নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কংক্রিটের জঞ্জালে একজন সাধারণ মানুষ।

অগ্নিপাখি

প্রতিদিন হাজারো মানুষ হারিয়ে যায়, আমি সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষদেরই একজন। ভালবাসি বই পড়তে, বই সংগ্রহ করতে, স্ট্যাম্প জমাতে, ভাল চলচ্চিত্র দেখতে, মাঝে মাঝে লেখালেখি করতে, ভালবাসি কবিতা আর ভালবাসি একা একা পুরনো ঢাকায় ঘুরে বেড়াতে। হুমায়ুন আহমেদ আমার প্রিয় লেখক। এছাড়া অন্যান্য লেখকদের বইও ভালো লাগে। অন্যান্য লেখকদের মধ্যেঃ আহমদ ছফা, রশিদ করিম, মুনতাসির মামুন, মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, নিমাই ভট্টাচার্য, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, জাহানারা ইমাম, সৈয়দ মুজতবা আলী, শহীদ জহির রায়হান, সত্যজিৎ রায়, তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ, সুনীল, সমরেশ , খূশবন্ত সিং, এলান পো, এরিখ মারিয়া রেমার্ক, মার্ক টোয়েন, ম্যাক্সিম গোর্কি, ভিক্টর হুগো, ফ্রাঞ্জ কাফকা, পাওলো কোয়েলহো, হারুকি মুরাকামির লেখাও অনেক বেশী ভালো লাগে। মন খারাপ থাকলে কবিতায় ডুবে যাই। আবুল হাসান, শহীদ কাদরি এবং জীবনানন্দ আমার খুব প্রিয় কবি। মুক্তিযুদ্ধ আমার অন্যতম পছন্দের একটা বিষয়। মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা যে কোন বই পেলে কিনে পড়ি। ঘৃণা করি যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের। এইতো এই আমি।

অগ্নিপাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

"সাইকো"- রহস্য আর সাসপেন্স এ ভরপুর হিচকক এর অনবদ্য ক্লাসিক

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪০

এখানে অনেকেই আছেন যারা “সাসপেন্স থ্রিলার”, “ক্রাইম থ্রিলার”, “সাইকলজিকাল” মুভি বেশি পছন্দ করেন। আসলে এই ধরনের মুভি গুলোর কাহিনীর গতিময়তা, আলো আধারির অদ্ভুত ব্যাবহার, সাউন্ডট্র্যাকই এ মুভি গুলোকে এক অন্ন মাত্রায় নিয়ে যায়। আর “ক্রাইম থ্রিলার” মুভি এর সাথে অবধারিত ভাবে যার নাম চলে আসে তিনি হলেন “স্যার আলফ্রেড জোসেফ হিচকক” যিনি মুভি দুনিয়ায় আলফ্রেড হিচকক নামেই সর্বাধিক পরিচিত। তিনি গত ৬০ এর দশকে যখন হলিউড এ চলে আসেন তখন “সাসপেন্স থ্রিলার”, “ক্রাইম থ্রিলার”, “সাইকলজিকাল” মুভি এর ক্ষেত্রে এমন কিছু নিজস্ব পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন যা তাকে এ ধারার মুভি এর পথিকৃতের মর্যাদা দেয়। তাকে বলা হয় “ক্রাইম থ্রিলার”, “সাসপেন্স থ্রিলার” মুভি এর গুরু।

“সাইকো” হিচকক এর ক্যারিয়ার এর সর্বাধিক আলোচিত এবং সফল একটি থ্রিলার মুভি। ১৯৬০ সালে মুক্তি পাওয়া এ মুভি তে অভিনয় করছেন আন্থনি পারকিন্স, ভেরা মাইলস, জন গ্রাভিন, জ্যানেট লেই। এর চিত্রনাট্যটি তৈরি করা হয়েছিল ১৯৫৯ সালে বের হওয়া রবার্ট ব্লক এর একই নামের উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে।

এ মুভিটির কাহিনী, আলোর ব্যাবহার, কামেরার কাজ এবং বিশেষ করে মুভি টির সাউন্ডট্র্যাক এতটাই ক্লাস যে ১ঘণ্টা ৩০ মিনিটের কিছু বেশি ব্যাপ্তির এ মুভি টি দেখে বোর হওয়াটা অসম্ভব। মুভি টির প্রত্যেকটি মিনিটে সাসপেন্স ও থ্রিলার এর ব্যাপ্তি।

কাহিনীর শুরু হয় যখন অ্যারিজোনা এর ফিনিক্স এ সেক্রেটারি হিসেবে কর্মরত মারিওন ক্রেইন, তার ছেলেবন্ধু স্যাম লুমিস কে সাহায্য করবার জন্য ৪০০০০ ডলার তার অফিস এর একজন ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে চুরি করে এবং স্যাম এর ক্যালিফোর্নিয়ার বাসার দিকে পালাতে শুরু করে। এর মধ্যেই চলার পথে সে পুলিশি জেরার শিকার হয় এবং তার গাড়িটি অন্য একটি গাড়ির সাথে টাকার বিনিময়ে বদল করে। পথিমধ্যে প্রচণ্ড ঝড়ের কারনে মারিওন শহর থেকে কিছুটা দূরে নির্জন একটি মোটেলে রাত কাটাবার জন্য গাড়ি থামায়। মোটেলটির মালিক নরমান বেইট নামের একজন যুবক যে কিনা মোটেল টির পাশেই একটি নির্জন বাসায় নিজের অসুস্থ মাকে নিয়ে থাকে। যেহেতু আশেপাশে কোন রেস্তরাঁ ছিল না তাই বেইট , মারিওন এর ডিনার এর বন্দোবস্ত করে। ডিনার এর সময়েই মারিওন, বেইটস এর অসুস্থ মা, বেইটস এর শখ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারে। ডিনার এর পরে মারিওন রুম এ যাবার পর সিদ্ধান্ত নেয় যে সে অ্যারিজোনায় গিয়ে টাকাগুলো ফেরত দিবে; কিন্তু যেহেতু হিচকক এর মুভি- এত তাড়াতাড়ি কি সব শেষ হয়।

ঘটছে? এর সব উত্তরই বেরিয়ে আসে মুভি শেষে এবং এছাড়াও বেরিয়ে আসে একটি চাঞ্চল্যকর সত্য। সব বলে দিলে মুভি দেখবার মজা টা কোথায় ? তাই ভিউয়ারস- যারা মুভি টি দেখেন নি এখনি বসে পরুন। আর যারা দেখেছেন তারা আরেকবার দেখতে পারেন হিচকক এর এই মাস্টারপিস।



না পাঠক, সেইদিন রাতেই শাওআর নেবার সময় একজন বৃদ্ধ মহিলার ছুরিকাঘাতে খুন হয় মারিওন। এটাই সেই বিখ্যাত “শাওআর সিন” এবং এখন পর্যন্ত সিনেমার ইতিহাসে সর্বাধিক আলোচিত একটি সিন। এই দৃশ্যটি টানা ৬ দিন ৭৭ টি ভিন্ন ক্যামেরা এঙ্গেল থেকে ধারন করা হয়েছিল। যাইহোক, মারিওন এর খুনের পরেই কাহিনী অন্যদিকে মোড় নিতে শুরু করে। মারিওন কে কেন খুন করা হয়েছিল, অন্ধকারে ছুরি হাতে সে মহিলাটাই বা কে? বেইটস এর নির্জন বাসাটায় আসলে কি

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.