নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কংক্রিটের জঞ্জালে একজন সাধারণ মানুষ।

অগ্নিপাখি

প্রতিদিন হাজারো মানুষ হারিয়ে যায়, আমি সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষদেরই একজন। ভালবাসি বই পড়তে, বই সংগ্রহ করতে, স্ট্যাম্প জমাতে, ভাল চলচ্চিত্র দেখতে, মাঝে মাঝে লেখালেখি করতে, ভালবাসি কবিতা আর ভালবাসি একা একা পুরনো ঢাকায় ঘুরে বেড়াতে। হুমায়ুন আহমেদ আমার প্রিয় লেখক। এছাড়া অন্যান্য লেখকদের বইও ভালো লাগে। অন্যান্য লেখকদের মধ্যেঃ আহমদ ছফা, রশিদ করিম, মুনতাসির মামুন, মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, নিমাই ভট্টাচার্য, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, জাহানারা ইমাম, সৈয়দ মুজতবা আলী, শহীদ জহির রায়হান, সত্যজিৎ রায়, তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ, সুনীল, সমরেশ , খূশবন্ত সিং, এলান পো, এরিখ মারিয়া রেমার্ক, মার্ক টোয়েন, ম্যাক্সিম গোর্কি, ভিক্টর হুগো, ফ্রাঞ্জ কাফকা, পাওলো কোয়েলহো, হারুকি মুরাকামির লেখাও অনেক বেশী ভালো লাগে। মন খারাপ থাকলে কবিতায় ডুবে যাই। আবুল হাসান, শহীদ কাদরি এবং জীবনানন্দ আমার খুব প্রিয় কবি। মুক্তিযুদ্ধ আমার অন্যতম পছন্দের একটা বিষয়। মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা যে কোন বই পেলে কিনে পড়ি। ঘৃণা করি যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের। এইতো এই আমি।

অগ্নিপাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রাভেলগ ০১ঃ ল্যান্ড অফ স্মাইল- থাইল্যান্ড

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

“It’s a big and beautiful world. Most of us live and die in the same corner where we were born and never get to see any of it. I don’t want to be most of us.”
- Prince Oberyn Martel

বিখ্যাত টেলিভিশন সিরিজ গেইম অফ থ্রন্স এর অন্যতম প্রিয় চরিত্র প্রিন্স ওবেরিন মার্টেল এর এই উক্তিটি আমার অনেক পছন্দের। আসলেইতো এই পৃথিবীর কতটুকুই বা আমরা দেখতে পারি- অথচ পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে আছে কত অপার্থিব সৌন্দর্য।
সবসময় ইচ্ছে ছিল নিজের সামর্থ্যর মধ্যে বছরে একটি দেশ ভ্রমন করবো। পুরো দেশ তো ভ্রমন করা সম্ভব না; অন্ততপক্ষে দর্শনীয় স্থান দেখা, স্থানীয় খাবারের স্বাদ নেয়া, উদ্দেশ্যহীন ঘুরে বেড়ানো এই তো।

খুব দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করছিলো- প্রথমবার দেশের বাইরে যাচ্ছি দুজন- অচেনা দেশ, অচেনা মানুষ- কোন প্যাকেজ কি কিনে নিবো ঝামেলা এড়াবার জন্য? এরপর অনেক ট্রাভেল ব্লগ পড়লাম (Two Wandering Souls, Blonde Abroad and many more), ্ফেইসবুক এ বাংলাদেশি ট্রাভেলারদের সবচেয়ে বড় কমিউনিটি ট্রাভেলারস অফ বাংলাদেশ (টি ও বি) এ থাইল্যান্ড সম্পর্কিত অসংখ্য পোস্ট পড়ে একটা ধারনা নিলাম। এছাড়াও ইউ টিউব এ অনেক Vlog দেখলাম। একটা জিনিস বুঝলাম – Experience the excitement of knowing the unknown- শুধুমাত্র নিজে নিজে ব্যাবস্থা করে যাবার মাধ্যমেই সম্ভব। তাই সাহস করে নিজে নিজেই সবকিছু গোছানোর প্রস্তুতি শুরু করলাম।




১. ভিসাঃ

ভিসার কাজ একটা এজেন্সির মাধ্যমে করাই। আমাদের দুজনের মোট ৭,৮০০ টাকা লাগে এবং ১০ দিনের মধ্যে ভিসা পাই। জমা দেবার ৫ দিনের মধ্যে এমব্যাসি থেকে কল দেয়। এই কল রিসিভ করতে না পারলে ভিসা না পাবার সম্ভাবনাই বেশি।

২. এয়ার টিকিটঃ

থাই এয়ারওয়েজ এই তেজগাঁও অফিসে গিয়ে নিজেই ২ জনের রিটার্ন টিকিট করি। আমাদের রাত ২ টার ফ্লাইট এ ২৩,১৮০ টাকা করে পরে প্রতিজন। ডোমেস্টিক ফ্লাইট এর জন্য টিকিট কিনি Ticketshala.com এর অফিস থেকে। ব্যাংকক-ফুকেট এর জন্য ভিয়েট জেট আর ফুকেট-ব্যাংকক এর জন্য থাই এয়ারওয়েজ ২ জনের জন্য ১৫,৪০০ টাকা।

৩. হোটেল বুকিং ঃ

হোটেল বুকিং এর জন্য বুকিং.কম এর সাহায্য নেই। বাজেট অনুযায়ী অসংখ্য হোটেল পাবেন এখানে। আমি ফুকেট এর জন্য বুকিং করি First Resort Albergo, Patong, Phuket (Patong Beach was 10 minutes walk) আর ব্যাংকক এর জন্য Royal Asia Lodge, Sukumvhit, Soi 8 (Near NANA BTS Station), Bangkok। তবে ব্যাংকক এর হোটেল এর চেয়ে ফুকেট এর হোটেল তা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। চাইলে বুকিং করবার সময় ব্রেকফাস্ট নিয়ে নিতে পারেন অথবা নাও নিতে পারেন।

৪. ডলার ও ক্রেডিট কার্ড এন্ডরসমেণ্টঃ

দুজনের পাসপোর্ট এ মোট ৯০০ ডলার এন্ডরস করাই (৪০০+৫০০) আর ক্রেডিট কার্ড এ ১০০০ ডলার।

৫. যাত্রা হল শুরুঃ

আমাদের ট্যুর প্ল্যান ছিল ১৬-২০ আগস্ট। খুব কম সময় জানি। রাত ৮.৩০ এ এয়ারপোর্ট এর উদ্দেশ্য বাসা থেকে বের হই। বোর্ডিং পাস নিয়ে ইমিগ্রেশন পার হতে হতে রাত ১২ টা। ফ্লাইট ডিলে হয় ১ ঘণ্টা। রাত ২ টার ফ্লাইট টেইক অফ করে রাত ৩ টায়। সুবর্ণভূমী এয়ারপোর্ট এর ল্যান্ডিং স্পর্শ করে ভর ৬.৩০ এর কিছু পরে।

৬. ইমিগ্রেশন পার হলামঃ

সব পেপারস নিজের ব্যাগ এই ছিল যদিও কিছুই জিজ্ঞাসা করেনি। ছবি তুলবার পর পাসপোর্ট এ অ্যারাইভাল সিল দিয়ে পাসপোর্ট ফেরত দেবার পর দুজন লাগেজ কালেক্ট করি।

৭. সিম কেনা ও ডলার ভাঙ্গানোঃ

আমি D Tac Sim কিনি ১৯৯ বাথ দিয়ে ৮ জি বি ডাটা সহ। এর আগে ১০০ ডলার ভাঙ্গাই মানি এক্সচেঞ্জ এ। এয়ারপোর্ট এর সবখানেই সিম আর মানি এক্সচেঞ্জ এর বুথ পাবেন।



ফুকেট এর উদ্দেশ্য যাত্রা ঃ

আমাদের প্ল্যান এর প্রথমেই ছিল ফুকেট। ফুকেট বাই রোড এবং বাই এয়ার দুভাবেই যাওয়া যায়। তবে এয়ার এ যাওয়াই ভালো মোট ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট এর মত লাগে আর বাই রোড এ প্রায় ১২/১৩ ঘণ্টা। ফুকেট ফ্লাইট ছিল ১৬ আগস্ট সকাল ৮.৩০ এ। বোর্ডিং পাস নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকি- ভিয়েট জেট আমাদের নিয়ে ফুকেট এর উদ্দেশ্য উড়াল দেয় সকাল ৯ টার কিছু পরে আর ফুকেট এ ল্যান্ড করি ১০.৩০ এ। এখানে বলে রাখা ভালো ভিয়েট জেট বাজেট এয়ারলাইন্স তাই এখানে ব্রেকফাস্ট কিনে খেতে হবে আর ২০ কেজি লাগেজ কিনতে হবে। আমরা শুধু ২০ কেজি লাগেজ কিনেছিলাম যা টিকিট এর মূল্যর মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত ছিল।

৯. ওহ ফুকেটঃ

অবশেষে ফুকেট ল্যান্ড করি সকাল ১০.৩০ এ। ফুকেট এ বেশিরভাগ টুরিস্ট থাকে পাতং বিচ এরিয়াতে। ফুকেট এয়ারপোর্ট টু পাতং ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট এর পথ। দু ভাবে যাওয়া যায় পাতং- ট্যাক্সি এবং শেয়ারড মিনি ভ্যান। ট্যাক্সি তে পাতং গেলে ৮০০ বাথ এবং শেয়ারড মিনি ভ্যান এ ১৮০ বাথ প্রতিজন। ফুকেট এয়ারপোর্ট এই শেয়ারড মিনি ভ্যান এর বুথ পাবেন এবং এদের সার্ভিসও খুবি ভালো।

১০. অবশেষে ফুকেট এর হোটেল এঃ

চেক ইন টাইম ছিল দুপুর ২ টায়। দুপুর ১২ টার কিছু আগেই হোটেল এ পৌঁছে যাই। এখনো বেশ কিছুক্ষণ বাকি তাই হোটেল লবি তে লাগেজ রেখে চলে যাই পাতং বিচ এ। অনেক সুন্দর একটা সমুদ্র সৈকত। ওখানে বেশ কিছুক্ষণ কাটাই আর হোটেল এ ফিরবার সময় ফ্রেশ তরমুজের জুস খাই। ওখানে মোড়ে মোড়ে এরকম জুস এর দোকান পাবেন এরা সাথে সাথে বানিয়ে দেয় এক্লাবং খুবই রিফ্রেশিং। দুপুর ২.৩০ এ হোটেল এ গিয়ে ক্লান্তিতে ঘুম দেই একটা।

১১. বাংলা রোড ঃ

সন্ধ্যার দিকে বের হয়ে দুজন উদ্দেশ্যহীন হাঁটাহাঁটি করি হালকা খাবার পর। ফুকেট এর আসল সৌন্দর্য দেখতে পারবেন এই সময়। আড়মোড়া দিয়ে জেগে উঠে এই সময়টায় ফুকেট। রাস্তার পাশের ছোট ছোট দোকানগুলো দেখতে দেখতে হেঁটে হেঁটেই চলে যাই বিখ্যাত বাংলা রোড এ। ফুকেট এর নাইট লাইফ একেই বলে। দু পাশে সারি সারি বার আর রমণীদের উদ্দাম নৃত্য। সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা অভিজ্ঞতা হল এদিন দুজনের।



১২. ফি ফি আইল্যান্ড ঃ

আন্দামান সাগরের ছোট দ্বিপ ফি ফি। ওদের এই প্যাকেজ টা কিনতে হয় যেখানে দুপুরের খাবারও থাকে। আপনি ইচ্ছা করলে ওখানে গিয়েও কিনতে পারেন ট্যুর শপ গুলো থেকে। তবে আমি এই প্যাকেজ টা ঢাকা থেকেই ফুকেট এর এক ট্যুর অপারেটরের সাথে যোগাযোগ করে কিনি (ফুকেট কিং ট্রাভেল) । আমাদের ২ জনের জন্য ২,০০০ বাথ পড়ে। যদি কেউ স্নোর কেলিং করতে চায় তবে আরও ৪০০ বাথ দিতে হবে। ১৭ আগস্ট সকাল ৭.০০ টার দিকেই মিনিভ্যান হাজির। আমরা সহ আরও কিছু ট্রাভেলারদের নেবার পর সকাল ৯.০০ টায় পোর্ট এ পৌছাই এবং ওখানে অনলাইন কনফার্মেশন এর ছবি দেখিয়ে পেমেন্ট করি। আমাদের ক্রজ শিপ ছাড়ে সকাল ১০.০০ টায়। চলার পথে অসংখ্য ছবি তুলি। আশেপাশের দৃশ্যগুলো অসাধারণ ছিল। বিশেষ করে মায়া বে এর সৌন্দর্য অতুলনীয়। দুপুর ১২.০০ টার দিকে ফি ফি আইল্যান্ড এ পৌছাই। দু জন মোট ৪০ বাথ এন্ট্রি ফি দিয়ে প্রবেশ করি এবং প্রায় ১ ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করি ছবি তুলি। দুপুর ১ টায় লাঞ্চ করে আবার কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি। ফুকেট এর উদ্দেশ্য শিপ ছাড়ে দুপুর ২.৩০ এ। যাবার সময় সমুদ্র অনেক উত্তাল ছিল- মোটামুটি ভয়ঙ্কর অবস্থা। অনেক টুরিস্ট কে দেখলাম ভয়ে অসুস্থ হয়ে গিয়েছে। যাই হোক ভালোয় ভালোয় ফুকেট পৌছাই বিকেল ৫.০০ টায়। যারা একটু সময় নিয়ে যাবেন অবশ্যই তাদের ফি ফি তে ১ দিন থাকা উচিত।







১৩. ফ্লাইং টু ব্যাংকক ঃ

১৮ আগস্ট সকাল ১০.০০ টায় ব্যাংকক এর ফ্লাইট। তাই ফি ফি আইল্যান্ড থেকে ফিরে রেস্ট নিয়ে রাতে বের হই। খাওয়া দাওয়া করে একটু বিচের আসে পাশে হাঁটাহাঁটি করি। পরদিন খুব সকালে বের হতে হবে তাই পাতং বিচের পাশেই একটা ট্যুর শপ থেকে এয়ারপোর্ট ড্রপ সার্ভিস কিনি ২ জনের জন্য ৪০০ বাথ করে। আপনি ইচ্ছে হলে ট্যাক্সি দিতে পারবে হোটেল তবে গুনতে হবে ৮০০ বাথ। ১৮ তারিখ ফুকেট থেকে ব্যাংকক এ পৌছাই দুপুর ১২ টার কিছু আগে। বেশ কিছুক্ষণ ঘুরে ঘুরে এয়ারপোর্ট এর চারিপাশ দেখি। অনেক বেশি সুন্দর আর গোছানো এই সুবর্ণভূমী এয়ারপোর্ট। শুধুমাত্র এয়ারপোর্ট টা ঘুরতেই ২ দিন লাগবে!!

১৪. ট্রান্সপোর্ট ! ট্রান্সপোর্ট ! ট্রান্সপোর্ট !

ব্যাংকক এ নেমেই বেশিরভাগ টুরিস্ট ট্যাক্সি ঠিক করে হোটেল এ যায়। ট্যাক্সি ভাড়াও অনেক বেশি। এয়ারপোর্ট টা শহর থেকে বেশ দূরে। তবে আরও দ্রুত শহরে যাবার একটা উপায় আছে- হ্যা, BTS SKY TRAIN- পুরো থাইল্যান্ড ট্যুরে আমি এই বি টি এস স্কাই ট্রেইন অনেক উপভোগ করেছি। ইউ টিউব থেকে আগেই এর রুট প্ল্যান, কিভাবে ব্যাবহার করে সব দেখে গিয়েছিলাম আর বি টি এস এর একটা ডি টেইলস ম্যাপ এর প্রিন্টেড কপি নিজের কাছে রেখেছিলাম। অনেক সহজ এই সার্ভিসটি ব্যাবহার করা আর অনেক সময় বেচে যায়। আমার এয়ারপোর্ট রেইল লিংক (Located on the B Floor at Subarnabhumi International Airport) ব্যাবহার করে শুকুম্ভিত এলাকায় আসতে খরচ হয়েছিলো দু জনের ১৫০ বাথ। এয়ারপোর্ট রেইল লিংক ব্যাবহার করলে ফায়া থাই বি টি এস স্টেশন এ শুধু একবার ট্রেন পরিবর্তন করতে হবে। (বি টি এস এর ডিটেইল ম্যাপ http://www.bangkok.com থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। আমি অনেকবারই বি টি এস ব্যাবহার করেছি এছাড়াও ওদের Grab নামে একটা অ্যাপ ভিত্তিক ট্যাক্সি সার্ভিস আছে। ঐ অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে পারেন- এদের ভাড়া সাধারণ ট্যাক্সি থেকে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম।

১৫. শপিং! শপিং!শপিং!

এখানে বেশি কিছু বলবার নেই। শপিং এর জন্য যেতে পারেন- প্রাতুনাম, প্লাটিনাম, ইন্দ্রা, বিগ সি, সেন্ট্রাল ওয়ার্ল্ড, এম বি কে, সিয়াম প্যারাগন, সিয়াম ডিসকভারি, রবিনসন। এর মধ্যে সস্তায় কেনাকাটার জন্য প্রাতুনাম এবং ইন্দ্রা ভালো (দুটই চিতলম বি টি এস স্টেশন এর কাছাকাছি) আর মেয়েদের কসমেটিকস এর জন্য রবিনসন (সুকুম্ভিত- নানা বি টি এস স্টেশন থেকে ২০ মিনিট এর পথ) ভালো।

১৬. স্ট্রীট ফুড ঃ

থাইল্যান্ড স্ট্রীট ফুড এর জন্যও বিখ্যাত। যদিও সব স্ট্রীট ফুড খেতে পারি নি তবে Pad Thai, Thai Fried Rice, Chicken আর ফ্রেশ জুস অসাধারণ।



















১৭. ইন্টারন্যাশনাল ফুড চেইন্স ঃ

স্টারবাকস এবং ম্যাকডোনাল্ডস এর দোকান একটু পর পরই চোখে পড়ে। তাই এই দুটোর কোনটাই মিস করিনি।

১৮. মাদাম তুসোর মোমের জাদুঘর ঃ

সিয়াম ডিসকভারি (বি টি এস ন্যাশনাল স্টেডিয়াম এর পাশে ) এর ষষ্ঠ তলায় অবস্থিত। এতদিন বই এই পড়েছিলাম এই জাদুঘর এর কথা। এবার দুজন সামনাসামনি দেখলাম। বিখ্যাত ব্যাক্তিদের মোমের প্রতিমূর্তি। সবার আসা উচিত এখানে। অভিজ্ঞতাটা ছিল দারুন। আরও অনেক দর্শনীয় স্থান আছে ব্যাংকক এ। সময় যেহেতু কম ছিল তাই শুধু এই জাদুঘর এ ঘুরেছিলাম। দু জনের প্রবেশ ফি ১৬৫০ বাথ।

১৯. ব্যাংকক এর শেষদিনঃ

ঢাকার ফ্লাইট রাত ১১.১৫ তে। প্রায় সারাদিনই পড়ে আছে। নাস্তা করে প্রথমে রবিনসন মার্কেট এ যাই। বেশ কিছু কসমেটিকস কেনা হল। এরপর গ্রাব এ করে প্রাতুনাম গেলাম। ওখান থেকে ইন্দ্রা। প্রাতুনাম আর ইন্দ্রা পাশাপাশি মার্কেট। বিকেল ৪.৩০ এ হোটেল এ ফিরে ফ্রেশ হয়ে একেবারে চেক আউট করি। লাঞ্চ করে আগে থেকেই ঠিক করে রাখা ট্যাক্সি তে (৪০০ বাথ) সুবর্ণভূমীর উদ্দেশ্য যাত্রা। সন্ধ্যা ৭ টায় পৌঁছে যাই এয়ারপোর্ট এ বোর্ডিং পাস নিয়ে ইমিগ্রেশন ক্রস করে ভেতরে ঘোরাঘুরি করি বেশ কিছুক্ষণ। উল্লেখ্য, যাবার দিন ইমিগ্রেশন এ ডিপারচার কার্ড অবশ্যই জমা দেয়া লাগবে। ট্রাভেল সম্পর্কিত সকল ডকুমেনটস একটা ফাইল এ রাখবেন। ইন্টারন্যাশনাল ডিপারচার এ পৃথিবী বিখ্যাত সকল ব্রান্ড এরই শো রুম পাবেন- গুচি, সাঁনেল, রালফ লরেন, রলেক্স, ট্যাগ হিউআর, ওমেগা, সুইস আর্মি, ডিওর- এগুলো ঘুরে দেখতে দেখতে সময় ভালই কেটে যায়। ঢাকার উদ্দেশ্য থাই এয়ারওয়েজ টেক অফ করে রাত ১১.৩০ এ। রাত ১.৩০ এ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরন করে।

২০. কিছু প্রয়োজনীয় অ্যাপস ঃ

SuperRich TH (To Check the Rate of Thai Baht).
Grab (App Base Taxi Service; Cheaper than UBER).
Google Offline Maps.
Google Map.
Booking.com
Agoda.com
Trip Advisor.com

তুলনা করতে চাই না, তবে তুলনা এসেই যায়। সুবর্ণভূমী এয়ারপোর্ট এর পাশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর একদম ম্লান মনে হচ্ছিল।

থাইল্যান্ড ৫ দিনে ঘোরবার মত দেশ না। অন্তত ১৪ দিন নিয়ে যাওয়া উচিত। আমরা বেশিদিন থাকতে পারি নি। ছুটি পাই নি। তবে যে কয়দিন থেকেছি খুব উপভোগ করেছি এবং সামনের বছর আবার যাবার প্ল্যান করছি।

যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না।

হ্যাপি ট্রাভেলিং!!!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৪

চাঙ্কু বলেছেন: ভালোই মজা করছেন দেখি! আমাগো বিমানবন্দরের সাথে দুনিয়ার কোন বিমানবন্দরের তুলনা করে পারবেন না।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

অগ্নিপাখি বলেছেন: তুলনা এসেই যায়। আমাদের বিমান বন্দর টা যদি আরও দক্ষ ভাবে পরিচালনা করত !!!

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।
আমার তো এখনই ইচ্ছা করছে সুরভিকে নিয়ে যাই।
লিখেছেন খুব সুন্দর করে। ছবি গুলো বেশ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১

অগ্নিপাখি বলেছেন: রাজিব নুর ভাই, থাইল্যান্ড ৫ দিনে ঘুরবার জায়গা না আসলে। অন্তত ১৪ দিন নিয়ে যাওয়া উচিত। আমি ছুটি পাই নাই তাই ৫ দিন ছিলাম। অনেক কিছুই ঘুরতে পারি নাই- তবে খুব এনজয় করেছি। ইনশাল্লাহ আবার যাওয়ার ইচ্ছে আছে সামনের বছর। তবে তখন ১০ দিনের জন্য যাবো।

ব্লগে সময় দেবার জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.