নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেট'স ট্র্যাভেল

দেখতে চাই বাংলাদেশ, দেখাতে চাই পৃথিবীকে...

লেট'স ট্র্যাভেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনে পরে ভয়ঙ্কর সেই রোমানাপাড়া টু প্রাঞ্জলপাড়া

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

লেখা চলমান:



পাহাড়ে যাওয়া হয় না অনেকদিন, শেষবার বর্ষায় মেঘ, বৃষ্টি ও ঝড় ফলাফল তল্যাংময় অভিযান পন্ড, এখন শীতের শুরু তাই আবার মন ছুটে চলছে পাহাড়ে আঁকাবাঁকা মেঠো পথে। বছরের শেষ সময় অফিস ছুটি দিবে না, সামনেই ঈদ-উল-আযহা তাইত লেটস ট্রাভেলের বৈঠকে সবাই মিলে দিন ঠিক করলাম আঠাশে অক্টেবর। ঈদের পরে যাচ্ছি তাই দলটা বেশ বড় অগত্যা আজ রাতের বাসেই রওনা হলাম। ঈদের পর তাই বান্দরবনের বাসের টিকিট না পেয়ে শ্যামলী পরিবহনের করে চলে এলাম চট্রগ্রাম জিইসি মোড়ে ঘড়ি কাঁটায় চারটা অপেক্ষা করছি চট্রগ্রামের বন্ধু মিজানের জন্য, বাস চলে এল বান্দরনের কিন্তু ওর দেখা নেই তাই সাক্ষর বদ্দারহাট থেকে বাসে উঠানোর পরামর্শ দিল। বদ্দারহাটে ফ্লাইওভারের আড়ালে পড়ে দলছুট মিজান, উপায় নেই তাই ওকে পরের বাসে করে আসতে বলা হল।

ভোরের আভা কাটিয়ে সকাল আমরা সবাই নেমে পড়লাম বান্দরবন, কিছুক্ষন পরেই দলে যোগ দিল মিজান। সারারাতের ক্লান্তদেহ খানি সাথে নিয়ে আমরা ছুটে চললাম রুমা বাজারের উদ্দেশ্যে। পাহাড়ের বাসের ছাদে সাক্ষর, তারপর নৌকাযোগে চলে এলাম রূমাবাজার।

রূমা যাটে আমাদের অপেখারত ধ্রূ বাড়ন বম, পূরনো তাই ঢাকা থেকেই সব ঠিক এক অজানা পথের যাত্রী হিসাবে দলভুক্ত করেছি। আমরা তৌরি আগামী দিনের বাজার সদাই সহ বিকেল বেলায় রওনা দিলাম বগা লেকের উদ্দেশ্যে। রুমা বাজারে মৈ দিদির সাথে দেখা তাই তাকে নিয়ে চান্দের গাড়িতে উচু নিচু পাহার পেরিয়ে পোছে গেলাম বগা লেক। সারারাতের ক্লান্ত দেহ নিয়ে মাসুম ও মিজান বমি করতে করতে বগালেকের পাহাড় পেরিয়ে চলে এলাম মৈ দিদির অতিথি যরে। বগালেকে গোসল ছেড়ে খেয়ে নিলাম সবাই তারপর আড্ডা চলল মধ্যরাত পর্যন্ত ।

বগালেকের পরিবেশ সম্পর্ক কিছু না লিখলে অন্যায় হবে কারন পিকনিক স্পট যাকে বলে, কপোত কপোতিদের হৈ হুল্লার যেন প্রক্রিতির মায়ামায়ি এই স্থানকে রক্তে রঙ্গিয়ে দিয়েছে। আধিবাসিদের এই পাড়ায় প্রথম পদাপ্রনের সাথে আজকের এই অবস্থানকে কিছুতেই মিলাতে পারছি না। যার চরম প্রকাশ যতেছে মাথা গুজার জন্য যখন দুইশত টাকা ধার্য করা হয়। ব্যবসায়িক ধারনার চরম অবনতির ----- হায় যেন বগালেক পাড়াকে বেশিদিন বহন করতে না হয় সেটাই চিন্তা করে যুমিয়ে পড়লাম।

ভোরে উঠতে পারিনি তাই দেরি হয়ে গেল বেরিয়ে পড়তে,বগালেকের পাহাড় পেরিয়ে চিংড়ি ঝড়নায় নাস্তা সেরে নিলাম বিনা অনুমতির পাকা পেঁপে দিয়ে। দার্জিলিং পাড়ায় চা ব্রেক তারপরক ------- সামিট --- দার সাথে করে সবাই চলে এলাম পাসিং পাড়ায়। দুপুরের খাবার পাসিং দার বাড়িতে তাই মোরগ জবাই দিয়ে আনিসের নেতৃত্বে সবাই চলে গেলাম জাদিপাই পাড়াহয়ে জাদিপাই ঝর্নায় জলে গোসল করতে । ধ্রু বমের জ্বর তাই থেকে গেলাম কিন্তু ফয়সালের খোচা মারার কথার জবাব দিতেই মাথায় লুঙ্গি পেচিয়ে রওনা হলাম জাদিপাইয়ের পথে ।

বর্ষার জ্বলন্ত জাদিপাইকে দেখার পর মন চাচ্ছিলনা ওই হাজার ফুট আবার উঠি বলতে দ্বিধা নেই বর্ষার এইরূপ দেখে জাদিপাই থেকে উপরে উঠতে বিরক্তিকর কথা যা আমার মনে পড়ে সবসময় কিন্তু ঐ ফয়সালের খোঁচা তাই কোন দিক না তাকিয়ে ভোঁ-দোরে ওদের পিছু নিলাম পৌছেউ গেলাম সবার আগে। রংধনুর সাজে জাদিপাই ঝরনা তাই যন্টাব্যপী গোসল সেরে উপরে উঠার পালা কিন্তু পায়ের মাসেল কাজ করছে না আমার জীবনা প্রথম কোন মানসিক ভাবে দুবল যার ফল পায়ের মাসল কাজ না করা। তাই মাসুমের সাথে আস্তে ধরে উপড়ে এসে দুপুরের খাবার তৌরি নতুন পথের খোঁজে পাসিং পাড়ার মেযের আগমন সৌন্দযের স্বর্গ, ফটোসেশন শেষে আজকের গন্তব্য সান সুং পাড়া । পাসিংপাড়ায় বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হেঁটে চলেছি আধিবাসি পাহাড়িদের সবচেয়ে বড় সান সুং পাড়ার উদ্দেশ্যে। আমার পৌছে গেছি কিন্তু রাত, সহায় ধ্রু বম সুতরাং থাকার ব্যবস্থা হল। এখন রান্নার পালা যার সকল উপাদানই আমাদের সাথে সুতরাং দেরী না করে রাধুনী আনিস সহ জগা খিচুরী ডিম ভাজি খেয়ে যুম। ভোর সারে চারটায় উঠে দেখি উজ্বল ও মিজান জ্বর ব্যাথায় কাত কিন্তু আমাদের যেতে তুবলং ডাবল ফলস অভিযান। টচের আলোয় নামতে নামতে জঙ্গল তারপর ঝিড়ি-টিলা পেড়িয়ে ভোরের আলোয় পৌছে গেলাম প্রতীক্ষিত তুলবং ঝড়নায় । আমরা চলে এসেছি রেমাক্রি খালের যার কেন্দ্রস্থল হল তুবলং ,অপরুপা তুবলং রংধনুর রঙ্গে সেজেসে ভোরের আলোয় যার সাথে মেযের আনাগুনাতো রয়েছে । মিজান সারাপথ যে সাক্ষরের সহযোগিতায় এসেছে , তুলবং যেন তার সেই কষ্টের উপশ্ম হয়ে দেহের সকল ব্যাথা নিবারন করেদিয়েছে ধ্রু,ফয়সাল,মাসুম,ও আনিস উধাও ফিরে এলে জানতে পারলাম আনিসের গামছাটা রেমাক্রির খালে ভেসে গিয়েছে জঙ্গলে প্রাক্রিতির ডাকে সারা দিতে গিয়ে। ফিরে যেতে হবে এখন ,জঙ্গল কেঁটে আবার টিলা পেরিয়ে ঝিড়ি ধারে কিছু সময় বিশ্রাম,হঠাৎ মানুষের শব্দে দেখা পেলাম গাইও কামাল তারপর পরিচয় পর্ব শেষে মেহেদি,রানা এবং শুভদের দলের সাথে। আমরা এত সকালে তাও ফিরে যাচ্ছি দেখে ওরা কিছুটা ওবাক হয়েছে কিন্তু আমাদের যেতে হবে তাই বিদায় নিয়ে চলে এলাম সান সুং পাড়া। উজ্জলের অবস্থা কিছুটা ভাল তাই নাস্তা সেরে রওনা হলাম আজকের গন্তব্য রোমানা পাড়া উদ্দেশ্য। সান সং পাড়ার আর্মি ক্যাম্প পেড়িয়ে চলে এলাম মুংসাই বমের বাড়িতে। সবাই কেমন যেন পরিশ্রান্ত যদিও দুপুর হয়েছে তাই খাবারের ব্যবস্থাটা দিদির হাতে দিয়ে আমরা চলে গেলাম গোসল করতে জীন সিয়াম সাইতাম এর চার ধাপের ঝড়নার দর্শনে । আমরা তেঁতুল লবন নিয়ে চলে গেলাম সর্ব নিচে জীন সিয়াম সাইতাম চতুর্থ ধাপে যেখান থেকে রুমা খালের উৎপতি ---- তারপর বাঁশ বেয়ে চলে এলাম ----- ধাপে তারপর পাহাড় বেয়ে দ্বিতীয় তারপর টারজান এর মত প্রথম ধাপ। সৌন্দযের সমাহার ও রোমাঞ্চকর এক অভিযান এটি সেখান থেকে সবাই ওপরে হতে এসে দুটি ধাপ দেখেই আবার উপর দিয়েই চলে যায়। সেখানে উপরে উঠতে উঠতে আমাদের টারজানরা একদম খাঁটি টারজান হগে গেছে,যদিও মাঝে মধ্যেই ধ্রু কেউ ভয় পেতে দেখেছি । মিজানকে রশি নিরাপত্তায় কয়েক জায়গায় তুলতে হয়েছে কারন ভয় আতঙ্কে তার হাত ,পা কাপছিল। জিন সিয়াম সাইতারের চারটি ধাপ পেরিয়ে চলে এলাম জিন সিয়াম সাইতারের ডাবল ফলস । ছোট পনের থেকে বিশ ফুট কিন্তু ------------ প্রথমবারের মত ঝড়নার ভেতর দিয়ে রক ব্লাইডিং সফল ভাবে করতে পেরে আমি বেশ উল্লাশিত, আমার ফিরে আসছি দেখা হল আরেক দল ভ্রমন পিপাসুদের কিছু উপদেশ দিয়ে বুঝতে পারলাম



রোমানা পাড়ায় বিকালে সবাই মাচাং যরে যুমিইয়ে কাটালাম, সন্ধ্যা নেমে আসছে রাতের খাবারের আয়োজান করতে হবে তাই জগাখিচুরি সাথে মুরগির ঝোকের আয়োজন সম্পন্ন করলাম। সবাই রাতের খাবারের অপেক্ষায় এদিকে ফেসবুক বন্ধু মুন ও রতন দেখা করতে এসেছে। রোমানাপাড়া যেন ফেসবুক আড্ডা সেই সাথে কিছু আলোচনা কারন সকালে দেখা হবে না তাই বিদায় জানালাম। রাতের খাবারের পর দেখা হল গাইড কামালের সাথে ,সে জানালো ওর সাথে যারা ররেছে তারা যাবে তিন মাথা, কিন্তু কারবারি জানালো আরকান বাহিনী মাঝে মধ্যেই হানা দিচ্ছে ইতিমধ্যে মেহিদি রানার সাথে দেখা হল এবং জানালাম আমরা যাচ্ছি সেপ্রুপাড়া , রাইক্ষাং ক্যানেল হয়ে প্রাঞ্জল পাড়া। মেহেদি ও রানাদের দলটি ঐপথে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে , অগত্যা সবাই আগামীকাল ভোরে বেরিয়ে যাবার কথা ঠিক হল। রোমানাপাড়া থেকে স্থানীয় একজনকে সাথে নিয়ে যাব আমরা রাইক্ষাং খাল ---- তারপর ক্যানেক ধরে সোজা ------ পাড়া তারপর আমাদের গন্তব্য প্রাঞ্জলপাড়া। রাত হয়েছে নিশ্চুপ মোরগ ডাকে যুম ভাঙ্গে গেল সবাই উঠেছে অন্ধকারে কিন্তু মেহেদির খবর নেই, ধ্রু গেল ডাকতে জানাল ওরা নাস্তা খেয়ে বের হবে। অপেক্ষার পালা শেষ হলো যন্টা বাদে ------ স্থানীয় গাইড বদলিয়ে দুজন তরুণকে দিল যারা ঐ পথে যাবে কাজের সন্ধানে। সবশেষে রওনা হলাম আমরা এগিয়ে চলছি জুম রাস্তায় সেপরু পাড়ার নীচ দিয়ে পাহাড়ি ঝিড়ি দিয়ে রাইক্ষাং খাল। রোমানাপাড়া থেকে রাইক্ষাং খাল পর্যন্ত পৌঁছাতে আমাদের দুপুর হয়ে গেল। আমাদের পেটে দানা পানি কিছুই পড়েনি ক্ষুধার্ত সবাই তাই রাইক্ষাং খালে নুডুলস সুপ ব্রেক। রান্না হচ্ছে নুডুলস সুপ সাথে কলা পাতার প্লেট ও কি সেই স্বাদ চারটি ফ্যামিলি প্যাক দিব্বি শেষ । আমাদের পরে মেহেদিদের জন্য ঐ একিই রেসিপি এবং অবস্থা একই। রাইক্ষাং খালে নাস্তার সাথে স্বরনীয় গোসল। যন্টা দেরেকের বিরতি শেষে আবার পথ চলা । ক্যানেলের ধারে কখনো এপাশ কখনো ওপাশ পিচ্ছিল পাথরে আছাড় যে কয়েক বার খেলাম তার ইয়ত্বা নেই, আর আমি একবার খেয়েছি ভাগ্যিস মেহেদি ছিল এতটুকু মনে রয়েছে। রাইক্ষং ঝিড়িতে পাথরের পরিমান কম আসছে বুঝতে পারলাম আমরা পৌছে গেছি স্রেন্দা ফলস। স্রেন্দা ফলস সম্পর্কে কারও ধারনা নেই দেখে অবাক লাগল কিন্তু আমার স্বপ্ন ঐ স্রেন্দা তাই সবাইকে জানালাম কিন্তু সংঙ্গী শুধু গাইড কামাল। ক্যামারা দু জন দুটি নিয়ে এক দৌরে তারপর কিছু সময় পর ফিরে এলাম দলে,আবার পথ চলতে শুরু করলাম লাল বালি ঝিড়ির পথে। বন জঙ্গল পারি দিয়ে মানুষের পদচারনার লক্ষন দেখা যাচ্ছে বুঝতে বাকি রইল না যে আমরা পৌছে গেছি চির চিং পাড়া। গ্রামটি চমৎকার কিন্তু মানুষগুলো যে কেমন কিছুক্ষনের মাঝেই দল বেধে পাড়ার লোকের আগমন, কয়েক জন ভালই বাংলা জানে তাই অসুবিধা হলো না কিন্তু ধ্রুর সাথে আলাদা কি যেন পরামর্শ করে আমাদের জানানো রাতটা এখানে থেকে যান যখন বঝল আমাদের আগ্রহ নেই তখন পাহাড়ি মদ লাগবে কিনা জানতে চাইলো গাইড ,কামাল আলাদা হয়ে গেল বঝলাম বেশীক্ষন থাকা যাবে না। প্রাঞ্জলপাড়া থাকার জন্য এখান থেকে ঝিড়ি পথে না গিয়ে পাহাড়ি পথ বেয়ে যাওয়া যায়। সবাই চরম মাত্রায় ক্ষুধাথ---- বলার অপেক্ষা রাখেনা মন চাচ্ছেনা ঝিড়িপথ ছেড়ে পাহাড়ি পথে যাই অগত্যা সবাই পাহাড়ি পথে যাত্রা মজার ব্যাপার হলো রাইক্ষাং ক্যানেল ছেড়ে ভালই লাগছে অনন্ত প্রকৃতির ভান্ডারের কমতি নেই জুম ক্ষেতের ধান সাথে কলার থুর মাঝে মধ্যে কাঁচা-পাকা পাহাড়ি কলা মন্দ নয়। আমাদের শুকনা খাবার শেষ হয়ে গেছে কিন্তু চাল-ডাল এখন বাকি তাই মাঝে মধ্যেই ছাগলের মতো চাপার জোর পরিক্ষায় মেতে ওঠে। বিকেল গরিয়ে সন্ধ্যা আমরা চলে এসেছি পুকুর পাড়া কিয়েকজনের সাথে কথা বলেই বুঝতে পারলাম প্রাঞ্জল পাড়ায় যাওয়া হচ্ছে না কারন সেনাবাহিনীর নিষেধ তাই রাতটা পুকুরপাড়ায় থাকতে হবে। পুকুর পাড়ায় আমাদের আশ্রয় দিল সুজন ত্রিপুরা সেই সাথে রাতের খাবারের আয়োজনটা ঊনার ঊপর ছেড়ে দিয়েছি । ------ পর পর আলো রয়েছে সুজনদার পরামর্শে গোসল করতে গেলাম প্রাঞ্জিল পাড়ায় অবস্থিত রাইক্ষাং লেকের যাট পাড়ে। সারাদিনের ট্রেকিং তারপর লক্ষে পৌছানো তাই রাইক্ষাং লেকের জলে ডুব না দিয়ে ফেরার পাত্র যে নই। চার্চ পেরিয়ে নিচে নেমে যাচ্ছি হঠাৎ বিশ ফুট এক গাছের সিড়ি পাহাড় থেকে নীচে নামার, তারপর কাঁদা পেরিয়ে কিছুদুর আবার পাহাড় থেকে নীচে ---- পোকার পাহাড় ভিটা পেরিয়ে আমরা ডুব দিচ্ছি রাইক্ষাং লেকের অথৈ জলে। চারিদিকে অন্ধকার জোঁধ --- বসেছে তাই ফেরার পালা ভুলে কেউ টর্চ নিয়ে আসেনি যার ফলাফল সাক্ষর পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা দিচ্ছে আর বলছে “ এই আনিস উপরে উঠ” অমনি উপর থেকে আনিছের জবাব “তুই কই আমিতো উপরে” কেউ বুঝতে পারেনি কে কোথায়। তারপর কাঁদামাখা পা কোন রকমে ধরে যরে প্রবেশ। সুজন দা খাবার দিলেন একদল ক্ষুদাথ--- বাযের মাঝে কিছুক্ষনের মধ্যেই সব সাবার তারপর কোন কাজ নেই যুম আর যুম।

রাতে যুম হয়েছে সকালে নাস্তা খেয়ে বেরিয়ে পরতে হবে রাইক্ষাং ফলসের পথে, উজ্জলের জ্বর আর মাসুমের অনিচ্ছা তারপর আমাদের যাত্রা। গত রাতে পথে যাচ্ছি হঠাৎ সাক্ষরের অট্টাহাসি সুনে বুঝতে বেশি দেরি হল না এক সাথে সবাই হেসে উঠলাম। প্রাঞ্জল পাড়া এসে গেসি আদিবাসি ত্রিপুরা গ্রাম সবাই কর্ম ব্যাস্ত এরই মাঝে জাতীয় সংগীত গাইছে ছোট ছেলেমেয়েরা, স্কুল চলছে আমরাও চলছি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বচ---- পাহাড় শৃঙ্গ ডুমলং।

আমাদের ডুমলং সামিটের কোন ইচ্ছা নেই,তাই বা পাশের পাহাড় বেয়ে চলে এলাম রাইক্ষাং ফলস । এক কথায় অসম্ভব সুন্দর ভরা পানির শ্রোতে ভেসে চলেছে, ভিজতে ভিজতে ফটোসোট সেই সাথে গোসল। রাইক্ষাং ফলসে জলের কলকল শব্দে যড়ির কাটা এগিয়ে গেল অনেকদুর তাইত একবার ফিরে চলার পালা। ডুমলং কে দেখে চূড়ায় উঠতে ইচ্ছে করল কিন্তু হাতে সময় নেই, আজ আমাদের সৈকতপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা করতে হবে। স্বাক্ষর তার ডি এস এল আর ফেলে এসেছে রাইক্ষাং ফলসে ভাগিস প্রাঞ্জল পাড়ার কাছাকাছি,এক ভৌ দৌড়ে চলে এল মেহেদি ও গাইড সাথে ওরা পেয়ে নিয়ে এসেছে। প্রাঞ্জল পাড়া থেকে রাইক্ষাং লেক তারপর পাহাড় বেয়ে পুকুরপাড়া ফিড়ে এলাম, যারা যাইনি তারা তৌরি হয়ে অপেক্ষায় আমাদের তাই দেরি না করে আবার ট্রেকিংয়ের পথে রওনা দিলাম। আমাদের পরবতী লক্ষ আনন্দপাড়া বয়ে সৈকতপাড়া , দুপুর বেলা ঊপর হতে দেখা মিলল পুকুরপাড়া, রাইক্ষাং লেক, প্রাঞ্জলপাড়া সাথে পাহাড় দানব ডমলং চুড়া একই ফ্রেমে বাধানো এক সচিত্র যা মনের যাঝে গেথে রয়েছে। এখান থেকে পাহাড় নীচে নেমে গেছে তাই নামতে বেশী সময় লাগল না, আমারা চলে এসেছি রুমা ক্যানেলে। রুমা ক্যানেলের এখন থেকে ডানে বনামুখ আর বায়ে পাহাড় বেয়ে আড়াই হাজার ফুট ঊপরে সৈকত পাড়া আমার বায়ের পথ ধরে কিছুদুরে এগিয়ে রুমা ফলসে বিরতিটা নিয়ে নিলাম।

গাইড মালেক পেছনে ফেলে আসা মরং পাড়া থেকে কয়েকটা জাম্বুরা ও কমলা নিয়ে এল,তাই দিয়ে দুপুরের খাবার হয়ে গেল। রুমা ফলস দেখতে খুবই সুন্দর যারা রাইক্ষাং যায় নি তারা এখানেই তাদের গোসল সেরে নিচ্ছে। রুমা ফলসে লম্বা বিরতি শেষে আবার ছুতে চলা কিন্তু সমস্যা দেখা দিচ্ছে অনেকের একদম আশি ডিগ্রী এঙেলের খাড়া এই আনন্দপাড়া পাহাড়। রুমা ক্যানেলের যন ণীল জল রাশি উপর থেকে দেখতে অতুলনীয় লাগছিল কিন্তু খাড়া পাহাড়ের গা যেসে এই সৌন্দয--- বেশিক্ষন উপভোগ করা গেল না। দুটি দলের বেশকয়েকজন দেখে একবার তো ভয়ই পেলাম তাই ওর ব্যগটা নীচে থেকে উপরে নিয়ে এলাম সেই সাথে বিশ্রাম বললাম মেহেদিদের সাথে। আনন্দপাড়া পরয----- এভাবেই উপরে উঠতে হবে, অনেক এই পথটিকে এরিয়ে রুমা ক্যানালের পথকেই সহজ হিসেবে বেছে নেয় কিন্তু ট্রেকিংয়ের সবচেয়ে ভাল অভিজ্ঞতা আমি এখান থেকেই পেয়েছি। আনন্দপাড়ার কাছাকাছি এক পাহাড়ী রাস্তায় দেখা পেলাম এক কমলা বিক্রেতাকে কোথায় আর জায় পুরো এক খাঁচি কমলা শেষ উপকারটা দুজনেরই আমাদের ক্ষুধা আর উনার এক দিনের পথ পারি দিয়ে রুমা বাজারে যেতে হল না। বিকেল হতে সন্ধ্যা হবার উপক্রম তাই দ্রুত হেঁটে পৌঁছে গেলাম আনন্দপাড়া, ত্রিপুরা আদিবাসিদের গ্রাম বেশ আগ্রহ নিয়েই এল সেই সাথে কলা ও পানির ব্যবস্থা করে দিল। আমরা সবাই পৌঁছে গেছি কিন্তু মেহেদিদের কয়েকজন পোছাইনি সন্ধ্যা নেমে গেছে কিন্তু লেটস ট্রাভেলের বন্ধুরা এগিয়ে যেতে চাইছে আগতা সাহসী এক সিধান্ত নিয়ে আমরা এগিয়ে গেলাম সৈক্তপাড়ার উদ্দেশ্য। আনন্দপাড়া থেকে নেমেই ঝিড়ি অন্ধকার চারিদিক হাতে টর্চের আলো খুজে পাচ্ছি না সৈকত পাড়ায় ওঠার পথ, ---- চালাচ্ছি ধ্রু বম এর দেখা পেলাম দিক নির্দেশক এরো চিহ্ন সামনেই পথ। ঝিড়িপথে ছোট ছোট পাথর সেই সাথে জোঁকের রাজা সামনে কিভাবে এগোবে জোঁক যে ঝেকে ধরেছে মিজান,মাসুম আর আনিছকে, মিজান তো বলেই ফেলল ভাই চলেন আনন্দপাড়া ফিরে যাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.