নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার যত ভাবনা-স্বপ্ন-বাস্তব

দুই পায়ে হাঁটি আর চার চোখে স্বপ্ন দেখি। মানুষের জন্য ভালবাসা, মানুষের জন্য!

এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ

এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জগা-খিচুড়ি প্যাঁচাল অথবা খাপছাড়া কথা

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫২

আমি লিখতে পারি। কিন্তু কোন গল্প/উপন্যাস লেখার কথা মনে এলে অথবা লেখার সময় আমার হাসি পায়। এজন্য আর লেখা হয়ে উঠে না। সকল শিল্পের “রস” বুঝি, শিল্পী যতটুকু বোঝাতে চান তারথেকেও বেশী বুঝি। কোন কিছুর মধ্যে ভালো কিছু থাকলেই তা আমার কাছে বেশী স্পষ্ট হয়ে উঠে। মন্দ দেখতে আমার মন চায় না। ভালো অথবা মন্দ নিয়েও কোন কথা আমি বলতে চাইনা। ভালো মন্দ আপেক্ষিক ব্যাপার। ব্যক্তিগত জীবনে আমি কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি। আমি জীবনে অনেক ভুল করেছি, অনেক অন্যায়ও করেছি। কিন্তু আর না। ভালবাসা আমাকে করেছে শুদ্ধ। আমার প্রেয়সী আমার জীবনের সবথেকে বড় অর্জন (যদিও তাকে আমি পাইনি এখনো!)। আমি জন্মনিলাম বাংলাদেশে। আমার একটা নাম রাখা হল। আমার অস্তিত্বের প্রকাশ ঘটল এই মহাবিশ্বে। আমি বড় হলাম, বড় হতে হতে দেখলাম আমার চারপাশও বড় হচ্ছে! আমি মানুষকে জানলাম, এখনো জানছি। ফুল পাখি নদী শাপলা ধানক্ষেত ঘুড়ি প্রেম কবিতা শালিক গান কাক ইঁদুর পাহাড় পুঁটি মাছ আকাশ সাইকেল কান্না ক্রোধ শব্দ প্রতিবাদ… জানলাম। জানলাম মানুষকে একদিন মরতে হবে! আমি মরতে চাইনা। আমি মরতে চাইনা। আমি এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চাই। প্রান ভরে আমার দেশকে আমার পৃথিবীকে আমার সাপাখিকে ভালবাসতে চাই। ভালবাসতে চাই প্রতিটি মূহুর্তের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভগ্নাংশকে।আমার প্রতিটি স্বপ্ন সত্যি করতে চাই, আবারো স্বপ্ন দেখতে চাই। দেখতে চাই এক স্বপ্নের মাঝে হাজারটা স্বপ্ন। আমার পৃথিবীকে আমি সুন্দর দেখতে চাই। আমার পৃথিবীকে আমি বাসযোগ্য দেখতে চাই। আমি চাই আমি যেন রাস্তায় বিকৃত-দেহী ভিক্ষুকটার মতো হাজারো মানুষকে বুকে জড়িয়ে ধরতে পারি, এবং শুধু জড়িয়ে ধরা নয়, তাদেরকে যেনো শত স্বপ্নে ভুলিয়ে দিতে পারি সব কষ্ট, ভাগ করে নিতে পারি সব কষ্ট, দূর করে দিতে পারি সব কষ্ট। একটা নাম বয়ে বেড়ানোর মানুষ আমি না। আমি জানি আমি কি পেয়েছি আর কি পাইনি। আমার সামনে অনেক মানুষের প্রকৃত চেহারার উন্মোচন ঘটেছে। আমি অবাক হয়েছি, আবার কষ্টও পেয়েছি অথবা আনন্দে চোখে জল এসেছে। আমি যেদিন আমাকে প্রথম চিনলাম, সেদিন আমার কান্না পেল। আমি হু হু করে কাঁদলাম। তারপর বুকটা ভরে গেল, বুক জুড়ে শান্তির ধারা প্রবাহিত হল। আমার সকল ব্যর্থতা আমি জানি। আমার সকল ত্রুটি আমি জানি। আমার ভালোদিক আমি জানি। আমি একটা মানুষ, শুধু একথাটিই বলবো।



মানুষ হয়ে পড়েছি মহা বিপদে! দেখি সবকিছুর জন্যই কষ্ট লাগে! বিশ্বাস করেন শিশুকালে খুনী এরশাদ শিকদার এর ফাঁসির কথা শুনেও কষ্ট পেয়েছি। ওসামা বিন লাদেনের মৃতদেহের ছবি দেখেও মনটা খারাপ হয়ে গেছে। আহা! বেচারা! হাজার মানুষ মেরে তোর কি-ই বা লাভ হল! তুই নিজেও তো মরলি!

আমার মনে হয় প্রত্যেকটি মানুষ (অমানুষরা মানুষ নয়)প্রত্যেকটি মানুষের জন্য ভাবলে পৃথিবী আরো সুন্দর হবে। হা হা হা। এতো সহজে হবে না। এই পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ একে অপরের থেকে ভিন্ন। মানুষকে নিয়ে মানুষ ঠিকই ভাবে, কিন্তু কি কারনে যেনো মানুষগুলো কষ্ট পেতেই থাকে, পেতেই থাকে। মানুষের মধ্যে কত ভেদাভেদ! জাতী ধর্ম বর্ন আবার নারী পুরুষ হিজড়া আবার গরীব ধনী ছোট বড়! প্রতিরাতে এই পৃথিবীতে কতো মানুষ না খেয়ে কষ্ট করে ঘুমাতে যায়! এই কথা মনে হলেই আমি ভাত খাওয়া ছেড়ে দিই। তখন ভাত গিলতে আমার ভেতর অপরাধবোধ জাগ্রত হয়। আমি ছোট-খাটো একটা মানুষ। এজন্য হয়তো আমি অনেকের কাছে তুচ্ছ এবং আমার হৃদয়টাও হয়তো ছোট। এই ছোট্ট হৃদয়েই তাই কষ্টগুলি জমিয়ে রাখি। আমি এই পৃথিবীর কাছে বেশী কিছু চাই না, যেমন আছি থাকতে চাই। আমি জীবনে অনেক সুযোগ স্বেচ্ছায় হাতছাড়া করেছি। তারমানে আমি বোকা। অনেকে তা-ই বলে। আমি নিজেকে কখনো গুটিয়ে রাখিনি। শৈশব থেকেই আমি ছিলাম বহিঃমুখী। আমার অনেক বন্ধু আছে, অনেক শুভাকাঙ্খী আছে, এমনকি অনেক বন্ধুদের বাবা-মা-আত্মীয়রাও আমাকে ভালবাসেন। বড় হবার পর আমি কখনো কাউকে মারিনি(আমার বোন আর আমি মারামারি করতাম, ওইটা ছাড়া), গালি দিইনি (বন্ধু বান্ধব ছাড়া)। পড়াশুনায় আমি খুব ভালো ছিলাম। কিন্তু জীবনের একটা সময় আমার মনে হয়েছে এই অন্ধ-দৌড় আমাকে এগিয়ে নিয়ে গেলেও কিছু দেখাতে পারবে না। ফলে যা হবার হল। পড়াশুনায় না বেশী ভাল না খারাপ হয়ে থাকলাম। ইন্টারমিডিয়েট এ এসে একাধিক বার কলেজ বদল করলাম। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সবগুলি পরীক্ষা না দিয়েই পালালাম। আবার একটা কারনে ফিরেও এলাম, কিন্তু সেবার আর পরীক্ষা দিলাম না। পরের বারও পরীক্ষা অর্ধেক দিয়ে আর দিলাম না (কারন আছে)। যতগুলি পরিক্ষা দিয়েছিলাম সবগুলিতে এ+ ছিল। তবুও আমার আফসোস হয়নি একটুও। আমি জানি আমি এই পৃথিবীতে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারবো। অঢেল টাকার দরকার নেই আমার। আসেপাশের মানুষদের নিয়ে সুখে থাকতে পারলেই চলবে। আমি আমার জীবনের এক মূহুর্ত সময়ও নষ্ট করিনি, কারন আমি সবসময় বেঁচে ছিলাম। আমার অতীত স্বর্ণালী, আমার বর্তমান লড়াকু, আমার ভবিষ্যত “যা-ই হোক না কেন”। বেঁচে যখন আছি, আরো ভালভাবেই বাঁচি… এই ভাবনার মধ্যে দোষের কিছু নেই। কিন্তু আমি জানি ভালভাবে বাঁচা বড়ই কঠিন! আমার চারপাশের মানুষগুলো ভালভাবে বাঁচছে তো? আমার জন্যই আমার জীবন এটা আমি মানি না। আমার দায়িত্ব পুরো পৃথিবীর প্রতি। এই পৃথিবীর যতটুকু পারি ভালোর দিকে বদলে দিতে চাই আমার সাপাখি কে সাথে নিয়ে। সাথে নিয়ে বন্ধুদের, ভাইদের, বোনদের। এখনো পৃথিবীর অনেক মানুষ অনেক কিছুই বোঝেনা। আমি চাই তাদের বোধ শক্তি বৃদ্ধি পাক। আমরা যেনো কোন মানুষকে তুচ্ছ রূপে না দেখি। মানুষ আবার থার্ড ক্লাশ হয় কিভাবে?

ক্লাশ-ফ্লাশ গুড়িয়ে দেবার তীব্র বাসনা জাগে মনে, জেগেই আছে। সবাই কেন মানুষ ভাবে না? সবাই কেন মানুষ ভাবে না? সবাই কেন মানুষ ভাবে না?

হাতে গোনা কয়েকজন ডাক্তার/ইঞ্জীনিয়ার/স্থপতিরাই শুধু ভালবাসার অধিকার পায়! অথবা শুধু রাজনীতিবিদরাই শুধু ক্ষমতার চাবিকাঠি নিয়ে ঘোরবে? ক্ষমতা একটা ফালতু শব্দ। ক্ষমতা নশ্বর। সবকিছুই নশ্বর। তবুও অনন্তের তৃষা আমাদের মনে।

বাংলাদেশ আজ কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে?

কেন মন্দিরে হামলা হবে? মন্দির কি দোষ করলো আবার? অথবা মসজিদ গীর্জা প্যাগোডা?

কেউ কেউ “মাথার ঘা’য়ে কুত্তা পাগল” অবস্থায় আছে। কিভাবে জানি কি হয়ে যায়! তারপর মানুষ মেনে নেয় সবকিছু। এভাবেই চলে আসছে, এভাবেই চলবে… না, না, না। মানুষ কেন রূখে দাঁড়াবে না? মানুষকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। আমরা কিছু বুঝিনা। তাই না?

কি বুঝি? জানিনা।

শুধু জানি মানুষকে রক্ষা করতে হবে অমানুষদের হাত থেকে। ধর্ম জাতি বর্ন গোত্র কাঁটাতার বর্ডার গার্ড ছাড়িয়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে “মানুষ”।দানব মিশে আছে মানুষের সাথে। আমরা দানবকে চিনি। যারা ধর্মের নামে মানুষের সাথে প্রতারনা করছে, তারা মানুষ হতে পারে না। তারা দানবের থেকেও মন্দ। ধর্মকে পুঁজি করে এই সন্ত্রাস আর চলতে পারে না। কেন আজ একজন হিন্দু বন্ধু ভয়ে থাকবে? কেন আজ সাধারন মুসলমান বন্ধু ভয়ে থাকবে? একটা নির্দিষ্ট দল ধর্মকে পুঁজি করে টিকে থাকার চেষ্টা করছে, আর তাদের সাথে যুক্ত হচ্ছে অবুঝরা। এই রকম ঘটনা অতীতে আরো অনেক ঘটেছে। মানুষ বিপর্যয়ের মধ্যে বসবাস করেছে।

না আর না।

এবার রুখতেই হবে।

মাথা উঁচু করে দাঁডাতেই হবে।

যে যেখানে আছি রুখে দাঁড়াই অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে।

মানুষ একবারই জন্মে এই পৃথিবীতে। তারপর একসময় মরে যায়। মাঝখানের অংশটুকুই হল ‘জীবন’।

বাঁচতে হলে ভালভাবেই বাঁচি, লড়াই করেই বাঁচি। হায়েনারা আবারো বের করেছে তাদের পুরনো অস্ত্র। আমাদের সবারই জানা কি করতে হবে।

তীব্র প্রতিরোধ চাই। প্রতিটি মানুষের জন্য চাই সুন্দর বসুন্ধরা।

জয় বাংলা। জয় পৃথিবী। জয় আকাশগঙ্গা। জয় মহাবিশ্ব।

মানুষ বাঁচুক স্বপ্নে আর স্বপ্ন হোক মানুষের জন্য।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধুর মিয়া খাপছাড়া কথা মানুষ কেন যে বলে !!! ;) ;) ;)

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: আমরা ভাই কোন খাপে মিলি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.