![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দূরত্বকে মাঝে মাঝে অসহ্য মনে হয়।
তবুও তুমি সবচেয়ে কাছে, হৃদয়ের, চেতনার, জীবনের।
আমার সমস্ত অনুভূতি পূর্ণতা পায় তোমাতে।
আর তুমি, প্রতিটি মূহুর্তে নতুন সব অনুভব সৃষ্টি করে চলেছো
আমার সমস্ত চেতনায়, হৃদয়ে, জীবনে।
তোমার অতল-অসীম ভালবাসার মহাসমুদ্রে
আমার সমস্ত ভুবন যখন বারবার নতুন প্রান পায়,
তখন মনে হয়, তোমার সাথে বাঁচি অনন্তকাল।
সবচেয়ে কাছে থেকে, সবচেয়ে বেশী ভালবেসে,
অনন্ত আলোকবর্ষ কাটিয়ে দেই তোমার চোখে তাকিয়ে।
আর দুজনের সমস্ত অনুভূতি এক করে,
এক হয়ে মিশে থাকি জন্ম-জন্মান্তর।
সত্যি বলছি, এটাই আমি মনেপ্রানে চাই।
কিন্তু মানুষ জীবনের সীমাবদ্ধতা
আমাকে মনে করিয়ে দেয় এক লোক কবির গান-
“ হায়, জীবন এতো ছোট কেনে? ”
তুমি আর আমি, দুজনেই খুব স্বপ্নবাজ।
আমরা আমাদের প্রতিটি মূহুর্ত বাঁচবো অনন্ত আলোকবর্ষ।
তাই না?
আর তুমি আমি, আমি তুমি, আমরা দুজন মিলে
জীবনকে বানাবো ভালোবাসা।
তোমার প্রতি আমার, আমার প্রতি তোমার, সমস্ত মানবতার।
আজ যাচ্ছি তোমার সবচেয়ে কাছে।
আমি একা।
ঘর থেকে বের হতেই এলোমেলো শীতল বাতাস,
একরাশ শিউলীর গন্ধ আমার শরীরে মেখে দিয়ে’
বললো, আমিও যাবো তোমার সাথে।
এই ভোরে, ওকে আমি আর না বলতে পারলাম না।
একটু দূর যেতে না যেতেই, দিনের প্রথম সূর্য,
তার সবচেয়ে কোমল আভাটুকু আমায় দিয়ে দিলো।
বললো, এটুকু তুমি সাথে নিয়ে যাও
তোমার ভালবাসার জন্য।
এরপর শহরের অলি-গলি, ফুটপাত আর
উঁচু পাঁচিল ঘেরা বাড়িগুলো থেকে
বেরিয়ে এলো শত-শত ফুলের সুবাস।
ওদেরকেও নিয়ে নিলাম সাথে।
রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছি,
হঠাৎ একটি শিশু কয়েকটি গোলাপ বাড়িয়ে দিলো।
দশ টাকা দিয়ে একটি গোলাপ কিনলাম।
ছেড়া শার্ট গায়ে, মলিন মুখে হঠাৎ তার
হাসি ফুটে উঠলো।
ওই অমলিন হাসিটুকুও চলে এলো আমার সাথে।
তাই দেখে শহরের সমস্ত মানুষের শুভ-স্বপ্নগুলো
ছুটে এলো আমার দলে।
শহর ছেড়ে যখন বের হচ্ছি
তখন আদিগন্ত বিস্তৃত সবুজ আর সোনালী ধানক্ষেত
তার সমস্ত সম্ভাবনা ভিড়িয়ে দিলো আমার মিছিলে।
মহাসড়কের একটু দূর দিয়ে শান্ত ঝিল থেকে
ছুটে এলো শাপলার হাসি আর পদ্ম ফুলের পরাগ।
ওদের সাথে উড়তে উড়তে চললো হাজার রঙের ফড়িং
আর লক্ষ রঙের স্বপ্নমাখা প্রজাপতির দল।
যখন একটি গ্রামের ভিতর দিয়ে যাচ্ছি,
আমার দলে যোগ দিলো শ্যামল স্নিগ্ধতা আর
এক ঝাঁক রাজহাঁসের শুভ্রতা।
দুপুরে, প্রখর সূর্যের থেকে অনেক অনেক দূরে,
একখন্ড কল্প-মেঘ আমাকে বললো, “আমিও যাবো”,
আর এক পশলা বৃষ্টি হয়ে ভিজিয়ে দিবো
তোমার ভালবাসা।
সাথে সাথেই আকাশের এক টুকরো নীল
স্বপ্নীল পাখি হয়ে উড়ে চললো আমার পাশে পাশে।
আমি তখন অনেক দূর চলে এসেছি, যখন
বিকেলের আলোয় কচি ঘাসের সবুজ আর
সবুজ হৃদয়ের কয়েকটি শিশুর দৃঢ় প্রত্যয়
আমার দলকে ভারী করলো।
ডুবন্ত সূর্য তার তীব্র লাল টুকু পাঠিয়ে দিলো
একটি কৃষ্ণচূড়ার ডালে।
আমি অবাক হলাম, এখনতো বসন্ত নয়!
একটি কোকিল গেয়ে উঠলো সাথে সাথেঃ
“আজ আমরা এসেছি তোমার দলে যোগ দিতে”।
সন্ধ্যার ঠিক আগে আগে কয়েকটি কাক উড়ে এলো,
বললো, একটু দেরী হয়ে গেল কাজ ছিল বলে।
আমি হেসে বলি; সারাদিন আবর্জনা ঘেঁটে
তুমিই এখন সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন,আমার প্রিয় পাখি।
এরপর কাকগুলি আমাকে পথ দেখিয়ে চললো,
ওদের সাথে যোগ দিলো শাদা বক আর
ঘরে ফিরতে যাওয়া শত পাখির দল।
হঠাৎ দেখি ঝাঁকে ঝাঁকে জোনাকী!
“আমাদের ছাড়া যাবে তোমরা?” ওরা প্রশ্ন করলো।
নিয়ে নিলাম সবাইকে।
যখন তোমার খুব কাছাকাছি চলে এসেছি,
ছোট পাহাড়ের চূড়ার কাছে তখন কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ।
বললো, আমিও যাবো, আবার পূর্ণিমা হবো,
বারবার, শুধু তোমাদের জন্য।
তোমার বাড়ির খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।
একা আসতে চেয়েছিলাম, পারিনি।
পিছনে তাকিয়ে দেখলাম, স্বপ্ন আর
সবচেয়ে তীব্র সৌন্দর্যের মিছিল।
তুমি যে বাড়িতে থাকো, ওটাকে মনে হচ্ছে
রূপকথার স্বপ্নময় রাজপ্রাসাদ।
তোমার জানালা দিয়ে ঠিকরে পড়ছে
সহস্র ধ্রুবতারার মিটি মিটি আভা।
হঠাৎ এই মধ্যরাতে পাখিরা গেয়ে উঠলো,
দোয়েল টুনটুনি কোকিল কাক ঘুঘু ময়না আর
নাম না জানা শত শত পাখি।
তুমি বাইরে এলে, চারিদিকে সশব্দে ঝলসে উঠলো
শত শত আলোর বাজি।
ঘুম জড়ানো, স্বপ্নমাখা চোখে
তুমি তাকালে আমার আর
আমার পিছনে সৌন্দর্যের মিছিলের দিকে।
আমি বললাম সবকিছু শুধু তোমার জন্য।
তুমি ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলে, হাসলে।
আমি তোমার কানের পাশে এঁকে দিলাম
শুদ্ধতম চুম্বন আর কানে কানে একটি কথা বললাম।
সমস্ত মিছিলজুড়ে প্রতিধ্বনিত হলো সেই কথাটিঃ
“শুভ জন্মদিন, শুভ জন্মদিন ‘সাপাখি’ ”।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৬
এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
শুভকামনা
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
ফারাহ দিবা জামান বলেছেন: কবি আমার খুব পছন্দের একটি লেখা।
কালো যদি মন্দ তবে কেশ পাকিলে কান্দ কেনে--
এই ভুবনে ঝরল যে ফুল,
সেই ভুবনে উঠল কি--
এই ভুবনের কান্না যত
হয় কি হাসি সেই ভুবনে
হায়
জীবন এত ছোট কেনে এই ভুবনে!!!!!!!
কবিতা ভালো লেগেছে কবি।
অন্নেক!!!!!
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৪
এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: কবি আমারও অনেক পছন্দের, প্রিয়।
ভালো লেগেছে জেনে অনেক প্রীত হলাম।
আসলে এটা যতটা না কবিতা ভেবে তারথেকেও বেশী আমার ভালবাসার মানুষটিকে জন্মদিনে দেবার জন্য "গিফ্ট" গুলোর কথা ভেবে লেখা!
একান্ত ব্যক্তিগত লেখাটা ব্লগে দিয়ে দিলাম!
ওর জন্য লেখা হলেও ও এটা জেনে একটুও রাগ করবেনা, ও মনে করে সৃষ্টিশীল কোনকিছু সবার জন্য।
কবিতা ভালো লেগেছে কবি। হা হা হা হা!- এই প্রথম কেউ আমাকে কবি লিখে সম্বোধন করল।
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
নেক্সাস বলেছেন: তুমি আর আমি, দুজনেই খুব স্বপ্নবাজ।
আমরা আমাদের প্রতিটি মূহুর্ত বাঁচবো অনন্ত আলোকবর্ষ।
তাই না?
আর তুমি আমি, আমি তুমি, আমরা দুজন মিলে
জীবনকে বানাবো ভালোবাসা।
তোমার প্রতি আমার, আমার প্রতি তোমার, সমস্ত মানবতার।
জীবন ভালবাসার ভড়ে উঠুক
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৮
এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: "জীবন ভালবাসার ভরে উঠুক "
আপনার শুভ কামনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
আমার জীবনে ভালবাসার একটুও কমতি নেই, কিন্তু এই পৃথিবী আজব জায়গা!! ভালবাসার থেকেও হাজারটা বিষয় এখানে গুরুত্ব বেশী পায়!!
আমরাও থেমে নেই, থামিনা, থামবোনা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
সুখী থাকুন সবাইকে নিয়ে, অনন্ত আলোকবর্ষ ধরে
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪২
গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে। আর কি বলব! সত্যি খুব সুন্দর লিখেছেন
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৭
এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে। আর কি বলব! সত্যি খুব সুন্দর লিখেছেন
সত্যিটা লিখেছিতো, তাই সুন্দর মনে হয়েছে।
আপনাকে ধন্যবাদ গ্রাম্যবালিকা।
ভালোথাকবেন, ছোট্ট জীবনটাকে যাপন করে যাবেন সহস্র শতাব্দী।
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৯
নীলঞ্জন বলেছেন: ভালোলাগা রইল।
++++++++
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: ভালো লাগাটা জানালেন, আমারো ভাল লাগল জেনে।
যদি কখনো খারাপ লাগে, জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
ভাল থাকবেন, আলো থাকবেন।
৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৪
নির্জন শিশির বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। শুভকামনা সতত
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০২
এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাল থাকবেন সবসময়।
ভাল'র সাথে থাকবেন, নির্জন শিশিরের মতো সবুজ ঘাসের ডগায়।
৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কবি কবিতা ভালো হয়েছে , ২য় ভালোলাগা দিয়ে গেলাম
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০৭
এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: ভাই, "কবি" ডাক শুনে একটু লজ্জা লাগছে!
(আনন্দও পাচ্ছি!)
ভাল থাকুন "রেশমি আর আন্ডা-বাচ্চা নিয়ে, সবসময়, মানুষ ভাবতে থাকুন"
৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৭
একজন আরমান বলেছেন:
সত্যি অসাধারণ উপহার হয়েছে।
মনটা খারাপ হয়ে গেল আপনার কবিতা পড়ে।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১২
এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: মন খারাপ করে দেবার জন্য দুঃখিত!!!!!
আশা রাখি মাঝে মাঝেই মন খারাপ করে দিতে পারবো!!!!!
ভালো থাকুন সবসময়, মানুষের পাশে থাকার স্বপ্ন বাস্তব করে যান সবসময়।
৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৫
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আপনি চমৎকার লেখেন, লেখক
শুভ সকাল। গল্পটা পরে পড়ব, মাথায় একটু গ্যাঞ্জাম
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৬
এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: শুভ সকাল আপু।
গল্পটা আপনার কেমন লাগে তা জানাতে খুবই আগ্রহী।
একটু বড় গল্পতো, তাই সময় করে পড়ে নিবেন।
যাক!!! ব্লগে এসে লেখক, কবি সব উপাধি পেয়ে গেলাম!!!!
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।
১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫০
রি হোসাইন বলেছেন: অনেক ভালো কবিতা ...... কিন্তু বেশি বড় হওয়ায় মনে হলো আবেদন কমে গেছে এবং বিরক্তি বিরক্তি ভাব চলে এসেছে । তার পরেও শুভ কামনা।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৭
এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: কবিতাটা যার জন্য লিখেছিলাম তার কিন্তু বিরক্তি লাগে নি!!
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকবেন সবসময়। ভালো লাগা/ খারাও লাগা নির্দিধায় জানাবেন। (আমি সাইজে ছোটতো, তাই বড় বড় কবিতা লিখে পুষিয়ে নেই!!)
আপনার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ কবিতা"
অশ্লীল সভ্যতা
নিউটন বোমা বোঝ
মানুষ বোঝ না।
লিখেছেন হেলাল হাফিজ
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
সান্তনু অাহেমদ বলেছেন: অনেক অনেক ভালোলাগা মাহমুদ। ++
শুভ কামনা রইল।