আনে না।

চমৎকার পোস্টে লাইক।

০৫ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৩২

বলেছেন: আপনার আবেগঘন মন্তব্য দেখে অনেকক্ষণ "থ" হয়েছিলাম। একজন মেয়ের কাছে পিতামাতার মূল্য ছেলেমেয়ের নিক্তিতে মাপে না।
বাবাদের ভালোবাসার প্রকাশে ছেলেমেয়ে এই ভেদাভেদ বেআইনী মনে হয়।

সব পিতামাতা শুদ্ধ মন নিয়ে ভালোবাসুক নিজ সন্তানকে এটাই কামনা।

আপনার মন্তব্য পেয়ে মনটা ভালো হয়ে গেলো। কিছু লোক কোনকিছু না বুঝে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে এদের হেদায়েত হবে কি না জানিনা।

ভালো থাকুন সবসময়।
শুভ কামনা নিরন্তর।

২০| ০৫ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৪

আরোগ্য বলেছেন: জ্বরের প্রকোপে বিগত কয়েকদিন ব্লগে আসতে পারিনি। আশা করি ভালো আছেন বড় ভাই।

আল্লাহ মানুষের মনের সৎ ইচ্ছাগুলো পূর্ণ করুক।

০৫ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৩০

বলেছেন: দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি...



রমজান মোবারক

২১| ০৫ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার বইগুলোর উপর কিছু রিভিউ ছাড়েন; দেখি, কি নিয়ে লিখেছেন।

০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১:৫৭

বলেছেন: আপনার জানার আগ্রহ দেখে ভালো লাগলো।
আমার প্রথম প্রকাশিত বই ২০০১ সালে, আপনি কি তখন লেখালেখির সাথে জড়িত ছিলেন?

আমি একটি বিষয় নিয়ে একটা আর্টিকেল লিখছি আপনি সাহায্য করতে পারেন মনে হয়।
A comparison between UK & USA policing & BD Policing system,,,, ডাটা, তথ্য উপাত্ত দিয়ে সাহায্য করতে পারবেন কি!

আপনার সাথে যৌথ প্রকাশনার কথা চিন্তা করছি -

২২| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১:৪৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আপনার ভাবনায় ভালো লাগা।আসলে পূত্র আর কন্যা সন্তান বড় কথা নয়।বড় কথা হচ্ছে তাঁদের সহীহ তাকওয়া শিখিয়ে দিয়া।কারন কাল কেয়ামতের ময়দানে প্রতিটি বাবা-মাকে নিজের সন্তানের কর্মের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।

যদিও আমার কথাটা অনেকের কাছে হয়তো তিক্ত লাগতে পারে কিন্তু আমি সত্য বলতে দ্বিধাবোধ করি না।

সুন্দর একটি বিষয়ে লিখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ২:২৭

বলেছেন: আপনার কাছ থেকে এ ব্যাপারে আরো লেখা চাই -

বাবা মায়পর উদাসীনতা কি সন্তান নষ্টের জন্য দায়ী!?? নাকি সন্তান নিজেই দায়ী?
লিখবেন আশাকরি।


পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন।

২৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২৫

ইসিয়াক বলেছেন: আসলে আমাদের মধ্যে মধ্যযুগীয় ধ্যান ধারনা এখনো চরমভাবে বিরাজমান।
শুভকামনা রইলো প্রিয় ভ্রাতা ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪০

বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন প্রিয় ভ্রাতা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.