নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামু র বয় বৃদ্ধার ব্লগ
ভেজা আচঁলের খুটে বেঁধে রাখা কিছু মমতা
জমিয়ে রাখি।
ফজর শেষের স্নিগ্ধতা যখন সমস্ত চরাচরে
দরদী দোয়ায় সিক্ত করে -
মুঠোভরে তুলে রাখি তার দু এক ছটাক।
বেহিসেবী দিন - গুনে গুনে আর কাটে না;
দলছুট পরযায়ী পাখির ডানায় মিশে থাকা বিষন্নতা ঘিরে আমাকে ।
খুটেখুটে জমারাখা সবুজের ছোট্ট কো’নে
ঘুঘু’র নিবাস সাজাই।
রঙ পেন্সিলে ফোটে না সূর্যোদয় !
বড্ড বন্ধ্যা সময় এখন।
তিতকুটে কফিস্বাদ ঠোঁটছুয়ে তনু মনে আনা প্রশান্তি!
দিনমান মটর কালাইয়ের শাকে নকশা;
সাচরা মাছে লালশাকে ঝোল ঝাল, আর কুয়াসেঁচা সাটি চচ্চরী ।
ভাতঘুম নেমে এলে কবিতারা উঁকিদেয় নিদছোঁয়া চোখের পাতায়।
শাদাপাতা মুঠোফোনে কালিতে কালিতে শব্দবুনন
ডেকে উঠা তক্ষকে আলুথালু শাড়ির ভাঁজে লুকায় পৌউষী সুবাসের ধ্বনিত বর্নমালা।
বুক পকেটে চিঠির ঘ্রান আর নীড়ে ফেরা শালিকের আবছা ওম নিয়ে -
ঝু’প করে চলে আসে কিছু বিকেল;
পলক ফেলতেই আদুরে সন্ধ্যা।
দীর্ঘশীতের রাত ফুরায় অজস্র খুনসুটিতে,
আগুনের ফুলঝুরি তে।
চোখমেলতেই কুয়াশামাখা মিঠে কলসের ভোর
আড়মোড়া ভাঙতেই আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম।
#মনিরা
১২-১২-২০১৮
কুয়াশার ছবিঃ আমার নিজের।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: একটা লেখার আনন্দ কী জানেন !!!
পাঠকের সে লেখার সাথে একাত্ম হওয়া ! ঠিকঠাক অনুরণিত অক্ষরে নিজের ভালোলাগা প্রকাশ করায়।
আমি নিজে প্রকৃতি নিয়ে, আমাদের সময় নিয়ে লিখে আনন্দ পাই; আর সে আনন্দের ধারা ঝর্না হয়ে বর্ণিল রঙধনু হয় আপনাদের সবার মন্তব্যে।
আপনার জন্য জন্য বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা, আমার লেখায় মুগ্ধ পাঠক হবার জন্যে।
২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব ভাল লাগল কবিতা।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শেষ হয়ে আসা হেমন্তের শুভেচ্ছা মোস্তাফা সোহেল!
আশা করছি ভালো আছেন! আমার লেখার সাথে থেকে ভালোলাগা প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।
সব সময় অতখানি ভালোথাকুন! সুন্দর থাকুন।
৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: হিমধরা কবিতা
কবিতায় গ্রাম্য শীতের আমেজ মনে হচ্ছিল।
পাঠে ভালোলাগা।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আরেয়ে বাহ !! একদম চলে আসা শীতশীত মন্তব্য আপনার; খুব খুব ভালোলাগলো জানেন!
হুম গ্রাম্য আবহও ই আনতে চেয়েছি , শহুরে শীত বড্ড চোখ ধাঁধানো। স্নিগ্ধতা নেই কিছু তাতে।
কবিতা পাঠের ভালোলাগা কাছের করে রাখলাম তারেক ফাহিম।
শুভেচ্ছা অবিরত।
৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২১
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বেহিসেবী দিন - গুনে গুনে আর কাটে না;
দলছুট পরযায়ী পাখির ডানায় মিশে থাকা বিষন্নতা ঘিরে আমাকে ।
.............................................................................................
আহা! আমার যদি এমন হতো ?
আমি সময় কোথা দিয়ে যায় তার হিসাব জানি না ।
............................................................................................
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! তাহলে তো আপনি নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান! ছুঁয়ে যাওয়া ক্ষণিকের বিষণ্ণতা ও বেশ কষ্টের। ব্যস্ততা উপভোগ করুন। জীবনে এমন ও কখনো সময় আসে, আপনি চাইলে ব্যস্ত হতে পারবেন না।
তুলে আনা দু' লাইনের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকার শুভ কামনা আপনার জন্য।
৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: শীতের কুয়াশা প্রকৃতিকে অন্য রূপদান করে.....
সময় থমকে দাঁড়ায়.....
তবুও প্রকৃতির এ লীলাখেলা বড়ই মনোমুগ্ধকর, মনোলোভা....
শীতের আমেজকে চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন.....
চিত্ররূপময় কবিতায় মুগ্ধতা রইলো.....
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শীতের কুয়াশা প্রকৃতিকে অন্য রূপদান করে.....
সময় থমকে দাঁড়ায়.....
তবুও প্রকৃতির এ লীলাখেলা বড়ই মনোমুগ্ধকর, মনোলোভা....
সুন্দর বলেছেন , যে কোন ঋতুর ভরা মৌসুম বেশ উপভোগ্য! রক্ষ প্রকৃতি হলদে পাতার বন সব কিছুই অপার্থিব এক অনুভূতির জন্ম দেয়। প্রকৃতির এই আমেজের চিত্ররূপে আপনি চমৎকার শব্দটি রেখেছেন, আমি আনন্দিত !!
আমার লেখায় মুগ্ধতা আমাকে আকর্ষিত করে।
৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ + সহ।
৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২
কিরমানী লিটন বলেছেন: বিশুদ্ধ স্বাদের পরিশুদ্ধ কবিতা খেলাম- গোগ্রাসে, নান্দনিক ভালোলাগার রেশ রয়ে গেলো অনেক্ষন। অভিবাদন প্রিয় মনিরা আপুকে...
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনি ও আমার শুভেচ্ছা নিন, কবিতা পাঠে আপনার ভালোলাগার এমন উচ্ছ্বসিত প্রকাশ আমার ভালোলেগেছে। কবিতা লেখায় অনুপ্রেরণা করে রাখলাম এ আনন্দ ! এই ভালোলাগা !!
ভালোথাকার শুভ কামনা।
৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮
অপ্সরা বলেছেন: আপু একেবারেই আসন্ন শীতের অগ্রহায়ণী কবিতা...
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম হুম প্রায় চলে যাওয়া অগ্রহায়ণ কে আসি আসি শীতে বাঁধলাম।
৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫
আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় মনিরা আপা আপনার কবিতা সুফিয়া কামালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
কবিতায় অজস্র ভালোলাগা। আপনার কলম/ কী বোর্ড চলতে থাকুক বিনা বাঁধায়।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা সুফিয়া কামাল !! শৈশব কেটেছে উনার সাথে।
অনেক ধন্যবাদ আরোগ্য; ভালোলাগা আর শুভ কামনায় আপ্লুত হলাম।
সব সময় অনেক অনেক ভালোথাকবেন।
১০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০২
পুলক ঢালী বলেছেন: ম্যাডাম কেমন আছেন? অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ হলে অস্থিরতা জাকিয়ে বসে মনে আমার এমন মনে হয়।
আপনার উচ্চমার্গের কবিতা বোঝার জ্ঞান আমার নেই, তারপরও কিছু কল্পনা যেন মনের দুয়ারে উকিঁ দিয়ে গেল যেমন: কল্পনায় দেখলাম দলবেধে শীতের দেশান্তরী পাখীদের উড়ে আসা, নূতন সিদ্ধ ধানের মম গন্ধ, হলুদ শর্ষে ফুলের ক্ষেতের আইল ধরে হাটার সময়ের ঘ্রান আগমনী শীতের বার্তা বয়ে আনছে, সাথে মৌমাছিদের উৎসবের গান, হালকা শীতের পরশ বুলিয়ে চলে যাওয়া মৃদু শীতল হাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
ডেকে ওঠা তক্ষকে আলুথালু শাড়ীর ভাঁজে লুকায় পোউষী সুবাসের ধ্বনিত বর্ণমালা
এর মানে বুঝলে কবি হয়ে যেতাম হা হা হা।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার মনের দুয়ারে মাঝে মাঝে আমাদের দাওয়াত দিয়েন, আরও কিছু চমৎকার পংতিমালা তুলে আনা যাবে।
কল্পনায় দেখলাম দলবেধে শীতের দেশান্তরী পাখীদের উড়ে আসা, নূতন সিদ্ধ ধানের মম গন্ধ, হলুদ শর্ষে ফুলের ক্ষেতের আইল ধরে হাটার সময়ের ঘ্রান আগমনী শীতের বার্তা বয়ে আনছে, সাথে মৌমাছিদের উৎসবের গান, হালকা শীতের পরশ বুলিয়ে চলে যাওয়া মৃদু শীতল হাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
কল্পনার যে বিবরণ দিলেন!! মারাত্মক, আমার কবিতা ও লজ্জা পেলো।
ডেকে ওঠা তক্ষকে আলুথালু শাড়ীর ভাঁজে লুকায় পোউষী সুবাসের ধ্বনিত বর্ণমালা
এর মানে বুঝলে কবি হয়ে যেতাম হা হা হা।
আহারে ! আমার সাদাসিধা কথাই বুঝলেন না বলছি যে নির্জন দুপুরে যখন আলস সময় কাটে, আর সময়ের হিসাবে তক্ষক ডেকে মনে করিয়ে দেয় আলসেমির সময় শেষ, এখন স্কুল ,অফিস থেকে সবাই ফিরবে। তখন গোছগাছ করে নিতে নিতে আলুথালু শাড়ির ভাঁজে এই মৌসুমের না লেখা কবিতা গুল লুকিয়ে ফেলি।
আচ্ছা আচ্ছা বহুত কথা বলায়ে নিলেন , এতক্ষণে আর একটা কবিতা লেখা যায়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ জনাব, মন্তব্যে আপনার আন্তরিকতা সব সময় আমাকে স্পর্শ করে।
১১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: বোন অনেক দিন পর আপনার পোষ্ট পেলাম।
সুন্দর কবিতা লিখেছেন।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: নুর ভাই, আমি তো মূলত পাঠক, তাই লিখি কম। সত্যি বলতে আপনাদের মত আমার সাবলীল ভাবে এক তানে কয়েক লাইন লেখার ই যোগ্যতা নেই। আমার দীর্ঘ বিরতির লেখা আপনাদের ভালোলাগা সেই আমার পাওয়া।
কবিতা সুন্দর বলায় অনেক খুশি হলাম।
১২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৩
নজসু বলেছেন:
কবিতা পাঠে অসাধারণ তৃপ্তি।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুণ এক গুচ্ছ ফুলে আমার ভালোলাগা রাখলাম সুজন ;
পাঠকদের তৃপ্ততা সব সময় ই লেখার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকবার জন্য।
১৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩২
হাবিব বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম আপাতত..........
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আশা করছি আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি ...
ধন্যবাদ সময় করে আসবার জন্য।
১৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৩
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, লেখার পাশে উৎসাহ হয়ে থাকবার জন্য!
১৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৩
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ এক দিনে অসাধারণ এক কবিতা লেখলেন! তাও আবার নিজের তুলা শ্রেষ্ঠ একটি ছবির এড করে দিলেন।
বিপুল মুগ্ধতা
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! এত দারুণ করে বললেন !!
বিপুল মুগ্ধতা ! শব্দ' টাতে একটু অন্য রকম ঘ্রাণ আছে। বেশ লাগলো।
অসাধারণ দিন !! বিশেষ কোন দিন ছিল নাকি সৈয়দ ইসলাম ! আমার কাছে তো যেদিন কবিতা লিখি সেদিন অনেক আলদা একটা দিন সব সময়। ভোর রাতের কুয়াশার ছবি আপনার ভালোলেগেছে জানতে পেরে অনেক খুশি হলাম।
সতত শুভ কামনা।
১৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৪
ল বলেছেন: মারহাবা।
বেহিসেবী দিন - গুনে গুনে আর কাটে না;
দলছুট পরযায়ী পাখির ডানায় মিশে থাকা বিষন্নতা ঘিরে আমাকে
আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম--ঘুম হইতে নামাজ উত্তম
দারুন রচিলেন ----------পুরো কবিতাটাই সুন্দর হয়েছে।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কবিতায় আপনার ভালোলাগার প্রকাশ, কবিতা থেকে উদ্ধৃত ক' লাইন সব কিছু নিয়ে চমৎকার মন্তব্যে ভালোলাগা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ পাঠে এবং তার প্রকাশে।
শুভ কামনা।
১৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৫৫
ওমেরা বলেছেন: সাচরা মাছ কি আপুনি? লালা শাকের মতই কবিতা মজার লাগল আপনি।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহা , লাল শাক বুঝি অনেক প্রিয় তোমার !!
প্রিয়তার উপমায় আনন্দিত হলাম।
সাচরা মাছ বলে পাঁচ মিশালি ছোটমাছ কে। ডাঃ আলী ভাই উনার মন্তব্য চমৎকার করে তুলে এনেছেন এই মাছের বর্ণনা।
ভালোথাকো সবসময়।
১৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অপুর্ব হয়েছে কবিতা , এতে রয়েছে সুন্দর সুন্দর অপ্রলিত তবে গুঢ় অর্থবোধক কিছু শব্দ যথা ভাতঘুম, সাচরা মাছ , কুয়াশামাখা মিঠে কলসের ভোর প্রভৃতি শব্দ ও কথা মালা । কবিতাটি পাঠের সাথে এ সমস্ত শব্দ ও কথামালাগুলি কিছুটা নস্টালজিক করে দেয় । স্মৃতিকে নিয়ে যায় বহুদুরে শৈশবে । বিশেষ করে ভাতঘুম জানিনা আপনার কাছে এই শব্দটির নিগুঢ় অর্থ কি , তবে দুপুরে ভাত খাওয়ার পরে কিছু সময় তন্দ্রা যাওয়া বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হওয়াটাকেই আমি ভাতঘুম বলে ধরে নিচ্ছি , বাল্যকালে দুপুরে খাওয়ার পরে এ ধরনের ভাতঘুম আমাকে প্রায়ই পেয়ে বসত এখনো ছুটির দিনে ঘরে চচ্চরী মাছ, শাক ও ডালভাত জাতীয় কিছু খাওয়ার পরে এ ভাতঘুম জেকে ধরে ।
সাচরা মাছের কথা ভাতঘুমের মতই স্মৃতিতে চলে আসে । মনে পড়ে এক সময় শোল, টাকি, গজার, পাবদা, পুটি, শিং, মাগুর, বাটা, সরপুটি, বাইন, ফলি, ভ্যাদা, গুইঙ্গা, খইলশা, বাইলা, বোয়াল, মটকাচিংড়ি, মলেন্দাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাচরা মাছ খুব সহজে মিলতো , ছোটকালে নদী-নালা খালে বিলে অআচলে ছেকে কিংবা অআরো বহুবিধ উপায়ে মাছ ধরতে ধরতে বড় হয়েছি। অমাবশ্যা-পূর্ণিমার জোতে বিশেষ করে বর্ষাকালে গ্রামের ছোট্ট নদীর পানি ঘরের পাশে টইটুম্বুর করত। তখন পল্লা দিয়ে ওই পানিতে, বিভিন্ন প্রকারের কত কি মাছ ধরতাম। এখন সেগুলি শুধুই স্মৃতি কথা ।
কুয়াশামাখা মিঠে কলসের ভোর একথাগুলিতো স্মৃতির মনিকোঠায় আরো দারুনভাবে নাড়া দিয়েছে । অগ্রাহায়নের শেষ দিকে পৌষের প্রায় শুরুতেই কুয়াশাআচ্ছন্ন ভোর রাতেই খেজুর গাছের তলায় গিয়ে গাছীর কাছ হতে রসের হাড়ি নিয়ে শুরু হতো খেজুরের মিঠা রস খাওয়া । কার আগে কে ঘুম থেকে উঠে এক হাড়ি রস খেতে পারবে শুরু হতো তার প্রতিযোগীতা । সন্ধা বেলাতেও নীজে গাছে চড়ে রসের হাড়ি নামিয়ে দলবেধে গাছীর চুপিসারে খাওয়া হতো খেজুরের মিঠা রস । এ প্রসঙ্গে বাল্যকালের আনন্দঘন কত কথাইনা মনে পড়ে ।
দেখতাম কার্তিক মাসের শুরু থেকেই চলতো খেজুর গাছের পরিচর্যা ।গাছের বাইগা (ডাল) ঝোড়া, গাছের মাথা ছেনি অথবা ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে কয়েক দফা চাঁচ দেওয়ার কাজে রত থাকতো খেজুর রসের গাছীরা । রসের ঘটি বা কলসি তৈরীর জন্য সেকি ধুম পড়ত কুমার পাড়ায় । আর দিকে গ্রামীণ মেঠোপথের ধারেই শোভা পেত সারি সারি খেজুর গাছ। অগ্রহায়নের সকালে বিকেলের গ্রামের যে পথেই হাঁটা হতোনা কেন, চোখে পড়ত সারি সারি খেজুর গাছ ঝোড়ার অপূর্ব দৃশ্য। অগ্রহায়ণের প্রথম সপ্তাহ হতেই গ্রামের ঘরে ঘরে খেজুর রস আর গুড় দিয়ে নতুন আমন ধানের পিঠা-পুলি ও পায়েশ তৈরির ধুম পড়ে যেতো ।আসন্ন পৌষপার্বন-পুষনা বা পীঠেপুলির উৎসবে খেজুর গুড় ও রস নতুন মাত্রা আনতো আমাদর গ্রামের প্রায় সকল গৃহস্থদের রসুইখানায়। এখনো মনে পরে সে সব কথা ।
আগ্রহায়ণের অনুরণন নিয়ে রচিত অনন্য সাধারণ কথামালায় রচিত সুখপাঠ্য কবিতাটি প্রিয়তে তুলে রাখলুম ।
শুভেচ্ছা রইল
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বিশেষ করে ভাতঘুম জানিনা আপনার কাছে এই শব্দটির নিগুঢ় অর্থ কি , তবে দুপুরে ভাত খাওয়ার পরে কিছু সময় তন্দ্রা যাওয়া বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হওয়াটাকেই আমি ভাতঘুম বলে ধরে নিচ্ছি , বাল্যকালে দুপুরে খাওয়ার পরে এ ধরনের ভাতঘুম আমাকে প্রায়ই পেয়ে বসত এখনো ছুটির দিনে ঘরে চচ্চরী মাছ, শাক ও ডালভাত জাতীয় কিছু খাওয়ার পরে এ ভাতঘুম জেকে ধরে ।
আমার কবিতায় আপনার টিউনিং অসাধারণ ! লা জওয়াব! অবশ্যই আপনি গবেষক অন্য ব্লগারদের লেখায় ও তাই। কিন্তু নিজের লেখাকে অন্য কেউ পুরপুরি ধারণ করতে পারলে , আনন্দ একটু বেশি ই হয়।
জি আলী ভাই আমি এখানে ভাতঘুম বলতে ঠিক আপনার বলা কথাগুলোই বলেছি, যা আপনি চমৎকার ভাষায় বিশ্লেষণ করলেন।
সাচরা মাছের কথা ভাতঘুমের মতই স্মৃতিতে চলে আসে । মনে পড়ে এক সময় শোল, টাকি, গজার, পাবদা, পুটি, শিং, মাগুর, বাটা, সরপুটি, বাইন, ফলি, ভ্যাদা, গুইঙ্গা, খইলশা, বাইলা, বোয়াল, মটকাচিংড়ি, মলেন্দাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাচরা মাছ খুব সহজে মিলতো , ছোটকালে নদী-নালা খালে বিলে অআচলে ছেকে কিংবা অআরো বহুবিধ উপায়ে মাছ ধরতে ধরতে বড় হয়েছি। অমাবশ্যা-পূর্ণিমার জোতে বিশেষ করে বর্ষাকালে গ্রামের ছোট্ট নদীর পানি ঘরের পাশে টইটুম্বুর করত। তখন পল্লা দিয়ে ওই পানিতে, বিভিন্ন প্রকারের কত কি মাছ ধরতাম। এখন সেগুলি শুধুই স্মৃতি কথা ।
আপনার মত অতখানি সুখের ছবিতে না হলে ও, গ্রীষ্মের ছুটি বা শীতের ছুটিতে গ্রামে বেড়াতে গেলে এ ধরনের অপার্থিব আনন্দ আমি ও কিছু টা পেয়েছি। আহা! সে খলবলে আনন্দিত অনুভূতির তুলনা হয় না। হু সত্যি ই বলেছেন, ' এখন সেগুলো শুধুই স্মৃতি।
কুয়াশামাখা মিঠে কলসের ভোর একথাগুলিতো স্মৃতির মনিকোঠায় আরো দারুনভাবে নাড়া দিয়েছে । অগ্রাহায়নের শেষ দিকে পৌষের প্রায় শুরুতেই কুয়াশাআচ্ছন্ন ভোর রাতেই খেজুর গাছের তলায় গিয়ে গাছীর কাছ হতে রসের হাড়ি নিয়ে শুরু হতো খেজুরের মিঠা রস খাওয়া । কার আগে কে ঘুম থেকে উঠে এক হাড়ি রস খেতে পারবে শুরু হতো তার প্রতিযোগীতা । সন্ধা বেলাতেও নীজে গাছে চড়ে রসের হাড়ি নামিয়ে দলবেধে গাছীর চুপিসারে খাওয়া হতো খেজুরের মিঠা রস । এ প্রসঙ্গে বাল্যকালের আনন্দঘন কত কথাইনা মনে পড়ে ।
কুয়াশামাখা মিঠে কলসের ভোর একথাগুলিতো স্মৃতির মনিকোঠায় আরো দারুনভাবে নাড়া দিয়েছে । অগ্রাহায়নের শেষ দিকে পৌষের প্রায় শুরুতেই কুয়াশাআচ্ছন্ন ভোর রাতেই খেজুর গাছের তলায় গিয়ে গাছীর কাছ হতে রসের হাড়ি নিয়ে শুরু হতো খেজুরের মিঠা রস খাওয়া । কার আগে কে ঘুম থেকে উঠে এক হাড়ি রস খেতে পারবে শুরু হতো তার প্রতিযোগীতা । সন্ধা বেলাতেও নীজে গাছে চড়ে রসের হাড়ি নামিয়ে দলবেধে গাছীর চুপিসারে খাওয়া হতো খেজুরের মিঠা রস । এ প্রসঙ্গে বাল্যকালের আনন্দঘন কত কথাইনা মনে পড়ে ।খতাম কার্তিক মাসের শুরু থেকেই চলতো খেজুর গাছের পরিচর্যা ।গাছের বাইগা (ডাল) ঝোড়া, গাছের মাথা ছেনি অথবা ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে কয়েক দফা চাঁচ দেওয়ার কাজে রত থাকতো খেজুর রসের গাছীরা । রসের ঘটি বা কলসি তৈরীর জন্য সেকি ধুম পড়ত কুমার পাড়ায় । আর দিকে গ্রামীণ মেঠোপথের ধারেই শোভা পেত সারি সারি খেজুর গাছ। অগ্রহায়নের সকালে বিকেলের গ্রামের যে পথেই হাঁটা হতোনা কেন, চোখে পড়ত সারি সারি খেজুর গাছ ঝোড়ার অপূর্ব দৃশ্য। অগ্রহায়ণের প্রথম সপ্তাহ হতেই গ্রামের ঘরে ঘরে খেজুর রস আর গুড় দিয়ে নতুন আমন ধানের পিঠা-পুলি ও পায়েশ তৈরির ধুম পড়ে যেতো ।আসন্ন পৌষপার্বন-পুষনা বা পীঠেপুলির উৎসবে খেজুর গুড় ও রস নতুন মাত্রা আনতো আমাদর গ্রামের প্রায় সকল গৃহস্থদের রসুইখানায়। এখনো মনে পরে সে সব কথা ।
বাহ কী যে চমৎকার এক সুখের ছবি আঁকলেন ! শব্দেশব্দে; মন ভালোহয়ে গেলো। এখন ও হয়ত কিছু কিছু রওয়ে গেছে তবে বেশির ভাগ এমন চিত্রই উধাও।
আপনার অসাধারণ বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্য গুল সব সময় আমার লেখা কে ঋদ্ধ করে ! অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার লেখার সাথে থেকে লেখাকে অন্যমাত্রায় নিয়ে যাবার জন্য।
১৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আবার ফিরে পেতে চাই সেই গ্রাম বাংলার প্রকৃতির সুখ
যেথা দোয়েল শীষ দেয় লাউ-ঝিঙের মাচায়
বন্দি থকে না কোন পাখি খাঁচায়
ঘন কুয়াশা জড়িয়ে আছে গায়ের বুক
গল্প, আগুন পোহানো, পিঠায় হাসি ফুটা মুখ..............।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অপূর্ব ক' লাইনে চমৎকার একটা কাব্যিক মন্তব্যে ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার!
আপনার লেখায় আপনার মনের ছবি চলে আসে, সেখানে রয়েছে ; সবুজ প্রকৃতি।
সব সময় ভালো থাকার শুভ কামনা।
২০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫০
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: হু হু ... ঠান্ডা লাগে ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: জি জি সিজন ই এমন ।
২১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রকৃতির আড়ালে জীবনের গভির বোধের, নিংড়ানো অনুভবের গহন প্রকাশে মুগ্ধতা।
আবেশীত পাঠে স্বগোক্ত বিরহ-অমন কবিতা কবে লিখব!!!!
অনেক অনেক ভাললাগা ++++++++++
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: গভীর জীবন বোধ, প্রকৃতি এবং অনুভবের প্রকাশ সব কিছু তে আপনার মুগ্ধতা, আমাকে ও মুগ্ধ করলো বিদ্রোহী ভাই।
আমার কবিতায় আপনার আবেশিত পাঠ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হোক।
ভালোলাগা ও প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
২২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০২
শিখা রহমান বলেছেন: কবিতার মেয়ে এমন করে প্রকৃতি আর ঋতুর প্রেমে ডোব যে কি ভাবে? নিজে ডোবো আর আমাকেও অতলে ডোবাও।
এই কবিতা পড়ার আগে কে জানতো অগ্রহায়ণের পরতে পরতে এমন মনকেমন জড়িয়ে আছে।
কবিতায় বরাবররের মতোই মুগ্ধতা আর মুগ্ধতা। ভালোবাসা এত্তো এত্তো কবিতার মেয়ে!!
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: তুমি যদি ডোবো সাথে চাইনে পরিত্রাণ .....
তোমার মুগ্ধ দৃষ্টিতে আবেশিত আমি, সে জানো কি !!!
তোমার জন্য ও অগ্রহায়ণের পরতে পরতে জমে থাকা মনকেমন করা ভালোবাসা।
২৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৫
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল আপু,
আমি কোনদিনও আপনার কবিতায় প্রথম দিকে মন্তব্য করতে পারলাম না । আমি এই কবিতাটা পড়েছিলাম গতকালকে। কিছু শব্দ বুঝিনি তাই অর্থ দেখে ফিরে এসে দেখি লম্বা লাইন! সবাই আপনার কবিটা পড়ে পড়ার জন্য আর আমি পড়ি কিছু শেখার জন্য!
পরযায়ী শব্দের অর্থ হলো অতিথি!
সাচরা মাছ তো বিলুপ্ত হয়ে গেছে......
সাটি অর্থ এখানে কোনটা ব্যবহার করেছেন ? সাটি অর্থ: অস্থির, সৃ, মনোযোগী, আধুনিক, উদার, উপযুক্ত, আনন্দদায়ক, গুরুতর, সক্রিয়, বন্ধুত্বপূর্ণ, ভাগ্যবান, স্বাভাবিক।
আমাকে মুগ্ধ করেছে...
বেহিসেবী দিন - গুনে গুনে আর কাটে না;
দলছুট পরযায়ী পাখির ডানায় মিশে থাকা বিষন্নতা ঘিরে আমাকে । ।
...........।
..........বন্ধ্যা..সময় এখন।
ফিনিসটা ক্ল্যাসিক হয়েছে - আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম। আপু, এটা আমি ব্যবহার করব। একদম সোজা মাথায় ঢুকে গেছে........
অগ্রহায়ণ নিয়ে ‘রূপসী বাংলা’র কবি জীবনানন্দ দাশ বলেছেন এভাবে......
নতুন লাঙ্গল তার পড়ে আছে পুরানো পিপাসা
জেগে আছে মাঠের উপরে;
সময় হাঁকিয়া যায় পেঁচা ওই আমাদের তরে
হেমন্তের ধান ওঠে ফ’লে
দুই পা ছড়ায়ে বস এইখানে পৃখিবীর কোলে
অগ্রহায়ণ নিয়ে মাঠে মাঠে হেমন্তের ধানক্ষেতের রূপ নিয়ে কবি জসীমউদ্দীন লিখেছেন.........
সবুজে হলুদে সোহাগ ঢুলায়ে ধানক্ষেত,
পথের কিনারে পাতা দোলাইয়া করে সাদা সঙ্কেত।
কৃষাণ কনের বিয়ে হবে,
হবে তার হলদি কোটার শাড়ি
হলুদে ছোপায় হেমন্ত রোজ কচি রোদ রেখা-নাড়ি।
আপনার কবিতা এর চেয়ে কোন অংশেই এর চেয়ে কম না। প্রিয় তে রাখলাম। সময় পেলে বার বার পড়ব।
শুভ কামনা রইল!
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শুভ সকাল আপু,
আমি কোনদিনও আপনার কবিতায় প্রথম দিকে মন্তব্য করতে পারলাম না । আমি এই কবিতাটা পড়েছিলাম গতকালকে। কিছু শব্দ বুঝিনি তাই অর্থ দেখে ফিরে এসে দেখি লম্বা লাইন! সবাই আপনার কবিটা পড়ে পড়ার জন্য আর আমি পড়ি কিছু শেখার জন্য!
পরযায়ী শব্দের অর্থ হলো অতিথি!
সাচরা মাছ তো বিলুপ্ত হয়ে গেছে......
সাটি অর্থ এখানে কোনটা ব্যবহার করেছেন ? সাটি অর্থ: অস্থির, সৃ, মনোযোগী, আধুনিক, উদার, উপযুক্ত, আনন্দদায়ক, গুরুতর, সক্রিয়, বন্ধুত্বপূর্ণ, ভাগ্যবান, স্বাভাবিক।
এখানে একেবারেই নিঝুম দুপুর! মধ্য দুপুরের শুভেচ্ছা নীল আকাশ
না সাচরা মাছ , সাটি মাছ এগুলো স্থানীয় শব্দ; আপনি যেমন হুমায়ুন আহমেদের লেখায় আঞ্চলিক কিছু শব্দ পাবেন। তেমনি সাচরা শব্দ টা পাবেন আমাদের বিক্রমপুরের লেখক ইমদাদুল হোক মিলনের লেখায়, হয়তবা হুমায়ুন আজাদের লেখায়।
আলীভাই চমৎকার বর্ণনা করেছেন, সাচরা মাছের। কয়েক রকমের ছোট মাছের মিশেল কে সাচরা মাছ বলি আমরা বিক্রম্পুইরা রা।
আর কুয়াসেঁচা সাটি চচ্চরী বাক্য টা আমার শ্বশুর দেশের উত্তর বঙে ছোট পুকুর ক্ষেতের কাছের পানি থাকা জায়গা গুল কে কুয়া বলে, আর সাটির মাছ মানে টাকি মাছ।
আমাকে মুগ্ধ করেছে...
বেহিসেবী দিন - গুনে গুনে আর কাটে না;
দলছুট পরযায়ী পাখির ডানায় মিশে থাকা বিষন্নতা ঘিরে আমাকে । ।
...........।
..........বন্ধ্যা..সময় এখন।
ফিনিসটা ক্ল্যাসিক হয়েছে - আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম। আপু, এটা আমি ব্যবহার করব। একদম সোজা মাথায় ঢুকে গেছে........
আপনাকে মুগ্ধ করা অংশে লেখকের ভালোলাগা রইলো। নিঃসংকোচে নির্দ্বিধায় আপনি আপনার পছন্দের লেখায় নয়ে আসুন, আশা করছি সে লেখা ও আপনার অন্যান্য লেখার মত অনবদ্য হবে; আপনার নিজস্বতার ছাপ থাকবে।
অগ্রহায়ণ নিয়ে ‘রূপসী বাংলা’র কবি জীবনানন্দ দাশ বলেছেন এভাবে......
নতুন লাঙ্গল তার পড়ে আছে পুরানো পিপাসা
জেগে আছে মাঠের উপরে;
সময় হাঁকিয়া যায় পেঁচা ওই আমাদের তরে
হেমন্তের ধান ওঠে ফ’লে
দুই পা ছড়ায়ে বস এইখানে পৃখিবীর কোলে
অগ্রহায়ণ নিয়ে মাঠে মাঠে হেমন্তের ধানক্ষেতের রূপ নিয়ে কবি জসীমউদ্দীন লিখেছেন.........
সবুজে হলুদে সোহাগ ঢুলায়ে ধানক্ষেত,
পথের কিনারে পাতা দোলাইয়া করে সাদা সঙ্কেত।
কৃষাণ কনের বিয়ে হবে,
হবে তার হলদি কোটার শাড়ি
হলুদে ছোপায় হেমন্ত রোজ কচি রোদ রেখা-নাড়ি।
আপনার কবিতা এর চেয়ে কোন অংশেই এর চেয়ে কম না। প্রিয় তে রাখলাম। সময় পেলে বার বার পড়ব।
শুভ কামনা রইল!
আমাদের লেখায় উনাদের লেখার মাঝে পার্থক্য হয়ত বদলে যাওয়া ভাষায় হবে; আমরা জীবনানন্দ, জসীম উদ্দীন পড়ে বড় হয়েছি। সবচাইতে বড় কথা লিখছি তো সেই আমাদের দেশ নিয়ে আমাদের ঋতু নিয়েই।
আমার কবিতায় আপনার অতটা ভালোলাগা অতখানি আন্তরিকতার সাথে প্রকাশ করার জন্য অন্তরের অন্তঃস্থলের শুভেচ্ছা রইলো।
২৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: শীত মোবারক !!
কবিতা ভালো লেগেছে আপু ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আরেয়ে !! আমাদের ব্লগের জামাই রাজা যে !!!!
মোবারকবাদ তো তোমাদের জন্য, সাথে অনেক অনেক শুভকামনা।
২৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
প্রকৃতির নিয়মে অনেক ব্যত্যয়ের পরও শীতের আলতো পরশ, কুয়াশার চাঁদর আর নবান্ন মাতোয়ারায় এসেছে অগ্রহায়ণ মাস। দিকে দিকে এখন যুগপৎ সোনালী আমন ধান কাটার ও বোরো ধান লাগানোর উৎসব। হেমন্ত ঋতুর অনুজ মাসটি আজ সোমবার শুরু হয়েছে পঞ্জিকার ধারাবাহিকতায়ও। ‘মরা' কার্তিকের পর এদেশের মানুষ প্রবেশ করতে যাচ্ছে এক সার্বজনীন লৌকিক উৎসবে। পাকা ধানের মউ মউ গন্ধে দশদিক হবে বিমোহিত। নগরেও লাগবে এর ঢেউ। তবে, এবার সরকার অজ্ঞাত কারণে পহেলা অগ্রহায়ণকে ‘জাতীয় কৃষি দিবস' পালন করছে না।
‘অগ্র' ও ‘হায়ণ'- এই দু'অংশের অর্থ যথাক্রমে ‘ধান' ও ‘কাটার মওসুম'। পন্ডিতদের অগ্রহায়ণ মাসের নামকরণ পূর্ণ সার্থকতায় উদ্ভাসিত। ধানের সুপুষ্ট সম্ভার সোনালী রোদের ছটায় ঝলমল করে ক্ষেত-প্রান্তরে পাকা ধানের অনির্বচনীয় গন্ধে অভাবগ্রস্ত কৃষকের চোখে জেগেছে স্বপ্নের অরুনিমা। ঠোঁটে লেগেছে মহাসুখের হাসি। ধান ফসলে ভরে উঠছে কৃষকের শূন্যআঙ্গিনা। আর হতাশা দূর করে নিয়ে আসছে আশা ভরা সুখময় ভবিষ্যৎ।
‘‘ধন্য অগ্রহায়ণ মাস, ধন্য অগ্রহায়ণ মাস/ বিফল জনম তার নাহি যার চাষ’’- মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের গৌরব কবি কংকন মুকুন্দরাম প্রায় পাঁচ শতাব্দী আগে বিখ্যাত ‘চন্ডীমঙ্গল' কাব্যে এভাবেই অঘ্রাণ তথা অগ্রহায়ণের বিশেষ স্তুতি গেয়েছেন। সে যুগের কৃষিজীবী বাংলার গোলাঘর এ মাসে ধানে ভরপুর হয়ে উঠতো। অর্ধ সহস্রাব্ধ পরের বাংলাদেশের চিত্রও সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা মাত্র যেন। নদীমাতৃক দেশটির প্রধান কৃষি ফসল ধান আর তা থেকে প্রক্রিয়াজাতকৃত ভাত এ বদ্বীপবাসীর প্রধান খাদ্য। বাল্যশিক্ষা বইয়ের হাতেখড়ি যে স্মরবর্ণে, সেই ‘অ'-তে রচিত ‘অগ্রহায়ণ' বাংলা পঞ্জিকার অষ্টম মাস হলেও এক সময় তা ছিল সূচনা মাস। প্রখ্যাত মনীষী আবুল ফজলের ‘আইন-ই-আকবরী'তে উল্লেখ আছে।
সম্রাট আকবরের আমলে অগ্রহায়ণ মাস থেকে বাংলা বছরের গণনা করা হতো এবং এ জন্যই বাংলা সালকে ‘ফসলী সাল' বলা হতো। অবশ্য পরবর্তীকালে ইংরেজ শাসনামলে বাংলা বছরের গণনার পরিবর্তন হয়ে বৈশাখ থেকে শুরু করা হয়। হিজরী সালের সাথে মিল রাখার জন্যই বাংলা মাস গণনায় বর্তমান রেওয়াজ চালু হয়েছে মনে করাটা অপ্রাসঙ্গিক নয়। হিজরী (আরবী) বর্ষের প্রথম মাস মহররম এবং বাংলা বর্ষের প্রথম মাস বৈশাখ একই সময়ে আসে।' প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে চীন সম্রাট চিন সিং স্বয়ং মাঠে ধান বপন করে দেশব্যাপী একটি বার্ষিক উৎসবের প্রবর্তন করেন।
জাপানে অতি প্রাচীনকাল থেকে সাড়ম্বরে নবান্ন উৎসব পালিত হয়ে থাকে এবং এ উপলক্ষে জাতীয় ছুটির ব্যবস্থা রয়েছে। বঙ্গীয় এলাকায় আদিকাল থেকেই অনার্য বাঙ্গালীরা নবান্ন উৎসব উদযাপন করতো। নানা আনুকূল্যে সে রেওয়াজ আজো চলে আসছে। ইতোমধ্যেই ফসল তোলার গানে গানে কৃষকের ঘরে ঘরে সাড়া জেগেছে সামাজিক আনন্দ উৎসবের। নবান্নের আমেজ লেগেছে পল্লীর পরতে পরতে। ধান কাটা সারা হলে গ্রামবাংলায় পড়বে নিমন্ত্রণ আর নাইওরের ধুম। কৃষাণী বধূ ও কন্যারা খেজুর রসসমেত নতুন চালের ফিরনী, পায়েস, নকশী পিঠা ইত্যাদি তৈরি করবে, বিলাবে পরিবার-পরিজন ও প্রতিবেশীদের। এই আনন্দ উৎসবে হতদরিদ্র, মুটে মজুররাও বাদ পড়বে না।
প্রকৃতির নিয়মে অনেক ব্যত্যয়ের পরও শীতের আলতো পরশ, কুয়াশার চাঁদর আর নবান্ন মাতোয়ারায় এসেছে অগ্রহায়ণ মাস। দিকে দিকে এখন যুগপৎ সোনালী আমন ধান কাটার ও বোরো ধান লাগানোর উৎসব। হেমন্ত ঋতুর অনুজ মাসটি আজ সোমবার শুরু হয়েছে পঞ্জিকার ধারাবাহিকতায়ও। ‘মরা' কার্তিকের পর এদেশের মানুষ প্রবেশ করতে যাচ্ছে এক সার্বজনীন লৌকিক উৎসবে। পাকা ধানের মউ মউ গন্ধে দশদিক হবে বিমোহিত। নগরেও লাগবে এর ঢেউ। তবে, এবার সরকার অজ্ঞাত কারণে পহেলা অগ্রহায়ণকে ‘জাতীয় কৃষি দিবস' পালন করছে না।
‘অগ্র' ও ‘হায়ণ'- এই দু'অংশের অর্থ যথাক্রমে ‘ধান' ও ‘কাটার মওসুম'। পন্ডিতদের অগ্রহায়ণ মাসের নামকরণ পূর্ণ সার্থকতায় উদ্ভাসিত। ধানের সুপুষ্ট সম্ভার সোনালী রোদের ছটায় ঝলমল করে ক্ষেত-প্রান্তরে পাকা ধানের অনির্বচনীয় গন্ধে অভাবগ্রস্ত কৃষকের চোখে জেগেছে স্বপ্নের অরুনিমা। ঠোঁটে লেগেছে মহাসুখের হাসি। ধান ফসলে ভরে উঠছে কৃষকের শূন্যআঙ্গিনা। আর হতাশা দূর করে নিয়ে আসছে আশা ভরা সুখময় ভবিষ্যৎ।
‘‘ধন্য অগ্রহায়ণ মাস, ধন্য অগ্রহায়ণ মাস/ বিফল জনম তার নাহি যার চাষ’’- মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের গৌরব কবি কংকন মুকুন্দরাম প্রায় পাঁচ শতাব্দী আগে বিখ্যাত ‘চন্ডীমঙ্গল' কাব্যে এভাবেই অঘ্রাণ তথা অগ্রহায়ণের বিশেষ স্তুতি গেয়েছেন। সে যুগের কৃষিজীবী বাংলার গোলাঘর এ মাসে ধানে ভরপুর হয়ে উঠতো। অর্ধ সহস্রাব্ধ পরের বাংলাদেশের চিত্রও সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা মাত্র যেন। নদীমাতৃক দেশটির প্রধান কৃষি ফসল ধান আর তা থেকে প্রক্রিয়াজাতকৃত ভাত এ বদ্বীপবাসীর প্রধান খাদ্য। বাল্যশিক্ষা বইয়ের হাতেখড়ি যে স্মরবর্ণে, সেই ‘অ'-তে রচিত ‘অগ্রহায়ণ' বাংলা পঞ্জিকার অষ্টম মাস হলেও এক সময় তা ছিল সূচনা মাস। প্রখ্যাত মনীষী আবুল ফজলের ‘আইন-ই-আকবরী'তে উল্লেখ আছে।
সম্রাট আকবরের আমলে অগ্রহায়ণ মাস থেকে বাংলা বছরের গণনা করা হতো এবং এ জন্যই বাংলা সালকে ‘ফসলী সাল' বলা হতো। অবশ্য পরবর্তীকালে ইংরেজ শাসনামলে বাংলা বছরের গণনার পরিবর্তন হয়ে বৈশাখ থেকে শুরু করা হয়। হিজরী সালের সাথে মিল রাখার জন্যই বাংলা মাস গণনায় বর্তমান রেওয়াজ চালু হয়েছে মনে করাটা অপ্রাসঙ্গিক নয়। হিজরী (আরবী) বর্ষের প্রথম মাস মহররম এবং বাংলা বর্ষের প্রথম মাস বৈশাখ একই সময়ে আসে।' প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে চীন সম্রাট চিন সিং স্বয়ং মাঠে ধান বপন করে দেশব্যাপী একটি বার্ষিক উৎসবের প্রবর্তন করেন।
জাপানে অতি প্রাচীনকাল থেকে সাড়ম্বরে নবান্ন উৎসব পালিত হয়ে থাকে এবং এ উপলক্ষে জাতীয় ছুটির ব্যবস্থা রয়েছে। বঙ্গীয় এলাকায় আদিকাল থেকেই অনার্য বাঙ্গালীরা নবান্ন উৎসব উদযাপন করতো। নানা আনুকূল্যে সে রেওয়াজ আজো চলে আসছে। ইতোমধ্যেই ফসল তোলার গানে গানে কৃষকের ঘরে ঘরে সাড়া জেগেছে সামাজিক আনন্দ উৎসবের। নবান্নের আমেজ লেগেছে পল্লীর পরতে পরতে। ধান কাটা সারা হলে গ্রামবাংলায় পড়বে নিমন্ত্রণ আর নাইওরের ধুম। কৃষাণী বধূ ও কন্যারা খেজুর রসসমেত নতুন চালের ফিরনী, পায়েস, নকশী পিঠা ইত্যাদি তৈরি করবে, বিলাবে পরিবার-পরিজন ও প্রতিবেশীদের। এই আনন্দ উৎসবে হতদরিদ্র, মুটে মজুররাও বাদ পড়বে না।
আপা, এক কথায় চমৎকার অগ্রহায়ণ কাব্য।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার তথ্য বহুল মন্তব্যে ও ভালোলাগা রাখলাম কাওসার চৌধুরী !
অগ্রহায়ণের সুবাস ই আসলে আলদা অনুভূতি; ছবি দু' টি ও অনেক সুন্দর মানানসই। অনেক ধন্যবাদ কবিতা পাঠে মন্তব্যে এবং তার চমৎকার প্রকাশে।
শুভ কামনা।
২৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: প্রকৃতির এই স্বরুপায়ন কবিতার সুন্দর্য আরো বাড়িয়ে দেয়। কবিতা যখন তার সমহিমায় পাঠককে নষ্টালজিকতায় ভাসিয়ে দেয় তখন পাঠক সার্থক কবিতা পাঠে কবির বন্ধনা করে।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম এ সত্যি যে অনেক পাঠক ই এই কবিতার সাথে নস্টালজিয়ায় ভাসবেন; অনেকের ই ফেলে আসা জীবনের গল্প কিছুটা মিশে আছে এখানে।
চমৎকার নান্দনিকতায় নিজের ভালোলাগা প্রকাশ এর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান সুজন।
২৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫
বিজন রয় বলেছেন: এই কবিতাটি আপনার অন্যান্য কবিতার মতো সাবলিল নয়, কিছুটা জোর করে লিখেছেন, শব্দগুলো বসিয়ে দিয়েছেন, বুনট লাগেনি।
কবিতা হয়েছে ঠিকই, কবিতায় যা বলতে চেয়েছেন তা ফুটেছে ঠিকই, কিন্তু কাব্যের গতিময়তা, অর্থের ছন্দবদ্ধতা জমাট লাগেনি।
তবুও + দিয়ে গেলাম।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার মত বিশাল হৃদয়ের পাঠক আমি একজন ও পাইনি জানেন !!!!!
যে আমার আগের অন্যান্য সাবলিল কবিতায় লাইক না দিয়ে, যেখানে কাব্যের গতিময়তা নেই , নেই অর্থের জমাট ছন্দবন্ধতা; তেমন একটি কবিতায় প্রায় দয়া করে লাইক দিয়েছেন !! উহ আমি অভিভূত আপ্লুত। সেই তো প্রকৃত পাঠক যে কিনা এত এত সব অপূর্ণতা সহ কবিতায় ও সাথে থাকে!!!
আপনার ছুঁড়ে দেয়া লাইকে অনেক অনেক ভালোলাগা রাখলাম
২৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আগে কুয়াশা দেখার জন্য সাথে জগিং হবে ভেবে উঠতাম । এখন এত অলস হয়েছি । আসলে যান্ত্রিকতায় যন্ত্র হয়ে পরেছি ।
কবিতায় মুগ্ধতা ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহাহা সময় , ব্যস্ততা আমাদের কে অন্যরকম করে তোলে; হয়ত কখনো কখনো অলস ও। আর যন্ত্রের সাথে যান্ত্রিকতায় অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি , সে ও সত্যি।
কবিতা পাঠে অনুভূতিতে মুগ্ধতা প্রকাশে মুগ্ধতা রাখলাম দ্যা গ্রেট অপু!
অনেক অনেক ভালোথাকবেন সব সময়।
২৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২
সনেট কবি বলেছেন: সুন্দর কবিতা
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৩০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার কবিতা! কিন্তু পড়তে পড়তে মন বিষণ্ন হয়ে গেল...........
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপু কবিতা টা একটু বিষণ্ণও, সেটাই হয়ত ছুঁয়েছে আপনাকে!
ধন্যবাদ আমার লেখার সাথে একাত্ম হবার জন্য।
৩১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১০
নজসু বলেছেন:
দেশের তরে যুদ্ধ করে দিল যারা প্রাণ
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে গাই তাদেরই গান।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: যারা স্বর্গগত তারা এখনো জানে, স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি এসো স্বদেশ ব্রতের মহা দীক্ষা লভি, সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণ চুমি -
৭১ এ শহীদ হওয়া সকল বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা...
৩২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৩
নজসু বলেছেন:
আমার শেষ লেখায় আপনাকে পেলাম না কেন?
পোষ্টে প্রিয়জনদের দেখা না পেলে ভালো লাগেনা।
আমি আপনার সাথে ব্লগে অন্য আরেকজনকে গুলিয়ে ফেলেছি।
আমি শুধু চিন্তা করছিলাম আমার বোন, আমার প্রিয় শব্দের কারিগর
আমাকে অবজ্ঞা করতেই পারেনা।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী যে বলো !! অবজ্ঞা' র মত এত কঠিন শব্দ আমার জন্য আনলে ?
আমি পোস্ট দেখেছি ......
সব সময় এমন ই থেকো ! আমাদের আরও অনেক সুন্দর সব লেখা উপহার দাও।
শুভ কামনা।
৩৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬
রাকু হাসান বলেছেন:
অাহ ! এই কবিতা যেন আমার জন্যই লেখা । ঠিক যেমন টা চাই আমি । যেমন কবিতা পছন্দ করি সেই রকমই লাগছে । বেশ কিছু নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হলাম । বন্ধ্যা শব্দটির নতুন ব্যবহার জানলাম । এই কবিতায় নতুন রুপে প্রয়োগ করলে । আমি অবশ্য একটি প্রয়োগ জানতাম । প্রত্যেকটি স্তবক আমার মননে ,চেতনে সব শেষে মুগ্ধতায় মিশেছে ।
ভেজা আঁচলের বেঁধে রাখা মমতা মুগ্ধ করেছে । পরযায়ী পাখির বিষন্নতা,সবুজের ছোট্ট কো’ন,বন্ধ্যা সময় ,রঙ পেন্সিলে ফোটে না সূর্য উদয়,
শাড়ির ভাঁজে পৌউষী,শালিকের আবছা ওম,আদুরে সন্ধ্যা,মিঠে কলসির ভোর ,সব মিলিয়ে রুপক ,ইমেজ ব্যবহারে বিমোহিত হয়েছি বারবার । পড়তে গিয়ে নস্টালজিকও হয়ে পড়েছিলাম । সেই মিঠে কলসির ভোর এখন তো দেখিই না ।
তনুমনে কে তনু মনে লিখলে বুঝতে সহজ হতো । তনু শব্দটি ব্যবহার করায় দারুণ লাগলো । জানলাম অর্থ । শেষ লাইনটি অনেককককককককক চমৎকার হয়েছে । এটা যেন ক্রিকেট মাঠে সেরা ফিনিসারের কাজ করেছে । ম্যাচ কে যেমন পরিপূর্ণতা দেয় একজনের বিরোচিত লড়াই ঠিক তেমনি এই লাইনটি । ভাত ঘুম থেকে ভোর ….অনেক কথা । থাক প্রিয়তে । কবিতার সাথে আবার কথা হবে ।
কেউ একজন ভাবতে পারে রাকু কে খোঁচা দেওয়ার ...থাক বলার দরকার নেই ।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অাহ ! এই কবিতা যেন আমার জন্যই লেখা B:-) । ঠিক যেমন টা চাই আমি । যেমন কবিতা পছন্দ করি সেই রকমই লাগছে । বেশ কিছু নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হলাম । বন্ধ্যা শব্দটির নতুন ব্যবহার জানলাম । এই কবিতায় নতুন রুপে প্রয়োগ করলে । আমি অবশ্য একটি প্রয়োগ জানতাম । ।
কবিতা একবার লেখা হয়ে গেলে , সেটা পাঠকের' ই; সেই হিসেবে রাকু' র জন্য ই লেখা হইছে। নতুন শব্দ কই পাইলা !!! সব ই বেশ কমন শব্দ এবারের কবিতায়। বাহ ! বন্ধ্যা শব্দের রাকু' ইয় প্রয়োগ দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
প্রত্যেকটি স্তবক আমার মননে ,চেতনে সব শেষে মুগ্ধতায় মিশেছে এত সুন্দর করে বল্লা !!! আমার মুগ্ধতার পারদ শিখর ছুঁয়ে দিলো।
ভেজা আঁচলের বেঁধে রাখা মমতা মুগ্ধ করেছে । পরযায়ী পাখির বিষন্নতা,সবুজের ছোট্ট কো’ন,বন্ধ্যা সময় ,রঙ পেন্সিলে ফোটে না সূর্য উদয়,
শাড়ির ভাঁজে পৌউষী,শালিকের আবছা ওম,আদুরে সন্ধ্যা,মিঠে কলসির ভোর ,সব মিলিয়ে রুপক ,ইমেজ ব্যবহারে বিমোহিত হয়েছি বারবার । পড়তে গিয়ে নস্টালজিকও হয়ে পড়েছিলাম । সেই মিঠে কলসির ভোর এখন তো দেখিই না ।
ভালোলাগা তোমার তুলে আনা বাক্যগুচ্ছে!! মিঠে কলসির ভোর আমাদের কে লেগুণের মাছের মত, গ্রীন হাউজের সবজির মত চাষ করতে হবে
তনুমনে কে তনু মনে লিখলে বুঝতে সহজ হতো । তনু শব্দটি ব্যবহার করায় দারুণ লাগলো । জানলাম অর্থ । শেষ লাইনটি অনেককককককককক চমৎকার হয়েছে । এটা যেন ক্রিকেট মাঠে সেরা ফিনিসারের কাজ করেছে । ম্যাচ কে যেমন পরিপূর্ণতা দেয় একজনের বিরোচিত লড়াই ঠিক তেমনি এই লাইনটি । ভাত ঘুম থেকে ভোর ….অনেক কথা । থাক প্রিয়তে । কবিতার সাথে আবার কথা হবে ।
কেউ একজন ভাবতে পারে রাকু কে খোঁচা দেওয়ার ...থাক বলার দরকার নেই ।
আচ্ছা এখনকার বাচ্চারা যে তনুমন ও শব্দকোষ ঘেঁটে বের করবে, সে কি আমি জানতাম !! তাহলে আগেই তনু কে আর মন কে আলাদা করে দিতাম। আচ্ছা আচ্ছা, এখন দিচ্ছি কেটেকুটে ভাগ করে তনু আর মন কে।
হুম হুম কাটার থেকে ফিনিশার ...... যেভাবেই দেখ , যেভাবেই রাখো !! উপমায় আমার কবিতা কে ও হার মানালে মাইরি। ঠিক এক সুবহ সাদিক থেকে আরেক ভোরের গল্প! প্রিয়' তে থাকলো !! এ আনন্দ আমার নিজের করে রাখলাম।
না না খোঁচা দেয়াড় উপরকরন পেয়েছি , তার চাইতে বেশি পেয়েছি মন ভোলানো কিছু উপমা।
তাই, থাক বলার দরকার ই নেই।
৩৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১
রাকু হাসান বলেছেন:
হাহাহা এখনকার বাচ্চারা আরও কত কিছুই করতে পারে । ।
লাঞ্চের পর প্রশান্তিময় একটি প্রতি উত্তর পড়লাম । আমার কাছে নতুন । শব্দ ভান্ডার আমার খুব কম তাই । আগের মন্তব্যে দুটি বিষয় স্কিপ করে গেছিলাম ভুলে ।তাই আবারও অাসা ।
গুগল করেও আমি সাচরা মাছ চিনতে পারলাম না । যত মাছের ছবি আসছে ,সেগুলো অনেকগুলো ছোট মাছের সাথে । আলাদা থাকলে চিনতে পারতাম হয়তো । ডা.এম এ আলী স্যারের মন্তব্যে যে ছবিটি দেখলাম । গুগলেও সেটা দেখছি । আমি ধরে নিয়েছি এটাই সাচরা মাছ । ঠিক ধরেছি কি ? আর ছবিটি অসম্ভব রকম ভালো লেগেছে আচ্ছা বাকগ্রাউন্ড তো এডেটলেস ! ছবিও মুগ্ধ করেছে আমায় ।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সাচরা মাছ গুগুল মামু ঠিক ই চিনছে;
এইটা আলাদা কোন মাছের নাম না , পাঁচমিশালী ছোট মাছকে বিক্রমপুরে সাচরা মাছ বলে।
আলী ভাই ও মিক্সড মাছের ছবি ই দিয়েছে। টেংরা পুঁটি ইচা খইলসা বাইম টাকি, শোলের বাচ্চা , ইত্যাদি ইত্যাদি সংমিশ্রন।
আশা করছি আমার কবিতায় রাখা ছবির কথা বলছো !
তোমার ভালোলেগেছে শুনে সত্যি ই খুশি হলাম; হুম এডিটলেস। আমি ছবি এডিট করতে পছন্দ করি না কেমন কৃত্তিম মনে হয়।
ছবিটা গত ডিসেম্বারে মাঝরাতে মুভি দেখে ফেরার সময় তোলা। কুয়াশা ছিলো দেশের মতই , হেটে হেটে বাসায় ফিরছিলাম সবাই
অপূর্ব! অপার্থিব অনুভূতি।
ধন্যবাদ আমার কবিতার সাথে থাকার জন্য।
৩৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: অসাধারণ লিখা , মনে হচ্ছে কেউ যেন আমাকে সেই ফেলে আশা দিন গুলো মনে করিয়ে দিচ্ছে , ভাল থাকুন সব সময় ।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দৃষ্টিসীমানা!
ভালো লাগলো আপনার আন্তরিক মন ছুঁয়ে যাওয়া মন্তব্য। এই প্রশংসাটুকু !! অসাধারন লিখা ; এটুকু আমার পাঠকদের প্রাপ্য। যারা নিরলস ভাবে আমার লেখার সাথে থেকেছেন ।
শব্দ চিত্রকল্পে আপনাকে ফেলে আসা সময়ের আমেজ দিতে পেরেছি - এটুকু জেনে ও আনন্দ পেলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে; শুভ কামনা সতত।
৩৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: অপূর্ব মনিরা আপু! খুবই ভাল লাগা!
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৩০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভ্রমর !!!!
মন ভালো হয়ে গেলো আপনাকে পেয়ে ।
৩৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০
নজসু বলেছেন:
কবিতাটা আরেকবার পাঠ করতে চলে আসলাম।
আমার চারদিকে এক অভূতপূর্ব পরিবেশ।
সূর্যের দেখা নেই। ঠান্ডা হিমেল বাতাস।
জানালা দিয়ে দেখছি বিষন্ন প্রকৃতির চাঞ্চল্যে ভরা মানুষ।
দিনমান মটর কালাইয়ের শাকে নকশা;
সাচরা মাছে লালশাকে ঝোল ঝাল, আর কুয়াসেঁচা সাটি চচ্চরী ।
ভাতঘুম নেমে এলে কবিতারা উঁকিদেয় নিদছোঁয়া চোখের পাতায়।
কেন লেখেন এভাবে? পুনরায় ফিরে আসতে হয় আপনার কবিতায়।
ছুটে বেড়াতে ইচ্ছে করে দূর নীলীমায়।
তবে, লাভের মাঝে একটা লাভ খুঁজে পাই। তাহলো আপনার কবিতা পাঠে আমার উদাস মন কোথায় যেন হারিয়ে যায়।
স্বপ্নসুখের জোয়ারে ভাসতে থাকি।
এই হিংসা কষ্টের ধরার মাঝে আর ফিরে আসতে ইচ্ছে করে না।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী যে অপূর্ব মমতায় কবিতায় ভালোলাগা প্রকাশ করলে !! নি:সন্দেহে এ তোমার পদ্ম হৃদয়ের কোমলতা তুলে ধরে।
সব সময় অতখানি ই যত্নে রেখো এই সারল্য মায়ায় অনুভূতিতে পূর্ন মন কে ।
শুভ কামনা।
৩৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫
আরোগ্য বলেছেন: সুপ্রিয় মনিরা আপা,
আশা করি ভালো আছেন।
আমার সাম্প্রতিক পোস্টে আপনার আগমন একান্তভাবে কাম্য।
হাজারো ব্যস্ততার মাঝে একটু সময় করে আমার মত অধম লেখকের লেখাটি পড়ে মতামত জানানোর জন্য আন্তরিক আবেদন জানাচ্ছি।
প্রিয় আপা আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম হুম ....
অবশ্যই যাবো । ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেবার জন্য ।
৩৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পারফেক্ট অগ্রহায়ণের প্রতিচ্ছবি। কি সুন্দর করে শব্দের পসরা সাজিয়েছেন! মুগ্ধতায় মন ভরে যায়। দারুল একটা কবিতা!!! +++++++++++।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যালো মি: বেস্ট !
আন্তরিক ভাবে দু:খিত মন্তব্যের বিলম্বিত উত্তরের জন্য।
আপনার দারুন প্রশংসা আমার কবিতা কে অনন্য করলো!! সব সময়ের মত মন্তব্যে আমাকে মুগ্ধ করলেন।
অনেক ধন্যবাদ আমার পাঠক হবার জন্য
৪০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২
জাহিদ অনিক বলেছেন:
বাহ ! সকাল থেকে শুরু হয়ে আবার রাত্রি শেষে সকালের দৃশ্য; শীতের স্পর্শ।
আদ্যোপান্ত একটি অগ্রহায়ণ যেন কবিতায় নেমে এসেছে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ কবি !
আশা করছি আদ্যোপান্ত অগ্রহায়ণের কবিতা উপভোগ করেছ।
শুভ কামনা তোমার জন্য।
৪১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৭
নজসু বলেছেন:
আপা, ব্লগারদের মিলনমেলায় নামক পোষ্টটিতে প্রিয় ব্লগারদের ছবি দেখে খুব ভালো লেগেছে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনাদের সবাই কে আমরা সে' দিনের ক' জনা মিস করেছি।
আশা করছি পরবর্তী মিলন মেলায় আরও অনেকেই পাবো।
ধন্যবাদ অনুভূতি প্রকাশে।
৪২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: অনেক দিন পর আপনি ।সুন্দর লেখা আপনার।
গ্রাম , শীত আর ছেলেবেলা। আমি এমনিতেই স্মৃতিকাতরতার রুগী।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা আপা।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেকদিন পর লেখা খুব ই সত্যি ! দীর্ঘ বিরতি' তে লেখায় ও আপনাদের উপস্থিতি আমাকে আনন্দ দেয়, লেখার আগ্রহ বাড়ায়।
স্মৃতি কাতর আমরা সবাই শৈশব নিয়ে; সুতরাং আপনার স্মৃতিকাতরতা মোবারক।
আপনি ও ভালো থাকবেন, অনেক অনেক শুভ কামনা।
৪৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৮
কালীদাস বলেছেন: মনিরা আপা! কেমন আছেন?
সহজ সরল কবিতা, মন্দ লাগেনি এই বছর ফজরের নামাজ মিস যায়নি বললেই চলে, এমনকি সামারেও না!!
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আরেয়ে আরেয় এত্ত দিন পর কাকে দেখছি !!!
সত্যি' ই আপনি !! অনেক অনেক দিন পর আপনাকে দেখে ভালোলাগলো। আপনার সপ্রতিভ উপস্থিতি এবং চমৎকার সব মন্তব্য আমরা সবাই মিস করছি ব্লগে।
সুবহানআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ্ ! ফজর নামাজ হচ্ছে সারাদিনের পুঁজি ! আপনার এই নামজ মিস না যাবার ধারা অব্যাহত থাকুক!
অনেক অনেক শুভ কামনা।
৪৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫
নজসু বলেছেন:
কিন্তু আপা, অনেকদিন তোমার নতুন কবিতা পাচ্ছিনা।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: নতুন কবিতা পাতায় আসা মাত্রই পরিবেশিত হবে
৪৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৫
রাকু হাসান বলেছেন:
কি খবর , ঠিক আছে শুভকামনা করছি ,যাউজ্ঞা আছো কেমন ? কেমন বিষয়টা অনেকজন কে ব্লগ ডে তে দেখলাম আমি রাকু ডুবু হয়ে রইলাম
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ডুবু ডুবু কেনো!!
রাকু কে খুঁজেছিলাম তো।
আছি ভালোই আনন্দে আবদারে আহ্লাদে। দেশে পা দেয়া মানেই আনন্দের ফুলঝুঁরি। ব্লগে ফিরতে তাই সময় নিলাম।
৪৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৬
নজসু বলেছেন:
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুজন !
নতুন বছরের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা তোমার জন্যে ও।
৪৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,
বেহিসেবী দিন, কোথায় কোনখানে যে খরচ হয়ে গেছে!
দীর্ঘ শীতের কুয়াসা ছিঁড়ে আবার নতুন সূর্য্যের দিন এসে গেছে। তাও যেন বেহিসেবী খরচ না হয়ে যায়; তাই নতুন বছরের দিন কাটুক ফুলের সুগন্ধ ছড়িয়ে...............
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অপূর্ব সুন্দর ! স্নিগ্ধতার সুরভী ছড়ানো ছবিতে, কী দারুণ ভাবেই না নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলেন !!
আমি অভিভূত, আনন্দিত , আবেশিত!
আপনার জন্য ও নতুন বছরের মিঠে রোদ বিকেলের অনুরণিত শুভেচ্ছা।
৪৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৯
শোভন শামস বলেছেন: নবান্নের আমেজ লেগেছে পল্লীর পরতে পরতে। ধান কাটা সারা হলে গ্রামবাংলায় পড়বে নিমন্ত্রণ আর নাইওরের ধুম।
সুন্দর পোস্ট, নতুন বছরের শুভেচ্ছা
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার জন্যে ও নতুন বছরের শুভ কামনা !
শীতনামা সন্ধ্যায় চমৎকার মন্তব্যে উৎসাহিত করে গেলেন!
সব সময় ভালো থাকার শুভ কামনা।
৪৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৪
নজসু বলেছেন:
নতুন শব্দের খোঁজে এসে ফিরে গেলাম।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শব্দেরা অভিমানী হয় জানো তো !!!
বেশ কিছুদিন শব্দ কে আঁচলে না বাঁধায়, ছন্নছাড়া হয়েছে, বড্ড বেয়াড়া আজ। দেখি যদি কথা শোনে, তুলে আনব তোমাদের জন্য।
৫০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১০
ধ্রুবক আলো বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা। বেশ গভীর অনুধাবনীয়, পুরো কবিতা জুরে একটা মায়া কাজ করে।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ ধ্রুবক !
কবিতার মায়া আপনাকে স্পর্শ করেছে, তাতেই আমার লেখার আনন্দ। অনেক অনেক ভালোথাকুন, আনন্দে থাকুন।
শুভ কামনা।
৫১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুবই মনোরম এবং মমতাময় কিছু কথা দিয়ে কবিতাটা শুরু করেছেন, যে স্নিগ্ধতা (এবং বোধকরি, কুয়াশার মত কিছুটা বিষণ্ণতাও) কবিতার বাকী অংশে ক্রমে ক্রমে ছড়িয়ে পড়েছে।
"ভাতঘুম নেমে এলে কবিতারা উঁকি দেয় নিদছোঁয়া চোখের পাতায়" - অসম্ভব সুন্দর একটা পরিস্থিতির কাব্যিক বর্ণনা দিয়ে গেলেন।
অগ্রহায়ণের একেবারে শেষের দিনটিতে আমার জন্ম। তাই বুঝি অগ্রহায়ণ আমাকে নানাভাবে প্রভাবিত করে।
২২ নং মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্য- দুটোই ভাল লেগেছে। + +
পোস্টে ৩০তম প্লাস + +
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কিছু কবিতা না চাইলেও বিষণ্ণতা বিলায়, স্মৃতিকাতর মন সবসময়ই বিষণ্ণতা বিলাসী!
আপনার চিত্ররূপ ময়তা অসাধারণ নিঃসন্দেহে, তুলে আনা লাইনের জন্য ভালোলাগা।
বাহ ! অগ্রহায়ণের তো মাত্র শুরু, অগ্রহায়ণের এই মিঠেল অনুভবের প্রভাবে নিশ্চয়ই কিছু দারুন লেখা পাচ্ছি আপনার।
খুব কাছাকাছি সময়ে ই তাহলে আপনার জন্মদিবস!!! অগ্রিম শুভকামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তিতকুটে কপি স্বাদ সঙ্গে নানান শাকপাতারি ও মাছের ঝোলে সঙ্গে খেজুর গুড়ের আস্বাদনের মধ্যে আমার অগ্রহায়ণে অনুরণন হৃদয়ে ধুকপুক হয় যে বারংবার।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে ।