নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামু র বয় বৃদ্ধার ব্লগ
অনেকদিন আগে আমার এক লেখায় ব্লগার চাঁদগাজী মন্তব্য করেছিলেন, " এখনো কি উতলা কৈশোর, এখন ও কি স্বপ্নে বিভোর ? হ্যাঁ উনার স্বভাব সুলভ মন্তব্য সেটা। আমি উত্তর দিয়ে ছিলাম - শৈশব কৈশোর সব বেলাতেই স্বপ্নে বিভোর। সত্যি ই তাই, তবে আমার মনের এই নির্মলতা টুকু কৈশোরের সরলতা টুকু ধরে রাখতে আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়, খুব সহজ নয় তা। কিন্তু আজকাল মনে হচ্ছে এই দীর্ঘ প্রবাসের পর ঢাকার বাস আমার সেই পরিশ্রম বিফল করে দিচ্ছে, আমি বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি, আমি রেগে যাচ্ছি আমি রিয়েক্টিভ হচ্ছি মোটামুটি মানুষ কে অবিশ্বাস করতে শুরু করেছি সর্বোপরি আমি পারছি না জল থেকে উঠে হাঁসের মত গা ঝারা দিয়ে দুলকিচালে হেটে যেতে।
আজকাল আমার মাধ্যমিক স্কুলে পড়া ব্যাকারন বই এর যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পত্রিকায় প্রকাশযোগ্য পত্র লিখতে ইচ্ছে করে, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে ইচ্ছে করছে, আগ্রহ জাগছে হালের জনপ্রিয় "ইত্যাদির " মাধ্যমে সমাধান পেতে। যানজট সমস্যার সমাধান চেয়ে, নির্বাচনে উচ্চস্বরের মাইক নিয়ে, এই বর্ষবরণে আতশবাজি পটকা নিয়ে, বাসার পাশের খালি জমিতে সমস্ত পাড়ার আবর্জনা ফেলা নিয়ে। বিষয়বস্তু এতবেশি যে আমাকে প্রায়শই রাইটার্স ব্লকে চলে যেতে হয়।
নতুন বছরের শুরু, বছরের প্রথম বাসা থেকে বের হবার পরের ঘটনা নিয়ে তাই গা ঝারা দিয়ে লিখতেই শুরু করলাম- ঢাকার ক্রমবর্ধমান বাইকারদের দৌরাত্ম্য নিয়ে। সেদিন ব্লগার আহসান ভাইয়ের লেখায় উনার বাসস্থানের রেলক্রসিং এর সমস্যা উঠে এসেছে, সাথে আমি আমার অভিজ্ঞতাটুকু ও তেমন ই, আসা যাওয়ায় দিনের (যদিও আমি প্রতিদিন বের হই না) ঘণ্টা কয়েক জীবন থেকে বিসর্জন দিতে হয়।
গতকাল আমার একটা বিয়ের দাওয়াত ছিল, ৭.৩০ এর দাওয়াত ৮টায় গেলেই হবে ধরনের মানসিকতা নিয়ে সন্ধ্যে ছয়টায় বাসা থেকে বের হয়েছি। বাসা থেকে তিন মিনিট পর রেলক্রসিং এ অপেক্ষা করছি এবং অপেক্ষায় আছি এরমাঝে ঘড়ি তো অপেক্ষা করবে না ৬.৪০ মিনিটে ও আমি কয়েক ইঞ্চির ভ্রমণ শেষ করেছি। এর মাঝে উল্টো দিক থেকে আসা একজন বাইকার (পোশাকধারী ) আমার ড্রাইভার কে সংকেত দেন গাড়ি পিছনে নেবার, নিঃসন্দেহে আমরা কয়েক ইঞ্চি পিছালে উনি সুড়ুত করে বাইক টান দিয়ে বাসায় গিয়ে বউ এর হাতের ভাপা পিঠে খেতে পারেন গরম গরম। আপনারা যারা ভাবছেন এক সেকেন্ড পিছিয়ে গেলে তো এইঝামেলায় যেতে হত না কিন্তু বাস্তবতা ছিল - উনি রং সাইড থেকে পার হতে চাচ্ছেন, এর আগে আমি নিজে বলে কয়েক জন কে সাইড দিয়েছি, আর আমাদের অপেক্ষার সময় ততক্ষণে ৫৫ মিনিট সর্বোপরি যে মুহূর্তে আমার গাড়ি ব্যাকে যাবে তৎক্ষণাৎ ডান দিকের ট্রাকচালক ভাইবেরাদার আমাদের রাস্তা পরবর্তী ৫০ মিনিটের জন্য সাফাসাফা করে রাখবেন। পরবর্তী ঘটনার দিকে আগানোর আগে কিছু নেট থেকে কিছু তথ্য শেয়ার করি-
ঢাকায় বিআরটিএ জানাচ্ছে নিবন্ধিত বাইকের সংখ্যা ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪৯০। এর বেশিরভাগই অ্যাপভিত্তিক সেবা প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রার্ড বাইক। ঢাকায় আরেকটি জনপ্রিয় বাইক রাইডিং পাঠাও’র আছে প্রায় দেড় লক্ষাধিক রাইডার। এ ছাড়াও রাজধানীতে সহজ ডট কম, স্যাম, ওভাই, ওবোন ইত্যাদির আওতায় আছে আরো প্রায় ৫০ হাজার রেজিস্ট্রার্ড বাইক। এই হিসাবে রাজধানীতে মোট রেজিস্ট্রার্ড বাইকারের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট-এআরআই’র হিসাবে ২০১৭ সালে রাজধানীতে ৪৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৫৩ জন নিহত এবং ১৯ জন আহত হন। গত বছরের প্রথম আট মাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) ঢাকায় ৪২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৪৭ জনের মৃত্যু এবং ৩৭ জন আহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় নিহতদের রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলের চালকের পাশাপাশি যাত্রীও ছিলেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, গত ছয় মাসে দেশে ১ হাজার ৪৯৪টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ৪৭৮টি। ৬ মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০৫ জন। এর মধ্যে ২২৪ জনের হেলমেট ছিল না। ২৩৯ জনের হেলমেট ছিল। আর মোটরসাইকেল ভিকটিমদের বেশিরভাগই তরুণ, যাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা গবেষকরা বলছেন, মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা পেছনে কতগুলো কারণ রয়েছে। সেগুলো হলো- অদক্ষ চালক, বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিংয়ের চেষ্টা, বারবার লেন পরিবর্তন করা, ট্রাফিক আইন না মানা, চলন্ত অবস্থায় মুঠোফোনে কথা বলা, হেমলেট ব্যবহার না করা কিংবা নিম্নমানের হেমলেট ব্যবহার করায় সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যু বাড়ছে।
সবকিছু ছাপিয়ে ও আজকাল ঢাকা শহরের অসহনীয় অবর্ণনীয় ট্রাফিক জ্যামের পরিপেক্ষিতে অনেক গৃহবধূ ও নিত্যকার সহজ যাতায়াতের জন্য স্কুটি তে সুবিধা খুঁজে নিচ্ছেন, আমি নিজেও একটা নিয়ে রেখেছি। এবং যে সমস্ত বাইকার নিয়ম মেনে চলেন তাদের প্রতি আমার অশেষ শ্রদ্ধা। লেখা টা বাকিদের নিয়ে।
উপরের ঘটনার পরবর্তী অংশ -
সবকিছু বিবেচনায় আমি ড্রাইভার কে সিদ্ধান্ত দিলাম গাড়ি না পেছানোর, আইনের মানুষ হয়ে ও যদি আইন না মেনে নিজের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে, তার জন্য আমার হৃদয়ে কোন শ্রদ্ধা আমি লালন করি না। পোশাকধারী বাইকারের ক্রমাগত হুমকিতে আমার ড্রাইভার পিছনের বদলে সামনে যে টুকু ভদ্রতা করে ফাঁকা ছিল সেটুকু ও সামনে নিয়ে আসেন গাড়ি। আরযায় কোথায় (সময় টা ছিল উনাদের শিফটিং ডিউটি শেষের) হা রে রে রে বলে বাইক পার্ক করে ছুটে আসলেন, আমার ড্রাইভার কে নামালেন, ৫/৬ জনের দল কলার ধরে মোচড়ামুচড়ি করতে লাগলেন। আমি সাথে সাথে ই নেমে বারবার উনাদের বলেছি - নির্দেশ দিয়েছি আমি, আমার সাথে কথা বলেন। মোটামুটি জটলার উপরে মহাসমাবেশ তখন, ড্রাইভার কে বললাম গাড়িতে উঠ আমি দেখি। উনারা যেতে ও দিবেন না, সাথে কার কি ক্ষমতা সেসবের বিস্তারিত। আশেপাশের সবাই আমার এলাকাবাসী এক হয়ে যাওয়াতে রক্ষে। এরপর উনারা উনাদের বামে চামে কাটার রাস্তা ছেড়ে ডাইনে মোর নিয়েছেন, আমরাও গন্তব্যের দিকে এগিয়েছি।
মোল্লার দৌড় মসজিদ তাই আমিও এমতাবস্থায় উল্লিখিত সমস্যার সমাধানকল্পে এলাকাবাসী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা টুকু করে গেলাম। আপনার ও দৈনিক পত্রিকায় এ সংক্রান্ত প্রচুর প্রতিবেদন পাবেন, আমি শুধু বিবিসি বাংলার পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানি করা, চালকদের অদক্ষতার অভিযোগ ও মানুষের আইন ভাঙার প্রবণতা নিয়ে নাকাল ঢাকার ট্রাফিক সিস্টেম]একটা লিঙ্ক সংযুক্ত করেছি।
সবার জন্য নতুন বছরের শুভেচ্ছা !
ছবি কৃতজ্ঞতা
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি আপাতত শুরুর দিকে আছি তো , তাই হয়ত লিখে ফেললাম। জানি না বিতৃষ্ণা চলে এসছে কিনা
সত্যি ই এই জিনিস টা আমাকে খুব ভাবায়, কেউ শত অন্যায় দেখে ও প্রতিবাদ করে না, আসলে সবাই বুঝে গেছেণ প্রতিবাদ করে ও লাভ নেই। আর উনাদের হাতে তো খুচরো পয়সায় সয়লাব, সে হাত যথারীতি পকেটে।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: আমায় প্রত্যাহিক একটা সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন।অল্প কথায় -ঢাকা এখন একটা জঞ্জাল। নরক বললেও ভুল বলা হবে। রাস্তায় বেওয়ারিশ কুকুর চলাফেরা করতে পারলেও স্বাভাবিক ভাবে মানুষ চলাচল অসম্ভব!
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি এসব লিখতে চাইনি, আমার ব্লগপাতা শুধু সাহিত্য পাতা থাক চেয়েছি, কিন্তু শেষমেশ আমাকে ও খিটখিটে হেডমাস্টারের ভূমিকায় আসতে হল। ঢাকা আহা প্রাণের ঢাকা, যাদুর শহর ঢাকা ! সেসব এখন কেবল ই স্মৃতি তে।
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: " রংগে ভরা বংগ দেশ , আমার সোনার বাংলাদেশ " - সব সম্ভবের (বেআইনি কাজ-কাম) দেশ সাথে সাথে সব অসম্ভবের (আইনের সঠিক প্রয়োগ) দেশ আমার সোনার বাংলা।
এখানে আইন মেনে চলাই আইনের বরখেলাপ হিসাবে বিবেচিত। যারা আইন মেনে চলে বা চলতে চায় তারা সব জায়গায়ই নিগৃহিত হয় । আর যারা আইন না মেনে চলে তারাই ভাল এবং সব জায়গায় তাদেরই দাপট সব সমসময়।
আম জনতার শুধু দেখে যাওয়া আর মেনে নেওয়া ছাড়া কিছু করার থাকেনা।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আর আম জনতা হয়ে মেনে নিতে ইচ্ছে করছে না এর সমাধান কি ? কোথায় গিয়ে দাড়াবো ?
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৯
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: লেখালেখি নিয়ে আপনি বেশি দুশ্চিন্তা করছেন। দীর্ঘশ্বাস টেনে বিশ্বাসের সাথে বিশদ এবং বিশুদ্ধ চিন্তা করার চেষ্টা করলে লিখে শেষ করতে পারবেন না।
এখানেও বাইকাররা বেশি বাড়াবাড়ি করে। বাইকার বলতে বাই সাইকেল এবং মটর সাইকেল দুটাই। গতরাত দুই জাতের দুই সাইকেলস্টিকে চিৎ পড়ে পড়ে থাকতে দেখে সত্যি মর্মাহত হয়েছিলাম যদিও দুষ্টুদেরকে আমি দুই চোখে দেখতে পারি না।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ সুহৃদ, হতে পারে দুশ্চিন্তা করছি - কারন লেখালিখি আমার একমাত্র ভালোলাগা।
হ্যাঁ সবখানেই তাদের দৌরাত্ম্য, যে কোন ভাবে হলেই উনারা বের হয়ে আগে যাবার চেষ্টা করেন।
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬
জ্যাকেল বলেছেন: এইসব শুয়োরদের শায়েস্তা করার জন্যই র্যাব পান্ডাদের দরকার। আসলে আমি কখনোই র্যাব /টাইপ সরকারী বাহিনী চাই না কিন্তু এইসকল শুয়োরের বাচ্চাদের জন্যই মন থেকে না বললেও মুখে বলে ফেলি। র্যাব না থাকলে সন্ত্রাসের দৌরাত্ম আরো বেড়ে যেত সন্দেহ নাই।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দাদা লেখাটা এই বিশেষ পোশাকধারী দের নিয়েই, উনারাই জোট বেঁধেছিলেন। এই রেলগেটের উল্টো পাশেই র্যাব ওয়ান এর হেড অফিস।
৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুবই দুঃখজনক ঘটনা আপু। কলকাতায় যান জটের কবলে মাঝে মাঝে পড়তে হয় তবে কঠনো সেটা বিরক্তিকর পর্যায়ে পৌঁছায় না। আমার পরিচিত ঢাকা বাসীদের কাছে ঢাকায় যান জটের যন্ত্রণার কথা বহুবার শুনেছি। ব্লগারদের মধ্যে মা.হাসান ভাইয়ের মুখেও যে কথার প্রতিধ্বনি শুনেছি। কিন্তু মাথায় আসে না আজকের দিনে বিশ্বের প্রথম সারির দেশের ট্রাফিক সিস্টেমের কেন অনুকরণ করছে না ঢাকা পুরো প্রশাসন। কয়েক বছর আগে মেয়র আনিসুল হক মহাশয়কে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ সহ এপারের পেপারে ছবি সহ সংবাদ শিরোনামে দেখেছিলাম। উনি কলকাতা পৌরসভার কিছু অংশ ঢাকাতে চালু করতে পরিদর্শনে এসেছিলেন। মাথায় আসে না কেন কলকাতার ট্রাফিক সিস্টেম ওনার নজরে পড়েনি বা বেটার কিছু করার প্রচেষ্টা নেননি।
আপু আমরাও ফাইন দিই। কয়েকদিন আগে গিন্নি মাথার চুল নষ্ট হবার কারণে হেলমেট না পরায় পুলিশ আমাকে ফাইন করে। আমি আধিকারিককে বলি, আপনারা আমাদের ধরেন না কেন?এই পাঁচ বছরে প্রথম ধরলেন। ভদ্রলোক হেসে বললেন, আমরা ধরি সামনে পড়লে ফাইন করি।
গিন্নির সামনে বলি, আমাদের লজ্জার যে আমাদের সুরক্ষার জন্য নিজের নিরাপত্তার জন্য আপনাদের ফাইন করতে হয়। যাইহোক আমি অনুরোধ করি ডিউটি করতে বের হয়েছি কাইন্ডলি একটু দ্রুত করুন। উনি পাঁচ/ ছয় মিনিটে যাবতীয় কার্যকলাপ শেষ করলেন।
লাভের লাভ যেটা হলো,গিন্নিকে হেলমেট পড়ার কথা আর বলতে হচ্ছে না।
সবশেষে আবার আসি আপনার প্রসঙ্গে। আপনার সঙ্গে যেটা হয়েছে দুর্ভাগ্যের। কোনো বিবেকবান মানুষের পক্ষে এমন আচরণ করা সম্ভব নয়। চারপাশে যেন নিয়ম ভঙ্গকারীদের আধিক্য বেশি। জনগণের মধ্যে যদি সিভিক সেন্স না থাকে তাহলে হাজার আইন করেও লাভ নেই।
নিউ ইয়ারের শুভেচ্ছা আপনাকে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দাদা যে অভিজ্ঞতাটুকু লিখলাম সে ধরনের অভিজ্ঞতা এই উপমহাদেশে নরমাল, একটু ক্ষমতা হাতে থাকলেই তার প্রদর্শন। কলকাতা ও নিশ্চয়ই ব্যতিক্রম না। আর যে ট্রাফিক সিস্টেমের কথা বলছেন, সিস্টেম ঠিক ই আছে প্রশ্ন আসে মানছি কতটুকু, ফাইন আমাদের এখানে ও আছে আমি যে এলাকার কোথা বলছি সেটা একটু অফবিটে এখানে ট্রাফিক পোষ্ট এখন ও নেই। যাইহোক আপনি যেমন বলেছেন, সিভিক সেন্স ! শেষকথা এই সিভিক সেন্স ই।
ভালো থাকুন শুভ কামনা।
৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৪
এপোলো বলেছেন: যেগোযোগ ও পরিবহন এ বাংলাদেশে কোন কাঠামো নেই । স্বাভাবিকভাবেই শহর এলাকায় এর প্রভাব মারাত্মকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ছাডা এ অবস্থা থেকে বের হওয়া সম্ভব না ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সত্যি ই তাই খুব প্রয়োজন কঠোর আইনের প্রয়োগ ও !
৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪০
সোবুজ বলেছেন: প্রতিবাদ কে করবে।সবাই অন্যায় করছে।তাই প্রতিবাদের কন্ঠ ক্ষীণ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ আমরা সুযোগের অভাবে ভদ্রলোক।
৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বিরক্ত হতে হতে মাঝে মধ্যেই ভুলে যাই ঠিক কী কারণে বা কোন সুনির্দিষ্ট বিষয়ের উপর এই বিরক্তিবোধ।
উল্টো পথে চলছে বেশিরভাগ মানুষ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দেশ চলছে এক আশ্চর্য গোলক ধাঁধায়।
১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৩
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: আপনি গাড়ীতে চড়েন , তারপরেও এই অবস্থা । ঢাকা শহরে যারা বাস করে তাদের নাকি এইসব সহ্য হয়ে যায় , তারা সাহিত্যে গা ভাসিয়ে দেয় - আহা প্রানের শহর । আপনার হয়নি - শুভেচ্ছা নিন ।
ওই পোশাকধারী এক ধরনের জানোয়ার, ওদের জন্য আমেরিকান থু থু ই প্রাপ্য ।
আমি পালিয়ে বেচেঁ আছি ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমরা পালাবো কোথায় ?
১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২০
জটিল ভাই বলেছেন:
পোস্টের বিষয় যতোটা গুরুত্বের, কর্তৃপক্ষের কাছে সমাধান ততো গুরুত্ববহ বলে মনে হচ্ছেনা!
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ তাদের হাতে আরও অনেক বেশি জনগন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। সব ই অবশ্য আন্তর্জাতিক।
১২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৭
ঈশান মাহমুদ বলেছেন: ঢাকার বাইকারদের (বেশীর ভাগের) সবচে অসভ্য, অশ্লীল, জগন্য, নোংরা কাজ হলো ফুটপাতে বাইক উঠিয়ে দেয়া। আর ট্রাফিক সিগনালকেতো ওনারা থোড়াই কেয়ার করেন।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদম ! উনাদের মুড নিজে বাঁচলে বাপের নাম।
১৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমি সব সময় বলি- ঢাকা শহরের গজব অবস্থা। এই শহরের মানুষ গুলোও ভালো না।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ আমি আপনি ও ঢাকা শহরের যে , কেমনে ভালো হয়!
১৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৭
ঢুকিচেপা বলেছেন: যা করেছেন এক কথায় লা-জবাব। মেয়ে বলে পার পেয়ে গেছেন।
গতকাল দেখলাম “ঘোড়ার গাড়ির হাইকোর্ট দর্শন!” এইটুকু লিখে সার্স দিলেই পেয়ে যাবেন।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রথমত আমার মুড ছিল অস্ত্র জমা দিছি ট্রেনিং জমা দেই নাই টাইপ, এরপর ব্যাপারটা যদি ড্রাইভার ভার্সেস ড্রাইভার হত আমি ইগ্নোর করতাম। সার্চ দিয়ে দেখলাম খবর - তবে ঢাকা শহরে বা বাংলাদেশে আম আদমি বলে কেউ নাই, সবার ই মামা চাচা খালু আছেন।
১৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
খুবই গুরুত্বপুর্ণ ও সময়োপযোগী একটি
গনমুখী লেখা । এই মারাত্বক সমস্যাটির
আশু সমাধান প্রয়োজন । প্রিয়তে তুলে
রাখলাম । সময় হাতে নিয়ে পরে আবার
ফিরে আসার ইচ্ছা রাখি ।
নব বর্ষের শুভেচ্ছা রইল
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কৃতজ্ঞতা ভাইয়া!
আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
১৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৯
ওমেরা বলেছেন: আমি দেশে গেলেও বাহিরে খুব কমই যাওয়া হয় । ২০১৮ তে যখন দেশে গিয়ে ত্রিশ মিনিটের রাস্তা পার হতে চারঘন্টার উপরে লেগেছিল , আমি যখন খব অস্থিরতা করছিলাম আশে পাশের গাড়ির মানুষজন দেখি খুব শান্ত ভদ্র মানুষের মত বসে আছে কেউ কোন উচ্চবাচ্য করছে না । তখন বুঝেছি আমাদের দেশের মানুষ খুব ভদ্র আর ধৈর্যশীল আর নয়ত এদের হুস নেই ।
এর কয়েকদিন পর আমার এক কাজিন এর গাড়িতে করে যাচ্ছি তো জ্যামে পরেছি একটু পর দেখি অ্যাম্বুলেন্স এর সাইরেন বাজছে কিন্ত অন্য গাড়ি গুলো আমাদের গাড়িকে সাইট দিচ্ছে আমি তখনো বুঝতে পারিনি এভাবে কিছুদুর যাওয়ার পর আমাদের ড্রাইভার রং সাইড ধরে আগাতে থাকলো আমি ড্রাইভাকে যতই বলি আপনি এটা কি করছেন তখনই শুনি পুলিশ গাড়ির সাইরেন পাচ্ছে , আমি যতই বলি এই পুলিশ আসছে আপনাদের সবাইকে ধরে নিয়ে আমার কথা শুনে সবাই হেসে বলে চুপ করে থাকো আমরাই পুলিশ,আমরাই রুগী তোমার টেনশন করার কিছু নেই । আমি খুব কষ্ট পেয়েছি সেদিন আমরা নিজেরাই এভাবে বেআইনি কাজ করছি।
আপুনি এই সব নিয়েই ভালো থাকুন সব সময়।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই কাজটা আমি কখনোই করতে দেই না ড্রাইভার কে, এসব কাজে আত্মবিশ্বাস কমায়। কোন দুর্ঘটনা বা অন্যকিছু হলে আমার নৈতিক অবস্থান একেবারেই নিচুতে থাকবে। হ্যাঁ এই কাজের ভুক্তভোগী তো অবশ্যই।
শুভেচ্ছা নতুন বছরের।
১৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,
এদেশে কোন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কোনও লাভ নেই !
সহব্লগার মোহামমদ কামরুজজামান এই কথাটি মনে রাখলে দুঃখ,কষ্ট, ক্রোধ, হতাশা কিছুই থাকবেনা............... " সব সম্ভবের (বেআইনি কাজ-কাম) দেশ সাথে সাথে সব অসম্ভবের (আইনের সঠিক প্রয়োগ) দেশও আমার সোনার বাংলা।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই আপোষ আমাকে দিয়ে কতক্ষণ হবে বুঝতে পারছি না
খুব সুন্দর বলেছেন সব সম্ভবের (বেআইনি কাজ-কাম) দেশ সাথে সাথে সব অসম্ভবের (আইনের সঠিক প্রয়োগ) দেশও আমার সোনার বাংলা।
শুভ কামনা ভাইয়া।
১৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩৫
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মটর সাইকেল আর রিক্সার দৌরাত্ম্যে ঢাকা শহরে চলাই মুশকিল।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আরেকটা আছে সাথে চার্যার বলে একটা জিনিস আছেন না, সেটা নিয়ে বেশ করুন একটা গল্প আছে আমার কাছে। নওগাঁ তে একদম আমাদের পরিবারের মাঝেই ভুক্তভোগী।
১৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
প্রতিবাদ জানাই। সমস্যার সমাধান হোক। সুফল পাক নগরবাসী।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ !
২০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪২
বিটপি বলেছেন: পুলিশ চাইলেই গুগল ম্যাপ দেখে যানজট হাওয়া করে দিতে পারে, কিন্তু তা না করে তারাই যানজট লাগায় - আবার যানজট দেখলে তাদের গাড়িই উল্টো রাস্তায় যাওয়া শুরু করে।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ , কিন্তু পুলিশ চাইলেই তো আর নিজেদের আয় রোজগারের মাথায় বাড়ি দিতে পারে না।
২১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৩
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: নিয়ম বা আইন বিষয়টা কি ?
উত্তর - চোরের আর পুলিশের নিয়ম এক নয়। বলতে পারি দেশের নিয়ম এক ! না পারিনা বলতে, দেশের নিয়ম এক.অবথান ও মানুষভেদে আইন ও নিয়ম পরিবর্তন হয়। কখনো আমরা করি কখনো শিকার হই। এটাই নিয়ম।
রাস্তার বিষয়টি রাইড শেয়ারিং/ডেলিভারি এর উবার পাঠাও ও অন্যরা ইচ্ছা করলেই ড্রাইভিং বা ড্রাইভার দের নিয়মে আন্তে পারে পুলিশের(ভালো /খারাপ ) সহায়তা ছাড়াই ঠিক করতে পারে।
উন্নত(আমি আপনি যে টেকনোলজি ব্যবহার করি সেটা নয় ) টেকনোলজি ও ট্রেকিং (মানুষ নয় কম্পিউটার দ্বারা ) যেটা ১ মিটারের মুভমেন্ট পর্যালোচনা করতে পারে। ব্যবহার করে (১ ঘন্টার জন্য এপপ্স বন্ধ বা জরিমানা করলেই পুলিশ ছাড়াই ড্রাইভারের নেক্সট জেনারেশন সহ আইন মেনে চলতে বাধ্য )
সিম্পুল সমাধান
ধন্যবাদ
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কি যে বলেন !!!!!!
সিম্পুল সমাধানে যে কর্তাদের লাইফ জটিল হবে।
২২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এ দেশে তো সব কিছুতেই হ-য-ব-র-ল অবস্থা।কি আর বলব আপু।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদম আমাদের গোড়াতেই গলদ রয়ে গেছে।
২৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: নতুন বছরের প্রথম দিনে লব্ধ আপনার দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথাটি এখানে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। সমাজের সর্বস্তরে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ডেডিকেটেড প্রশাসন, মটিভেটেড রাজনীতিবিদ এবং সচেতন ও সাহসী নাগরিক দরকার। দেশে এখন প্রথম দুটো মিসিং, তাই আপনি আলোচ্য ক্ষেত্রে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে ও দুটোর কোন অবদান পান নি। তবে আপনার সৌভাগ্য যে আপনি অন্ততঃ তৃ্তীয় ক্যাটেগরির সমর্থন ও সহায়তা পেয়েছেন। ওটা না পেলে আপনাকে সেদিন বেশ হেনস্থা হতে বলে ধারণা করতে পারি।
পোস্টে প্লাস। + +
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: যথার্থই বলেছেন আমার সেদিনের অভিজ্ঞতা টা অন্যরকম ও হতে পারত। তবে গাড়ি থেকে নেমে যখন উনাদের মুখোমুখি হয়েছি আমার ধারনা তখন ই উনারা টের পেয়েছেন ছাড়ার পাত্রী আমি নই।
নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি সত্যি ই - তবে আমার অভিজ্ঞতায় আওয়াজ তুললে পাশে মানুষ পাওয়াই যায়।
আরেকটা ঘটনা বলি, আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোচিং করি ঢাকায় আসি সপ্তাহে তিন দিন মুনশিগঞ্জ থেকে। সাধারণত পিছনে হলে ও জানালার পাশে বসি, এরপর কাউকে না কাউকে পাওয়াই যায়। সেদিন সিট পাইনি - কন্ডাক্টার ভাড়া তুলতে এসে ঠিক আমার সীটের পাশে হেলান দিয়ে দাড়ালেন। কোচিং করে ফিরছিলাম হাতে ছিল স্টিলের রুলার, ঠিকঠিক সেদিন সেটার ব্যবহার করেছিলাম। কন্ডাক্টার সাথে সাথে ড্রাইভার কে চিৎকার দিয়ে বাস থামাতে বলেন আমাকে নামিয়ে দিবেন- এরপর শুধু একজন কোথা বলেছিলেন, গাড়ি থামা দেখি কারে নামাই দেখ। এরপর তিন মাস সেই রুটে যাতায়াত করেছি, পরিবর্তন ও চোখের সামনেই দেখেছি। সাধারণত আমি রিয়েক্ট করি না, ২০২২ এর সেদিন নিজের এরিয়া ছিল এবং শিক্ষিত পোশাকধারী রা ছিলেন।
আর ১৯৯২ সালে যে বাসে ছিলাম সেটা মুনশিগঞ্জ যাচ্ছিলো, যাত্রী সবাই আমার এলাকার।
ধন্যবাদ পাঠে এবং চমৎকার মন্তব্যে।
২৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২
অপু তানভীর বলেছেন: ক্ষমতার এই অপব্যবহার এই দেশে খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার । এমন একটা ঘটনার কথা বলি । নিজের চোখের সামনে ঘটা । সন্ধ্যার সময়ে বাসায় ফিরছি । মোহাম্মাদপুর গ্রাফিক্স আর্টস কলেজের সামনে । আমার সামনে ছিল এক বাইকার । ঠিক বিপরীত দিক থেকে রং সাইড দিয়ে মানে আমার মুখোমুখো আরেক বাইকার এসে আমাদের পথ আটকে দিলেন । তিনি পোশাকধারী । সামনের বাইকার তাকে বলার চেষ্টা করলেন যে আপনি রং সাইড দিয়ে কেন আসছেন । সে তখন বাইক থামিয়ে সামনের বাইকার লাইসেন্স পাকড়াও করলেন । তারপর নানান রকম প্রশ্ন । অথচ সে নিজে রং সাইড দিয়ে আসছিলো ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: যেখানে ক্ষমতার চর্চা সবখানে, সেখানে হয়ত আমাদের মত সুযোগের অভাবে ভদ্রলোকেরা সেটার চর্চা থেকে দূরে।
যাইহোক এমন অভিজ্ঞতা হয়ত ব্লগের সবার ই আছে, আজকাল উনারা যে নিয়ম ভঙ্গ করলেন সেটুকু অ আমাদের মনে থাকে না। ভেবে নেই বস ইজ অলওয়েজ রাইট।
লেখায় পেয়ে ভাললাগল।
২৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: এর কোন পরিবর্তন হবে বলে আমি মনে না। বরংচ দিন দিন অবস্থা আরো খারাপ হবে!
যে ব্যাটায় গাড়ি চালায় সে বোঝে কেমন লাগে- প্রত্যেকদিন আমাকে এমন বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়
আপনি বেশ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আর সাহস বেশির ভাগ বলবেন এই রিস্ক নেয়া ঠিক হয় নাই
আল্লাহ হেফাজত করুন আমাদের দেশ ও দেশের মানুষের।
২৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৭
সোহানী বলেছেন: কারে কইবা, কে শুনবো...........। কারোইতো দেখি মাথা ব্যাথা নাই। কেমনে যে মানুষ বেঁচে বর্তে চলছে ঢাকাতে!!!
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ দেশ আমরা এভাবেই বেঁচে বর্তে আছি আপু ।
২৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: রাস্তায় রিকশা,মোটর সাইকেল, বাস বা প্রাইভেট গাড়ী; সকলের চালনায় নিয়ম এর তোয়াক্কা না করা আর বেপরোয়া ভাব দেখে মেজাজ সপ্তমে চড়ে। মনে হয়, ধুর ছাই কেন যে সুপার হিরো হইলাম না। আমার পাওয়ার হতো, থাবড়ানো, এক থাবড়ে চাচা,চোধুরীর সাবুর মত উড়ায়া বহুদূর ফেলে দিতাম সব কয়টারে।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ কতকিছু যে মনে চায় আমার ও, সাধারণ এইসব মনে মনেই মন চায়। তবে সেদিন না নামলে আমার ড্রাইভার বেচারা কে পোশাকধারীরা চরম পিটাত। তাই মন থেকে বাস্তবে নেমে এসেছিলাম।
২৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "তবে সেদিন না নামলে আমার ড্রাইভার বেচারা কে পোশাকধারীরা চরম পিটাত। তাই মন থেকে বাস্তবে নেমে এসেছিলাম" - এর নাম নৈতিক সাহস। আপনাকে অভিনন্দন, পরিস্থিতি অনুযায়ী সফলভাবে যথাযথ সাড়া দেয়ার জন্য (for rising to the occasion)।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ আহসান ভাই !
ফিরতি মন্তব্যে এসে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
শুভ কামনা।
২৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
দুঃখজনক বিষয়। যে কোনো ক্ষমতার অপব্যবহার মানুষকে অমানুষে রূপান্তর করে।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: যে কোনো ক্ষমতার অপব্যবহার মানুষকে অমানুষে রূপান্তর করে।
কথা সত্যি কিন্তু বর্তমানের কালচার সেদিকেই, এইটাই দুঃখজনক।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপু এ বিষয়ে মন্তব্য করতেই বিতৃষ্ণা লাগছে। এসব দেখার মানুষ নাই। একেকসময় মনটায় চায় দুই চাকার এরোপ্লেন বানাই।
প্রতিবাদ করে না মানুষ, কেউ প্রতিবাদ করে না অন্যায় দেখেও। এত শত অন্যায় পাঁচ মিনিটের রাস্তা হেঁটে যেতে দেখি। পুলিশের কাছে কত বিচার দিছি। উনাদের একটাই কথা ওদের উপরে হাত আছে, আমার বলতে ইচ্ছে তোমাদের হাত কই তাহলে ?