মেকআপ সুন্দরী চেনার উপায়

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

ফেসবুকে একটা মজার গল্প পড়লাম। এক কোরিয়ান মহিলা নাকি প্রতিদিন ভোরে উঠে মেকআপ মাখতেন। কারণ তার স্বামী তাকে কোনদিন তাকে মেকআপ ছাড়া দেখেনি। আসল চেহারা দেখলে জীবনেও বিয়ে করত না। প্রথম বিবাহ বার্ষিকী। মহিলা গোসল সেরেছেন মাত্র। এমন সময় জামাই সারপ্রাইজ দেবার জন্য বাসায় এসে নিজেই সারপ্রাইজড হয়ে গেল। ফলাফল এক বছরের সুখী দাম্পত্য জীবনের অবসান।

বলা হয় বিয়ের ঠকা হচ্ছে সবচেয়ে বড় ঠকা। আর বিয়ের সময় পক্ষদ্বয় একে অন্যকে ঠকানোর সর্বাত্মক চেষ্টাটাই করে থাকে। এক্ষেত্রে ছেলেপক্ষ বরাবরই এগিয়ে। হাসপাতালের ক্লিনারকে ডাক্তার বলে চালিয়ে দেয়ার ঘটনা অনেক দেখেছি। এখন সমঅধিকারের যুগ। মেয়েপক্ষই পিছিয়ে থাকবে কেন। পাড়ার ভাই ব্রাদারদের বিনোদন দেয়া মেয়েটি হঠাৎ হিজাবি হয়ে গেল কারণ বিয়ের সময় হয়েছে, নিজেকে পরহেজগাররূপে ফুটিয়ে তুলতে হবে না! প্রতারণার নতুন অস্ত্র এখন মেকআপ যার সাহায্যে জরিনাকে সহজেই ক্যাটরিনা বলে চালিয়ে দেয়া যায়। পাশের দেশ ভারতে সম্প্রতি এক মেকআপ সুন্দরীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। ছেলে তালাক দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি মেয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলাও ঠুকে দিয়েছে। ফেসবুকে আটাময়দাসুজি মাখা মুখগুলি দেখে মনে হয় এরকম ঘটনা আমাদের দেশে ঘটতে বেশি দেরি নেই।

হাল্কা মেকআপে সহজে আসল রূপ ঢাকা পড়ে না। আর ভারী মেকআপ খালি চোখেই ধরা পড়ে। তারপরও অনেক ছেলে ন্যাচারাল না মেকআপ ধরতে না পেরে প্রতারিত হয়। তাদের জন্য তিনটি কৌশল -

১. ন্যাশনাল আইডিঃ বলা হয়ে থাকে ন্যাশনাল আইডির ফটো তুলতে যে ক্যামেরা ব্যাবহৃত হয় তাতে মেকআপ ফিল্টার আছে। যতই মেকআপ দেক না কেন ছবিতে আসল চেহারাই আসবে। আবার গ্রামে ন্যাশনাল আইডি বানাতে গিয়ে দেখেছি অতিরিক্ত সাজগোজ ও অলঙ্কার পরিহিতাদেরকে স্বাভাবিক হয়ে আসতে বলে রুম থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। তাই বিয়ের সময় পাত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে নিন।

২. পায়ের দিকে নজর দিনঃ খুব কম মেয়েই পায়ে মেকআপ দেয়ার বিলাশিতাটুকু দেখায়। তাই পাত্রী দেখতে গেলে হাঁ করে শুধু চেহারা আর বুকের দিকে তাকিয়ে না থেকে পায়ের দিকেও তাকান।

৩. ঝটিকা সফরঃ সবচে সহজ ও কার্যকর উপায়। পাত্রী পছন্দ হয়ে গেলে একদিন সারপ্রাইজ দেবার উছিলায় ঝটিকা সফরে যান। তবে পাত্রিপক্ষ ধুরন্ধর হলে বলবে, মেয়ে বাড়িতে নেই। তাই সন্ধ্যার দিকে যান।

এতোকিছু না করে সবচেয়ে ভালো হয় এলাকার পরিচিত কোন ভদ্র ঘরের মেয়েকে বিয়ে করে ফেললে। আর মেয়েদের উদ্দেশ্যে বলি, এইসব আটাময়দাসুজির প্রলেপ দিয়ে হয়ত কারো গলায় ঝুলে পড়া যাবে কিন্তু স্বামীর ঘরে অবহেলা আর বঞ্চনা ছাড়া কিছুই মিলবে না।

৫ টি +৩/-০