নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গণতন্ত্র চাই, কাগজে নয় বাস্তবে

মেঘযাত্রা

স্বাধীনচেতা এবং মুক্তমণা, জানতে চাই জানাইতে চাই ধন্যবাদ ।

মেঘযাত্রা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঝুঁকিতে ৬০ লাখ ক্রেডিট-ডেবিট কার্ড গ্রাহক

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

দেশে ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড গ্রাহকেরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা বিভাগ। এটিএম বুথগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত নয়। এ কারণে বড় ধরনের জালিয়াতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা বিভাগ। খবর- ডিডব্লিউ ডট ডিই।



তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশের প্রায় ৬০ লাখ গ্রাহক ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড ব্যবহার করেন। এখন প্রায় সব ব্যাংকই এই দুই ধরনের কার্ড ইস্যু করে গ্রাহকদের। ২৪ ঘণ্টা টাকা তোলা এবং কেনাকাটার জন্য দ্রুত এ কার্ড দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কিন্তু সম্প্রতি ক্রেডিট কার্ড জালিয়াত চক্রের এক সদস্য মোশররফ হোসেন গ্রেফতার হওয়ার পর কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে ব্যাংকগুলো।



গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান জানান, এ কার্ড জালিয়াতির ঘটনা আগে থেকেই ঘটে আসলেও ব্যাংকগুলো সুনামের কথা চিন্তা করে চুপচাপ ছিল। কিন্তু এখন তা স্বীকার করছে তারা।



তিনি জানান, কয়েকমাস আগে সেলিম নামে এক ক্রেডিট কার্ড জালিয়াত ব্র্যাক ব্যাংক থেকে চার লাখ টাকা তুলে নেয় বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রামে সিটি ব্যাংকেও ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়েছে। জালিয়াত চক্র জাল ক্রেডিট কার্ড থেকে ১০ লাখ টাকার কেনাকাটা করেছে বলে জানা গেছে। আর পুলিশ এ অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুর রহমান এবং শ্রীলংকান নাগরিক মোহনা থারাসকে গ্রেফতার করেছে।



পুলিশ জানিয়েছে, দেশে ম্যাগনেটিক স্ট্রিপের যে কার্ড ব্যবহার করা হয় তা জাল করা খুবই সহজ। এ পর্যন্ত যে ক’জন ধরা পড়েছে তারাও একই কথা বলেছে। এছাড়া এটিএম বুথগুলো পুরনো প্রযুক্তির। বুথের কার্ড পাঞ্চ করার জায়গায় স্ক্যাম প্রতিরোধক কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই সেখান থেকেই এতদিন গ্রাহকদের কার্ডের তথ্য এবং পিন চুরি হয়ে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি আটক হওয়া মোশাররফ আরও আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে কার্ড জালিয়াতির জন্য।



মশিউর রহমান জানান, তাদের ধারণা এই প্রযুক্তি এখন আরও কয়েকটি গ্রুপের হাতে রয়েছে। যা স্বাভাবিকভাবেই আশঙ্কার কারণ।



ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব কমিউনিকেশন জিসান কিংশুক হক স্বীকার করেন, কমপক্ষে একবার টাকা উত্তোলনের আগে এ প্রতারণা ধরার সুযোগ নেই।



বাংলাদেশে ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ডে এখনো মাইক্রো চিপস ব্যবহার করা হয় না। অথচ গোয়েন্দারা মনে করেন, মাইক্রো চিপস ব্যবহার শুরু হলে জালিয়াতি অনেক কমবে। কারণ এটি কপি করার প্রযুক্তি এখানো বাংলাদেশে নেই



সংগৃহীত-প্রাইমখবর

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.