নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কংক্রিটের জঞ্জালে একজন সাধারণ মানুষ।

অগ্নিপাখি

প্রতিদিন হাজারো মানুষ হারিয়ে যায়, আমি সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষদেরই একজন। ভালবাসি বই পড়তে, বই সংগ্রহ করতে, স্ট্যাম্প জমাতে, ভাল চলচ্চিত্র দেখতে, মাঝে মাঝে লেখালেখি করতে, ভালবাসি কবিতা আর ভালবাসি একা একা পুরনো ঢাকায় ঘুরে বেড়াতে। হুমায়ুন আহমেদ আমার প্রিয় লেখক। এছাড়া অন্যান্য লেখকদের বইও ভালো লাগে। অন্যান্য লেখকদের মধ্যেঃ আহমদ ছফা, রশিদ করিম, মুনতাসির মামুন, মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, নিমাই ভট্টাচার্য, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, জাহানারা ইমাম, সৈয়দ মুজতবা আলী, শহীদ জহির রায়হান, সত্যজিৎ রায়, তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ, সুনীল, সমরেশ , খূশবন্ত সিং, এলান পো, এরিখ মারিয়া রেমার্ক, মার্ক টোয়েন, ম্যাক্সিম গোর্কি, ভিক্টর হুগো, ফ্রাঞ্জ কাফকা, পাওলো কোয়েলহো, হারুকি মুরাকামির লেখাও অনেক বেশী ভালো লাগে। মন খারাপ থাকলে কবিতায় ডুবে যাই। আবুল হাসান, শহীদ কাদরি এবং জীবনানন্দ আমার খুব প্রিয় কবি। মুক্তিযুদ্ধ আমার অন্যতম পছন্দের একটা বিষয়। মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা যে কোন বই পেলে কিনে পড়ি। ঘৃণা করি যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের। এইতো এই আমি।

অগ্নিপাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যরাতের শব্দমালা ৩/ মুখোশধারী শহর

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪০

প্রতি রাতে, এই রাতজাগা শহরে,

তন্দ্রাগ্রস্থের মতো আমি হেঁটে যাই।

রাস্তার ধারের সোডিয়ামের হলদে আলোয়,

পিচঢালা পথে নিজের ছায়াও

অনেক বড় মনে হয়।

এই ভূতুড়ে কালো ছায়াকে সঙ্গে নিয়ে

আমি হেঁটে চলি।



এই শহরে আমি

জোছনা দেখতে বের হই না,

জোছনা! সে তো আমার বিলাসিতা নয়।

না, এই শহরে আমি

রাতের সৌন্দর্য দেখতেও বের হই না।

সৌন্দর্য দেখা! সে তো আমার কাজ নয়।



সারাদিন ব্যাস্ততার মুখোশ পড়ে থাকা এই শহর,

নীরব কালো রাতে,

তার মুখোশ খোলে।

আমি এই মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা

শহরটা দেখতে আসি।



কংক্রিটের বাক্সে বসে থাকা যান্ত্রিক মানুষেরা,

হ্হ্যা, তোমাদেরকেই বলছি!

তোমাদের ভদ্র চোখের আড়ালে,

ধরা দেয় কি এই শহরের আসল রূপ?



হ্যা, এই মুখোশের আড়ালের রূপ

দেখি আমি।

সেখানে সবই কালো,

সেখানে পাই শুধু দুঃখ, বেদনা আর

কান্না, কান্না শুধুই কান্না।



আমি ফুটপাথে ঘুমিয়ে থাকা

মলিন শিশু দেখি আর

তাদের হারিয়ে যাওয়া শৈশব দেখি।

আমি ফুটপাথে ঘুমিয়ে থাকা

অভুক্ত কিশোর কিশোরী দেখি আর

তাদের হারিয়ে যাওয়া কৈশোর দেখি,

ক্ষুধায় মলিন মুখটা দেখি।



আমি হেটে বেড়ানো নিশিকন্যাদের দেখি আর

তাদের হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন দেখি,

তাদের ধূসর মলিন চোখটা দেখি আর সেই চোখে

স্বপ্ন ভাঙ্গার বেদনা দেখি।

আমি এদের করুন জীবন সংগ্রাম দেখি আর

আরোপিত হাসির আড়ালে লুকানো

বোবা কান্না দেখি।



আমি হেটে যাই,

এ যান্ত্রিক শহরের মুখোশের ভেতরের রূপ

দেখতে দেখতে আমি

হেটে যাই।



নিশিকন্যাদের মলিন চোখ আর

স্বপ্ন ভাঙ্গার বেদনা দেখতে দেখতে আমি

হেটে যাই।

মলিন শিশুদের হারিয়ে যাওয়া শৈশব

দেখতে দেখতে আমি,

হেটে যাই।

অভুক্ত কিশোর কিশোরীর হারিয়ে যাওয়া কৈশোর

দেখতে দেখতে আমি

হেটে যাই।





তারপর ভোর আসে,

সকালের পবিত্র আলো গাছের ফাক দিয়ে গলে

এই শহরটাকে ভিজিয়ে দেয় যেন !

রাতের সব দুঃখ, কষ্ট,

স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনা, কান্না সবকিছু

যেন চলে যায় মুখোশের আড়ালে আর

আমার এই শহরটা আবার হয়ে যায়,

নাগরিক ব্যাস্ততায় পূর্ণ।



আমিও ফিরে যাই নীড়ে,

বুকপকেটে নিয়ে

রাতের স্বপ্নভঙ্গের বেদনা, হাসির আড়ালে কান্না,

পঙ্কিলতা, অন্ধকার, হারানো শৈশব, হারানো কৈশোর, ক্ষুধা আর

কান্না, কান্না শুধু কান্না।



আমি আবার অপেক্ষা করি,

রাতের অপেক্ষা,

মুখোশ উন্মোচনের অপেক্ষা!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: শব্দেরা বুঝি সব মধ্যরাতেই আসে ?? :P ভালো লাগলো, কিন্তু টাইপড হয়ে যাচ্ছে । শুভেচ্ছা জানবেন । ভালো থাকবেন । :)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০১

অগ্নিপাখি বলেছেন: হঠাৎ লাইনগুলো চলে আসলো আরকি। :)
আপনিও ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.