নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে গেলে- তবু কিছু থাকবে আমার : আমি রেখে যাবোআমার একলা ছায়া, হারানো চিবুক, চোখ, আমার নিয়তি

মনিরা সুলতানা

সামু র বয় বৃদ্ধার ব্লগ

মনিরা সুলতানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্ষা কথন

০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৪০


এমন আকাশ কালো করা ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির দিনে আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে, আবার আমার রোকেয়া হলের এক্সটেনশন- ২৩ এর জীবনে। এমন চারিদিক অন্ধকার হয়ে আসা আষাঢ়ের দিনগুলি তে আমি আমার ছোট্ট বিছানায় পাতলা কাঁথামুরি দিয়ে চারাপশে পছন্দের বই আর ক্যাসেটে কবিতা শোনার মহার্ঘ্য সময়ে ফিরে যাই। একটা রুমে সিনিয়র জুনিয়র মিলে চারজনের স্বপ্ন, সংঘর্ষ, আনন্দ বেদনা ভাগাভাগি করে থাকার টুপ করে চলে যাওয়া দিনের রেশ ফিরে পাই।

আকাশ উজাড় করে ঝরা এমন দিনে খুব ভোরে রুমের সামনে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে বকুল ফুল কুড়াতাম, প্রায়ই ফুল নিতে আসত মেইনবিল্ডিং থেকে একজন সিনিয়র আপু। এ সময়ে আগের মত মিষ্টি সুবাস দেয়া সেই বাদল ফুল হাতে নিতে ইচ্ছে হয়। জানালার সামনে পড়ার ডেস্কে বসে উদাস নয়নে মানিপ্ল্যান্টের পাতার ফাঁকে বৃষ্টি দেখার সুখ।


চারিদিক ভেঙে মেঘ করা এমন দিনে আমি আমার রোকেয়া হলের প্রাঙ্গণ কে মিস করি, হুট করে আকাশ ভাঙায় সব কাজ ফেলে ঝুমঝুম বর্ষায় ভিজে একদল কৈশোরে ফিরে যাওয়া স্বপ্ন ছুঁতে চাওয়া তরুণ প্রাণ। বন্ধু সহপাঠী হলের বড় অথবা প্রাণের টানে মেলা ছোট বোনদের সাথে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা কে মিস করি। মনে আছে সেদিন রুমেই ছিলাম বৃষ্টির প্রথম ফোঁটার সাথে চলে এলাম আমাদের ভবনের সামনে। প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হল আর চারিদিক থেকে নেমে পরলাম আমরা কয়েক জন কতক্ষণ ভিজেছিলাম মনে নেই। ইয়াসমিন আপা আমার রুম মেট আমি সবাই খেলা শুরু করলাম। এরমাঝে বাইরে থেকে সবজি নিয়ে এক রিকশা এলো, ফিরে যাবার সময় রিকশাওয়ালে কে শেডের নিরাপদ দূরত্বে পাঠিয়ে বহ্নি শুরু করলো আমাদের কয়েকজন কে নিয়ে রিকশা চালানো। সে এক অপার্থিব আনন্দ স্মৃতি।


মেঘলা দুপুরে সন্ধ্যা নেমে আসা, এমন সব বাদল বর্ষানো দিনে আমার রোকেয়া হলে বন্ধুদের কাছে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। আমার রুমের মুসুর ডাল দোলার রুম থেকে আলু কনার রান্না খিচুড়ি সাথে ডিম ভুনা আর আলু পেয়াজের মচমচে ভাজা। এরপর সবাই মিলে ভাগভাগি করে খাওয়া। এমন একটা জনম কোন যে যাদুর কাঁঠিতে আবার ফিরে পাই!!!


রুদ্ধদ্বার আষাঢ়ের এমন বিষণ্ণ বিকেলে রোকেয়া হলের ক্যান্টিনে মন চলে যায়। যেখানে না ফুরানো গল্পের ঝাঁপি রাখা থাকে। সেই ডালপুরি, পেঁয়াজের সমুচা, ডিমচপ আর চা সাথে কলতান। বিষণ্ণতার যেথায় প্রবেশ নিষেধ। কখনো বা শেষ বিকেলের ভেজা আলোয় মেইন বিল্ডিং এর খোলা চত্বরে বসে তুমুল বাতাসের আদর নেয়া চোখ নাক মুখে। চুপচাপ একাকী হবার আহ্লাদী অবসর সেখানে নেই, হয়ত মগ্নতায় ডুবে যাবার আগেই অনার্স বিল্ডিং থেকে নদী এসে পিছন থেকে জড়িয়ে নিবে। নয়ত দূর থেকে ছোট নদী জানতে চাইবে ডাকসু রিহারসেলের খবর নয়ত কোন রুমমেটের ডাক।


নিজেকে নিঃস্ব করে ঝরা, গুরুম ডাকা এই আঁধার কালো রাত্তিরে আমার রোকেয়া হলে প্রথম ভেজার রাত্রি টা মনে পরে। ক্ষমা, শায়লা, লিপি, তানিয়া সবাই মিলে মাঝ রাতে হলের মাঠে প্রচণ্ড ভিজেছিলাম অন্ধকারে। চারিদিকে সুনসান, মেঘের গর্জন আর আমাদের আনন্দ চিৎকার ছাড়া কিছুই ছিল না। সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করা একজন বড়আপুর কঠিন ঝারি খেয়ে রুমে ফিরেছিলাম। এরপর সবাই মিলে এক ঝর্নার নীচে সিনান। সেসব ছিল অন্য জীবনের গল্প মনে হয় এখন।

আহা আনন্দ জীবন, একদুই জমেজমে মস্ত সুখের জীবন আমার " বেগম রোকেয়া হল " এ জমা রেখে আসা বর্ষার জীবন!!

বর্ষার গর্জন

সর্বসত্ত্বঃ @মন সায়র

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আহা কী মনোমুগ্ধকর স্মৃতিগুলো।

আমারও গ্রামের বাড়ীর বর্ষায় ফিরে যেতে ইচ্ছে করে :(

০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বর্ষা আসলে স্মৃতিকাতর মাস ! বর্ষা রোমান্টিক সিজন ! বর্ষা ভেজার আনন্দের সময়।
ধন্যবাদ আপু শুভ কামনা।

২| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ভালোলাগা রেখে গেলাম

০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ সামিউল ইসলাম বাবু !
ব্যক্তিগত স্মৃতি অনেক সময় ই পাঠকের বিরক্তির কারন, আপনার ভালো লেগেছে জানতে পেরে আনন্দিত।
শুভ কামনা।

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৬

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: মুগ্ধময়তায় মাখা স্মৃতিতে কাতর আপনার হৃদয়। স্মৃতি বর্ননা অনেক পাঠভোগ্য হয়েছে। নিজের আবেগ ভাবাবেগ দিয়ে যখন পাঠককে স্পর্শ করা যায় তখন লেখা হয় সার্থক। আপনার এই স্মৃতিচারনটি তেমনই স্পর্শ করছে।

০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুণ ! চমৎকার ভাবে স্মৃতিচারণে ছুঁয়ে যাওয়া টুকু প্রকাশ করেছেন ! অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার লেখায় স্বাগত, সুন্দর হোক আপনার সময়গুলো।

শুভ কামনা।

৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২১

শেরজা তপন বলেছেন: ' আলকাশ ' কি তখন পড়েছিলেন না আরো অনেক পরে? :)
প্রতিটা মেয়েই বৃষ্টিতে ভিজে দারুন মজা পায়- তাদের স্মৃতির একটা অংশ জুড়ে থাকে বৃষ্টিতে স্নান,কেন?
ও হ্যা ছোট বেলায় ঝুম বৃষ্টিতে নদী বা খালে ঝাঁপানো আর ফুটবল খেলার স্মৃতি বৃষ্টির দিনে আমার এখনো আনমনা করে ফেলে!

হস্টেল জীবনের স্মৃতি- বিশেষ করে মেয়েদের জন্য আসলেই অন্যরকম এক অনুভুতি জুড়ে থাকে সারাটা জীবন।

০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আলকাশ লেখার ইচ্ছে তখন আপনার মনে ইচ্ছে হয়েই লুকিয়ে ছিল। হয়ত বা পাশাপাশি সময়ে আমাদের এই স্মৃতি রচিত হচ্ছিল।

প্রতিটা মেয়েই বৃষ্টিতে ভিজে দারুন মজা পায়- তাদের স্মৃতির একটা অংশ জুড়ে থাকে বৃষ্টিতে স্নান,কেন? আপনার এ প্রশ্নের উত্তর তো আবহমান কাল থেকে কবি সাহিত্যিকরা খুঁজে বেড়াচ্ছেন। প্রত্যকের নিজেরমত উত্তর ও আছে।

হ্যাঁ এমনিতেই শৈশব মানুষের স্মৃতিকাতরতার সবচেয়ে বড় উৎস আর সাথে যদি বৃষ্টি মিশে থাকে তাহলে তো তার আবেদন হয় আকাশ ছোঁয়া।

হোস্টেল জীবনের স্মৃতি বিশেষ করে মেয়েদের জন্য অন্য রকম এক অনুভূতি কেন হয় জানেন ?
অন্য কলেজ স্কুল বা আজকালের প্রাইভেট হোস্টেল এর ব্যাপার জানি না। নিজের রান্না, জামাকাপড় পরিষ্কার অন্যান্য কাজের সাথে পড়াশুনা, পড়াশুনার বাইড়ে অন্যান্য চর্চা। নির্দিষ্ট টাকায় মাস চালানো, বাজার। এমন সব হাজারো দায়িত্ব আর কাছের পরিজনের দূরত্ব সত্ত্বেও। মেয়েদের এই একমাত্র জীবন যেখানে সে তার নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারে। পরিবারের সাথে থাকা কালীন চাইলে ও সমাজের ভয়ে অনেক কিছু ই, অনেক শখ ই পূর্ণতা পায় না। যাক সে এক লম্বা গল্প।

অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য :)

৫| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩১

শায়মা বলেছেন: আমার মনে পড়ে ১২/১৩ বছর বয়স। যখন থেকে আমি কল্পনার মেঘের ভেলায় ভাসতে শিখি।

বাদলা দিনে মনে পড়ে ছেলেবেলার গান, বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান.......

০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সত্যি জানো !! আমার এখন মনে হয় কত কত কিছু নিয়ে কল্পনায় সময় কাটিয়ে দিতাম। তবে পাশাপাশি এত দুরন্ত ছিলাম আমি যে ভাবনার সময় অনেক কম ছিল, করার ছিল অনেক বেশি।

৬| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার বর্ষাদিনের স্মৃতির কথা শুনে ভালো লাগলো। বর্ষা মানুষকে উদাস করে দেয়, নস্টালজিক করে দেয়।তবে আমার ক্ষেত্রে বর্ষাকাল একই সাথে আনন্দের আবার বিড়ম্বনার। বন্যাপ্রবণ অঞ্চল হওয়ায় বর্ষার শুরু থেকেই ঘরে, রাস্তায় পানি জমতে শুরু করে।কয়েকদিন থাকে। ছোটবেলায় এই বন্যার পানি আমাদের আনন্দের উপলক্ষ ছিলো।একতলা ছাদের ওপর থেকে রাস্তায় বন্যার পানিতে লাফ দিতাম।সাঁতার শিখেছি বন্যার পানিতে। ঘরের মধ্যে পানি ঢুকতো।এখনো ঢোকে। খাটের ওপর বসে বরশিতে মাছ ধরতাম। কিন্তু পুরোটা বর্ষায় এই বন্যার কারণে আমাদের জীবনযাপনে কষ্ট হতো। মুষলধারায় বৃষ্টির মধ্যে সাঁতার কাটা আর ফুটবল খেলার মধ্যে অন্যরকম মজা আছে।আর কিছু না পেলে একে অপরের গায়ে কাঁদা ছুড়তাম।

০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার বিড়ম্বনার বেশির ভাগ অভিজ্ঞতা আমার ও আছে, ঘরের মেঝেতে পানি সহ থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কাঁদা পানি পার হয়ে স্কুল, স্কুলে হ্যান্ডবল ভলিবল খেলার পর গায়ে মুখে কাঁদা সহ বাসায় ফেরা। সাঁতার আমিও বন্যার পানিতেই শিখেছি :)
হুমহুম এখন ও চোখে ভাসে চমৎকার রঙধনু উজ্জ্বল রঙ নিয়ে খলশে মাছের সাঁতার আমাদের মেঝেতে, শোল টাকি মাছের বাচ্চা পোনা নিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে চলা। আমার দাদার বাড়ি তো বর্ষায় নৌকা ছাড়া পাশের বাসায় ও যাওয়া যায় না। হ্যাঁ বন্যা জীবন যাপন আর ফসলের বেশ ক্ষতি হয় :(
মুষলধারায় সাঁতার নৌকা বাওয়ার অভিজ্ঞতা আমার ও আছে, কাঁদা ছোড়াছুড়ি তো বিয়েবাড়ি তে হত , সে অন্য আরেক আনন্দ।

ধন্যবাদ তমাল লেখায় নিজের এত এত মহার্ঘ্য স্মৃতির ঝাঁপি উজাড় করার জন্য।

৭| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১২

জুন বলেছেন: আমি হলে থাকিনি কিন্তু রোকেয়া হলে এটাচড ছিলাম। প্রায়ই যেতাম হলে আর হলের ক্যান্টিনের চা আর সেই ছোট ছোট সিংগাড়ার কথা এখনো মনে পরে।
বৃষ্টিতে ভেজা আমাদের সময় খুব কমন ছিল মনিরা। বাইরের উঠোনে ঘাসের চাদরের উপর সেই বৃষ্টি স্নান কখনো ভোলার নয়। আর আমাদের ছেলেপুলেরা এর কিছুই দেখলো না। খুব সুন্দর করে লিখেছো স্মৃতি কথা। অনেক অনেক ভালো লাগা :)
+

০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনি ই বলেন আপু এত কম দামে আর এত মজার সমুচা সিঙ্গারা আর খেয়েছেন ? তবে সেই স্বাদের সমুচা সিঙ্গারা পেলেও সময় যে ফিরে পাওয়া যাবে না আর তাই এর মিষ্টতা একটু বেশি ই। তাই না !!

আমার বাচ্চারা ১০/১২ ছিল যখন নিয়ম করে ওদের নিয়ে ভিজতাম দেশে থাকলে, এরপর তো বাচ্চারা বড় হয়ে গেল ওদের স্ক্রিন এ ভিজতেই বেশি ভাললাগে :(

স্মৃতিকথা আপনার ভালোলাগা পেয়ে ধন্য আপু !

৮| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার বর্ষাবন্দনা।
দিন কয় আগে বৃষ্টিতে খুব ভিজলাম।
ইচ্ছে ছিলো আজকে যাবো নাগরিতে বর্ষার জলে দাপাদাপি করতে। লকডাউনের কারনে যাওয়া গেলো না।

০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লক ডাউন এরসময় গুলো মোটামুটি হতাশার, কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতিতে এরচাইতে কার্যকর কিছু আর নেই ও। এই বর্ষাটা সিলেট দেখতে চেয়েছিলাম। কিছুই হবে না, যদি আল্লাহর ইচ্ছায় বেঁচে বর্তে থাকি তো পরের বার। আশা করছি এই লক ডাউনের পর নাগরির জমে দাপাদাপির ছবি ব্লগ পাচ্ছি।

অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যে ভালোলাগা প্রকাশের জন্য।

৯| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু। শুভেচ্ছা।

০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া ! আপনার সহৃদয় পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য।
আপনার জন্য ও সব সময় ভালো থাকার শুভেচ্ছা।

১০| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২৫

হাবিব বলেছেন: দারুণ বর্ষাবন্দনা। মনিরাপু, কেমন আছেন?

০৮ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি ভালো আছি, আশা করছি আপনি ও ভালো আছেন ?
বর্ষা বন্দনায় ভালোলাগা প্রকাশে ধন্যবাদ।

১১| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:২৫

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: আপনার লিখা মানেই অনুভূতির এক অন্যরকম প্রকাশ।

আমার ইচ্ছে করে সব ছেড়ে ছুরে হলে চলে যাই। কতকাল বারান্দায় দাঁড়িয়ে জ্যোৎস্না দেখিনা, রাত দুপুরে চায়ের মগ আর শীট নিয়ে করিডোরের এই মাথা থেকে ও মাথা হেঁটে হেঁটে পড়া হয় না। আর বৃষ্টি মানেই তো সবুজের মাঝে যেন এক অপার্থিব স্নিগ্ধতা নেমে আসে। সবচেয়ে বেশী মিস করি শীলা বৃষ্টি :(
পোস্টে ভালোলাগা।

০৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ইশ কোন জীবন আর কত গল্পের কথা মনে করিয়ে দিলেন!! যেদিন জোছনা দেখতাম সে এক উৎসব ! থৈথৈ আলোয় মাঝরাতে ভেসে আসতো কিন্নরী কন্ঠে প্রিয় সুর। অন্য পাশে হয়ত সেই সবুজে এলিয়ে আকাশ দেখছে। কোন দলে চায়ের আড্ডা। কত আনন্দ আর বৈচিত্র্য। ঠিক এসব উচ্ছ্বাস পাশ কাটিয়ে কেউ কেউ পাঠে মগ্ন। একবার শীলা বৃষ্টিতে মাঠের সবুজ সাদা হয়ে গেলো !! কী যে তার অপরূপ দৃশ্য লেখার ভাষা নেই।
সত্যি সত্যি রুপকথা জীবন কাটিয়ে এসছি !
আপনার মন্তব্য আমার লেখা কে পূর্নতা দিলো আপু।

১২| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৯

জটিল ভাই বলেছেন:
বৃষ্টিস্নাত পোস্টে বৃষ্টিমুগ্ধ :)

০৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বৃষ্টিমুগ্ধতায় জটিলাবাদ !

১৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার লিখাটি পড়ে এই মুহুর্তে একটি গান মনে পড়ছে-
"ফেলে আসা দিন গুলি মোর মনে পড়েগো,
আজি মনে পড়েগো----'

০৯ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পরের বার গান মনে আসলে অডিও ক্লিপ সংযুক্তি দিবেন, এইসব ফাঁকিবাজি আর না ;)
ধন্যবাদ ভাই পাঠে আর মন্তব্যে।

১৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: এক্সটেনশন বিল্ডিংয়ের সামনের বকুলফুলের গাছ, নিঊ বিল্ডিংয়ের সামনের শিউলিফুলের গাছ আর অনার্স বিল্ডিংয়ের সামনের কাঠ গোলাপের গাছ এক আশ্চর্য সুন্দর অনুভূতির বাহক। এক্সটেনশন বিল্ডিংয়ের পাশে একটা কুর্চি ফুলের গাছ ছিল এখন আর নাই।
পেছনের কদম ফুলের গাছ চিরকাল বড় অবহেলা নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।

কী সুন্দর মায়াবী করে লিখেন মনিরা আপা!
আপনি আমার কাছে অনেক মায়াবতী একজন মানুষ। ভালোবাসা নিবেন।

০৯ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কুর্চি গাছাটা চোখে ভাসছে, আমাদের রুমের পিছনে ভিসি বাংলোতে ও চমৎকার সব গাছ ছিল। সবচাইতে আবেশিত ছিল বৃষ্টির পর সব বুনো ঝোপঝারের মিলিত সুবাস !!! আহা এখন ও আনমনা করে।

তোমার এত সুন্দর মন্তব্যে আমি আবার আমার সেই সময়ে ফিরলাম কিছুক্ষণের জন্য, এত যে দরদ আর মায়া রেখে আসি আমরা আমাদের ফেলে আসা ঠিকানায়। তুমি ও আমার অনেক কাছের একজন হয়েই আছো। ভালোবাসা তোমার জন্যে ও।

১৫| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনার হলের স্মৃতি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। স্মৃতি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ আগ্রহ নিয়ে পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
শুভ কামনা।

১৬| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১৪

ওমেরা বলেছেন: আহারে ——— আপুনি সেই সুন্দর দিন গুলোতে আর ফিরে যেতে পারবেন না কখনো। :(
ফিরে যেতে পারলে তো আমরা এত সুন্দর এত মায়াময় একচা লিখা পেতাম না আপুনি।
অনেক ভালোলাগা লেখায় আপুনি।

০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ফিরলে ও সেই আনন্দ নিয়ে ফেরা যাবেই না , সময় টাই ছিল যাদুর!!!
লেখার মায়ার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ওমেরা !

১৭| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:২০

ঢুকিচেপা বলেছেন: স্মৃতির বাক্স থেকে আবেগমিশ্রিত একমুঠো বর্ষা কথনের সাথে নিজের ছোটবেলায় বৃষ্টিতে ভেজার কথা মনে পড়ে গেল।
চোখ বন্ধ করলে ঝুমমমমম বৃষ্টি পড়ার শব্দ কানে ভেসে আসছে।

০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ স্মৃতি নিয়ে লেখায় এবং লেখা পড়ায় এই এক সুবিধে, লেখকের স্মৃতির সাথে পাঠকের স্মৃতির জানালা খুলে যায়। উপভোগ্য হোক আপনার স্মৃতি'র ঝুমমমমম !!

১৮| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:৪৫

অধীতি বলেছেন: বৃষ্টির সাথে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের আত্মিক সম্পর্ক থাকে। বৃষ্টি আর বৃষ্টির ফোটারা...

০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন, এর মূল হচ্ছে সময় !! বিশ্ববিদ্যালয় থাকা কালীন বয়স সময় সব কিছুই জীবনের অন্যতম সময়। সে জন্য এর সাথে যুক্ত সে সময়ের সবকিছুই আত্মিক।

ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যে।

১৯| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৪:৩৭

সোহানী বলেছেন: তোমার স্মৃতিচারন পড়ে হাতটা নিশপিশ করছে। আমি লিখা শুরু করেছিলাম হলের জীবন নিয়ে কিন্তু মাঝপথে ব্যাস্ততায় লিখালিখি থেকে দূরে। তুমি জানো আমি কত মাইল স্পিডে দৈাড়াই ডেইলি :P । এমন কি নিজের পরিচিতি দিবো এক্স ইউনি গ্রুপে সেটারও সময় করতে পারছি না। আজিজ ভাইয়ের গুতা খেয়ে ব্লগে ঢুকলাম। ..হাহাহাহা

তবে হলের জীবন আমরা কমার্স গ্রপের জীবন ছিল ফুটন্ত কড়ায়ের মাঝে........হাহাহাহা। জীবনটা তেজপাতা বানিয়ে ছেড়েছিল সেমিস্টার সিস্টেম। তারপরও যতটুকু কাটিয়েছি তা অসাধারন।

মনে পড়ে গেল সে জীবনের গল্প।

০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ তাহলে আজিজ ভাইয়াকে, ব্লগে তাও আপনাকে পেলাম। ফেসবুকে ও তো আপনার ফেসের দেখা নাই। যতযাই হোক আবার লেখা শুরু করেন সেই সময় আমাদের আবেশিত সময় কে নিয়ে। দৌড়া দৌড়ি তো আমাদের লাইফের পার্ট। মজার কথা বলি - অনেক খোঁজাখুঁজির পর এই করোনা সময়ে আমার এক পিচ্চি রুম মেটের সাথে ফেসবুকে এড হবার পর, তার অবাক হওয়া আর থামে না!!! আমি একজন গৃহবধূ হয়ে জীবন কাটাচ্ছি !!!
তো ওর ইয়ারমেট আরেকজন তখন বলে - মনিরা আপু ইউনি লাইফে যত কাজ করে ফেলেছে আমাদের এমন আরও দুই জীবন লাগবে সেসব করতে :P
তার মানে আমারা যে জীবন ই কাটাই অখণ্ড অবসর এ জীবনে পাবার আশা নেই আপু। এর মাঝে ই লিখুন ব্লগে ফিরুন। ঐ যে ফুটন্ত কড়াইয়ে ভাজাভাজা র অভিজ্ঞতা সেটাই জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ এখন।

ভালোবাসা আপু।

২০| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিচারণ ।

০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পাঠে এবং মন্তব্যে।
শুভ কামনা !

২১| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা! সুন্দর স্মৃতিচারণ থুরি স্মৃতিমেদুরতা।

ঝরঝরে বর্ননা। বৃষ্টিমুখর দিনে একটু জিলাপি কিম্বা পাপড়ের যোগ থাকলে আরও জমে উঠতো।

ভালো থাকবেন আপু সবসময়।

১০ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদম মোক্ষম জিনিস তুলে এনেছেন।
অনেক ধন্যবাদ দাদা!
চমৎকার মন্তব্য নিয়ে লেখার সাথে থাকার জন্য।
শুভ কামনা।

২২| ১২ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: বর্ষামঙ্গল কাব্যে (এটাকে অতি উৎকৃষ্ট মুক্ত গদ্য ধরে) অনেক ভালো লাগা। আপনার বর্ষা লেখনীর বারিধারায় আমারও কত স্মৃতি এলো মেলো হযে ভেসে এলো যে মনে ! অনেক বছর আগে খাগড়াছড়িতে মন উতল করা ঝমঝম বৃষ্টি ভেজা এক ভোর সকালে একটা ব্লাঙ্কেট শরীরে জড়িয়ে এক পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে আমি একা একা ভিজেছিলাম । চারদিকে নিঝুম সবুজ আর তার মাঝে পাহাড়ের ওপর থেকে দু'হাজার ফুট নিচে বৃষ্টিগুলো পড়তে পড়তে বাতাসে নেচে নেচে সরে যাচ্ছে দেখতে কি যে ভালো লেগেছিলো সেটা কাউকে বোঝানো দুঃসাধ্য আমার জন্য। আপনার লেখাটা অনেক বছর আগের বৃষ্টি ভেজা না ভোলা স্মৃতি মনে করিয়ে দিলো । এমন যদি কখনো হয় ব্লগে লেখা হচ্ছে না, আসা হচ্ছে না তখনও এই লেখাগুলো মনে থেকে যাবে। ভালো থাকুন ।

১২ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ইশশ কি মনমুগ্ধকর বর্ণনা আপনার !! লিখেন না কেন এসব স্মৃতি ? আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারেন আনায়েসে, আমাদের যে ভাললাগবে সেটুকু আগ্রিম জানিয়ে রাখলাম।

অনেক বছর আগে খাগড়াছড়িতে মন উতল করা ঝমঝম বৃষ্টি ভেজা এক ভোর সকালে একটা ব্লাঙ্কেট শরীরে জড়িয়ে এক পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে আমি একা একা ভিজেছিলাম । চারদিকে নিঝুম সবুজ আর তার মাঝে পাহাড়ের ওপর থেকে দু'হাজার ফুট নিচে বৃষ্টিগুলো পড়তে পড়তে বাতাসে নেচে নেচে সরে যাচ্ছে দেখতে কি যে ভালো লেগেছিলো সেটা কাউকে বোঝানো দুঃসাধ্য আমার জন্য। কী যে অসম্ভব ভালোলাগার আবেশ স্মৃতিকথায় !!! আমার ব্যক্তিগত ভালোলাগার স্মৃতিতে আপনার নিজস্ব স্মৃতির রোমন্থনে আমার ভালোলাগা রেখেছি!
সব সময় ভালো থাকার শুভ কামনা।

২৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



এই পোষ্টটি দেখার সময় স্টার জলসায় গ্রামের পানি বিনাপানি নামে
একটি বাংলা টিভি সিরিয়াল দেখতে ছিলাম । সেখানে বর্ষা পার্টিতে নৃত্যের সাথে
নায়িকার ঠোটে লতা মুঙ্গেসকারের কন্ঠে গাওয়া
বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি এ কোন অপরূপ সৃষ্টি গানটি শুনছিলাম
বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি/এ কোন অপরূপ সৃষ্টি
এতো মিষ্টি মিষ্টি মিষ্টি/আমার হারিয়ে গেছে দৃষ্টি।
বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি/এ কোন অপরূপ সৃষ্টি
এতো মেঘের কোনে কোনে/এলো বাতাস হুহুশনে
তোমার অঝোর ধারায় ভিজে/আমি নতুন হলাম নিজে
মা মা পা ধা নি ধা নি/আজ হারিয়ে গেছি আমি/
বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি কেনো এতো তুমি মিষ্টি।


আহা বৃষ্টি নিয়ে শুনা ঐ মধুর গানটির সুরের রেশ কাটতে
না কাটতেই সামুতে এসে দেখা পেলাম এই বর্ষা কথন ।
মনে হল যেন গানের সেই কথারই অনুরনন ।

রোকেয়া হলে আপনার বৃষ্টিতে ভিজার বিবরন আমাদেরকেও যে
নিয়ে যায় সেই দুর স্মৃতিতে।রোকেয়া হলের সামনে রাস্তার উল্টাদিকে
লাইব্রেরির গেটের কাছে ছিল ছোট একটি চায়ের দোকান । সেখান
হতে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে আমতলায় ঘাসের উপরে বসে বন্ধুরা
মিলে সামনে দিকে উপরে তাকালে দেখা ও শুনা যেতো রোকেয়া
হলে থাকা মেঘ বালিকাদের কোলাহল আর সুরেলা গর্জন ।

সে সময় বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভিজা ছিল নিত্য দিনের ঘটনা ।
ভিসির বাসার সামনে বড় দুটি রেইনট্রি গাছের নীচ দিয়ে
যাওয়ার কালে মাঝে মাঝে উপর হতে নেমে আসা
পাখীর অম্ল রস মাথায় মাখেনি তেমন ইতিহাস আছে
খুব কমই। তখন মনে হতো এখনই বৃষ্টি নামেনা কেন,
কথা বলার সাথে সাথে অযোর ধারায় বৃষ্টি নামলে
মনে হতো সত্যিই বৃষ্টি কি মধুর, ঠিক যেন লতার
গানের কথা ও সুরের মতন। কি যে প্রশান্তি হত
তখন ।

ভাল লাগল আপনার মধুর স্মৃতিমাখা বর্ষা কথন ।

শুভেচ্ছা রইল

১৪ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৫৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুণ ভাইয়া !!!
আপনার মন্তব্য তো আমাকে নিয়ে গেলো সেই সেন্ট্রাল লাইব্রেরী, হাকিম চত্বর, ছাতিম তলা , ভাষা ইনিস্টিটিউট!! এমন সবসব উত্তাল মায়াভরা দিন মনে হয় আর ফিরে আসবে না। ভিসি বাসার রেইনট্রি এরিয়া আধুনিকতার ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে, সেই রাস্তা ধরে ব্রিটিশ কাউন্সিলের রাস্তা, উফ কি যে অহস্য সুন্দর সব মুহূর্ত। বৃষ্টি তে সেই রাস্তা ধরে চলা আমরাবতি চলা সমান। এত এত সুন্দর পছন্দের গান আর সাথে স্মৃতির ভেলা আমার বিকেলটাই আলদা করে দিলো। এমন রোদ উজ্জ্বল দিন ও হয়ে উঠল মেঘ মেদুর।
অনেকনেক ধন্যবাদ ভাইয়া অসাধারণ মন্তব্য আর গান শেয়ার করার জন্য।
ভালো থাকার শুভ কামনা।

২৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
গ্রামের পানি বিনাপানি হবে

১৪ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া বুঝে নিয়েছি :)

২৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৫৮

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়লেই নস্টলজিক হয়ে যেতে হয়।
এটা কি আপার দোষ, নাকি আরো অনেকেই এই দোষে দোষী?

১৪ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: যে কোন স্মৃতি কথার দোষ এটা !!
কারণ স্মৃতিকথা মানেই লেখক এবং পাঠকের স্মৃতির জানালা প্যারালালি খুলে যাওয়া। নস্টালজিকতা তো দারুণ আবেশিত অনুভব, আপনাকে নস্টালজিয়া মোবারাক।

২৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই প্রথম মনে হয় আপনের কোন লেখা একবার পইড়া বুঝতে পারলাম। সেই জন্য আমারে একটা অভিবাদন জানাইতে পারেন। ;)

দেশের বর্ষাকাল খুবই মিস করি......খুবই। সেই সারাদিন অঝোঢ় ধারায় বৃষ্টি। একটু পর পর গুড় গুড় মেঘের ডাক.....কি সময়!! অবশ্য দেশে থাকতে বৃষ্টির মধ্যে বের হতে হলে চরম বিরক্ত লাগতো। প্যাচপ্যাচে কাদা আর সারাদিন বৃষ্টি!!! তবে বাসায় থাকলে দারুন কাটতো সময়। ঝাল করে মুড়ি মাখা, ইলিশ আর বেগুনভাজা দিয়ে খিচুড়ী খাওয়া। হাতে এক কাপ চা নিয়ে বারান্দায় বসে বৃষ্টি দেখা....আহা.....মনটাই খারাপ হয়ে গেল এই মন্তব্য টাইপ করতে করতে।

অবশ্য এখানে তুষারপাত সেই দুঃখ কিছুটা ঘোচায়, তবে এর মধ্যে বের হতে হলে সেই একই.....মেজাজ খারাপ।

চমৎকার স্মৃতিচারণ!!

১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: জি না অভিনন্দন নিজেকে জানাইলাম, কারণ গত পোষ্টে ও বলছি যে ফাঁকিবাজি আর কত ;) সুতরাং সেইটার আছড়। তাছাড়া এ হইতাছে আপনার হাতের তালুর এলাকার গল্প কিছু তো বলার থাকেই। তাই এইবার মনের কথা খুলে বলছেন।
আমি ১৪ বছর প্রবাস জীবনে এই একটা জিনিস ই চরম মিস করছি, তাছাড়া বরফের এলাকায় ও ছিলাম না যে স্নোফলে মন ভেজাবো। মুম্বাই তে টানা তিন দিনের বৃষ্টি স্টেশন বন্ধ পেয়েছিলাম। কিন্তু হরিয়ানা দিল্লি তে খুব কম ই পেয়েছি , সিঙ্গাপুরের তো হুটহাট বৃষ্টি হয় কিন্তু একেবারেই ভালো লাগত না। যা এখন ঢাকায় শুরু হইছে , মানে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে আরও গরম বেড়ে যায় ঝুম বৃষ্টি না, মেঘের ডাক আকাশ কালো না। আর দুবাই তে ও অনেক কম হত বৃষ্টি। তবে হাতে এক কাপ চা নিয়ে বসে বৃষ্টি দেখা, খিচুরি ইলিশের বিলাসিতা বাড়ির ছেলেদের ই হয়। আর হত ছাত্র জীবনে। যাইহোক সে অন্য জীবনের গল্প ই আসলে।

ধন্যবাদ স্মৃতিকথায় স্মৃতিচারণ করার জন্য।

২৭| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: স্মৃতি সততই সুখের, বাদল দিনের স্মৃতিকথা পড়তে ভালো লাগলো...

হলের জীবনের স্মৃতি বাকি জীবনে বারে বারে ফিরে আসে, কারণ তখন নানা রকম শাসন বারণ মেনে চলতে হয়না আবার কোন দায়িত্বের বোঝাও ঘাড়ে চাপে না।

বৃষ্টিতে ভিজে রিকশা চালানো... আমি কল্পনায় দেখতে পাচ্ছি সদ্য কৈশোর পেরোনো উচ্ছল কজন মেয়ের আনন্দে উদ্ভাসিত মুখের ছবি!!

লেখা পড়ে মনে পড়ল, বৃষ্টি নামে এমন সুন্দর হয়ে!! ইদানিং বৃষ্টি দেখলেই তো আমার মনে পড়ে প্যাচপ্যাচে কাদা আর রাস্তায় পানির স্রোত... এই লেখা পড়ে বৃষ্টির জন্য ভালবাসা ফিরে এল...

১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক দিন পর পেলাম আপনাকে লেখায়, যে কোন লেখা ব্লগে দেবার পর যাদের মন্তব্যের জন্য সব সময় অপেক্ষা করি। আপনি তাদের মাঝে অন্যতম আপু। আমাদের মা হাসান ভাই পদ্মপুকুর ভাই আখেনাটেন উনাদের ও অনেকদিন ব্লগে দেখি না।

ছেলেদের যাইহোক মেয়েদের হোস্টেল জীবন নিয়ে আপনার কথা একদম ঠিক, মেয়েদের সমস্ত জীবন ই তো করা যাবে আর করা যাবে না এই চক্করে ঘুরপাক খাওয়া।

ভালোবাসার বৃষ্টি আপনার কাছে ভালোবাসা হয়ে ই ফিরে এসছে জেনে ভালো লাগছে আপু।
অনেক অনেক শুভ কামনা।

২৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৩৩

মেহবুবা বলেছেন: মন কেমন কেমন করা একটা লেখা ! এই জীবনের অনেক অনেক দামী কিছু সময়; দামী বলেই আঁকড়ে থাকা আর আগলে রাখা।
শেষে কেন মিথ্যে বললে যে বেগম রোকেয়া হলে জমা রেখে এসেছো বর্ষা জীবন ? বেশ তো দেখতে পাচ্ছি সাথে নিয়ে চলেছো।
জুনের মন্তব্য যেন আমার কথা!

১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই জীবনের অনেক অনেক দামী কিছু সময়; দামী বলেই আঁকড়ে থাকা আর আগলে রাখা। কি সুন্দর করেই না বলেছেন আপু !!!

নাহ সাথে নিয়ে আর চলতে পারছি কোথায় ! এমন কিছু মহার্ঘ্য মুহূর্ত আজকাল খুব কম ই আসে। আপনার মন্তব্যে অনেক মায়া !!
জুন আপু আপনি আপনাদের জন্য ভালোবাসা।

২৯| ২২ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৩:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

২৩ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঈদ মোবারক ভাইয়া !
আশা করছি পরিবারের সবাই কে সুন্দর কেটেছে।

৩০| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪০

মুক্তা নীল বলেছেন:
মনিরা আপা ,
প্রকৃতি আর মন কত যে নিবিড় ভাবে একে অন্যকে জড়িয়ে আছে তা এই শ্রাবণ ধারার মতো কে বুঝতে পারে ? এত বৃষ্টির কান্না কোথায় যে ঝরে পড়বে, আর কত এই ব্যথা ভরা মনে আকাশটা কালো হয়ে গতকাল অন্ধকার গহীনে থাকবে ?
বর্ষা কথন উপস্থাপনা চমৎকার লিখেছেন, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সব সময়ের মত দারুণ মমতা নিয়ে আমার লেখায় থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা মুক্তা নীল ! কী যে দারুণ আপনার উপস্থাপন !! কত যত্ন পাঠ। আপনার চমৎকার উপলব্ধিতে ভালোলাগা।
প্রকৃতি আর মন কত যে নিবিড় ভাবে একে অন্যকে জড়িয়ে আছে তা এই শ্রাবণ ধারার মতো কে বুঝতে পারে ? এত বৃষ্টির কান্না কোথায় যে ঝরে পড়বে, আর কত এই ব্যথা ভরা মনে আকাশটা কালো হয়ে গতকাল অন্ধকার গহীনে থাকবে ?

সব সময় ভালো থাকুন আপু, শুভ কামনা।

৩১| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা মন ছুঁয়ে গেল!

বাঙালির মনে বর্ষার প্রভাব অসীম, এবং তা স্থান, কাল, পাত্র এবং বয়স ভেদে ভিন্ন হতে পারে। আমিও আপনার চেয়ে কিছুটা কম বয়সে বছরের আট-নয় মাস হোস্টেলের ডর্মে থাকতাম। আপনার লেখাটা পড়ে সে সময়ের শ্রাবণ দিনের কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল!

সেই নৈমিত্তিক রিক্সাচালক বহ্নি এখন কোথায় আছেন, কেমন আছেন? ঘটনার বিবরণ পড়ে বেশ মজা পেলাম! :)

৪ নং মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য প্রসঙ্গেঃ আমার ছ' বছরের নাতনিটা বৃষ্টি নামার আনাগোনা দেখলেই ভেজার জন্য ছাদে দৌড় দিতে চায়। করোনার কারণে আমি যেতে দিতে চাই না, তবুও কয়েকদিন মাস্ক পড়িয়ে যেতে দিয়েছি। গতকাল আকাশটা একটু কালো হয়ে আসলেই ও ছাদে যেতে চাইলো। আমি না করলাম, আর অমনি ভ্যাঁ----। যাহোক শেষ পর্যন্ত তখন আর বৃষ্টি নামেনি। তাই ওকে অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে ঘরেই গোসল করে নিতে বললাম।

পোস্টে একুশতম ভাললাগা। -- --

০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: স্মৃতি কথায়, আপনার মহার্ঘ্য স্মৃতি কাতরতায় ভালোলাগা। আশা করছি আপনার ছাত্র জীবনের শ্রাবণ দিনের স্মৃতি আমাদের জন্য লিখবেন।
হাহাহা সেই বহ্নি এখন একজন সফল উদ্যোক্তা, জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে সফল একজন ব্যাবসায়ি। ওর ডিজাইনার ব্যাগ এর কারখানা, বেশ পরিচিত নাম আমাদের মাঝে। আশা করছি ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও পরিচিতি ও প্রসার বাড়বে।

বাহ লেখায় একাত্ম হয়ে আপনার নাতনির সাথে আনন্দ ঘন মুহূর্ত শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ। সত্যি ই বৃষ্টি আমাদের একটু বেশি ই উন্মনা করে।

ভালোলাগার প্রকাশে এবং চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩২| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল তার মন্তব্যে মহার্ঘ্য স্মৃতির ঝাঁপি উন্মোচন করেছেন, এজন্য তাকে ধন্যবাদ। আর তার উত্তরে আপনিও যে আপনার অভিজ্ঞতার কথা বলে নিজেকে 'জলজ পরিবেশে বড় হওয়া এক জলকন্যা' হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন, সেজন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

বৃষ্টি নিয়ে মলাসইলমুইনা এর মৃদু স্মৃতিচারণটাও ভালো লেগেছে, এবং সেই সাথে আপনার প্রতিমন্তব্যটাও। ঢাকায় বসে বৃষ্টি দেখা আর পার্বত্য অঞ্চলে দেখায় অনেক ফারাক, ভেজাতেও।

প্রতিমন্তব্যগুলোতে এত আন্তরিকতার ছোঁয়া, খুব ভাল লাগে। + +


০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৩০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের ঘরে পদচারনা শেষে অনুভতি প্রকাশের জন্য। ছোট্ট ক' লাইনে আন্তরিকতা খুঁজে পেয়েছেন সেটুকু আমাদের ব্লগিং এ ব্লগারদের হৃদ্যতার প্রকাশ বলেই মনে হয়।

মন্তব্যের উত্তর দিতে বেশ একটু সময় লাগলো বিধায় দুঃখ প্রকাশ করছি।

সব সময় ভালো থাকার শুভ কামনা।

৩৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: বৃষ্টিপাত!! +++++!!

২১ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: জ্বি বৃষ্টিরাত !!
ধন্যবাদ।

৩৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৬

মিরোরডডল বলেছেন:



বর্ষার বর্ণনা আর তোমার স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো মনিপু ।

সেসব ছিল অন্য জীবনের গল্প মনে হয় এখন।

এই কথাটা খুবই সত্যি ।
অতীত রোমন্থন মনে হয় এ যেন একটা অন্য কোনো গল্প ।

ভালো থেকো মনিপু ।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে ফিরে তোমার মন্তব্যে মন ভালো হয়ে গেলো ডল !
তুমি ও ভালো থেকো, ভালোবাসা নিও।

৩৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৩

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: আহা ! মায়াময় বর্ণনা

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বর্ষা বন্দনা সবভাবেই মোঃ উচাটন করে!
ধন্যবাদ পাঠে এবং মন্তব্যে।

৩৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১২

রাকু হাসান বলেছেন:

দারুণ প্রকাশভঙ্গি।রোমাঞ্চকর সেই স্মৃতি গুলো।ভাল লাগলো।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ রাকু !
তোমাকে তো ব্লগেই দেখি না , অবশ্য আমার নিজেকে ও আমি তেমন দেখি ব্লগে :P
আশা করছি ভালো আছো।

৩৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৫

রাকু হাসান বলেছেন:
হারায় হারায় মন :)। ভালো আছি... তবু তুমি আসছো লিখছো,আমি তাও না। আশা করছি ভাল আছ আপু?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.