![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার যা কিছু ভাললাগা তা জানাতেই এই ব্লগে আসা।
স্বজন বলতে আমরা সাধারণতঃ বুঝি নিজের যে জন । আর যাকে নিজের ভাবি সেই তো আপন। এছাড়া দেখা যায় যে অনেক প্রয়োজনে নিজের ভাই বোন বা বাবা মাকে কাছে পাওয়া যায় না। সেইসব ক্ষেত্রে আত্নীয় স্বজনই এক মাত্র ভরসা। আজকের বিষয় সম্পর্কে আমার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই তবে প্রাকটিক্যাল এক্সপেরিএন্স এর উপর ভিত্তি করেই আজকের এই চেষ্টা।
আমরা যারা, আধুনিক শহুরে বউরা আছি তারা চেষ্টা করলেই শাশুড়ির অনেক আপন হতে পারবো। আশা করছি চাকুরিজীবি বঊদের জন্য আরো বেশী কাজে লাগবে এই লেখাটি।
এখন কম বেশী সব মেয়েরাই পারলার এ গিয়ে বিভিন্ন রকম সেবা নিয়ে থাকেন। আমি দেখেছি একটূ টাকা হাতে আসলে র্গামেন্টস এর মেয়েরাও যান (এখানে র্গামেন্টসের মেয়েদের সামাজিক অবস্থান নয় অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতাকে বিবেচনা করা হয়েছে) । শুধু গিয়ে সেবা নিলেই তো হবে না, জ়ীবনের সব ক্ষেত্রেই এর প্রয়োগ করতে হবে। তবেই জীবনটা সূন্দর করা সম্ভব।
এবারে চলুন শাশুড়িকে খুশি রাখার উপায় গুলো বের করি। আপনাদের মতামত লেখাটিকে আরো সমৃদ্ধ করবে আশা করছি।
১। শাশুড়ির মাথা ধরলে একটু তেল বসিয়ে দিন (পারলারের এক্সপেরিএন্স কাজে লাগান) । দেখবেন আরামে আপনাকে অনেক সংসারের গোপন কথা শেয়ার করবে। তাতে শাশুরিকে বুঝতে সুবিধা হবে।
২। বিকালের চা তাকে বানিয়ে খাওয়ান। এ্মন কিছু প্রতিদিন করেন যেটা হালকা পাতলা কাজ কিন্তূ আপনার শাশুড়ি যেন আপনার উপড় নির্ভর করে।
৩। মাঝে মাঝে শাশুড়িকে নিয়ে বাজারে যান। এই যায়গাটা শাশুরিকে চেনার ও জানার সবচেয়ে উৎকৃষ্ট পন্থা। তার পছন্দ অপছন্দ বোঝা যায়।
৪। শাশুড়ির সাথে থাকতে হলে তাকে জয় করেই ছেলেকে জয় করা সম্ভব। মেয়েরা মানে বউরা চাইলেই সম্ভব। আপনি শূধু নিজের মাকে কতটুকু ভালবাসেন আর প্রয়োজনে কতটুকু ছাড় দেন সেইটুকূ ভাবূন। আপনি বাইরে থেকে এই পরিবারে এসেছেন আপনাকেই ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা রাখতে হবে।
৫। কিছু শাশুড়ি আছেন অনেক ক্যাট ক্যাট করেন। ঘরের মানুষের শুনতে শুনতে হয়ত অভ্যাস হয়ে গ্যাছে কিন্তু আপনি বাইরে থেকে এসেছেন বলে আপনার হয়ত বিরক্ত লাগছে। এইক্ষেত্রে আপনাকে একটু ধৈর্য্য ধরে থাকতে হবে। আপনি সেই দিনই ভাল বউ হবেন যেদিন আপনার শাশুড়ি তাঁর ছেলে ও মেয়ে সম্পর্কে আপনাকে বলবে, সেই দিনই আপনি শাশুড়ির কাছে আপনার চেয়েও আপন হবেন।
৬। আমার এক বড় আপা (অনাত্নীয়) আমাকে প্রায়ই বলতেন মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক দুই ধরনের এক-রক্তিয় আর দুই-আত্নীয়। রক্তের সম্পর্ককে আত্নীয় এর সাথে মিল রেখে রক্তিয় বলতেন।
বাবা, মা, ভাই, বোন, ইত্যাদি রক্তিয় সম্পর্ক আর বন্ধু বান্ধব, শশুর বাড়ির লোকজন অথবা কোনো অফিস কলিগ ইত্যাদি আত্নীয়। কারন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিজেদের রক্তের সম্পর্কের লোকজন্ দের চেয়েও আমরা সাধারনত এইসব প্রিয় মানুষদের সঙ্গে অধিক সময় কাটাই। ফলে এদের সংগে শেয়ারিং বা যে কোনো কিছুর আদান প্রদানও বেশী হয়। বরং দেখা যায় বাবা মা বা নিজের ভাই বোনদের সংগে সম্পর্ক অনেকটা ফরমাল হয়ে যায়।
অবশ্য সব পরিবারের জন্য এই কথাটি প্রযোয্য নয়। অনেক সময় দেখা যায় বিয়ের পর মেয়েরা নিজের বাবা মা বা ভাই বোনদের জন্য অনেক করে এবং অনেক সময় দেয়। অনেক সময় দেয়ার ফলে অনেক কথার শেয়ারিং হয়। সব যে প্রয়োজনীয় কথা তা নিশ্চয় করে বলা যায় না। গীবত করার মজাই আলাদা, যদি দুপক্ষ সমান ভাবে উপভোগ করে। অনেক পিতা মাতা আছেন (অবশ্য মাতারাই বেশী এগিয়ে আছেন) এগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনেন আবার আমি নিজে দেখেছি অনেক পিতা কে বলতে যে শ্বশুড় বাড়ীর কোন বদনাম আমি শুনতে রাজী না। এই ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে সেই পিতা অনেক ব্যস্ত। তার শোনার সময় নাই। সময় থাকলে হয়ত তিনিও শুনতেন।
যাইহোক, সম্পর্ক সুন্দর রাখা বা সুন্দরভাবে পরিচালিত করা সম্পূর্ন নিজের উপড় নির্ভর করে তা নিজের পরিবারেই মধ্যেই হোক অথবা শ্বশুড় বাড়ীর লোকজনদের মধ্যে।
একটা ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই যখন পরিবারের কারো টাকা পয়সা পর্যাপ্ত পরিমানে থাকে এবং সেই জন টাকার গরম অনূভব করে তখন সম্পর্ক ভাল থাকার জন্য তার বাসায় বেশী বেশী না যেয়ে বরং তাকে উপেক্ষা করাই উচিৎ। সেটা যদি সেই ব্যাক্তি টের পায় ভাল নাহলেও কোন সমস্যা নাই। আপনি তার মুখাপেক্ষি নন এটুকূ বুঝতে দিতে পারলেই হলো। আপনার নিজেরও একটা মেন্টাল স্যাটিসফেকশন থাকল যে আপনার এত নিকট আত্নিয় থাকা সত্ত্বেয় আপনার প্রয়োজনে ও অপ্রয়োজনে তাদেরকে বিরক্ত করেন নাই। শান্তিতে অন্ততঃ ঘুমাতে পারবেন।
পরিবারের সকলকে নিয়ে সবাই ভাল থাকুন আজকে বিজয় দিবসের মাসে এই শীতের দুপুরে এই শুভ কামনা রইল।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২৫
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: আমি চেষ্টা করছি সচেতনতা তৈরী করতে আপনিও এগিয়ে আসুন। সবাই এক সাথে কাজ করি।
২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৭
আশীষ কুমার বলেছেন: আমার হবু বউকে লিংক পাঠাবো....
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৯
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: লিঙ্ক পাঠালেই কি শুধু হবে……? আপনার সহযোগিতা তার সব সময়ের জন্য কাম্য। আপনি পাশে থাকলেই হবে। লিঙ্ক পাঠিয়ে আর কতদূর আগাতে পারবেন। আমি পাশে আছি এবং থাকব। অসুবিধা হলে জানাবেন।
৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৪
ডেভিড বলেছেন: জামাই কিভাবে শাশুড়িকে খুশি রাখবো এবিষয়ে কোন টিপস প্রদানের আদেশ দেয়া গেল
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৪
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: ছেলেরা অনেক বুদ্ধিমান। এদের বুদ্ধির অভাব নেই। তাছাড়া কম বেশী সব ছেলেই জন্মের পর থেকেই পুষ্টিকর খাবার খেয়ে (একটা মেয়ের দ্বীগুন। যদিও একই ওজন নিয়ে জন্মায়) বড় হয়। কজন ছেলে আছে যারা শাশুড়ি কে খুশি রাখার চিন্তা করে ? যারা চায় তাঁদের সচেতনতার দরকার নেই। ঘরজামাই হলে অবশ্য অন্য কথা ! লেখাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৬
মুক্ত মণ বলেছেন: চমৎকার লেখা। প্রিয়তে নিলাম।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২৫
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: আপনার মধ্যদুপুরের এই সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ রইল।
৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১০
অািরফুররহমান বলেছেন: ভালো লাগলো।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২৮
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২৫
অণুজীব বলেছেন: ভালো লাগলো।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২৭
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: লেখাটি পড়েছেন জেনে অনেক ভাল লাগল।
৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪০
নাজিম রেজা বলেছেন: আপু এখনও বিয়ে করিনি। করতে হয়তোবা আরও ৫/৬ বছর লাগবে কিন্তু আপনার পোস্টটা প্রিয়তে রাখলাম। আল্লাহ্ চাইলে ৫/৬ বছর পর কাজ লাগবে। তবে একটা কথা মেয়েরা এগুলা করতে চাইবে তো???????? কারন এখন দেখি মেয়েরা বিয়ে হওয়ার পর আলাদা বাসায় আলাদা সংসার চায়।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১০
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: মেয়েরা বিয়ে হওয়ার পর আলাদা বাসায় আলাদা সংসার চায় এই লেখা তাদের জন্য না। যারা
শ্বশুরবাড়ির লোকজন নিয়ে ভাল ভাবে থাকতে চান তাদের জন্য। এখন ভাল কাজের মানুষের যে অভাব। একা একা সংসার করা কষ্ট বই আরাম দায়ক আর নেই। ছেলেরা ঠিক থাকলে সব ঠিক।
বাচ্চাদের প্রয়োজনে বা স্কুলের কারনে বাসা আলাদা নেওয়া প্রয়োজন। আমি যুক্তিযুক্ত কারন ছাড়া শুধু মেয়েদের মানে বউএর কথায় আলাদা বাসা নেয় সেই সমস্থ ছেলেদের জানাই ধিক! মায়ের পায়ের তলায় সন্তানের বেহেশ্ত। কথাটা সর্ব পরিস্থিতিতে মনে রাখাটা জরুরী।
৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০৯
টুকিঝা বলেছেন: কথা গুলো সত্যি। কিন্তু এই শিক্ষা গুলো নিয়ে আসতে হয় পরিবার থেকে। যেমন আমি আমার মাকে যেভাবে দেখব আমাই দিদার সাথে ব্যবহার আমার মাঝেও সেই ব্যাপার গুলো কাজ করবে!!!
আর একটা ব্যাপার, সেটা হল ভালবাসাটা ভেতর থেকে আনা উচিৎ, শুধু ওনাকে দেখানোর জন্য বা খুশি করার জন্য নয়, আমি চাই আমি যেন আমার ভেতর থেকে ওনার জন্য ভালবাসা গুলো সঞ্চয় করে রাখতে পারি, তাহলে হয়ত আমাদের মাঝে সুন্দর সম্পর্কের রেখা অংকিত হবে!!!
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ, বিয়ের পর ইনশাআল্লাহ কাজে দেবে।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৪
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: দুপুরে লেখাটা পাঠালাম । এখন প্রায় পাচটা বাজে। মনে হচ্ছিল আমার লেখা কি শুধু ছেলেরা পড়ছে? লেখাটি মেয়েদের মানে বউদেরকে নিয়ে লেখা। দিনে ও রাতে মিলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৫ মিনিটও আমারা যদি শাশুড়ির সাথে ভাল ব্যাবহার করি তাহলেই তা আস্তে আস্তে অভ্যাসে পরিনত হয়ে যাবে। সব কিছুই সময়ের ব্যাপার। যে কোনো সম্পর্ক তৈরীতে সময় একটা বড় ফ্যাক্টর। সময় নিয়ে করলে কাজটি ভাল হয়। লেখাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২০
হোদল রাজা বলেছেন: পার্শিয়াল্টি করলে হবে না.... ছেলেদের জন্যও টিপস দিতে হবে!
সামনের বছর শ্বাশুরী সাথে দেখা করতে যাবো। জানে বাচান...টেনসনে আছি :-&
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৪
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: ফেরার আগে শাশুড়িকে একটা ফোন দিন তাঁর কিছু লাগবে কিনা? যদি বলে তো ভাল না বললে মেয়ে তো আপনার ঘরেই আছে তাকে জিজ্ঞাসা করুন ওনার কি কি পছন্দ! ইচ্ছা থাকলেই উপায় সম্ভব।
১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪০
বৈকুন্ঠ বলেছেন: হুমমম..... আপনে যখন শ্বাশুরী হৈবেন তখন ছেলের বৌ'রে দেখায়েন এই পোস্ট
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২০
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৩
কলম.বিডি বলেছেন: আমার বিয়ের তিন বছর পর আমার উপলব্ধি হলঃ পৃথিবীতে কখনো কোন মানুষকে একদম খুশি করা যায় না। হয়তবা একই পরিবারের একজন কে খুশি করলাম, আর একজন বেজার হলেন; একই কাজের পর!! সুতরাং নির্দিষ্ট কাউকে খুশি করার চেষ্টা না করাই নিরাপদ। তাইলে কি করবো? আল্লাহ যা বলেছেন সেভাবে করেন, যে খুশি সন্তুষ্ট হোক আর যে খুশি বেজার হোক। একজন মা যে কষ্ট আর মমতা, ত্যাগ দিয়ে সন্তান মানুষ করেন তাঁর প্রতি দায়িত্ব পালনে সন্তানটিকে বাধা দেবেন না। তা সে আপনার যতই অনুগত হোক। আর যাদের অবদানে আপনি একজন সৎ, চরিত্রবান জীবনসঙ্গী পেয়েছেন, হতে পারে সে আত্নীয়, পরিবারের সদস্য বা প্রতিবেশী তাঁদের জন্য কিছু করতে পারেন, না পারলে কৃতজ্ঞ থাকেন। এই দায়িত্ব ছেলে মেয়ে সবার।শুধু বউ এর না।
আর আলাদা বাসায় থাকা মানেই বউ খারাপ এটা খুব অদ্ভুত ধারণা। কোন কোন ক্ষেত্রে এটা অবশ্য করণিয়। এটা ঠিক, একসাথে থাকলে অনেক সমস্যা কমে যায়, কিন্তু অনেক সমস্য তৈরীও হয়।পর্দা, প্রাইভেসী ইত্যাদীর মারাত্নক সমস্যা হয় যদি সবাই সাহায্য না করে। নীতিগতভাবে এটা কোন মেয়ের ওপর চাপানো উচিত না।হিতে বীপরীত হবে। যদি থাকতে চায় বা মানিয়ে নিতে পারে তার প্রশসা করুন। আমার আম্মু সবসময় বলেন, আমার ঘরে আমি যেভাবে চাই সেভাবে করি।আমার বউএরও এই অধিকার আছে। তাকে ছোট্ট হলেও একটা বাসা নিয়ে দিব। আমার জন্য কিছু করার মানসিকতা থাকলে আলাদা বাসায় থেকেও করতে পারবে। যেমন এখন লন্ডনে থেকে করে!!
তবে কিছু পরিবারের কথা না বললেই না।বড় ছেলে, যার দায়িত্ব ছোটভাইবোনের দেখাশুনা, যার আয়ে সংসার চলে, সে তো অন্য বাসায় গেলে মেইন্টেন করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে বিয়ের আগে মেয়ের সাথে এভাবেই কথা বলা উচিত। আর শুধু গ্ল্যমার আর খান্দানী নাকি এইটা না দেখে জয়েন্ট ফ্যামিলি থেকে মেয়ে আনা উচিত।
উফফফফ অনেক কথা বলে ফেললাম
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৭
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: প্রথমেই বলেছিলাম আপনাদের মতামত লেখাটিকে সমৃদ্ধ করবে। আমরা সেই পথে আগাচ্ছি। একজন ভাল বউ আগামী দিনের শাশুড়ি। আপনার মতামতের সাথে সহমত পোষন করছি।
১২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫২
নাজিম রেজা বলেছেন: লেখিকা বলছেনঃ আমি যুক্তিযুক্ত কারন ছাড়া শুধু মেয়েদের মানে বউএর কথায় আলাদা বাসা নেয় সেই সমস্থ ছেলেদের জানাই ধিক! মায়ের পায়ের তলায় সন্তানের বেহেশ্ত। কথাটা সর্ব পরিস্থিতিতে মনে রাখাটা জরুরী।
আপনাকে আবারও সালাম। ধন্যবাদ
আপু আপনার মত চিন্তা + কাজ করে এমন মেয়ে থাকলে জানাবেন। আমার বড় ভাইকে কিছু দিন পরে দিব ইনশাল্লাহ।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩১
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: যে কোনো মেয়ে একজন ভাল বউ হতে পারেন যদি ছেলেটির সহযোগিতার মানসিকতা থাকে। একটু ব্যালান্স করে চলতে হবে এই আর কি !
১৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৩
কলম.বিডি বলেছেন: নাজিম রেজা, আপনার ইচ্ছা সত্যি হোক। নিয়ত রাখেন যে আপনারাও তাকে সাহায্য করবেন। আপনারা ভাই বোনরা অনেক সময় কোন ভুল কাজ করে ফেললে যেভাবে মা বাবার কাছ থেকে লুকান,ভাবীকেও এমন সাপোর্ট দিবেন। ভাবির ব্যাপারে মা আর মায়ের ব্যপারে ভাবীকে পজিটিভ কথা বলবেন। আর প্রশংসা করবেন। নিজেরা মায়ের পছন্দের কিছু এনে ভাবীকে দিয়ে দেয়ান, মাকেও এমন করান। বেশিদিন না,জানেন? মাত্র ৬ মাস খাটেন এরপর টেনে বউ শাশুড়ি কে দুই পক্ষে নিতে পারবেন না।আর যেহেতু শাশুড়ি বড়, তিনি ইনসাফ শিখাতে হবে। কেউ অন্যায় করলে,সে মেয়ে হোক বা বউ, আলাদা করে ডেকে সুন্দর করে বলতে হবে।আমার দাদী ঠিক এই জিনিসটা করতেন।আম্মুকেও দেখেছি ৭ বছর আমার প্যারালাইজড দাদীকে সেবা করেছেন।না, গ্রামে না, ঢাকা শহরের বুকে, মাত্র দুই বেডের সংসারে, পাঁচ সন্তান নিয়ে। দাদিও আমার চাচা ফুফুরা আসলে আম্মুর ব্যাপারে বানিয়ে বানিয়ে প্রশংসা করতেন। আম্মুকে একদিন বকা দিয়েছে , তুই কিচ্ছু শিখস নাই। আম্মুও বলসে, বিয়ের পর থেকে তো আপনার সাথে। না জানলে আপনার দোষ!!
সবাই মিলে আমরাই জান্নাত বানাতে পারি আমাদের ঘরগুলাকে
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫২
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর করে বোঝাবার জন্য।
১৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৪
মিথুন দে বলেছেন: আজকালের মেয়েদের কাছ থেকে এমন একটা লেখা কল্পনাতীত। জানিনা আমার কপালে কি আছে ২-৩ বছর পর বলতে পারব। অনেক ধন্যবাদ এ ধরনের একটি লেখার জন্য। আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩০
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের দোয়া আমার সব সময়ের কাম্য।
যে কোনো মেয়ে একজন ভাল বউ হতে পারেন যদি ছেলেটির সহযোগিতার মানসিকতা থাকে।
১৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৩
রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন:
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৮
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
১৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪০
এস েজ রতন বলেছেন: বাহ্ দারুণ পোস্ট! “এমন একটা মানুষ পাইলাম না যারে মন দেয়া যায়/ এমন একটা হৃদয় পাইলাম না যারে মনের কথা বলা যায়...”
খুব ভালো লাগলো নারী পুরুষ উভয়েরই এই বিষয়গুলোতে খুব সাবধানী হওয়া উচিৎ ভালো থাকবেন আরও বেশি বেশি এই ধরনের লেখা চালিয়ে যান পাশে আছি
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৯
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: জেনে অনেক ভাল লাগল।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪৩
ছিচকা চোর বলেছেন: আপনার লেখাটা খুব ভালো লাগলো। আপনার মত এভাবে চিন্তা করার মানসিকতা সম্পন্ন মেয়ে খুব আমাদের সমাজে। আধুনিক এবং উচ্চ শিক্ষিত হলেই যে আলাদা থাকতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই। পরিবারের সবার মাঝে মিলেমিশে থাকার মধ্যেও অন্যরকম একটা আনন্দ আছে।
আপনার পোস্টটি আধুনিক রমনীদের চিন্তার খোরাক যোগাবে আশা করি। পোস্টটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৩
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: পরিবারের সবার সাথে থাকাটা শুধু আনন্দই দেয়না প্রয়োজনও বটে।প্রয়োজনটা এত বেশী যে যারা একা থাকে তারা বেশী বেশী টের পাচ্ছে। কাজের মানুষের কাছে বাচ্চা কাচ্চা মানুষ হলে, আমরা চাইলেও ভাল উত্তরাধিকারী তৈরী করতে পারব না। সকলের সাথে মিলে মিশে থাকার প্রয়োজনটা এখানেই। আমাদের দাদী নানীরা ৮ জন ১০ জন কিংবা ১২ জন করে বাচ্চা মানুষ করেছেন একসাথে। আর এখন আমারা ১ জন বা ২ জন বাচ্চা মানুষ করতেই হিমশিম খাচ্ছি। আপনার মন্ত্যবের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০০
মহসিন৭১ বলেছেন: বিয়ে করেছি প্রায় বারো বছর। দুই সন্তান। স্ত্রী আমার পরিবারের সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করে। তার পরিবারের কেউ এলে তাদেরও খেদমত ঠিকমতো করে।
বাইরের কেউ এলে আপ্যায়নে কোনো ঘাটতি থাকে না। আমার মাকে সাধ্যমতো খেদমত করে । অবশ্য মা সব সময় আমাদের বাসায় থাকেন না।
সবই ঠিক আছে। এক যায়গায় একটু সমস্যা। বিষয়টা এখানে লেখা যাবে না।
আপনার ই-মেইলটা দিলে জানাতাম। এবং পরামর্শ চাইতাম।
[email protected]
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৪৪
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: সমস্যা যাই হোক না কেন, খুলে বলু্ন… তবেই সমাধান সম্ভব। আপনার সমস্যা হয়ত আরো অনেকের সমস্যা। আপনি যখন এই পর্যন্ত বলতে পেরেছেন বাকীটুকু বলে ফেলুন চেষ্টা করব উত্তর দিতে।
ব্লগ এমন একটা জায়গা যেখানে কোনো সমস্যা লেখা যাবে না বা গোপন কিছু গোপন থাকবে… আমার মনে হয় না।খুলে বলুন । পরামর্শ দিতে বিন্দু মাত্র কুন্ঠিত হব না। কথা দিলাম।
১৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: ভাল ভাবনা
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১:০৭
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।
২০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:১৩
নিশাত রহমান বলেছেন: কাজে লাগবে বোধহয়, তবে আগে বিয়ে তো হোক!
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১:০৫
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: দোয়া করি সুষ্ঠ ভাবে আপনার বিয়েটা সম্পন্ন হউক। ভাল থাকবেন।
২১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:১৮
সবুজেরমাঠ বলেছেন: শাশুড়ির মাথা ধরলে একটু তেল বসিয়ে দিন (পারলারের এক্সপেরিএন্স কাজে লাগান) । দেখবেন আরামে আপনাকে অনেক সংসারের গোপন কথা শেয়ার করবে। তাতে শাশুরিকে বুঝতে সুবিধা হবে।
মন থেকে ভালোবাসতে হবে।লোক দেখানো নয়।গোপন কথা শোনার জন্যে নয়।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১:১১
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: ডোন্ট বি নেগেটিভ বি পজিটভ ব্রাদার/ সিস্টার ।
২২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২১
নীল-দর্পণ বলেছেন: অনেক স্বপ্নের মাঝে একটা স্বপ্ন দেখি শ্বশুর-শাশুড়ী নিয়ে সুন্দর একটা রাজ্যের :#> :#>
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১:০৮
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: আপনার স্বপ্ন সত্যি হউক।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৪
কাজীমিফজ বলেছেন: চমতকার লেখা।কিন্তু এটা অন্যদের কীভাবে বোঝানো যায়।