নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার যত ভাবনা-স্বপ্ন-বাস্তব

দুই পায়ে হাঁটি আর চার চোখে স্বপ্ন দেখি। মানুষের জন্য ভালবাসা, মানুষের জন্য!

এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ

এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ূন আহমেদের জন্য ভালবাসা ও অন্যান্য কথা

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:১১

যখন শিশু ছিলাম, তখন থেকেই বই পড়ায় আনন্দ খুঁজে পেয়েছি।শিশু থাকতেই বাকের ভাইয়ের নাম শুনেছি। আমার আবছাভাবে মনেপড়ে, কোথাও কেউ নেই নাটকে “দারোয়ান” খুন হওয়ার কথা। আজ রবিবার নাটক বিটিভিতে দেখেছিলাম, স্পস্ট মনে আছে, তবে কোন সালে দেখেছিলাম তা মনে নেই! তখন হুমায়ূন আহমেদকে চিনতাম না।

আমি যখন ক্লাশ ফাইভ/সিক্স-এ পড়ি তখন হুমায়ূন আহমেদের বই প্রথম পড়ি।



যে বইটি পড়েছিলাম সেটি কিন্তু একদম বড়দের বই ছিল!

আমি গোপাল কাকার (আব্বুর বন্ধুর বড়ভাই) কাছে পড়তে যাবার সময় থানা মোড়ের “কলেজ লাইব্রেরী” (ফটোকপি,বই,খাতার দোকানের নামটা ছিল কলেজ লাইব্রেরী) থেকে বাঘ বন্দী মিসির আলী বইটা নিয়ে যাই। তখন আমি ঐ বইয়ের দোকান থেকে মাঝে মাঝেই বই খাতা কলম কিনতাম আর কিছু গল্পের বই এমনিই বাসায় নিয়ে পড়তাম, পড়া শেষ হলে ফেরত দিতাম।বাঘ বন্দী মিসির আলী বইটা দেখেই আমার পছন্দ হল! আমি ভাবলাম নিশ্চয়ই মিসির আলী নামে কাউকে একটি বাঘ “বন্দী” করে রেখেছে!! দারুণ একটা বই হবে!!!

বইটি কিনে বাসায় গিয়ে হতাশ হলাম! কয়েক পাতা পড়ার পর দেখি ফালতু একটা বই! কোন বাঘ-সিংহের নাম গন্ধও নেই! আমার বোকামীর জন্য মন খারাপ হল, আবার একটু পর একটা আনন্দ জাগলো মনে!!

বড়দের বই!!!!!

বড়দের বই!!!!!

এর আগে বড়দের বই পড়তে পারিনি, সবাই মানা করতো। চাচাতো ভাই/মামা/আন্টিদের কাছে “নভেল বই” সম্পর্কে শুনেছি। সেন্টু ভাইকে নভেল পড়তে দেখতাম, কিন্তু নভেল পড়ার কোন সুযোগ পাইনি। ভাবলাম একটু কষ্ট করে পড়ে দেখিইনা কি লেখা আছে! এই ভেবেই বইটা দুই দিনে পড়ে শেষ করলাম। একটুও মজা পাইনি, একটুও ভাল লাগেনি!

কিন্তু আমি যে একটা বড়দের বই পড়েফেলেছি, এই ব্যাপারটা আমাকে অনেক সুখ দিয়েছে!!

যাইহোক, বইটা ফেরত দিয়ে নিয়ে আসলাম “রোবকপ এখন আমাদের শহরে” নামে একটা বই। লেখকের নাম মনে নেই, শুধু মনে আছে প্রচ্ছদে একটা রোবট এর ছবি দেওয়া ছিল।

এরপর নানা লেখকের বই পড়েছি, কত্ত গোয়েন্দা বই, কিশোর ক্লাসিক, হরর বই!

আমি আর আমার বন্ধু নাসিফ নেওয়াজ জয়, আমরা দুজন মিলে ক্লাশ সিক্স থেকে একসাথে বই পড়ি। আমাদের এলাকায় “সুজন বন্ধু ছবিঘর” নামে একটা ছোট্ট দোকান ছিল যেখানে বই পাওয়া যেতো। জয় আর আমি একদিন সুজন দা’র দোকানে গিয়ে দুইটাকা দিয়ে একটা বই ভাড়া নিলাম। বইটির নাম ছিল “তান্ত্রিকের কবলে”। বইটা দুইজন দুইদিনে পড়লাম। তারপর বইটি নিয়ে আমাদের কতো আলোচনা, কতো কথা, কতো গল্প!!

আমি বইটা পড়ে কতোটা ভয় পেয়েছি, জয় কতটা ভয় পেয়েছে, রাতে প্রস্রাব চাপলেও যে ভয়ের চোটে বাথরুমে যাইনি, গল্পের কোথায় কি চরিত্র কি করেছে এসব নিয়ে কথা বলতাম। এরপর থেকে আমাদের কোমর বেঁধে বই পড়া শুরু। বই ভাড়া নিয়ে আসতাম আর আমি এবং জয় পড়তাম। ওই দোকানের সব বই পড়ে শেষ করার পর আমরা আমাদের চারপাশে বই খুঁজতে শুরু করলাম। বই ছাড়া আমাদের আর ভালোলাগেনা। আমাদের স্কুল ব্যাগে সবসময় গল্প-উপন্যাস থাকতো। জয় আর আমি ক্লাশের পেছনে বসে বই পড়ি আর স্যার ক্লাশ নিতে থাকেন। আমরা একবারও স্যারদের কাছে ধরা পরিনি। আমরা ক্লাসের সময় পাঠ্যবই এর মাঝে গল্প-উপন্যাস লুকিয়ে রেখে পড়তাম।

এজন্যই মনে হয় পাঠ্যবই এর সাইজ গল্পের বই এর থেকে বড়। এন সি টি বি তাদের এই বিষয়টা না জেনেই আমাদের সুবিধে করে দিয়েছিল!

আমরা ছাত্র হিসেবে ভালো ছিলাম আর স্যারদের অনেক ভালবাসাও পেতাম।

বই এর সাথে জয় আর আমার একটা নতুন জগত সৃষ্টি হল। আমাদের সাইকেল ছিল। একটা বই পড়া শেষ হলেই আমি সাইকেল চালিয়ে জয়ের বাসায় হাজির! ততক্ষণে হয়তো জয়েরও একটা বই পড়া শেষ! আমরা একটা বই পড়ি আর আমাদের জগত বড় হতে থাকে। ক্লাশ এইটে আমরা একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলি (এফ ডি এইচ সি)। আমাদের দলে যুক্ত হয় “জিনি”। মিঠুর সাথে সারাদিন থাকলেও আমি মিঠুকে আমাদের দলে তখনও নেইনি। পরবর্তীতে আমরা আমাদের গোয়েন্দা দলের কার্যক্রম বাড়িয়ে সাহায্যকারী সংস্থার রূপ দেই। আমাদের সংস্থাটি একটি উন্মুক্ত দলে পরিনত হয় এবং আমার অনেক বন্ধু এতে যোগ দেয়।

আমার বন্ধুরা একে একে বই পড়তে শুরু করে। মিঠু পরবর্তীতে আমাদের দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে কাজ করতে থাকে। আমরা ম্যাগাজিন/পত্রিকা বের করি। আমার সব বন্ধুরা এই ব্যাপারটা নিয়ে বিশুদ্ধ আনন্দ পায়। জয় ছিল চাপা স্বভাবের (লাজুক টাইপ!, আমি ম্যাগাজিনে জয়ের নাম দিয়ে একটা লেখা ছেপে দিই। এটা নিয়ে জয়ের সে কী লজ্জা!!! নিজের নাম ছাপার অক্ষরে দেখতে তখন অন্য রকম লাগতো! যেমন প্রথম নিজের কন্ঠস্বরের রেকর্ড শুনতে একটা অনুভূতি হয়, অনেকটা সে রকম।

সে সময় আমাদের কাজই ছিল স্কুল পালানো আর সাইকেলে ঘোরা। আমরা ততদিনে অনেক নভেল পড়ে ফেলেছি। ক্লাশ এইট থেকেই হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস পড়ছি। আমি আর জয় হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত হয়ে গেলাম!

জয়ের বড়বোন, আমার বড়বোন, জুঁই আপুর কাছথেকে তখন প্রচুর বই নিতাম। জুঁই আপু তখন হয়তো এস এস সি দিয়েছে, আমি জয়ের বাসায় গেলেই দেখতাম জুঁই আপু বই পড়ছে!তার কাছ থেকে হুমায়ূন আহমেদের বই নিয়ে পড়তাম। আপুর অনেক বই ছিল। সুনীল, সমরেশ,বুদ্ধদেব,শীর্ষেন্দু এদের বইও পড়তাম তার কাছ থেকে নিয়ে। আমার মেজো মামার (লাবলু মামু) কাছে শত শত বই ছিল। ওখান থেকেও নিয়ে বই পড়তাম।জুঁই আপুকে আমার নিজের মায়ের পেটের বোন মনে হয়। আমি আপুকে যে কী পছন্দ করি, কতটা ভালবাসি তা কখনো বোঝাতে পারবোনা। আমার মা, আমার বাবা, আমার প্রেমিকা, আমার জুঁই আপু, আর আমার ছোট দুই বোন আর আমি। ভালোবাসার কোন সীমা পরিসীমা থাকেনা। আমি অনেক অনেক অনেক অনেক ভালবাসতে পারি। মানুষের ভালবাসা আমাকে ভালবাসতে শিখিয়েছে। আমি অনেক মানুষের ভালবাসা পেয়েছি। ভালোবাসায় কোন দান-প্রতিদান থাকেনা এটা আমি জানি, তবুও কারো কাছে একটু ভালবাসা পেলে আমি বহুগুনে তা ফিরিয়ে দেই। জুঁই আপুর সাথে আমি কত্ত ঝগড়া করেছি, কত্ত রাগিয়ে দিয়েছি, কত্তো উল্টা-পাল্টা কথাবলে তার রাগের কারন হয়েছি। আমার আফসোস হয়, কেন যে আমার প্রেমিকা জুঁই আপুর মতো একটা বোন পেলনা! জুঁই আপুর বিয়ে হয়েছে, তার বর ড্রাইভার, আকাশে উড়ে বেড়ান। আজম ভাই। আজম ভাই ও জুঁই আপুকে একসাথে দেখলে যে আমার কি শান্তি লাগে!! আহ!! আমার বোনটা সুখে থাক, আমার বোনটা সুখের কান্না কাঁদুক। কিছুদিন আগে জয়ের সাথে জুঁই আপুর ঝগড়া হয়। ওরা কথা বন্ধ করে দেয়! কই জুঁই আপুতো আমার সাথে কখনো কথা বন্ধ করেনি। আমিও তো অনেক ঝগড়া করেছি তার সাথে। আমি মায়ের পেটের ভাই না, তাই আমার সাথে কোন অভিমান হয়না? আমারও যে ইচ্ছে করে জুঁই আপুকে জয়ের মতো নাম ধরে, তুই করে বলতে। আমি আমার ভালোবাসার কথা কখনো বলতে পারিনা, তাই জুঁই আপু জানেনা তার এই ছোট্ট ভাইটি তাকে কত্ত কত্ত ভালবাসে। আমি বড় বোন বলতে এক জুঁই আপুকেই জানি। আমার চাচাতো বোনদেরও আমি অনেক ভালবাসি, কিন্তু ওরা বড় হলেও প্রায় আমার সমবয়সী। জুঁই আপুর কি কক্ষনো আমাকে নিজের মায়ের পেটের ভাই মনে হয়নি? মনে না হওয়াটাই হয়তো স্বাভাবিক! আমি জুঁই আপুর সামনে গেলে এমন আচরন করি যেন সে আমার ভালবাসা বুঝতে না পারে। আসলেই গাধিটা বুঝতে পারেনা। আমি যতো জনম আমার প্রেমিকাকে আমার করে চাই, আমার মায়ের কোলে জন্ম নিতে চাই, ততবার আমি জুঁই আপুকে আমার বোন হিসেবে পেতে চাই।জুঁই আপু কিছুদিন পরে মা হবে। তার পেট ভর্তী হয়ে আছে স্বপ্নে। আমি জানিনা ছেলে হবে না মেয়ে হবে, আমি চাই জুঁই আপুর কোল আলো করে রাজকন্যা অথবা রাজপুত্র আসুক। আমি আমার আসন্ন সোনা মানিকের জন্য কত্ত নাম ঠিক করি! জয়ের মা বলেন, “মেয়ে হলে নাকি আসমানী নাম রাখা হবে”। আমি আন্টিকেও অনেক ভালবাসি তাই তার রাখা নাম ধরে ডাকব আমার মা কে। আর যদি ছেলে হয়!! তাহলে কি নাম হবে তখন? জুঁই আপুর ছেলে মেয়ের অনেকগুলো নাম রাখবো। একেক সময় একেক নামে ডাকব।

আমার প্রেমিকাকে আমি অনেক অনেক ভালবাসি, এতো ভালোবাসি যে বলার মতো কোন ভাষা নেই, শুধু আমি জানি। ওকে আমি জুঁই আপুর কথা অনেক অনেক বলেছি। ও না দেখেই হয়তো জুঁই আপুকে ভালবেসে ফেলেছে। জুঁই আপু সম্পর্কে যদি আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করা হয় তাহলে বলবঃ “জুঁই আপু হল জুঁই আপু”। দ্যাটস্‌ অল!

সেই শিশু বয়সে যখন বই পড়তাম, তখন থেকেই জুঁই আপুর সাথে চেনা জানা। তারপর হুমায়ূন আহমেদের বই। তারপর আনন্দ পেতে শেখা। তারপর বন্ধুত্ব জানা, তারপর জীবনানন্দ পড়া, তারপর নজরুলের গান আরো প্রিয় হওয়া। তারপর রবীন্দ্রনাথকে চেনা। তারপর রবার্ট ফ্রস্ট। তারপর হুমায়ূন আজাদ। তারপর রুমী। তারপর কতকিছু। তারপর জীবনের জীবন আমার প্রেমকে খুঁজে নেওয়া, তারপর নিজেকে আবিষ্কার।

হুমায়ূন আহমেদ, আপনি নিজেও জানেন না আপনি কতোজনকে ভালবাসতে শিখিয়েছেন, কতোজনের মাঝে সাহিত্যের বীজ বুনেছেন, কতজনকে উপন্যাস পড়তে শিখিয়ে তাদের মুখেই আপনার উপন্যাস “বাজারী” এই কথা শুনেছেন। আপনার সব লেখাতো আর সবার কাছে ভালো না। আপনার একাধিক উপন্যাস পড়ে আমার মনে হয়েছে “কি সব লিখেছেন!!”, কিন্তু বিরক্তি লাগেনি। আপনার এক “শ্রাবন মেঘের দিন” উপন্যাসটির জন্যই আপনি এই পৃথিবীর সেরা লেখকদের একজন।আজ হঠাৎ আপনার কথা ভালভাবে মনে পড়ল। মনে পড়ল আমি আপনার কাছে অনেক অনেক ঋনী। এই ঋন তো আর শোধ হবার নয়! আপনার কাছাকাছি যখন গিয়েছিলাম তখন আপনি কাছে থেকেও অনেক দূরে ছিলেন, তাই আর কৃতজ্ঞতা জানাতে পারিনি। সাথে ছিল আমার বন্ধু জয়। আপনাকে পুষ্পার্ঘ্য দেবার সময় কিন্তু আমি মনে মনে জুঁই আপুকে আর আমার প্রেমিকাকে পাশে এনেছিলাম। তখন আমরা একসাথেই ফুল দিয়েছিলাম। আমার অনেক অনেক ভালো লাগার লেখক আছেন এই পৃথিবীতে। তবুও, হুমায়ূন আহমেদ, আপনিই প্রথম প্রিয়।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২৮

আতিফ আসলাম বলেছেন: Valo likeacen

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২২

এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
স্যারকে আপনার লেখার মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করি

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: আপনার অনেক প্রিয় লেখক, তাই না?

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

একজন আরমান বলেছেন:

কান্ডারী অথর্ব বলেছেন:
স্যারকে আপনার লেখার মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করি

আমিও।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: অনেক দিন পর আবার আপনাদের সাথে কথা হচ্ছে!
ভালো আছেন তো?

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী বলেছেন: ভালো লিখেছেন

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০০

টাইটান ১ বলেছেন: ভালো লাগল।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: জেনে আমারো!

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১

অনীনদিতা বলেছেন: :(

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: :( :( !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.