![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিদিন হাজারো মানুষ হারিয়ে যায়, আমি সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষদেরই একজন। ভালবাসি বই পড়তে, বই সংগ্রহ করতে, স্ট্যাম্প জমাতে, ভাল চলচ্চিত্র দেখতে, মাঝে মাঝে লেখালেখি করতে, ভালবাসি কবিতা আর ভালবাসি একা একা পুরনো ঢাকায় ঘুরে বেড়াতে। হুমায়ুন আহমেদ আমার প্রিয় লেখক। এছাড়া অন্যান্য লেখকদের বইও ভালো লাগে। অন্যান্য লেখকদের মধ্যেঃ আহমদ ছফা, রশিদ করিম, মুনতাসির মামুন, মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, নিমাই ভট্টাচার্য, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, জাহানারা ইমাম, সৈয়দ মুজতবা আলী, শহীদ জহির রায়হান, সত্যজিৎ রায়, তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ, সুনীল, সমরেশ , খূশবন্ত সিং, এলান পো, এরিখ মারিয়া রেমার্ক, মার্ক টোয়েন, ম্যাক্সিম গোর্কি, ভিক্টর হুগো, ফ্রাঞ্জ কাফকা, পাওলো কোয়েলহো, হারুকি মুরাকামির লেখাও অনেক বেশী ভালো লাগে। মন খারাপ থাকলে কবিতায় ডুবে যাই। আবুল হাসান, শহীদ কাদরি এবং জীবনানন্দ আমার খুব প্রিয় কবি। মুক্তিযুদ্ধ আমার অন্যতম পছন্দের একটা বিষয়। মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা যে কোন বই পেলে কিনে পড়ি। ঘৃণা করি যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের। এইতো এই আমি।
মধ্য দুপুর সময়টা কেমন যেন অদ্ভুত! চারদিক যেন স্তব্ধ, সময় যেন থেমে আছে।রাশেদ বাস এর জন্য দাড়িয়ে আছে আজিমপুর এ। দুপুরের এ সময়টা বাস পাওয়াটা কষ্টকর। গরমে পুড়তে পুড়তে রাশেদ এর ঠাণ্ডা কিছু খেতে ইচ্ছা করে। খুব কষ্টে সে এই ইচ্ছা দমন করে। এ সময়টা বিলাসিতা মানায় না।
আজিমপুরে রাশেদ আসে টিউশণিতে। এ দুইটা টিউশণি মিনহাজ জোগাড় করে দিয়েছে। মিনহাজ রাশেদ এর বন্ধু। বিশ্ববিদ্যালয়য়ে বন্ধু বলতে সে মিনহাজ কেই বুঝত। আর তার মুখচোরা স্বভাব আর মফস্বল এর স্বাভাবিক আড়ষ্টটার জন্য সে বিশ্ববিদ্যালয়য় জীবনেও তেমন বন্ধুও জোগাতে পারে নি।
টিউশনি দুটা খারাপ না। তবে সমস্যা হল মাসের শেষে কেঊ সময়মত বেতন দেয় না। হয়তো তার মতো সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়া, ঢাকা শহরে একা চাকরীর খোজ করা তরুণের কষ্টটা উপলব্ধি করবার সময় নেই তাদের।
তার প্রথম ছাত্রটীর পরিবার অবস্থাপন্ন। আর ছাত্রটী ক্লাশ ৫ এ পড়ে তবে বয়সের তুলনায় অতি বদ। প্রশ্ন করতে করতে বিরক্ত করে ফেলে।
-সঅ্যার?
-বল।
-আপনি সবসময়য় এই দুইটা শার্টই পড়ে আসেন কেন?
-এমনি, এখন পড়ো।
-সঅ্যার, আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে?
(রাশেদ এ পর্যায়ে চড় মারবার তীব্র ইচ্ছা দমন করে।)
-ফালতু কথা বলবা না, পড়ো।
তার দ্বিতীয় ছাত্রটি নির্বোধ শ্রেণীর। দশম শ্রেণীতে পড়ে। সপ্তাহে তিনদিন কষ্ট করে মধ্যবিত্ত পরিবারের নিত্য কলহের মাঝে একজিনিস ১.৩০ ঘণ্টা ধরে বোঝাতে ভালো লাগে না। তবুও এই অপ্রিয় কাজটাই করতে হয়।
নানা আবোল তাবোল চিন্তা করবার মাঝখানে বাস এসে পড়ে। রাশেদ যাবে ঝীকাতলা তার মেসে। তেরো নম্বরি ভাঙাচোরা বাস এ ঘামতে ঘামতে রাশেদের আবার টাকাটার কথা মনে পড়ে। নাহ! আজকেও টাকাটা দিলো না। একদলা কষ্ট চোখ দিয়ে পানি হয়ে বের হতে চায়। অনেক কষ্টে তা দমন করে। তার চলতে হচ্ছে এর ওর কাছ থেকে ধার করে। মেস এর ভাড়া বাকি পড়ে আছে দুই মাসের। প্রতিদিন মেস মালিকের চোখ রাঙানি আর ভালো লাগে না রাশেদ এর। তার আরও দুই ভাই আছে দেশে। স্কুলশিক্ষক বাবা আর কতদিন টাকা পাঠাবে?
নিজেকে বোঝা ভাবতে ভাবতে সে রুমে গিয়ে ভাত বসায়। মুক্তোর মতো সাদা ভাত থেকে স্বপ্নিল ধোঁওয়া উঠতে থাকে। সে ধোঁয়ায় রাশেদ দেখতে পায় তার ক্লান্ত বাবার মূখ। সে স্বপ্ন দেখে একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। আর কোন কষ্ট থাকবে না। একটা চাকরী হয়ে যাবে হয়তো!
সাদা ভাতের গরম ধোঁয়ার সাথে সে স্বপ্নও আসতে আসতে মিলিয়ে যায়।
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৩
অগ্নিপাখি বলেছেন: ধন্যবাদ মাক্স
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: মুক্তোর মতো সাদা ভাত থেকে স্বপ্নিল ধোঁওয়া উঠতে থাকে -- মুক্তোর মত উজ্জ্বল একটি লাইন।
সাদা ভাতের গরম ধোঁয়ার সাথে সে স্বপ্নও আসতে আসতে মিলিয়ে যায় -- চমৎকার বলেছেন। ভালো লেগেছে।
একটি সুন্দর স্বপ্নের উপস্থাপনা ও তার অবসান, অল্প কথায় বর্ণনা গুণে সুন্দর হয়েছে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭
অগ্নিপাখি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
আপনার নতুন লেখার অপেক্ষায়।
৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার নতুন লেখার অপেক্ষায় -- নতুন কিছু না আসা পর্যন্ত পুরনোগুলোতেও একটু ঘুরে আসতে পারেন, সময় থাকলে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪১
অগ্নিপাখি বলেছেন: অবশ্যই ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
মাক্স বলেছেন: বাহ! সুন্দর লিখেছেন তো!