![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেউ লেখা বেচে খায়, কেউবা অন্য কিছু বেচে লেখে। অনেকে আছে এমনি এমনি লেখে। আমিও তেমনি। লেখি নিম্নমানের। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে একজন নিম্ন শ্রেণীর জীব। আমি আমাকে ব্যাকটেরিয়া বা এক কোষী জীবের সমগোত্রীয় মনেকরি। এর পেছনে আমার যুক্তি হলো--সৃষ্টির আদিতে মানুষ ছিল না। বিবর্তনের সাথে সাথে মানুষ নামের এই জীবটির সৃষ্টি। এটা সবার জানা। এই মানুষের মধ্যে কেউ কেউ সত্যিকার অর্থে মানুষ, আর কারো কাঠামো মানুষ হলেও মানসিকতা মানুষের নয়। সে রয়ে গেছে ব্যাকটেরিয়া গোছের জীবের মতোই।
ভাইয়াটাকে ত্যজ্জ করেছে বাবা। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছে। সে বিজ্ঞাপন নিয়ে ভাই আমার, আমার কাছে ছুটে আসে। এসে বলে- ‘তোরা আমার শিকড় কেটে দিলি। আমি এখন শিকড়হীন, অস্তিত্বহীন। একটুও কষ্ট হলো না তোদের।’
আমার কষ্ট হয়েছিল, কষ্ট হয়েছিল, কষ্ট হয়েছিল আমার মায়ের জন্য। বাবার জন্যে। কত কষ্ট থেকে বাবা তার প্রিয় সন্তানটাকে উপড়ে ফেলে দিলো। কত কষ্টে। কত কষ্টে ভাইটা নিরুদ্দেশ।
অস্তিত্বহীন, উদভ্রান্ত ৩৬ বছরের এক যুবক। বারবার ফোন করছিল একবার দেখা করার জন্য। আমি তাকে এতটুকু সুযোগ দিইনি সেদিন। শেষমেশ চলে আসে আমার অফিসে। ধানমন্ডি ২৭। ইটিসি’র সামনে দাঁড়িয়ে ফোন দেয়। বারবার কেটে দিচ্ছিলাম, বারবার। কতোবার জানি না, অসংখ্যবার। তবুও ও যেন ধৈর্যহারা হয় না। থার্ড ফোর থেকে নিচে নেমে আসতে এক মিনিট সময় লাগে। আমাকে দেখেই ছুটে আসে। জড়িয়ে ধরতে চায়, তবুও ধরা হয় না। ধরা কণ্ঠে বলে, তোর প্রেস্টিজে লাগবে, তাই উপরে যাইনি, আমার যা অবস্থা!
ভাইয়া, আমার প্রিয় ভাইয়াটা আমার থেকে ৮/৯ বছরের বড়। সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন আজ তাকে সমাজ থেকে বিচ্যুত করেছে! বলে, তোরা তো একদিন অনেক বড় হবি, তোদের নাম- ডাক ছড়িয়ে পড়বে চারদিকে, আমাকে সেই নাম ডাক দিস না, আমি গর্ব করে তোদের নামটা যেন বলতে পারি, সে অধিকারটা থেকে বঞ্চিত করিস না। সেই অধিকারটা কেড়ে নিস না তোরা।
আমি নিশ্চুপ থাকি। গলার মধ্যে দলা পাকিয়ে কি যেন আটকে থাকে। বলতে শুরু করে আবার, তুই তখন খুব ছোট্ট। তোকে ২০টা যোগ অঙ্ক দিয়ে বলেছিলাম- এই অঙ্কগুলো পারলে একটা ‘নানচাক্কু’ পাবি। তুই ১৯টা পেরেছিলি। আমি কিন্তু তোকে তোর পুরষ্কারটা দিয়েছিলাম। মনে আছে তোর, মনে আছে?
আমার মনে আছে। আমি ১৫টা পেরেছিলাম। তবুও ভাই আমার পুরষ্কার দিতে এতটুকু কার্পণ্য করেনি। আমার সব মনে আছে, সব। আমি চুপ করে থাকি। শুধু বলেছিলাম, তুমি এখানে এসেছো কেন? গত তিনমাসে ভাইয়া আমার অনেক বুড়িয়ে গেছে। মাথার চুল সাদা হয়ে গেছে। চোখে না ঘুমানোর স্পষ্ট ছাপ। কান্তি। কতো রাত ভাইয়া আমার ঘুমায় না কে জানে! কি খায়, না খায়, কে জানে। হয়তো খায়ও না। কে খাওয়াবে? কে টাকা দেবে? পাছে কেউ দেখে ফেলে এই ভেবে আমি বারবার বলছিলাম- এখানে আর কখনো এসোনা। তোমার পায়ে পড়ি আর এসোনা। পকেট থেকে তিন শ’ টাকা বের করে তার হাতে দিয়ে বললাম- মাসের শেষ, তুমি এই টাকাটা রাখো।
ভাইয়া আমার দেওয়া তিনটা এক শ’ টাকার নোটের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। এক দৃষ্টিতে। অনেকক্ষণ তাকিয়ে থেকে শুধু বলে- আমি তোর কাছে টাকা চাইতে আসিনি, তোরা আমাকে উপড়ে ফেলে দিস না।
ভাইয়ার কথাগুলো আকুতির মতো শোনালো। আর্তনাদ হয়ে আমার বুকে গিয়ে হাতুড়ির মতো আঘাত করছিলো।
শার্টটার হাতের নিচে ছেড়া, কলারটাও ছিড়ে গেছে। নিচের দিকের দুটো বোতামও খোলা। মানুষ দেখবে এই ভেবে হাত দুটো চাপ দিয়ে রাখে সেই খুলে যাওয়া বুতামগুলোর স্থানে। প্যান্টটাও ময়লা। অনেকদিন না ধুয়ে ধুয়ে ময়লার রঙ পেয়ে গেছে আমার প্রিয় ভাইটার প্যান্ট।
মনে আছে, আমি তখন কাস ফোর কি ফাইভে। বাবা তখন চাকরি সূত্রে থাকে রংপুর। আমরা থাকি কুমিল্লায়, সরকারি কোয়ার্টারে। ২৮ রোজা পেরিয়ে ২৯ রোজা। অথচ বাবার আসার নাম নেই। এদিকে আশপাশের সবাই ঈদের নতুন জামা-কাপড় নিয়ে আনন্দে উন্মাতাল। বিকেলে খেলার মাঠে গিয়ে শুনি উমুকে এটা, তুমুকে ওটা কিনেছে। অথচ আমার কেনা হয়নি একটা সূতাও। কষ্টে আমার বুক ফেঁটে যাচ্ছিলো। বাবার উপর প্রচণ্ড রাগ হচ্ছিলো। বাসায় ফিরে দেখি ভাইয়া আমার জন্য একটু টি-শার্ট, ফুল প্যান্ট আর বাটা জুতো কিনে নিয়ে এসেছে। সেদিন আমার যে কি খুশি, সে কে দেখে।
হ্যাভি স্মার্ট আমার প্রিয় মেধাবী ভাইটা আজ ছেড়া শার্ট, ময়লা প্যান্ট পরে না খেয়ে ঘুরে বেড়ায়। কি অদ্ভুত আজ আমি তার হাতে টাকা গুঁজে দিই। সে আমার সাথে কথা বললে আমার প্রেস্টিজে লাগে। কি অদ্ভুত।
ভাইয়া চলে যাচ্ছে। কেমন যেন খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটছিল তখন। ওর ছেড়া শার্টটা পতপত করে পতাকার মতো উড়ছিলো বাতাসে। একটিবারের জন্য পিছে ফিরে তাকায়নি। শেষবারের মতো দেখা হয়নি তার মুখটা। যাওয়ার আগে মোবাইল সেটটা আমার হাতে দিয়ে বলেছিল- শেকড় যখন তোরা উপড়ে ফেলেছিস, আমার আর রেখে কি লাভ? এইটা রাখ, তোর কাজে আসবে। আমার তো কেউ নেই। তোকে প্রচণ্ড পছন্দ করতাম, ধরে নে এটা আমার প থেকে শেষ উপহার।
আমার প্রিয় ভাইটা চলে যাচ্ছে...। আমার বুক ভেঙে কান্না আসছিলো তখন। অথচ আমি কাঁদতে পারছিলাম না, পাছে কেউ দেখে ফেলে। ইচ্ছা করছিলো চিৎকার কাঁদি। ভাই আমার চলে গেছে। আমি চলে এসেছি।
কতো খবর এডিট করি। শুধু এডিট হয় না আমার কষ্টগুলো। আড়ালে কেউ দেখে ফেলে, তাই ঢেকে রাখি। নিজের মাঝে নিজেকে লুকিয়ে রাখি। রাত জেগে কাঁদি। দিন জেগে কাজ করি। এই আমার জীবন।
বাবা বলে, ‘বাবা তুই আসবি না, অন্তত ঈদে একবার বাড়িতে এসে দেখে যা- আমরা বেঁচে আছি নাকি মরেও বেঁচে আছি’- ভাইয়ার ‘তোরা আমার শেকড় কেটে নিলি’ এই এক একটা শব্দ আজো কানে আলপিনের মতো বিঁধে।
আমি তাকে দূরদূর করে তাড়িয়ে দিয়েছি....। ভাইয়ার শেষ কথাগুলো আজো আমার কানে আলপিনের মতো বিঁধে- আমার তো কেউ নেই, কেউ নেই, কেউ...।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:০৫
কোবরা বলেছেন:
এ +
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:০৮
নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: কেউ নেই কেউ নেউ! এ জগতে কারণে অকারণে মানুষ কষ্ট দেয়!
কেউ কষ্ট দিয়ে মজা পায়!
হ্যার জায়গায় না করে । না করে মজা পায়!
হয়ত জগত টাই এমন!
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:২৪
সামী মিয়াদাদ বলেছেন: কোথাও কেউ নেই......দারুন হৃদয় ছোয়া লেখা....পড়ে মন খারাপ ভাবের উদয় হলো.....
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৫
ফজল বলেছেন: হৃদয় ছো্ঁয়া।
৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৯
এহেছান লেনিন বলেছেন: আমার এই প্রিয় ভাইটাকে নিয়ে আরেকটা লেখা আছে, ব্যবধানে ব্যবধান। আর আজকের লেখাটা পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে লেখা।
আমি জানি অনেকে ভাবছেন কি এমন করলো- ত্যজ্জ করতে হলো।
সত্যি বলতে কি আমি এ প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই না। হাত জোর করে আমি ক্ষমা চাচ্ছি।
৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:০৫
নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: লেনিন ভাই ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই! সবাইকে সব বলতে হবে তার তো কোন মানে নেই!
০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:২৬
এহেছান লেনিন বলেছেন: শিশির, মানুষের কাছে ক্ষমা চাইলেও দোষ নেই। যদি নিজের কাছে ক্ষমা চেয়েও পাওয়া না যায়, সেটা বড়ই কষ্টের।
৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:০৮
মানবী বলেছেন: অসুস্থ একজন মানুষকে ত্যাজ্য করা হলো!
আপনার বাবা ত্যাজ্য করলে আপনি সম্পর্ক রাখতে পারবেননা, এমন নিয়ম কি আছে! বাবা ছেলের সম্পর্ক আর আপনার সাথে ওনার সম্পর্ক তো ভিন্ন..
কেন ত্যাজ্য করা হলো তা জানার কৌতুহল নেই, আপনার বাবা'র ব্যক্তিগত বিষয়.. তবে, বাবা ত্যাজ্য করলে ভাইবোনদের সাথে সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়! আমি এই মুহুর্তে দেশে থাকলে খুব ভালো একজন সাকিয়াট্রিস্টের কাছে ওনার কেসটি তুলে ধরতাম... সমাধান কিছু আছে নিশ্চয়!
অসাধারন লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ এহেসান লেনিন।
৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:০৮
মানবী বলেছেন:
১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:২২
নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: লেনিন ভাই ভালো থাকবেন!
১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:২৩
এহেছান লেনিন বলেছেন: না, অসুস্থ ভাইটার সঙ্গে সবাই ছিল। নেই এই সুস্থ ভাইটার সঙ্গে। বিশ্বাস করুন, এমন কিছু ঘটনা আছে যা লিখেও প্রকাশ করা যাবে না।
১০-০৬টা কাজ শেষে বাসায় ফিরে যখন গতকাল রাতে এই লেখাটা লিখছলাম- তখন কি কষ্ট হয়েছে বলে বোঝাতে পারবো না। আমি কেঁদেছি। চিৎকার করে কেঁদেছি। আড়ালে কেউ শুনে ফেলে তাই কম্পিউটারে গানের সাউন্ড বাড়িয়ে দিয়েছি। তখন চলছিল মৌসুমী ভৌমিকের সেই বিখ্যাত গানটা।
আমি শুনেছি সেদিন তুমি সাগরের ঢেউয়ে চেপে নীল জল দিগন্ত ছুয়ে এসেছো, আমি শুনেছি সেদিন তুমি নোনা-বালি তীর ধরে বহুদূর-বহুদূর হেটে এসেছো...
গানের শেষের কথাগুলো যখন বাজছিলো-
আস্থা হারানো এই মন নিয়ে আমি আজ তোমাদের কাছে এসে দু'হাত পেতেছি...
১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৩৫
মানবী বলেছেন: সত্যি দুঃখিত..
কষ্টের অবসান হোক, সমস্যার দ্রুত সমাধান ঘটুক.. শুভকামনা রইলো।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৪৫
এহেছান লেনিন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৫৮
ভুতঅদ্ভুত বলেছেন: সত্যি দুঃখিত..
কষ্টের অবসান হোক, সমস্যার দ্রুত সমাধান ঘটুক.. শুভকামনা রইলো।
১৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:০১
এলোমেলো বলেছেন: এহেছান লেনিন @ আজকে আপনার এই লেখা টা পড়রার পর আপনার আরো কতগুলো লেখা পড়লাম । আমি ব্লগে আসি পড়ি চলে যাই কিন্তু আপনার লেখা পড়ে মন্তব্য না করে পরলাম না । অসাধারন
আপনার আপনজন সবাই ভাল থাকুক
আপনাকে লাল সালাম
১৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:২৫
েজবীন বলেছেন: আসলেই, অনেক প্রশ্ন আসলো মনে.....
লেখাটা ভালো লাগলো।
সমস্যার দ্রুত সমাধান ঘটুক.. শুভকামনা রইলো।
১৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৪২
এহেছান লেনিন বলেছেন: ভুতঅদ্ভুত, এলোমেলো ও জেবীন, ইচ্ছে করলে সব প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারি। তবে তাতে কষ্টটা হাজারগুন বেড়ে যাবে। মানুষ নিশ্চয় কারো কষ্ট বাড়াতে চায় না।
যাক ভালো থাকবেন সবাই। শুভকামনা রইলো সবার জন্য। কল্যাণ বয়ে আসুক সমাজের প্রতিতি স্তরে, রন্ধ্রে-রন্ধ্রে।
১৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৫৯
রুখসানা তাজীন বলেছেন: তোমার মানসিক শক্তিটা অনেক বেশী। অনেকবারই দেখেছি। প্রিয়জনকে প্রত্যাখ্যান করার দৃঢ়তার পেছনে তোমার সাহসটুকুকে সম্মান জানাচ্ছি।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০৫
এহেছান লেনিন বলেছেন: //অনেকবারই দেখেছি। প্রিয়জনকে প্রত্যাখ্যান করার দৃঢ়তার পেছনে তোমার সাহসটুকুকে সম্মান জানাচ্ছি।//
কনভোকেশনে যাননি?
আমি আগের মতোই আছি। আমার আশপাশের মানুষগুলো অনেক বড় হয়ে গেছে, তারা আমাকে চেনে না, জানে না। হয়তো চিনতে পারলেও না চেনার ভনিতা করে, আমি সেই ভনিতাকে বড্ড ভয় পাই। তাই এই দূরে সরে সরে পালিয়ে বেড়ানো, দৃঢ়তাও।
১৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:১৮
মাহবুব সুমন বলেছেন: বলার কিছুই নাই।
১৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:১৯
বুমবুম বলেছেন: কারনটা জানতে চাইনা কিন্তু এর নিশ্চয়ই সমাধান আছে।সব ঠিক হয়ে যাবে এই আশা করি।
২০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০৯
রুখসানা তাজীন বলেছেন: "কনভোকেশনে যাননি?"
- নারে ভাই। কনভোকেশনের জন্য এতদূর উড়ে যাওয়া, ঠিক পোষায়না।
২১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:১১
এহেছান লেনিন বলেছেন: মাহবুব সুমন, রুমঝুম- আপনাদের বলছি।
সমাধান নেই বলেই বাবার এই সিদ্ধান্ত! সব হয়তো ঠিক হয়ে যাবে, তবে কষ্টের এই মুহূর্তগুলো কি কখনো মুছে ফেলা যাবে। মানসিক পীড়ন কমবে?
আপনাদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনায়।
২২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:১৯
সু-শান্ত বলেছেন: তোর লেখা টা পড়ে এখনও গলায় কাঁটা বিঁধে আছে।পুরো একগ্লাস পানি খেলাম। চোখের সামনে যেন সব ঘঠছে!
২৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:২৬
এহেছান লেনিন বলেছেন: বস্, ভালো নাই। একদম ভালো নাই। দোয়া করবেন। আর কষ্ট উপহার দেওয়ার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
একটা ব্রোকেন ফ্যামিলি বলতে যা বোঝায়, এখন আমাদের তাই-ই।
২৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:০২
অহেতুক অকারণ বলেছেন:
কিভাবে প্রকাশ করি; এত সুন্দর লেখা অনেক দিন ব্লগে পড়া হয়নি।
নিজের মনের কথা নিশব্দ বলে যাওয়া, এই লেখা গুলো মনে গাঢ়ো করে দাগ কেটে যাচ্ছিল। কেন যেন অশ্রু গড়িয়ে পড়েছে,
কেন?
আপনার ব্যাবধানে ব্যাবধান পোষ্টটি আমি আমার আর্কাইভে রেখেছিলাম, এইটাও সেখানে রাখলাম।
কী বাঁধনে না বাঁধা আমরা জানি না, মাঝে মাঝে জানতে চায়, জানাতে পারি না।।
২৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:০৭
এহেছান লেনিন বলেছেন: অহেতুক অকারণ, আমার কষ্টগুলোও হৃদয়ের আর্কাইভে জমা করে রেখেছি। তাই লিখতে গেলে প্রথমেই বেরিয়ে পড়ে কষ্টগুলো।
লিখলে হালকা লাগে, জানাতে পারলে মনে হয় কষ্টগুলো একটু কমলো। নিজেকে লুকিয়ে রাখতে রাখতে আমি এখন এক নিঃসঙ্গ গুহার অতন্দ্র প্রহরী।
২৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:০৭
হাপিবয় বলেছেন: পড়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি । কি অপরাধ করেছে ভাইয়া ?
২৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:২১
নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: লেনিন ভাই ! দুঃখ কষ্ট পেয়ে পেয়ে বড় হয়েছি।
সবার জীবনে কম বেশী কষ্ঠ তো থাকে।
হয়ত আমাদের জীবনে একটু বেশী।
চোখের কোণের অশ্রু টুকু কেউ দেখেনা।
তবে আমি চেষ্ঠা করি আমার জন্য কেউ যেন দুঃখ না পায়।
২৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:০১
ফারজানা মাহবুবা বলেছেন: ……………… মন খারাপ হল…
২৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:১৩
রাহাত আহমেদ বলেছেন: কি মিয়া আছো ক্যামুন.....।
৩০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৫১
মাহমুদ মামূন বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট... পড়ে আমারও এত কষ্ট লেগেছে যে চোখে পানি চলে এসেছে।
লেনিন ভাই,
কিছু মনে করবেননা। আপনার ভাইয়াকে ত্যজ্জ করার কারন কি শুধুই সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখার জন্য??
আমি নিজেও সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছি। তাই প্রশ্নটা করলাম। কিছু মনে করবেন না।
৩১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:১৫
এহেছান লেনিন বলেছেন: ধন্যবাদ।
অনেক দেরিতে হলেও লেখাটি পড়েছেন। ত্যাজ্য করার কারণটা এরকম কিছু নয়।
অবশ্য সেটা আমি বলতে চাইছি না, ক্ষমা করবেন।
৩২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ভাইটামিন বদি বলেছেন: আপনার এই ভাইটি অবশ্যই যেন সুস্থ্য হয়ে আপনাদার মাঝে ফিরে আসে এই দোয়া রইল।।।।।আর আপনি অন্তত যেন ভাইটাকে নি ভুলেন......আমিও এক বড় ভাই হিসেবে জানি ছোট ভাইদের প্রতি অনেক ভিতরের কোথাও গলতে থাকা এক ভালবাসার কথা......প্লীজ ঐ ভালবাসা টুকুকে সস্মান করবেন.....শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।।
৩৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৭:৫৮
রাতমজুর বলেছেন: আপনাকে বুঝতে পারছি লেনিন ভাই, আমি ও একরকম ব্রোকেন ফ্যামিলির। গত ১০ বছর ধরে ঘর ছাড়া বলা যায় - দুটো লাশের বিচার চাই শুধু - এই তথাকথিত সভ্য সমাজের কাছে।
৩৪| ০১ লা মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৩৭
এহেছান লেনিন বলেছেন: ভাইটামিন বদি ও রাতমজুর আমার কোনো ভাষা নেই। ভাইটাকে নিয়ে নতুন ঘটনাটা যদি বলি তবে বুঝবেন ....
তবে এই বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি লিখতে ইচ্ছে করছে না।
৩৫| ২৬ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১১:২৬
ফয়সল নোই বলেছেন: এহেছান লেলিন,কেমন আছেন?
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:৫৬
ডোরাকাটা বলেছেন: ব্রেত্তান্ত কি? অন্য ধর্মের মাইয়া বিয়া কইরা ধর্মান্তরিত হইসে?