নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামু র বয় বৃদ্ধার ব্লগ
আত্মহারা এমনি ক্ষ্যাপা বর্ষার দিনে অনায়াস উল্লাসে বন পাহাড় ডাকে আমাকে। অন্তর আকাশে চাঁদিয়াল ঘুড়ি ভাসিয়ে সমুদ্রসম উদাস হয়ে থাকে মন। কৈশোরের উথাল বৈরাগ্য আর এই মনোরম একই সাথে একঘেয়ে বৃষ্টিতে কাকভেজা হতেহতে বৃষ্টিকে এক ভীষণ অচিন দীর্ঘশ্বাস বলে ভ্রম হয়। গড়িয়ে যাওয়া দুপুর কে মনে হচ্ছে নিশ্চুপ সাঝেঁর নিলাভ মায়া! ভাঙা স্বরে ডাকা দূরের কেউ অথবা নেভা দীপ এর মিলিয়ে যাওয়া আবছায়া ধোঁয়া।
প্রমত্ত পদ্মা' র কুলে বসে ভরা বর্ষার উন্মত্ত রূপ দেখতে মন চায় ভারী। ইচ্ছে করে না পাওয়ার আক্রোশ বুকে নিয়ে প্রতি ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভেতর থেকে ভাঙা পাড়ের চূড়ায় বসে তার উন্মত্ততা দেখি। মেঘের গর্জন, মাটি ভাঙার আর্তনাদ আর ঢেউয়ের ক্রোধ - মিলেমিশে ঐক্যতান ! হৃদয় ভাঙার আওয়াজ কী এর চাইতে তীব্র ?
নিজস্ব একটা পাহাড় তো আর চাইলেই পাওয়া যায় না, তাই এ সময়গুলোতে বৈষ্ণব কবিদের কবিতার মত ঘর সংসার সমাজ বিশ্ব সকল কিছুকে মিথ্যে বলে ঘোষণা দিতে ইচ্ছে করে। একমাত্র সত্য হৃদয়! যেথায় কেবল ই মনের রাজত্ব ! কেবল ই মন আর আকুলতা ছাড়া বিশ্বের সব কিছু মিথ্যে! সর্বৈব মিথ্যা।
মহুয়া অশোকে, তমাল শিরিষে নুয়ে থাকা পাহাড়িয়া জংগলে কুর্চি জারুলে ছাওয়া পথে নেমে। ডিবডিব পায়ে কেতকী নাগেশ্বরের পাতায় ভর করে ভেসে বেড়াবো শুধু। এক পা ফেলতেই বন পাহাড়ের সমস্ত বৃক্ষে চাঞ্চল্য, দু পায়ে কাড়াকাড়ি। পদ্ম পায়ের স্পর্শের আশায় ভেজা পাতা বর্ষাবে তুমুল। সাম্পান পা সে মুহূর্তে উড়িউড়ি চঞ্চল ফড়িঙ ডানা। সান্ধ্য ভাষায় ফিসফিস করে কথা বলবো কেবল, যে বাক্যের পরতেপরতে সাজানো থাকবে সন্ধ্যার কুহেলিকা আর মায়া। মাঝ অরণ্যে বাংলোর জানালার শার্শিতে জলের দাগে আঁকিবুঁকি করে কাটাবো প্রহর, আমাদের সমস্তটা জুড়ে নেবো অরণ্যের আঘ্রাণ। কুন্দ কেতকী আর চন্দন !!
আমাদের পৃথিবী ভালো নেই, আমাদের আশপাশ জর্জরিত আঘাতে অনাঘাতে। তবুও দিনশেষে আমরা সৃষ্টিকর্তার আশ্রয়ে, নিজেদের ভালোলাগাটুকু নিয়ে সুখ খুঁজি। সব অসুন্দর ঝঞ্ঝা ঝড় সামলে খুঁটে খুঁটে জীবন কে সাঁজাই বজ্রবুলি ভাষায়। যে ভাষায় কোন অমধুর শব্দ নেই, কঠিন শব্দ থাকতে নেই। যে শব্দ উচ্চারণে অসুন্দর অনুরণিত তাদের বদলে সুন্দর করা হয়। আমরা সব সময় চাই খুব মিঠেল সুরময় গীতিময় হোক জীবন, বজ্রবুলি' র মতন।যেথায় বিদ্যুৎ বিজুরি, রেখা হয়ে যায় রেহা শুধু মাধুর্য বিলায় বলে।।
সন্ধ্যার মেঘমালার শুভেচ্ছা সবাই কে, শুভ সন্ধ্যা !
বজ্রবুলি তে রবীন্দ্র সংগীত
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৪৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মোহাম্মদ !
পাঠে এবং চমৎকার মন্তব্যে ভালোলাগা।
শুভ কামনা।
২| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মনটা খারাপ।
বৃষ্টি নিয়ে একদিনে স্মৃতিকথা লিখেছিলাম। একটা ছবি এ্যাড করে ড্রাফ্ট করে দেখি লেখার প্রথম প্যারা ছাড়া বাকি টুকু নাই হয়ে গছে।
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৪৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহারে ভাইয়া এত কষ্টের পোষ্ট নষ্ট হয়ে গেলে আফসোস আর মন খারাপ হয় ই। কারন আবার লিখতে বসলে নতুন লেখা হয় ঠিক ই কিন্তু আগের মত হয় না
আমি নিজে ও ভুক্তভুগি, তাই আজকাল গুগোল ডকু তে লিখি। যাইহোক মন খারাপ না করে আমাদের জন্যে আবার লিখে ফেলেন। অগ্রিম ধন্যবাদ জানিয়ে রাখলাম।
৩| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:২৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার লেখা।
মহুয়া অশোকে, তমাল শিরিষে নুয়ে থাকা পাহাড়িয়া জংগলে কুর্চি জারুলে ছাওয়া পথে নেমে। ডিবডিব পায়ে কেতকী নাগেশ্বরের পাতায় ভর করে ভেসে বেড়াবো শুধু।
পোস্টে প্লাস।
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:০০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: যে অংশটুকু তুলে আনলেন সেটুকু লেখায় আপনার ও অংশগ্রহণ আছে দাদা, আপনার লেখাগুলো থেকে আমি অনেক নাম শিখি। আমার একটা তালিকা করা আছে আপনার পোষ্ট দেখে, খুব ইচ্ছে সেসব গাছ নিজের বাগানে রাখি। এবারের বৃক্ষ মেলায় ঘুরে এসছি আবার যাবো তালিকা ধরে সংগ্রহ করে গ্রামে নিয়ে যাবো। দেখা যাক কি কি সংগ্রহে রাখতে পারি।
আপনার এই দুলাইনের প্রশংসা আমাকে আপ্লুত করলো, প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
আমার মহুয়া গাছের ছবি তুলেছি আজ -
৪| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: আজ গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। পদ্মার পারে অনেকক্ষন বসে ছিলাম।
অনেক ছবি তুলেছি।
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:০০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! আশা করছি ছবি নিয়ে, ব্লগে পোষ্ট লিখবেন।
শুভেচ্ছা।
৫| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু এই মূহুর্তে বাইরে রিমঝিম বৃষ্টি হয়েই যাচ্ছে। আষাঢ়ের দ্বিতীয় দিনে এমন অবিশ্রান্ত ধারায় বৃষ্টির আবেশে ব্লগে আপনার বৃষ্টি ভেজা লেখনীতে মনের অন্দরে খড়তপ্ত রৌদ্রের জ্বলুনি নিমেষে উধাও হয়ে গেল। অপূর্ব বৃষ্টি কথন। ++
শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী মায়ায় যে ব্লগে ফিরে ফিরে আসি, এইসব মন্তব্য জানে !
অনেক অনেক ধন্যবাদ চৌধুরি এমন আনন্দ কথনে আমার লেখায় থাকার জন্যে।
আপনার জন্যে ও শুভ কামনা।
৬| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৩৬
মিরোরডডল বলেছেন:
মনিপুর লেখা মানেই চমৎকার প্রকৃতির বন্দনা ।
তোমার জন্য বৃষ্টির গান ।
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:১২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালোবাসা নিও ডল !
আহা শেখ ইশতিয়াক, কটকট সুন্দর সময়ের সাথি এই গান।
৭| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৩৯
মিরোরডডল বলেছেন:
বৃষ্টিস্নাত ছবির ফুলটাও খুব সুন্দর ।
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:১৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: থ্যাংকু !
একটু আগে ই ব্যালকনি তে ফুটেছে কাঠ গোলাপ, সেটাই মোবাইলে ধরে পোষ্ট এ সাথে নিয়ে এসছি।
৮| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।
কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।
রাশি রাশি ভারা ভারা
ধান কাটা হল সারা,
ভরা নদী ক্ষুরধারা
খরপরশা।
কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা।
গাহান কুসুমা কুঞ্জ মাঝে ভালো লেগেছে।
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:১৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ গান টা আমার ও ভীষণ প্রিয়!
৯| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৪৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: একমাত্র সত্য হৃদয়। সেখানে কেবল মনের রাজত্ব!
একদম ঠিক কথা।
মনিরা আপুর লেখা মানে চমৎকার কিছু বাক্যের সংমিশ্রণ এবং গোছালো উপস্থাপন।
সান্ধ্য কথন পড়তে পড়তে প্রিয় গানের কয়েকটা লাইন মাথায় ঢুকে গেল....
নির্ঝর গগনে, অপলক চেয়ে রই
বিস্মৃত কবিতা, আনকা পবনে-
মেঘলা কবেকার স্মৃতিময় বাতায়ন
বলে যায় “তোমায় অনব ভালবাসি”।
বর্ষা- শিরোনামহীন
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:২২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! সুন্দর গান স্বপ্নবাজ !
আন্তরিক মন্তব্য মন ছোঁয়া করে রাখলাম।
শুভেচ্ছা
১০| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৪৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
মনিরা আপা ,
বৃষ্টির সাথে আপনার আপন মনের মাধুরী মেশানো অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ খুব ভালো লেগেছে ।
ঠিক যেন আমিই আমার ভীষণ আপন ...
আপনাকেও বৃষ্টির দিনের শুভেচ্ছা রইলো । এই রবীন্দ্র সংগীতটি শুনলাম অনেকদিন পর ।
১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:১০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঠিক যেন আমিই আমার ভীষণ আপন .
কী সুন্দর করে বলেন আপনি !!
লেখায় ভালোলাগার প্রকাশে আন্তরিক ধন্যবাদ মুক্তা নীল।
আমার তো বেশ প্রিয় গান, আশা করছি আপনার ও অনেকদিন পর শুনে ভালো লেগেছে।
শুভেচ্ছা !
১১| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৫৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: উচ্চ সাহিত্যমান সমৃদ্ধ প্রকৃতি বন্দনা।
১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:২২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ অনন্য উচ্চতায় মন্তব্যের জন্যে
১২| ১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাহ ! আশা করছি ছবি নিয়ে, ব্লগে পোষ্ট লিখবেন।
শুভেচ্ছা।
জ্বী অবশ্যই।
১৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:৫০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার চমৎকার ছবি ব্লগ দেখলাম , দারুণ উপভোগ্য।
আমাদের এলাকা তো সবসময় ই সবুজ।
১৩| ১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১:৫৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মনিরাপু,সুন্দর কথা
মালায় সাজানো আপনার সান্ধ্য কথন
মাঝ রাতেও ভালো লাগছে।
আপনাজে ধন্যবাদ অফুরান।
১৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:০২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: নূর ভাই মাঝ রাতে তো এর আবেদন ই আলদা হয়ে যাবার কথা যেহেতু তখন ও বৃষ্টি ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনার সহৃদয় পাঠ ও মন্তব্যে। শুভেচ্ছা নিন !
১৪| ১৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ৮:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টটি পাঠে মনে হল
ক্ষ্যাপা বর্ষার দিনে উল্লাসে বন পাহাড় ডাকছে যেন আত্মহারা মনিরা'পুকে ।
সমুদ্রসম উদাস মনে অন্তর আকাশে সে ভাসছে যেন চাঁদিয়াল ঘুড়ি উড়িয়ে।
আর কৈশোরের উথাল বৈরাগ্য আর মনোরম একঘেয়ে বৃষ্টিতে একাকার হয়ে
কাকভেজা হতেহতে বৃষ্টিকে এক অচিন দীর্ঘশ্বাস বলে সত্যিই ভ্রমিছে সে।
গড়িয়ে যাওয়া দুপুর কে নিশ্চুপ সাঝেঁর নিলাভ মায়ায় ভাল করে মিলায়ে নিয়ে
ভাঙা স্বরে ডাকা দূরের কারো নেভা দীপএর আবছায়া ধোঁয়ায় সে গিয়েছে মিশে।
বলতে ইচ্ছে করছে
প্রমত্ত পদ্মা' র কুলে বসে ভরা বর্ষার উন্মত্ত রূপ দেখতে মন যদি চায়
তাহলে ২৫শে জুন উৎসুক লাখো মনুষের মিছিলে শরিক হয়ে দেখতে পারে তথায় গিয়ে
ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় পাওয়া বা না পাওয়ার আক্রোশ বুকে নিয়ে প্রতি ঢেউয়ে ঢেউয়ে
ভেতর থেকে ভাঙা পাড়ের চূড়ায় বসে তার উন্মত্ততাও আনেকটাই বুঝা যাবে অনায়াসে।
দেশ জুরে বহমান প্রবল বন্যা, মাটিভাঙ্গা আর বানবাসী মানুষের আর্তনাদ
আর ঢেউয়ের ক্রোধ – মিলেমিশে কেমনই বা হবে সে ঐক্যতান !
স্বপ্ন পুরণের আনন্দ উল্লাশের সাথে এসময়ের লাখো বিপন্ন মানুষের
হৃদয় ভাঙার আওয়াজ হলেও হতে পারে তীব্র ভিষন ?
তাইতো নিয়ম ভাঙ্গার এ ভুবনে নিজস্ব একটা পাহাড় তো আর চাইলেই যাবে না পাওয়া ।
সঠিক উপমাই দিয়েছেন, এ সময়গুলোতে বৈষ্ণব কবিদের কবিতার মত ঘর সংসার
সমাজ, বিশ্ব সকল কিছুকে মিথ্যে বলে ঘোষণা দিতে আসলেই বড় ইচ্ছে করে।
ঠিকই বলেছেন একমাত্র হৃদয়ই সত্য ! যেথায় কেবল মনেরই রাজত্ব !
এ ছাড়া বিশ্বের সব কিছু মিথ্যে! সর্বৈব মিথ্যা।
প্রমত্তা পদ্মা মেঘনা যমুনা কুশিয়ারা আর সুরমার বানের জলে
মহুয়া অশোক, তমাল আর শিরিষে নুয়ে থাকা পাহাড়িয়া জংগলের
জারুলে ছাওয়া পথে থাকা সবই যে আজ যাচ্ছে ভেসে প্রবল পাহারী বন্যার জলে।
এত কিছুর মাঝেও
ডিবডিব পায়ে কেতকী নাগেশ্বরের পাতায় ভর করে ভেসে বেড়াবার সাধ জাগা
কথামালা বানবাসী মানুষের মনে শান্তনার বাণী হয়ে ঝড়ে পড়ুক এ কামনাই করি।
এ সময়ক্ষনে পা ফেলতেই বন পাহাড়ের সমস্ত বৃক্ষের চাঞ্চল্য যেন
পদ্ম পায়ের স্পর্শ আর উড়িউড়ি চঞ্চল ফড়িঙ ডানা মেলে
সান্ধ্য ভাষায় ফিসফিস করে কথা বলে আর অরণ্যের আঘ্রাণ মেখে
যেন এঁকে দেয় কুন্দ কেতকী আর চন্দন শুভা সকলের কর কমলে।
ঠিকই বলেছেন আমাদের পৃথিবী ভালো নেই, আমাদের আশপাশ জর্জরিত আঘাতে অনাঘাতে।
তবুও দিনশেষে আমরা সৃষ্টিকর্তার আশ্রয়ে, নিজেদের ভালোলাগাটুকু নিয়ে সুখ খুঁজি।
পোষ্টের শেষে থাকা লিংক ফলো করে গহন কুসুম কুঞ্জ মাঝে গানটি শুনতে শুনতে শুনতে
পোষ্টটি পাঠান্তে মনের গহীনে গেথে যাওয়া আপনার বলা
কথামালার অনুরননেই এই মন্তব্যটি হয়েছে রচিত ।
পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।
আপনার প্রতিউ রইল
একরাশ শুভেচ্ছা
১৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:০৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী আশ্চর্য সাবলীলতায় লেখার চমৎকার বিশ্লেষণ আর উত্তর পর্ব তুলে আনলেন !! আপনার মন্তব্যের তুলনা কেবল আপনি ই।
কৃতজ্ঞতা সহ ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুভ কামনা।
১৫| ১৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:০৮
শাহ আজিজ বলেছেন: সমসাথী , সমব্যাথী প্রকারান্তরে সর্ব সমাহারে একাকার ঐ কালো মেঘের পেছনে , কি বেদনায় অঝোরে কাঁদে সে , এই অনাচারেও আছে সুখ আছে উত্থান !!
১৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:০০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শ্রদ্ধা মেশানো বিনম্র ধন্যবাদ ভাইয়া ! চমৎকার মন্তব্যে' র জন্যে।
শুভ কামনা।
১৬| ১৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৪১
রানার ব্লগ বলেছেন: বৃষ্টি আমাকে সম্মোহিত করে রাখে । বৃষ্টি এলে আমি ভুলে যাই সকল কষ্ট ব্যাথা বেদনা !!!!
১৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:০৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বৃষ্টি তে মন ভেজায় না এমন মানুষ খুব কম আছেন। তবু পরিবেশ পরিস্থিতি সবসময় উপভোগ্য হয়না।
ধন্যবাদ পাঠে এবং মন্তব্যে।
১৭| ১৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:২৬
ঢুকিচেপা বলেছেন: লেখার কথাগুলো খুব সুন্দর গোছানো।
এটা যদি কেউ আবৃত্তি করতো দারুন লাগতো শুনতে।
২০ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:৩১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা ! যে দুর্যোগ দেশে, মন ই ভালো নেই।
ধন্যবাদ ঢুকিচেপা।
১৮| ২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,
শব্দের গর্জন আর বাক্যের পরতে পরতে তেজস্বী আর্তনাদের কোলাজ, হৃদয় জুড়ে সান্ধ্য বৃষ্টির মতোই বেজে গেলো।
লেখিকার হৃদয় আর মনের মতোই পাঠকের হৃদয়ও নেচে যাবে -- হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে / ময়ূরের মতো নাচে রে ঢংয়ে।
আমাদের পৃথিবী ভালো নেই। আমরাই ভালো আছি কি !!!!!!!!!
তবুও চাই - জীবন হোক রবি শংকরের সেতারের মতো মিঠেল, সুললিত...................
২০ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: না আমরাও ভালো নেই একেবারেই ভালো নেই , আমাদের প্রকৃতি ভালো নেই মানুষ ভালো নেই সবকিছু মিলিয়ে আমরা ভীষণ দুর্যোগের মাঝে। আমাদের সীমিত সামর্থ্য আমাদের অপ্রাপ্তি আমাদের অবহেলা সবকিছু নিয়ে ই আমরা দিনশেষে সত্যি ই একটু ভালো থাকতে চাই। তবুও চাই জীবন হোক রবি শংকরের সেতারের মিঠেল, সুললিত।
সবসময়ের মত লেখায় চমৎকার মন্তব্যে আপ্লুত হলাম, ধন্যবাদ ভাইয়া।
১৯| ২১ শে জুন, ২০২২ রাত ২:৫১
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: বৃষ্টি নামলেই মনে সেই কবে স্কুলে পড়ে আসা পল্লী কবির " পল্লী বর্ষা " কবিতার লাইন গুনগুন করে ওঠে।
২১ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:১১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বৃষ্টি সবসময় ই নস্টালজিক !
ভালোলাগে আপনাকে লেখায় পেলে।
২০| ২১ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৩৫
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: সুন্দর লেখনী। পড়ে বেশ ভালো লেগেছে।
২১ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৫৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ স্বরচিতা ,
লেখায় ভালোলাগার প্রকাশ সময় ই লেখায় উৎসাহ আনে।
ভালো থাকার শুভ কামনা আপনার জন্যে।
২১| ২১ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:২৯
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: সন্ধ্যা
কথনে
মাতোয়ারা!!
২১ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৪১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার লেখায় স্বাগত নতুন নামে পুরাতন ব্লগার !
ভালোলাগার প্রকাশে আমি আনন্দিত।
শুভ কামনা।
২২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:০৮
জুন বলেছেন: আমি জানি বৃষ্টিতে অনেক মানুষের অনেক কষ্ট হয় তারপর ও আমি অসম্ভব বৃষ্টি ভালো বাসি। ছোট বেলার কথা মনে হয় যখন উঠোনে পানি জমা ঘাসের উপর বৃষ্টি মাথায় নেচে বেড়াতাম। মায়ের বকা খেয়ে অবশেষে ঘরে ফেরা। তোমার লেখায় সেই ভেজা ভেজা জলজ গন্ধ নাকে এসে ঝাপটা দিয়ে গেল যেন।
অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো
+
০৫ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপু বৃষ্টিতে কষ্ট হয় কিন্তু তারচেয়ে বেশি উপকার ও হয়। এই বর্ষার উপড়ে আমাদের ফসল অনেকাংশে নির্ভর করে।
তোমার স্মৃতি আমাকে ও স্কুল জীবনে নিয়ে গেলো। নিয়ে এলো শৈশবের ঘ্রাণ আর নির্ভার সময়ের সুখ স্মৃতি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু লেখার সাথে থাকার জন্যে।
২৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: "হৃদয় ভাঙ্গার আর্তনাদ কি এর চাইতে তীব্র?" - অত্যন্ত কাব্যিক এ কৌতুহলটিকে উদ্ধৃত করেই বলছি, আপনার এ পোস্টটা আমার অনেক ভালো লেগেছে, আগা গোড়া ভালো লেগেছে। আরও অনেক লাইন আছে ভালো লাগার, শুধু দৃষ্টান্ত হিসেবে একটিই উদ্ধৃত করলাম। আমার মনে হয়, এর উত্তর হবে, "হ্যাঁ, কখনো কখনো সেটা 'এর চাইতেও তীব্র' হতে পারে"।
শিরোনামের ছবিটি এবং পোস্টের নীচে লিঙ্কে দেয়া রবীন্দ্রসঙ্গীতটিও চমৎকার!
মাত্র তিন লাইনের তৃতীয় অনুচ্ছেদের শেষের দুটো লাইনে একটি সংবেদনশীল, হৃদয়ানুরাগী মনের গভীর অনুভবের কথা ব্যক্ত হয়েছে। এই লাইনদুটোকে আমার কাছে একটি কোমল কবিতার অন্তর্ভদী পংক্তির মতই আবেদনময় মনে হয়েছে। একইভাবে, পরের অনুচ্ছেদের শেষের দুটো লাইনেও লেখকের মনের যে আকুতি আকুলতা প্রকাশ পেয়েছে, তা পাঠকের মনকেও স্পর্শ না করে পারে না।
আপনার এই আষাঢ়ে সান্ধ্যকথন মোটেই কোন 'আষাঢ়ে গল্প' নয়, একেবারে বাস্তব অনুভূতি দিয়ে লেখা। তাই এই সান্ধ্যকথনে রেখে গেলাম আজকের আলোকিত এই সকালের উজ্জ্বল ভালোলাগা। + +
স্বপ্নবাজ সৌরভ, মুক্তা নীল, গিয়াস উদ্দিন লিটন, ডঃ এম এ আলী, আহমেদ জী এস প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভালো লেগেছে।
১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখায় ভালোলাগা প্রকাশের অনন্য উপস্থাপনা আমাকে সর্বদা মুগ্ধ করে, এই লেখায় ও আপনার মন্তব্য আমাকে আনন্দে ভাসালো। আমার কৌতূহলের কাব্যিক উত্তর পেয়ে ভালো লাগলো, সত্যি বলতে আমি আমার জীবন কাটিয়েছি বৃত্তের মাঝে হ্যাঁ অনেকে মজা করে দারিদ্রের দুষ্ট চক্র বলতে পারেন মানে আমার জীবনের গণ্ডি আমার চাওয়া পাওয়া সব কিছু সব সময় সীমার মাঝে। আর প্রত্যাশা শূন্য হবার চেষ্টা করি সবসময়। তাই হয়ত আমার দুঃখ ও কম।
ছবিটির ব্যাপারে আগেই জেনেছেন আশা করছি, আমার ব্যালকনি র বাগান থেকে নেয়া। আর এই গান টা আমার অনেক প্রিয়র মাঝে অন্যতম প্রিয় একটি গান, প্রায়শই শুনি। আপনার ও ভাললেগেছে জানতে পেরে ভাললাগল।
সম্পূর্ণ মন্তব্যে অনুচ্ছেদ উল্লেখ পূর্বক লেখার যে চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন, সহৃদয় পাঠ এবং প্লাসের জন্যে কৃতজ্ঞতা।
সব সময় ভালো থাকার শুভ কামনা আপনার জন্যে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:১৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: শুভ বৃষ্টিময় সন্ধ্যা আপু।
সন্ধ্যা কথন ভালো লাগসে। +