নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কংক্রিটের জঞ্জালে একজন সাধারণ মানুষ।

অগ্নিপাখি

প্রতিদিন হাজারো মানুষ হারিয়ে যায়, আমি সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষদেরই একজন। ভালবাসি বই পড়তে, বই সংগ্রহ করতে, স্ট্যাম্প জমাতে, ভাল চলচ্চিত্র দেখতে, মাঝে মাঝে লেখালেখি করতে, ভালবাসি কবিতা আর ভালবাসি একা একা পুরনো ঢাকায় ঘুরে বেড়াতে। হুমায়ুন আহমেদ আমার প্রিয় লেখক। এছাড়া অন্যান্য লেখকদের বইও ভালো লাগে। অন্যান্য লেখকদের মধ্যেঃ আহমদ ছফা, রশিদ করিম, মুনতাসির মামুন, মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, নিমাই ভট্টাচার্য, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, জাহানারা ইমাম, সৈয়দ মুজতবা আলী, শহীদ জহির রায়হান, সত্যজিৎ রায়, তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ, সুনীল, সমরেশ , খূশবন্ত সিং, এলান পো, এরিখ মারিয়া রেমার্ক, মার্ক টোয়েন, ম্যাক্সিম গোর্কি, ভিক্টর হুগো, ফ্রাঞ্জ কাফকা, পাওলো কোয়েলহো, হারুকি মুরাকামির লেখাও অনেক বেশী ভালো লাগে। মন খারাপ থাকলে কবিতায় ডুবে যাই। আবুল হাসান, শহীদ কাদরি এবং জীবনানন্দ আমার খুব প্রিয় কবি। মুক্তিযুদ্ধ আমার অন্যতম পছন্দের একটা বিষয়। মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা যে কোন বই পেলে কিনে পড়ি। ঘৃণা করি যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের। এইতো এই আমি।

অগ্নিপাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিলাটেলিঃ আমার স্ট্যাম্প সংগ্রহ

০৭ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

মানুষের বহু বিচিত্র শখ এর মধ্যে ডাকটিকিট সংগ্রহ একটি অন্যতম জনপ্রিয় শখ। ডাকটিকিট সংগ্রহের মাধ্যমে শখের ও পেশাদার সংগ্রাহক উভয়েই একটি দেশের কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, প্রকৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারে- তাছাড়া এটি একটি সুস্থ বিনোদনও বটে। ডাকটিকিট এর শখ সেই স্কুল থেকেই- এখনও সময় পেলে নিউ মার্কেট এ চলে যাই নতুন পুরনো ডাকটিকিট কিনে আনতে। যদিও পেশাদার সংগ্রাহক নই আমি- তবুও আমার ক্ষুদ্র সংগ্রহ গুলো দেখলে ভালোই লাগে। চেষ্টা করছি আমার সংগ্রহ আরও সমৃদ্ধ করতে।



বৃটেনের রোল্যান্ড হিলকে ডাকটিকেটের জনক বলা হয়। ১৮৩৭ সালের কথা, সে সময় প্রেরককে নয় প্রাপককেই ডাক মাশুল দিতে হত। চিঠির পাতার সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে ডাক মাশুল নির্ধারিত হত। প্রাপক অনেক সময় বিভিন্ন টালবাহানা করে ডাক মাশুল দিতে চাইতো না। এসব অসুবিধা দূর করতে রোল্যান্ড হিল ডাক বিভাগের সংস্কারে বিভিন্ন প্রস্তাব আনেন, যার অন্যতম ছিল ডাক টিকেটের প্রচলন।
১৮৪০ সালে তাঁর প্রস্তাবানুসারেই প্রাপকের পরিবর্তে প্রেরক কর্তৃক ডাকমাশুল দেবার রীতি প্রবর্তন করা হয়। ওজনের ভিত্তিতে ডাক মাশুল দেবার পদ্ধতিও এ সময় চালু করা হয়।



১৮৪০ সালের ১লা মে বৃটেনে বিশ্বের প্রথম ডাকটিকেট "পেনি ব্ল্যাক" প্রকাশিত হয়। বৃটেনের রানীর প্রতিকৃতি ছিল সেই ডাকটিকেটে।



আমার স্ট্যাম্প এ্যালবামঃ













































































আরও কিছু তত্থঃ

* ১৮৫২ সালে বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে উপমহাদেশের প্রথম ডাকটিকেট চালু হয়। উল্লেখ্য এটি এশিয়ারও প্রথম ডাকটিকেট।

* সিন্ধু প্রদেশের ডাকটিকেটের ধারাবাহিকতায় ১৮৫৪ সালে ভারতের প্রথম ডাক টিকেট প্রকাশিত হয়।

* ভারত ভাগের পর ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম ডাকটিকেট প্রকাশিত হয়। এর পূর্ব পর্যন্ত বৃটিশ ভারতের ডাকটিকেটের ওপর ইংরেজীতে পাকিস্তান লিখে কাজ চালানো হচ্ছিল।

* ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়েই ২৯শে জুলাই বাংলাদেশর প্রথম ডাকটিকেট প্রকাশিত হয়। লন্ডন প্রবাসী ভারতীয় বাঙালী বিমান মল্লিক বিনা পারিশ্রমিকে আটটি ডাকটিকেটের ডিজাইন করে দেন। ১০ পয়সা, ২০ পয়সা, ৫০ পয়সা, ১ রুপি, ২ রুপি, ৩ রুপি, ৫ রুপি এবং ১০ রুপি মূল্যমানের আটটি ডাকটিকেটের ডিজাইন করেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের সাহায্যার্থে ১০ রুপির ডাক টিকেটের ওপর তিনি লিখে দেন ‘Support Bangladesh’। এখন স্বাধীন বাংলাদেশে ২৯শে জুলাই ডাকটিকেট দিবস হিসেবে পালিত হয়।

তথ্যসূত্র ঃ

* ডাকটিকিট সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ও ইতিহাস ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত।

১ লা জুলাই, ২০১৬ শুক্রবার গুলশান এর হলি আর্টিসান রেস্তরাঁয় ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় মনটা বিধ্বস্ত। বাংলাদেশে কখনও এরকম ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ দেখতে হবে কল্পনাও করি নি। ঈদ এর আগে এই নারকীয় ঘটনা আনন্দ অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে। এই নারকীয় হামলায় আমাদের যে বিদেশী বন্ধুরা নির্মমভাবে হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছেন তাদের আত্মা শান্তি পাক। ফারাজ আইয়াজ, ইশরাত , অবন্তি, তারশি জৈন এর আত্মা শান্তি পাক। "অন্ধকারের উপর আলোর, নির্মমতার উপর মানবতা এবং মৌলবাদ এর উপরে প্রগতিশীলতার বিজয় হোক।"

সবাই নিরাপদে থাকুন। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মুবারাক।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বিশাল সংগ্রহ।
ভাল লাগছে দেখে।

০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১০

অগ্নিপাখি বলেছেন: পেশাদার সংগ্রাহকদের তুলনায় আমার সংগ্রহ নিতান্তই ক্ষুদ্র। কোন থিম বেইজ করেও সংগ্রহ করি না। যখন যেটা ভালো লাগে কিনে ফেলি।
ধন্যবাদ পোস্টে সময় দেবার জন্য। ঈদ মুবারাক। ভালো থাকবেন।

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

সুমন কর বলেছেন: আপনি বলেছেন, এখনও সময় পেলে নিউ মার্কেট এ চলে যাই নতুন পুরনো ডাকটিকিট কিনে আনতে। -- পাওয়া যায় কি?

আমারও এমন একটি এ্যালবাম আছে। আপনারগুলোও দেখে ভাল লাগল।

ঈদের শুভেচ্ছা রইলো। +।

০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১১

অগ্নিপাখি বলেছেন: নিউ মার্কেট এ নজরুল নামে এক লোকের কাছ থেকে কিনে আনি। উনার ব্যাবসাই এইটা। তবে অনেকদিন যাওয়া হয় না।
ভালো থাকবেন। ঈদ মুবারাক।

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

মহসিন ৩১ বলেছেন: সাধারণ মানুষ কেমনে ? আপনি তো একজন অন্তত বারিওলা।

০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১২

অগ্নিপাখি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

বিজন রয় বলেছেন: অনেক ভাল পোস্ট।

আজকাল আর কেউ ডাকটিকিট নিয়ে মাথা ঘামায় না।

এই সময়ে এই পোস্ট ভাল লাগল।

০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১৩

অগ্নিপাখি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন। ডাকটিকিট জমানোর মধ্যে একটা আলাদা মজা আছে যা এখনকার "সেলফি জেনারেশান" কখনই বুঝবে না।
ভালো থাকবেন।

৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ফিলাটেলি খুব ভালো হবি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১৪

অগ্নিপাখি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পোস্টে সময় দেবার জন্য।
ঈদের শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন।

৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

ক্লে ডল বলেছেন: দারুণ সংগ্রহ!! ভালো লাগল খুব।

০৮ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪

অগ্নিপাখি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকবেন।

৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

পুলহ বলেছেন: আমি ভুল না করে থাকলে লেখাটা পড়েই বোঝা যাচ্ছে- আপনি শখের বশে কাজটা করে কতটা স্যাটিসফ্যাকশন পাচ্ছেন....
আমিও স্ট্যাম্প জমাতাম, কয়েনও জমাতাম। কোথায় হারিয়ে গেছে সেইসব.. ! ঠিক হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলার মতই...
ভালো থাকবেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট এবং কালেকশন।

০৮ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

অগ্নিপাখি বলেছেন: একসময় চাচা চৌধুরীর কমিক্স ও জমাতাম স্কুলে থাকতে। ১৯৯৬ এর দিকে . তখন ১০ টাকা করে দাম ছিল। এক ব্যাগ কমিক্স ছিল। কিন্তু হায়! এক পাষণ্ড বন্ধু বেশে সেই যে ধার নিলো সব কমিক্স এখন পর্যন্ত আর ফেরত দিলো না !! :(
সেই ছেলেবেলা গুলো আসলেই হারিয়ে গিয়েছে.।.।.। তবুও মাঝে মাঝে নিজের শখের জন্য সংগ্রহ করতে ভালোই লাগে।
ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টে সময় দেবার জন্য।

৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:১৬

মহসিন ৩১ বলেছেন: সাধারণত মানুষ হয় ক্ষেপা; হয় পাগল, বা সন্ত্রস্ত( schizophrenic) থাকে ।সাধারন মানুষ তো বাঁচার লড়াইয়ের জন্যই সাধারণ। এবং আটপৌরে জীবন যাত্রা।

০৮ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

অগ্নিপাখি বলেছেন: হুম

৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
নাইস কালেকশন। :)

০৮ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

অগ্নিপাখি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: একসময় মাদকের মত আসক্ত ছিলাম। আগে অনেকের মধ্যেই এই নেশাটা ছিলো। এখন কাউকে তেমন দেখি না।

০৯ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

অগ্নিপাখি বলেছেন: এখনকার "সেলফি জেনারেশন" এই জিনিসটার আকর্ষণ কখনই বুঝবে না।
ভালো থাকবেন।

১১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২২

আরজু পনি বলেছেন:
কমবয়সে এসব স্ট্যাম্প আর বিদেশী কয়েন সংগ্রহের ধরণে কাজিনরা আমাকে 'ফকির'ও ডেকেছে। তাতে আমার সঙগ্রহের আগ্রহে বিন্দু পরিমাণ ভাটা পড়েনি। খুব ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটি।

বিকেল বেলাতেই পড়ে নিজের কাছে নিয়ে গেছি।

অনেক ভালো থাকুন, অগ্নিপাখি।

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৫৮

অগ্নিপাখি বলেছেন: এইসব ছোট্ট ছোট্ট শখ যে কতটা আনন্দের ছিল তা এখনকার প্রজন্ম কল্পনাও করতে পারবে না। পোস্টে সময় দেবার জন্য ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকুন নিরন্তর।

১২| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:২৪

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: আগে অনেকের এই ধরণের শখ ছিলো। আমার মুদ্রা সংগ্রহের অভ্যাস ছিলো। কেন যেন আর ধরে রাখতে পারলাম। তাই আপনার জন্য হিংসা।
পোষ্টে অনেক অনেক ভালোলাগা।

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:০৩

অগ্নিপাখি বলেছেন: আসলে শখ গুলো ইচ্ছে করলেই পূরণ করা যায়। স্কুল জীবনের সেই অখণ্ড অবসর, অলস দুপুর হয়তো আর নেই। ব্যাস্ততায় কখন যে দিন কেটে যায় বুঝতেও পারি না। তাই সময় পেলে সবসময় চেষ্টা করি নিজের শখটা আবার ফিরিয়ে আনতে কিছুটা হলেও।
পোস্টে সময় দেবার জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.