নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামু র বয় বৃদ্ধার ব্লগ
বাবার চাকুরীর সুবাদে আমার মনে রাখার মত বয়সের শৈশব কাটিয়েছি তিন জেলায়। মানিকগঞ্জ পুরানো ঢাকা আর নিজ জেলা মুন্সীগঞ্জ। মানিকগঞ্জের আধো আধো বোলের শৈশব আধো ই মনে আছে, লাল ইটের একটা সরকারী বাসায় থাকতাম। সে যুগে সন্ধ্যায় হাঁস মুরগী ঘরে তোলা, দাদি কে ঔষধ দেয়ার সাথে হারিক্যানের চিমনী পরিষ্কার করে কিনারায় দেয়াশালাই গুঁজে রাখা আর কুপি তে কেরোসিন ঢালা ছিল নিত্য কাজের অংশ। আমাদের সেই লাল দালানের বারান্দায় আধো উজ্জ্বল আলো' র হারিক্যানের ডিবডিব ছবি চোখে ভেসে আছে। সন্ধ্যে থেকেই আলো জ্বালিয়ে উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখা হত যাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে হাতের কাছেই পাওয়া যায়। ঠিকঠিক সন্ধ্যে নামার অল্পকিছু পর ই বিদ্যুৎ বিদায় নিত আর ততোক্ষণে সমস্ত দিনের শেষের ক্লান্তিতে বিছানায় ঢলে পরতাম আমি বিছানায়, মাসের অর্ধেক দিন চোখ বুঝে রাতের খাবার খেতাম তখন আধো ঘুম আধো জাগরণে।
পুরানো ঢাকার কলতা বাজার বসবাসের সময়টুকু ছিল সে সময় থেকে একেবারেই আলাদা। কোথায় মফঃস্বলের ঝিঁঝিঁ শেয়ালের ডাকে নামা সন্ধ্যা আর কোথায় " আপ জ্যায়সা কই মেরে জিন্দেগি ম্যায় অ্যাঁয়ে " সুরের সাথে তেলে ভাজা চা' য়ের কাপের টুংটাং। পুরানো ঢাকায় ইলেক্ট্রিসিটি চলে যাওয়া মানে ছিলো উৎসব বারতা, খুব পাশাপাশি কাছাকাছি বসতি হওয়ায় আশেপাশের দু দশ ঘর থেকে আমাদের বাচ্চাদের এক সাথে হইহই করে আনন্দ চিৎকার শুরু হয়ে যেত। সবার আগে টেবিলের চারপাশ থেকে চেয়ার গুলো কে ঘরের মেঝে তে এনে উল্টা করে রাখতাম, মাঝে মাঝে বিছানার চাদর অথবা এমনিতেই চেয়ার ফেলে লুকোচুরি খেলার ভুল্ভুলাইয়া সাজাতাম। এরপর শুরু হত লুকানো শেষ হলে টু উ উ উ দেয়া আর খুঁজে বেড়ানো।
আমাদের বাবা মা 'য়েরা হয়ত অত সিরিয়াস ছিলেন না, পড়ার মাঝে নিত্য দিনের এমন খেলা বা শোরগোল তাদের কাছে স্বাভাবিক মনে হত। খুব বড় দুর্ঘটনা না ঘটলে মানে অন্ধকারে কোথাও ধাক্কা খেয়ে কপালে ডিম না বানালে অথবা উস্টা খেয়ে নাক ফাটিয়ে রক্ত বের না করলে তেমন কোন বকাঝকা শুনতাম না। স্কুল ছুটির দিনগুলো তে অনেক দিন বিদ্যুৎ চলে গেলে, গলি তস্য গলি তে মায়েরা হাওয়া খেতে বেরুলে আমরা ও একটু বড় এলাকা পেয়ে যেতাম খেলার। সেসব মহার্ঘ্য মুহূর্তে দৌড় আর হাহা হিহি ই ছিল প্রধান আকর্ষণ। আমার বড় ভাই বোনদের প্রাইভেট পড়াতেন যে স্যার একদিন সন্ধ্যায় স্যারের জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় বিদ্যুৎ চলে গেলে আমরা মজা করছিলাম এমন একটা মা দে না গান গেয়ে, কেউ হাত পাখা কে গিটার কেউ বা পড়ার টেবিল কে তবলা বানিয়ে। একদম খেয়াল করি নাই স্যার কখন এসে দরজার আড়াল থেকে আমাদের বাঁদরামি দেখছিলেন। সেই ঘটনার পর অনেকদিন আমার ভাইয়া স্যারের কাছে কোন ধানাই প্যানাই ছাড়াই পড়তে বসতেন। আবার অন্ধকারে দরজার আড়াল থেকে অন্যকে ভাউ বলে ভয় দেখানোর ফলাফল ও মাঝেমাঝে অন্যরকম হত।
কোন কোন দিন আমার বড় আপার মুড ভালো থাকলে সবাই কে গোল করে নিয়ে বিছানায় বসিয়ে, মাঝে হারিক্যান রেখে বালিশের উপর বই খুলে - কবিতা, নতুন বই এর গল্প অথবা ইংরেজি গল্প বাংলা অনুবাদ করে শোনাতেন। নতুন বছরের শুরুর সেই শীতের ওম, নতুন বই এর ঘ্রাণ আর বড় আপার মায়া ঝরা কণ্ঠ, নীলাভ আলোর সেই সন্ধ্যা গুলো কে স্বর্গের উদ্যান নামিয়ে আনত আমাদের বাসায়।
তুমি যাবে ভাই
যাবে মোর সাথে
আমাদের ছোট গাঁয় !
কোথায় চলেছো ? এদিকে এসো না!
দুটো কথা শোনো দিকি,
এই নাও-এই চকচকে, ছোটো,
নতুন রুপোর সিকি।
হ্যাকেলবারি ফিন টম স্যায়ারের অভিযান, এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী এমনি কতশত দুর্ধর্ষ অভিযানে চলে যেতাম অন্ধকারের মায়ায়।
দিনের শেষ আলো টুকু' র আভা ঐ দূর দিগন্তে বিলীন হবার মুহূর্তের যে হলদেটে মায়া, নিশ্চুপ আলো আঁধারিতে বিলের মাঝে ছোঁ মেরে মাছ ঠোঁটে নিয়ে উড়ে যাওয়া চিলের ডানার যে মায়া, সান্ধ্য সাঁঝে এক পায়ে ধ্যানী বকের যে একাগ্রতার উদাসী সুর বুকে যে ঢেউ তোলে। এক চিলতে স্বর্ণালি ভোরের ঘোরলাগা সকালের সোনা রোদের যে মায়াভরা ওম। এমনি সব ছোট্ট ছোট্ট মায়া কুড়ানোর জন্যে লক্ষ কোটি বছর ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা যায়, তেমনি শৈশবের সেই নীলাভ সন্ধ্যার এক পশলা স্মৃতি রোমন্থনের অনুভবের জন্যে ও জনম জনম অপেক্ষা করা যায়।
আমার ডানপিটে শৈশবের শুরুটা পুরানো ঢাকার অলিগলিতে, পূর্ণতা পেয়েছে মুন্সিগঞ্জে। লিখতে বসেছিলাম লোডশেডিং নিয়ে, চলুন ফিরি সে গল্পেই -
মফঃস্বলের দিনরাত্রি সব পুরানো আট্টালিকার শ্যাওলা ধরা নোনা গন্ধের মাদকতায় মোড়ানো থাকে, যে বাসায় উঠেছিলাম সৌখিন বাগানীর বাসা। সেখানে লোড শেডিং হতেই খাতা খুলে বসে যেতাম ভাইবোন চোর - পুলিশ বা নাম দেশ, ফল ফুল খেলতে। নাম দেশ ফুল ফল খেলার নিয়ম
কখনো টিনের বাসার সামনের উঠানে সব বাচ্চারা মিলে লুকোচুরি আবার লম্বা স্কুল ছুটির দিনগুলো তে, কবিতা বা গল্প বলা প্রতিযোগিতা করত বড় ভাই বোনের রা। আর একটা খেলা খেলাতাম, দাদার আদেশ নামে - দাদা বলেছেন বস/ দাদা বলেছেন উঠ। রুমের ভেতরে থাকলে হারিক্যান আর উঠানে গেলে কুপি' র আলোয় চলত শোরগোল। গ্রীষ্মের ছুটিতে গ্রামে বেড়াতে যেয়ে কাদামাটিতে বানাতাম গোল মাথা সরু কুপির চুঙা, সে সময় ইনজেকশনের ছোট ছোট কাঁচের বোতল পাওয়া যেত। খালি সে বোতলে মায়ের ভাণ্ডার থেকে কেরোসিনের তেল লুকিয়ে নিয়ে, উপর মাটির চুঙা বসিয়ে ছেড়া সুতি কাপড় প্যাচিয়ে সলতে বানাতাম। আর যাবতীয় এডভেঞ্চার সে আলোতেই চলত। টর্চ লাইট, চার্জার লাইট সব কিছুই ছিল হাতের নাগালের বাইরে।
এই ছোট খালি বোতলে কেরোসিন নিতাম।
আরও একটু বড় হবার পর ইলেক্ট্রিসিটি দুম করে চলে গেলে পাড়ার সবাই যার যার বাসার বারান্দায় বসে দল বেঁধে শেষ অক্ষরে গানের প্রতিযোগিতা করতাম। ততদিনে অবশ্য " কোথাও কেউ নেই" জ্বরে আক্রান্ত হয়েছি, কিন্তু খুব বেশি কষ্ট পেয়েছি বা মনে রাখার মত আফসোস নেই সেসব নিয়ে। কারন আমার মনে হয় অফিস ভাংচুরের ভয়ে উনারা ও সাহস পেতেন না সে সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার। বরং শুক্রবার থান্ডার ক্যাটস সময় টা অনেক ভোগাত লোডশেডিং।
কলেজে উঠে সবচাইতে বড় আতঙ্ক ছিল যে কোন ঝড় ঝঞ্ঝাতে ট্রান্সমিটার ব্রাস্ট অথবা বিদ্যুতের খুঁটির তার ছিঁড়ে যাওয়া। উফ ভয়ে থাকতাম ঝুম বজ্র বৃষ্টি শুরু হতে ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেলে, কান পেতে শুনতাম বিকট শব্দ হয়েছে কিনা। ব্রাস্ট হবার শব্দ হলেই বলতাম, যাহ্ গেলো কয়েকদিনের জন্যে। বিশেষ করে যখন বোর্ড পরীক্ষা থাকত এলাকার মুরুব্বীরা ব্যস্ত হয়ে উঠতেন এইসব অফিসিয়াল সমস্যা মেটাতে। ধরে নিন যদি বুধবারে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে মানে মিটার ব্রাস্ট, তার ছেড়া ধরনের কিছু, তাহলে রবিবারের আগে কিছু হবে না পাক্কা। এভাবে সাতদিন / তিনদিন পর যখন বিদ্যুৎ আসত হাফ ছেড়ে বাঁচতাম।
যেহেতু আমরা সে সময় খুব বেশি প্রযুক্তি নির্ভর ছিলাম না এখনকার মত, তবুও ব্যান্ডের গানের পোকা, কবিতা 'র ক্যাসেটের পোকা খুব কষ্ট দিত। ওয়াকম্যানের ব্যাটারি খুব কৃপণের মত খরচ করতাম, লোড শেডিং হলে তো ব্যাটারি ভরসা। টু ইন ওয়ানের ব্যাটারি তো আরও মহার্ঘ্য ছিল।
শখের ওয়াকম্যান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলো তে এই বিদ্যুৎ পানি এসব নিয়ে খুবে বেশি বেগ পেতে হয় নি, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ভি আই পি এলাকা। তাছাড়া এসব ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামাবার মতন সময় ই বা কোথায় ছিল? কতশত ব্যস্ততা, তাছাড়া দিনে বিদ্যুৎ না থাকলে রোকেয়া হল মাঠে' র উথাল হাওয়াতে প্রাণ জুড়াতাম। মাঝ রাতে গেলে চলত আড্ডা গান জমজমাট।
এরপর সংসার জীবন লোড শেডিং এ বড় ভোগান্তি ছিল পানি না পাওয়া, তাই সব সময় বড় বড় দুই ড্রাম পানি ধরে রাখতাম। কল্যাণপুরের নাভানা সোসাইটি তে লোডশেডিং এ সবাই ফ্ল্যাটের বাইরে আড্ডা দিত নিজেদের সার্কেলে, আশেপাশে বাচ্চাদের কলরোল, ফিরে যেতে পারেন আমার পুরানো ঢাকার জীবনে, এখানে চরিত্র বদল হয়েছে মাত্র। যেখানে আমার শৈশব ই ভিন্ন মাত্রায় ফিরে এসেছে। তবে সে সময়ে মনে আছে প্রথম ইন্ডিয়ান আইডলের ফাইনালের দিন ঠিক রাত নয়টা থেকে ১১ টা বিদ্যুৎ বিহীন ছিলাম আর ভীষণভাবে উৎসুক ছিলাম ফলাফল জানবার। নাহ সে রাতে আর জানা হয় নি অভিজিৎ সাওয়ান্ত মুকুট পরার কাহিনী, পরের দিন সংবাদ পত্রে দেখেছিলাম ফলাফল।
প্রবাসের ১৫/১৬ বছরের জীবনের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বড় কোন গল্প নেই যদিও শুধু দুবাই তে অফিস থেকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে বিলম্ব হওয়ায় নোটিশ দিয়ে রেখেছিলো ১ ঘণ্টার মাঝে কানেকশন কেটে দিবে। আমি বাচ্চাকাচ্চা সহ দুবাই মলে চলে গিয়েছিলাম, বাসায় ফিরতে ফিরতে সব স্বাভাবিক।
এই তো আবার দেশে বহু ভাগ্যে হুটহাট বিপর্যয় নয়, ঘোষণা দিয়ে লোড শেডিং সুবিধা পেতে যাচ্ছি, তবে আমরা দেশবাসী প্রস্তুত যার যা আছে তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরার জন্যে। বিদ্যুৎ নাই! তাতে কী জেনারেটর আছে, জেনারেটর আছে তো লিফট আছে, আগাম এয়ার কন্ডিশনে ঘর ঠাণ্ডা করা আছে, আই পি এস আছে, ওয়াইফাই নেই তো সমস্যা নেই মোবাইল ডাটা আছে। সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ তো উপায় আছে, আগের দিন ট্যাংক ফুল করা আছে। যত বেড়া তত ফোঁকর, সুবিধা ই সুবিধা জনাব।
হ্যাপি সিডিউল ভিত্তিক লোডশেডিং মোবারক ব্লগারস !
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ ইন্টারনেট!
১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহা আশা করছি ইটের নীচে ঘাস হলুদ হবার আগের মুক্ত বাতাসের মুখ দেখবে
২| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০০
শাওন আহমাদ বলেছেন: বাহ! দারুণ লিখেছেন।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ শাওন!
আমার লেখায় আপনাকে স্বাগত, লেখায় ভালোলাগার প্রকাশে কৃতজ্ঞতা।
৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০২
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভালো লাগলো।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ মোহাম্মদ !
পাঠে এবং মন্তব্যে ভালোলাগা, শুভ কামনা আপনার জন্যে।
৪| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৭
অপু তানভীর বলেছেন: আরে আপনার বাড়িও দেখি মুন্সিগঞ্জ । তাহলে দেখা যাচ্ছে আপনে আমার দেশী মানুষ । মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি থানাতে আমার দাদাবাড়ি । যদি নানা বাড়ি চুয়াডাঙ্গাতে তবে নানার আদী বাড়িও মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ।
আমাদের সবারই লোডশেডিং নিয়ে গল্প গুলোতে মিল আছে বেশ । বিশেষ করে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরপরই আমরা প্রায় সবাই একই রকম ভাবে আমরা সময় কাটাতাম । এখন অবশ্য সেই সময় গুলো আর আসবে না । আমরা এতো পরিমান প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছি যে আমরা চাইলেও আগের দিনে ফিরে যেতে পারবো না !
১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হু হু আমরা বিক্রম্পুইরা ব্লগার, জি হ্যাঁ ভাই আমরা এক্কেবারে খাঁটি দেশী। টঙ্গিবাড়ি সিরাজদিখান সব ই খুবখুব পরিচিত এবং প্রাণের কাছের ও।
সেটাই দেখলাম আপনার গতকালের স্মৃতিকথায়, যে আমাদের গল্পগুলো তে মিল আছে। যদিও আপনি আমার অনেক পরের জেনারেশন। কিন্তু ভিন্নরূপ হলে ও কিছু কিছু সময়ের ফিরে ফিরে আসে। নাহ সেসব সময় আর ফিরে আসবে ও না আসলেও আমরা নিজেরাই হয়ত মানিয়ে চলতে পারবো না এই প্রযুক্তি নির্ভরতার জন্যে। আর ফিরতে পারবো না বলেই আমি সময় পেলে লিখে রাখতে চেষ্টা করি আমার স্মৃতি।
লেখাটার জন্যে আপনার ধন্যবাদ প্রাপ্য, গতকাল আপনার পোষ্ট পড়েই আমার নিজের স্মৃতিতে ফিরে গিয়েছিলাম এবং লিখতে বসে গেলাম।
শুভেচ্ছা রইলো।
৫| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের মতো নামী দামী ব্লগার যদি ভুল গানের কলি কয়, তাইলে কেমন লাগে? আমার হার্টথ্রব নাজিয়া হাসানের গানের কলি ''আপ জ্যায়সা কই ভী জিন্দেগি ম্যায় অ্যাঁয়ে'' না, ''আপ জ্যায়সা কই মেরী জিন্দেগি ম্যায় অ্যাঁয়ে'' হইবো। অর্থাৎ ভী এর জায়গায় মেরী। এই বিকৃতির তেব্র পরতিবাদ জানাই।
আর আপনের আজকের লেখা পইড়া কোন তৃপ্তি পাইলাম না। কোথায় সেই কঠিন কঠিন শব্দের বাংলা লেখা? একবার পড়লেই যদি বুঝন যায়, তাইলে আর সামু'র বয়ঃবৃদ্ধার লেখা হইলো কেমনে? এই অবনতি মাইনা নেওয়া কঠিন। দুঃখজনক!!!
১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার প্রতিবাদ ধোপে টিকাইলাম না, সেই অল্প বয়সে শুনেছি তখন যা বুঝেছি মানে মাথায় ঢুকছে সেইটাই সই। নাজিয়া আপনের প্রিয় আমার তো না। আর আমার ব্লগার হিসেবে নাম আর দামে কী ব্যাংক একাউন্টে কিছু জমা হবে ? ব্যাংক ডিটেইলস দিবো ? দিলে তো আপনারেই দিতে হইব, কারন আমার নাম এবং দাম আপনেই ভালো জানেন অন্যান্য সবার চেয়ে। যদি একাউন্টে কিছু জমা হয় ট্যাকাটুকা তাইলে পরের মন্তব্যে ও এই নাম আর দামের ব্যাপার টা তুইলেন প্লিজ।
অবনতি তো আমার হয় নাই পাঠক হিসেবে আপনার উন্নতি হইছে বিলক্ষণ।
৬| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন!
১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই,
আপনার মন্তব্য সবসময় ই উৎসাহ যোগায়।
৭| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: সন্ধ্যার সময় কারেন্ট (আমরা কারেন্ট বলতাম ) চলে যাবার অপেক্ষায় থাকতাম। কারেন্ট চলে যাওয়া মানে ময়দানে বসে আড্ডা। দারুন লেখা আর ছোটবেলা মনিরা আপা। শুধু মন্তব্যে মন ভরে না।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:০০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমরা ও কারেন্ট বিদ্যুৎ এভাবেই বলি, এবং অবশ্যই কখন যাবে সে অপেক্ষায় থাকতাম। আমার তো ময়দান ছিল না , পড়া থেকে মুক্তি এইটুকু ই অনেক।
ধন্যবাদ সৌরভ লেখায় মায়ায় থাকার জন্যে।
৮| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আহারে, কই গেলো সেই দিন গুলি! সন্ধ্যার পরে অন্ধকারে কতো গল্প তৈরি হতো!!
আপসুস করার দিন শেষ।
ঈদের আগে কয়েক দিন ট্রায়াল দিয়ে অভ্যস্ত করিয়েছে। আজ থেকে শুরু হলো মনে হয়। প্রায় ২ ঘন্টার প্রথম দফা গেলো আজ দুপুরে।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সেইদিন গুলি কই, সেই দিন গুলি কই !!!
তবে আমার মনে হয় এখন গল্প তৈরি হয় আমাদের বাচ্চাদের মাঝে, এই যে সময় সেই সময়ের দাবি নিয়ে ই গল্পরা জমা থাকে।
আফসুস না এই যে ট্রায়ালের পর ও নির্লজ্জের মত ঘোষণা দিলো সেইটারেই সেলিব্রেট করি আর কি। তবে আমার এখানকার শিডিউল যে কখন, কখন যে ড্যাক আসে বুঝতে পারছি না।
ধন্যবাদ ভাই লাইক এবং মন্তব্যে পাশে থাকার জন্যে।
৯| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:২১
শায়মা বলেছেন: বাপরে!! লোডশেডিং তো শাপে বর। সবাই খুশি লোডশেডিং এ ফিরে পাওয়া শৈশব পেয়ে!!!
১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হা হা যা বলেছ আর কি, আমি অপু তানভীর লিখে খুশি আর পাঠক রা পড়ে।
থ্যাংকু শায়মা পাঠে এবং মন্তব্যের জন্য।
১০| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: থান্ডার ক্যাটস আমার ছোট্ট বেলার প্রিয় কার্টুনগুলোর একটি।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমাদের তো ছিলই , পাপাই দ্যা সেইলর ম্যান , দ্যা উডি উড পেকার , টম এন্ড জেরি , ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট আর ইস্কুবিডু।
১১| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৪০
কামাল৮০ বলেছেন: মানুষ হারিকেন,মোমবাতির কথা ভুলেই গেছে।প্রথম কয়েকদিন একটু সমস্যায় হবে,পরে ঠিক হয়ে যাবে।ছোট বেলার স্মৃতি সবারই প্রিয়।চাকুরিজিবী পিতা মাতার ছেলে মেয়েদের অনেক যায়গায় স্মৃতি থাকে,যেটা অন্যদের থাকে না।স্মৃতিকথী ভাল লাগলো।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হারিক্যান ভুলে গেলে মোমবাতি ভুলবে না, তাহলে ক্যান্দেল লাইট ডিনারের কি হবে ?
আসলে খুব সমস্যা হবার কথা না আমরা তো কখনোই নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ পাই নাই, সবচেয়ে ভালো অবস্থায় হলে ও সপ্তাহে কয়েকবার গেছে। আর এখন না হয় ঘড়ি ধরে। বরং ঘড়ি ধরে রুটিনে সুবিধা বেশি কাজ গুছিয়ে রাখা যায়।
হ্যাঁ আপনার এই কথা টা আমার ও সত্যি বলে মনে হয় , যত কষ্টের হোক না ছেলে বেলার স্মৃতি সবার মনের খুব কাছে থাকে। ঠিক তেমনি ট্রান্সফারের চাকুরী করা বাবা মায়ের সন্তানদের পুরানো বন্ধু না থাকলে ও বন্ধু অনেক থাকে, নতুন স্কুল নতুন যায়গায় মানিয়ে নেয়ার কষ্টকর দিন থাকে আবার প্রিয় স্কুল প্রিয় শিক্ষক প্রিয় বন্ধু ছেড়ে আসবার বেদনা ও তেমনি থাকে।
স্মৃতিকথায় ভালোলাগার প্রকাশের জন্যে ধন্যবাদ আপনাকে।
১২| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০২
মোগল সম্রাট বলেছেন: সরকার লোডশেডিংয়ের ঘোষনা এরকম সিডিউল করে প্রচার না করলে ব্লগারদের মনে কাব্য চেতনা জাগ্রত হতো না। আমরা এরকম লেখা মিস করতাম।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি বলি কি এই রকম একটা লেখার জন্য থ্যাংকু আপু তানভীর লেখা শুরু করি। অপু গতকাল নিজের স্মৃতি নিয়ে লিখছে বলেই না আমি ও লিখতে বসে গেছিলাম।
ধন্যবাদ মোগল সম্রাট ! আমার লেখায় আপনার ভ্রমণ আনন্দময় হোক।
১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: বিদ্যুৎ মন্ত্রী বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় নাকি লোডশেডিং হয় ।
দুবাইতেও হয় নাকি?
১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দুবাই তে ফেলো কড়ি মাখ তেল অবস্থা। লোডশেডিং এর কারবার নাই যতক্ষণ আপনি বিল ক্লিয়ার রাখবেন।
আমার বেলায় নোটিশ ছিল, আমি অফিস কে দায়িত্ব দিয়ে শপিং এ বের হয়ে গেছি।
আর একটা দেশের মন্ত্রী যখন বলছেন দায়িত্ব নিয়েই বলেছেন কী বলেন আপনি ?
১৪| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫২
জোবাইর বলেছেন: বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এখন একনাগাড়ে ক্ষমতায় আছে ১৩ বছর। সামুতে আমার ব্লগ জীবনও প্রায় ১৩ বছর। এই দীর্ঘ সময়ে এই সরকারের ভালো বা খারাপ কোনো উদ্যোগ বা কাজকে একসাথে এতো ব্লগারকে পজিটিভভাবে নিতে কখনো দেখি নাই। যা আজকে লোডশেডিং-এর ব্যাপারে দেখলাম ।
নিজের কর্মস্থল ও পারিপার্শ্বিকতার কারণে অতীতের লোডশেডিংয়ের দিনগুলো আমার জন্য ছিল বড়ই বিরক্তিকর! তাই সবার সাথে কোনো সুখস্মৃতি শেয়ার করতে পারলাম না । তবে তখন অনেকের মতো আমিও মনে করতাম বাংলাদেশের লোডশেডিংয়ের অবস্থা ভবিষ্যতে আরো খারাপ হবে। সেভাবে মানসিকভাবে প্রস্তুতিও রেখেছিলাম। তবে গত ৫-৬ বছর লোডশেডিংবিহীন দিনগুলোর কারণে সাময়িকভাবে সমস্যা হলেও এখন দেশের বিদ্যুতের ভবিষ্যত নিয়ে পজিটিভভাবে চিন্তা করি।
আপনার স্মৃতিময় লোডশেডিংয়ের দিনগুলো পড়ে ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার লেখায় স্বাগত জোবাইর !
আপনি পজিটিভ ভাবে নিলেন সেও একটা পজিটিভ দিক ব্রাদার! আমার এই দেশে বসবাসের নুন্যতম সুযোগ সুবিধা গুলো ও পাচ্ছি না, আমাদের রিজার্ভ শূন্যের কোঠায়, আমাদের নাক পর্যন্ত ডুবে আছএ ঋণে , আমরা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত আমাদের বাচ্চাদের শিক্ষা' র সেক্টর মোটামুটি ধ্বংস। জাহান্নামের আগুনে বসিয়া আমরা পুষ্পের হাসি হাসছি, কারন আমরা সর্বংসহা জাতিতে পরিণত হয়েছি।
লোডশেডিং এর অবস্থা খারাপ ই হয়েছে অতীতের চেয়ে, আমাদের চাহিদার তুলনায় যোগান কমেছে। আমিও আপনার মত আশাবাদী সাময়িকভাবে সমস্যা হলে ও আমরা অদূর ভবিষ্যতে সমস্যা কাটিয়ে উঠব। তবে অতীতের স্মৃতি রোমন্থন যতটা আনন্দের অতীতে ফিরে যাওয়া কিন্তু আনন্দের নয়।
ধন্যবাদ পাঠে এবং চমৎকার মন্তব্যের জন্যে।
শুভেচ্ছা সতত।
১৫| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে লেখাটা।
লোড শেডিঙের একটা ভালো দিক আছে। সেটা হোল আমরা আবার আগের দিনের মত পুরো পরিবার এক সাথে বসে গল্প করতে পারি। কারেন্ট চলে গেলে আমার ছেলে মেয়ে বউ সহ আড্ডা দেই। আমি মাঝে মাঝে বাসার অন্তরজাল সংযোগ কিছু সময়ের জন্য কেটে দেই যেন সবাই আমার কাছে চলে আসে আর গল্প করে এক সাথে।
তাই আমার মতে প্রতি রাতে অন্তত ১ ঘণ্টা যেন বিদ্যুৎ না থাকে।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনি ভাগ্যবান যে আপনি পারছেন স্বেচ্ছায় নেট সংযোগ বন্ধ করে দিতে। আমি নিজে পারলে ও অন্যান্য সদস্যদের বেলায় প্রায় অসম্ভব কিছু। আর মজার ব্যাপার কি জানেন আমার পরিবারের সবাই মিলে আড্ডা দিতে গেলে সেই ইন্টারনেট ই ভরসা
তবে আমি গ্রামে গেলে মেয়ে কে বলে রাখি মুঠোফোনের নাম্বারে কল দিতে প্রয়োজনে, এরপর সব কিছু থেকে আলাদা হয়ে অন্য রকম জীবন যাপন করি।
সবকিছু মিলিয়ে এমন এক প্রযুক্তি নির্ভর জীবনে চলে এসছে পরিবারের সবাই, প্রতিরাতে ১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার বিলাসিতা করার সুযোগ নেই আমাদের।
লেখায় ভালোলাগা প্রকাশের জন্যে ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর!
শুভ কামনা অনিঃশেষ।
১৬| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:০৮
আখেনাটেন বলেছেন: হারিকেনের আলোয় পড়াশুনা হামরাও করেছি। হামার বাড়িতও কুপি জালাতো। পাটিতে গোল হয়ে বসে লেখাপড়া মাঝে হাড়কিন...বেশি দিন আগের কতা নয়.....
২০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হয় ভাই আপনে ঠিক ই কছেন মিচ্চানা আগে কতা , বেশি দিনের লয়।
কেঙ্কা আছিন বাহে ?
১৭| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:১৩
ঢুকিচেপা বলেছেন: আমার যখন বুদ্ধি হয় তখন আমি রংপুর। সেখানে সরকারী বাসাতে ইলেকট্রিসিটি ছিল। লোডশেডিং তখন ছিল কিনা জানি না। রংপুর ছেড়ে আসার পর বাসায় ইলেকট্রিসিটি ছিল না, ছিল হ্যারিকেনসিটি। এই হ্যারিকেন সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা সবার এক। বিকালে সব মোছামুছি, তেল ঢালা আর সন্ধ্যায় জ্বালানো।
টিভিতে ভালো কোন প্রোগ্রাম শুরু হলে পর্দা পড়ে থাকতো অনেক সময় ধরে, সেই সব দিনগুলো ভীষণ মনে পড়ে।
২০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আসলে এইসব ভাবলে নিজেরে কেমন তাম্র যুগের মনে হয়, মনে হয় হরপ্পা তেই ছিলাম। আমরা ৭০/ ৮০/৯০ এর জেনারেশন অনেক পরিবর্তনের সাক্ষী। ছোট বেলায় বয়স্ক মুরুব্বি সম্মানিত কাউকে বলা হত উনি ব্রিটিশ আমলের লোক। আমাদের ও হয়ত এক সময় এমন নামে ই ডাকা হবে।
হাহাহা টিভি ' র গল্প আরেক দিন - আহা রাতের যন্ত্র সঙ্গীত এর যন্ত্রণা আর শুরুর জাতীয় সংগীতের অপেক্ষা।
ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার স্মৃতি উস্কানিয়া মন্তব্যের জন্যে।
১৮| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৩৪
আরোগ্য বলেছেন: প্রতিবেশী আপা,
আপনি কলতাবাজার, আমি ধোলাইখাল। আপনি রোকেয়া হল আর আমি তার সামনে আইএমএল। নস্টালজিক পোস্ট তাই দৌড়ে চলে এলাম। কি একটা সময় ছিল তখন। মোমবাতি, হারিকেন, চার্জার লাইট আর কত স্মৃতি। আপা আপনারা কি ছায়া দেখে খেলতেন? এ ব্যাপারটা খুব মজা লাগতো আর বুয়া বলতো ছায়া দিয়ে খেললে ভুতে ধরে। আবার সময় সময় রাতের বেলা মোমবাতি বা হারিকেন যখন যেটা জ্বলতো তার পাশে বসে কয়েকজন মিলে ভুতের গল্প জমে উঠতো। আবার একটু একটু ভয়ও করতো, মনে হতে পিছনে কেউ আছে আর মনে মনে কারেন্ট কখন আসবে ওই দোয়া। অন্ধকারে ভুতের গল্পের মজাই আলাদা। আবার বাসার সব ভাই বোন কাজিনরা একত্রে চিৎকার করে গানের কলি। আর চোর পুলিশ আর নাম দেশ ফুল ফল খেলার যে কত স্মৃতি, আহা কি শৈশব ছিলো আমাদের। কখনো আবার নানু নামাজ পড়ার সময় হাত পাখা দিয়ে বাতাস করতাম। ইস কেমন যেন সে সোনালী সময়ে চলে গেলাম। লিখতে থাকলে বেশ লম্বা মন্তব্য হয়ে যাবে। অবশেষে আইপিএস আর এখন সেই নস্টালজিক মোমেন্ট তৈরি করতে পারবে না ।
২০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:২৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদম কাছের আর পাশের প্রতিবেশী ভাই ! আহা ধোলাইখাল, সেই বয়া টা কি আছে এখন ও ? দল বেঁধে উৎসব করে সেখানে গোসল করতে যেত সিনিয়র রা। আর আই এম এল এর বিল্ডিং টা যে কী প্রিয় আমার !!! চারপাশটা এতত গাছ দারুণ লাগে। হাকিমে এবার ছাতিম ফুল দেখতে যেয়ে দেখি আপনাদের চারপাশে কয়েকটা ছোট ছোট ছাতিমে ফুল ফুটে আছে।
একদম ছায়া তো খেলতাম ই, কখন কতদূরে গেলে সবচাইতে বড় হয় , কোন পর্যায়ে গেলে নিজের সাথে মিশে যায় ছায়া সেসব আবিষ্কার করা অন্য রকম আনন্দ ছিল। এই রাতের বেলা হারিকেনের আলোয় গল্প বলা টা আসলে বেশি হত গ্রামে বেড়াতে গেলে সম বয়সী সবাই যারযার ভাণ্ডার খুলে বসতাম। ঠাকুরমার ঝুলি, মরমর করে চিবিয়ে খাওয়া সাথে কে কবে কোথায় ভুত দেখেছে। গ্রামে তো তখন বিদ্যুৎ ছিল না তাই সে গল্প এখানে আনি নাই। আচ্ছা দিনের বেলা এই হাতপাখার বাতাসের কোথা তো তুলে আনতে ভুলে ই গেলাম। বিদ্যুৎ চলে গেলে বাসায় মুরুব্বী কোন মেহমান আসলে পিছনে দাড়ায়ে পাখার বাতাস করতে হত। এটা সাধারণ ভদ্রতা/ নম্রতা বলে ধরে নেয়া হত।
ভাইয়া আপনি আলাদা করে একটা পোষ্ট দেন, স্মৃতি' তে লোডশেডিং " একটা সিরিজ হয়ে যাক ব্লগে।
ধন্যবাদ ভাইয়া পাঠে এবং আন্তরিক মন্তব্যে।
১৯| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: লোড শেডিং-য়ে সবাই শৈশব ফিরে পেয়েছে তাই আমিও শৈশবে চলে গেলাম।
২০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:২৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আচ্ছা ! মাঝে মাঝে কৈশোরের গল্পে ও ঢু দিয়েন
লেখায় পাঠে ও মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
২০| ২০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:২৮
ফয়সাল রকি বলেছেন: হারিকেনগুলোর মধ্যেও ছোট/মাঝারি/বড় সাইজ ছিল!
এখন তো কেরোসিনের দামও নিশ্চয় অনেক বেড়ে গেছে! মাটির তেল আর মাটির নেই।
২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ যেহেতু চাহিদা ছিল রঙ এবং ডিজাইনের ভিন্নতা ছিল। হ্যারিকেনের ও উচ্চ আর নিম্ব বিত্ত ভাগাভাগি ছিল। এখন তো মনে হয় অত বাহারি এভেইলেবল ও না। দাম তো কমার কথা, চাহিদা তো কম। আমি অবশ্য শিউর না দাম বেড়েছে কিনা।
ধন্যবাদ ফয়সাল রকি, শুভ কামনা আপনার জন্যে।
২১| ২০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আপনার শৈশব থেকে আজকের দিনে লোডশেডিংকে খুঁজে না পাওয়ার জন্য বুঝতেই পারছি মনের গভীরে দুঃখ দুঃখ ভাব আছে। এদিক দিয়ে আমরা অনেক সৌভাগ্যবান। শৈশবে গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের কথা স্বপ্নও দেখতাম না। সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হারিকেনে পড়তে বসতে হতো। হ্যারিকেনে প্রদীপের শিখা একটু বেশি হলে চিমনি কালো অন্ধকারে ঢেকে যেত। সেক্ষেত্রে চিমনি খুলে ঠান্ডা করে আবার মুছে নতুন করে হ্যারিকেন ধরানো হত। অনেক পরে যখন টু-টোয়েন্টি লাইন ঢুকে তখন দিনে ৩-৪ ঘন্টা লোডশেডিং ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার। পরে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ি মিস জীবনে প্রত্যেকদিন সন্ধ্যাবেলা দুবার আড়াই ঘন্টা লোডশেডিং ছিল নিত্যানৈমিক ব্যাপার যে সময় মোমবাতিই ছিল আমাদের একমাত্র ভরসা। তবে পাওয়ার কার্টকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এখনো দিব্যি বেঁচে আছি। প্রতিদিন এই পাওয়ার কার্ট আমাদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে। সকালবেলা 7 টা সাড়ে সাতটার সময় পাম্প না চালাতে গিয়ে প্রায়ই দেখি বাবু হাজির এক দেড় ঘন্টা পরে উনি না এলে চিন্তায় পড়ি। ট্যাংকে জল না ওঠালে সমূহ বিপদ। সন্ধ্যা বেলাতেও মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ বিভ্রাট আমাদের নিত্য সঙ্গী হয়ে গেছে। আমরা যদিও ইনভার্টারের সাহায্যে এ সময় আলোর অভাব পূরণ করি।
তবে যাই বলুন আমরা উপমহাদেশের ঐতিহ্য অনুযায়ী পাওয়ার কার্টককে সুদীর্ঘ 30 বছর জীবনের সঙ্গী হিসেবে ধারণ করতে পেরেছে কিন্তু হায় আফসোস আপনারা তার মুখ দর্শন করবেন না বলে দুবাইয়ের মলের মধ্যে সময় অতিবাহিত করেছেন।
বিষয়টা নিঃসন্দেহে উনার সম্পর্কে সম্মানহানি কর বটে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা বেঁচে থাকুক আমরা আমাদের অতীত শৈশব তার মধ্যে কিছুটা খুঁজে পাই এটাই প্রার্থনা।
২১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:১৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওরে দাদা !! এ কী সাতকাহন নিয়ে এলেন আমাদের জন্যে। তবে আমাদের গ্রামে ও কিন্তু শৈশবে বিদ্যু ছিল না, আব্বা র সরকারি চাকুরীর সুবাদে বিভিন্ন সরকারি আবাসনে জীবন কাটিয়েছি কিনা তাই বাসায় বিদ্যুৎ ছিল। হ্যাঁ এই চিমনী কালো হয়ে যাওয়া আর সেটা মুছতে বা গরম থাকতে ধুতে যেয়ে কত বার ভেঙেছি, হাত কেটেছে। পরে বুঝেছি গরম অবস্থায় পানি দিতে নেই। আপনার অভিজ্ঞতার বর্ণনা কিন্তু আমাকে ঋদ্ধ করলো কারন আমার যতটুকু অভিজ্ঞতা আপনাদের দেশের সে কিন্তু অন্য রকম। শুরুতে মুম্বাই এর আন্ধেরী এবং হীরানান্দিনি পাওয়াই। এরপর গুরগাও সব খানেই নিরবিচ্ছিন্ন ই ছিল পাওয়ার সাপ্লাই।
এই পানির পাম্প কিন্তু আমাকে ও বেশ ভুগিয়েছে এক সময়। সুতরাং পাওয়ার কাট লোড শেডিং এসবের মুখ দর্শন করি বৈকি ভালভাবেই মিলেমিশে আছি আজকাল, যদি এড়ানোর সুযোগ থাকে, তবে হায় কে ঝামেলা পোহাতে চায়! এই যে গতকালের শিডিউল লোড শেডিং এ রান্না করলাম, কিছুটা সম্মান আজকাল দিতে হচ্ছে যে।
তবে সেটাই হোক, আমাদের নাগরিক জীবনের সকল সমস্যায় আমাদের সোনালী অতীত স্মৃতি রোমন্থন সুখের পরশ বুলাক।
অনেক অনেক ধন্যবাদ চৌধুরী মগ্নপাঠ এবং আন্তরিক মন্তব্যের জন্যে।
২২| ২০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,
নষ্টালজিক আলেখ্য।
শৈশবের সেই অন্ধকার সান্ধ্যসময়গুলো রোমন্থনের শিহরণ জাগানো অনুভবগুলো তুলে এনে স্মৃতির হ্যারিকেন জ্বালাতে বড় সাধ হয়!
জ্বালানীর দাম বেশী অজুহাতে এই লোড-শেডিং অভাবনা- অব্যবস্থাপনা- অদুরদর্শিতার ফল। টিভির আলাপচারিতায় জেনেছি, ভোলার একটি কুপ থেকে গ্যাস উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে কেবল মাত্র পনের, বিশ হাযার কোটি টাকা দিয়ে সঞ্চালন লাইন বসাতে না পারার কারনে। অথচ বিদ্যুৎ খাতকে সচল রাখতে কেবলমাত্র "এলপিজি" (সম্ভবত ) গ্যাস আমদানিতে প্রতি বছরই জ্বালানিখাতে খরচ হয় চল্লিশ হাযার কোটি টাকা। এর বাইরেও বন্ধ করে রাখা শ'দেড়েক কুপগুলো থেকে পুনরায় গ্যাস উত্তোলনের কোনও উদ্দোগ নেয়া হয়নি। জ্বালনি বিশেষজ্ঞদের ধারনা ঐ ফেলে রাখা কুপ গুলো থেকে এখনও বেশ কিছু পরিমান গ্যাস উত্তোলন সম্ভব।
২১ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শৈশব স্মৃতি বলেই রোমন্থনে অন্য রকম ভালোলাগা কাজ করে, তাই হয়ত আমরা সবাই স্মৃতিকাতর হয়ে যাই।
তবে বাস্তবতা হচ্ছে আমরা সেই দিন অনেক আগেই ফেলে এসছি, এই স্মৃতি আমাদের যেভাবে নস্টালজিয়ায় ভোগায় বর্তমান বাস্তবতায় লোডশেডিং এই সময়ের পৃথিবীর জন্যে, আমাদের বাচ্চাদের জন্য ততোটাই বিরক্তিকর ও অচল। এখন কার সময়ের দাবী আপডেট থাকা পৃথিবীর সাথে চলা আর সেটা এই আধো আলো লোডশেডিং এ সম্ভব না। পাতায় তুলে আনতে গেলে এসব তথ্য উপাত্তের ছাড়াছড়ি বিভিন্ন পত্রিকায় আর বাস্তবতা হচ্ছে সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া সীমাহীন লুটপাটের যে সাম্রাজ্য গড়ে তোলা হয়েছে যেভাবে আমাদের কে খাদের কিনারায় আনা হচ্ছে এর ফলাফল কোন পক্ষের জন্যেই মঙ্গল বার্তা আনবে না।
শুভ বুদ্ধির উদয় হোক অব্যবস্থাপনা নিরসনে যথার্থ কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হোক এইটুকু ই কাম্য।
চমৎকার বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ভাইয়া।
২৩| ২০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। চমৎকার!
একেবারে বিদ্যুতবিহীন শৈশবের বেশ খানিকটা সময় কাটিয়েছি। পুরো সন্ধ্যে আর রাত্রিটা কেটেছে আমাদের হারিকেন আর কুপির আলো আঁধারিতে।
আমাদের এলাকায় প্রথম বিদ্যুৎ লাইন বসানোর স্মৃতি আমার বেশ স্মরণে আছে। কোন কারন ছাড়াই রাস্তার ল্যাম্প পোষ্টের দিকে হা করে চেয়ে থে পোকাদের উড়াউড়ি দেখতাম। আমাদের ছিল উল্টো; দিনে রাতে সাকুল্যে বিদ্যুৎ থাকতই ঘন্টা পাঁচেক। বিদ্যুৎ এলেই আমরা হৈ চৈ করতাম বেশী। সাপ বিচ্ছুর ভয়ে চাঁদনী রাত না হলে মা অন্ধকারে বাইরে যেতে দিতেন না।
আমার তো মনে হচ্ছে আপনার সেই শৈশবে আমি ফিরে যাই। পুরনো ঢাকার গল্প শূনে খুব লোভ লাগল।
২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ আসতে সময় লেগেছে, গ্রীষ্মের ছুটিতে গ্রামে গেলে আমাদের ও এমন সময় কাটত। আসলে যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটা নব্য স্বাধীন দেশে, বারবার ক্ষমতার পরিবর্তন আর কী ই বা আশা করতে পারি। খুব ভালো লাগলো লেখায় আপনার একাত্মতা। ধন্যবাদ, সব সময় ভালো থাকার শুভ কামনা।
২৪| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৩৩
মিরোরডডল বলেছেন:
আপু তোমার মধুর স্মৃতিচারণ পড়তে ভালো লাগে ।
শৈশবের বিউটিফুল মেমরিজ ভালো লেগেছে । চমৎকার বর্ণনা ।
কিন্তু লোডশেডিং মানে আমার কাছে বিভীষিকা ।
এর মাঝে ভালোলাগার কিছু নেই, কষ্ট ছাড়া ।
থ্যাংকস গড এখন আর আগের মতো লোডশেডিং হয়না ।
একটাই শুধু সুন্দর স্মৃতি লোডশেডিং নিয়ে ।
ছাদে উঠতাম, পাশের ফ্ল্যাটের ছেলেটাও গিটার নিয়ে উঠতো ।
আমার জন্য একটা চকোলেট বার নিয়ে আসতো । বাদাম এনে খোসা ছাড়িয়ে দিতো ।
আমি চকোলেট আর বাদাম খেতাম আর গিটার শুনতাম
আমাদের সাথে থাকতো নক্ষত্রখচিত আকাশ ।
কোটি কোটি তারার মেলা । যেটা শুধুই লোডশেডিং-এর কারনেই সম্ভব ছিলো ।
তোমার স্মৃতিচারণের সাথে কোথায় যেন প্রিয় এই গানটির মিল আছে ।
২৪ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:২৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: একটাই শুধু সুন্দর স্মৃতি লোডশেডিং নিয়ে ।
ছাদে উঠতাম, পাশের ফ্ল্যাটের ছেলেটাও গিটার নিয়ে উঠতো ।
আমার জন্য একটা চকোলেট বার নিয়ে আসতো । বাদাম এনে খোসা ছাড়িয়ে দিতো ।
আমি চকোলেট আর বাদাম খেতাম আর গিটার শুনতাম
ইশ কী দারুণ স্মৃতি !! এই ও কী কম সুন্দর বলো ? আফসোস আমার জীবনে এমন কোন স্মৃতি নেই, একটা ও গিটার ওয়ালা দু একটা টুং টাং বাজাইলো না আমার জন্যে। হ্যাঁ বাদামের খোসা ছাড়িয়ে দিত অবশ্য।
আমাদের সাথে থাকতো নক্ষত্রখচিত আকাশ ।
কোটি কোটি তারার মেলা । যেটা শুধুই লোডশেডিং-এর কারনেই সম্ভব ছিলো ।
কী সুন্দর করে বর্ণনা দিলে ডল !! তাহলে বলো, লোডশেডিং খুব খারাপ কিছু না , অবশ্যই মাঝে মাঝে
অনেক অনেক ধন্যবাদ ডল, চমৎকার মন্তব্যের জন্যে।
২৫| ২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৩৮
মুক্তা নীল বলেছেন:
মনিরা আপা ,
ছোটবেলায় সন্ধ্যা হলেই অপেক্ষা করতাম কখন বিদ্যুৎ যাবে কারণ বিদ্যুৎ চলে গেলেই পড়ালেখা বন্ধ করে বসে থাকা যায় । আপনার লেখায় পুরনো অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিলো ।
ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা রইলো ।
২৪ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা এই পড়ালেখা থেকে মুক্তি মনে হয় সব চাইতে কমন আনন্দ ছিল !! এই পড় শুনায় ফাঁকি নিয়ে যদি স্মৃতিচারণ হয় তাহলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট সেখানে অবশ্যই সসম্মানে প্রথম স্থান দখল করতে পারবে।
ধন্যবাদ মুক্তানীল আমার শৈশব স্মৃতির সাথে একাত্মতা প্রকাশের জন্যে। শুভেচ্ছা রইলো।
২৬| ২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:১১
মুক্তা নীল বলেছেন:
এই ছবিটা দেখে খুব হাসি পেল , তাই আপনাকে দিলাম
২৪ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৪৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহ ধন্যবাদ মজার ছবি শেয়ার করার জন্যে।
আসলেই সব সম্ভবের দেশে আমাদের।
২৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ! + +
আমার শৈশব/কৈশোর কেটেছে ঢাকায়। একেবারে শৈশবে যে বাসাটায় থাকতাম, সেটাতে বৈ্দ্যুতিক সংযোগ ছিল না। হ্যারিকেন ও কুপি ছিল নৈশকালীন আলোর একমাত্র উৎস। ৬৫ সালে আমরা সরকারী বাসায় উঠি। তখন লোডশেডিং তেমন হতো বলে মনে পড়ে না। কালো কালো সুইচ ছিল লাইট ও ফ্যানের। তবে লোডশেডিং তেমন না থাকলেও, যখন দৈবাৎ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হতো, তখন আমরাও তাইই করতাম, আপনারা যা যা করেছেন।
আপনার বড় আপার কথা পড়ে আমার বড় বোন, আপির কথা মনে পড়ে গেল। তিনিও ওনার মত আমাদেরকে নিয়ে কবিতা আবৃত্তি করতেন, গল্প শোনাতেন। তিনি মাত্র পঞ্চাশ বছর বয়সে পরপারে চলে গেছেন।
"আমার জন্য একটা চকোলেট বার নিয়ে আসতো । বাদাম এনে খোসা ছাড়িয়ে দিতো। আমি চকোলেট আর বাদাম খেতাম আর গিটার শুনতাম" - এ যাবত পাওয়া ২৬টি মন্তব্যের মধ্যে মিরোরডডল এর এই মিষ্টি স্মৃতির কথাটাই সবচেয়ে ভালো লাগল। + +
৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখার সূত্র ধরে আপনার স্মৃতিচারণ ও পোষ্ট কে সমৃদ্ধ করলো ! কালো কালো সুইচ আমি ও দেখেছি, সরকারি বাসায়। তবে কালেকালে সব কালেই বাচ্চাদের শৈশব চরিত্রে মিল আছে/ থাকে।
আপনার আপির অকাল মৃত্যু সত্যি ই বেদনার, উনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
ডল এর এই স্মৃতি সত্যি সত্যি ই ঘোরলাগা কাব্য কবিতার মতন দারুণ রোমান্টিক। আমার নিজের ও অনেক ভালো লেগেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আহসান ভাই চমৎকার স্মৃতি আমাদের সাথে ভাগাভগি করার জন্যে। পাঠে এবং চমৎকার মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
২৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:০৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এক সময় বিদ্যুৎবিহীন জীবনে ছিলাম। কুপি হারিকেনের যুগে। তাই এখনও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে আমার ব্যক্তিগতভাবে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। তবে ব্যবসায়িক দিক থেকে সমস্যা বলে শেষ করা যাবে না।
স্মৃতিমূলক লেখা পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
১৪ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৩৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এইটা সত্যি যে আমরা অনেকটাই অভ্যস্ত ছিলাম বিদ্যুৎ হীনতায় এবং ব্যক্তি আমাদের সমস্যা কম। কিন্তু সময়ের হিসেব ধরলে এই বিড়ম্বনার কোন শেষ নেই।বাচ্চাদের পড়াশুনা, মেয়ে র সাথে যোগাযোগ, ব্যবসায়িক দিক সবকিছুতেই ক্ষতির মুখে।
অনেক ধন্যবাদ ঠাকুরমাহামুদ ভাই।
শুভ কামনা।
২৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৭
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: লোড শেডিং হলেই হারিকেনটার চিমনি মুছে বাড়ির উঠোনে গিয়ে পাটি বিছিয়ে বসতাম বই আর বালিশ নিয়ে। শুরুর দিকে বালিশের উপর থাকতো বই, আর শেষের দিকে বইয়ের জায়গায় আমার মাথা। মাথার উপর ঝকঝকে নিকষ কালো আকাশ। রাতের বাতাসে বাড়ির জামরুল, নারিকেল গাছের পাতার আন্দোলন।
১৪ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! চমৎকার স্মৃতি।
৩০| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৩০
জুন বলেছেন: যখন ঢাকা শহর খোলামেলা আর নিরাপদ ছিল তখন বিদ্যুৎ চলে যাওয়া শাপে বর ছিল মনিরা। আমরা এক এলাকাতেই অনেক আত্মীয় স্বজন থাকতাম। ফলে বিদ্যুৎ এর বিদায়ের সাথে সাথেই আমরা প্রায় সম বয়সী কাজিনরা আমাদের বাসার বড় মাঠে দৌড়াদৌড়ি আর লুকোচুরি খেলতাম চাদের আলোয়।
অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিরা ফিরে এলো তোমার দেয়া হারিকেনের আলোয়
২২ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দিতে সময় নেয়াড় জন্যে আগেই দুঃখ প্রকাশ করছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু লেখার সূত্র ধরে নিজের জীবনের স্মৃতি নিয়ে চমৎকার মন্তব্যের জন্যে!
৩১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৩
মুদ্দাকির বলেছেন: লায়োনো, চিতারা , মামরারারা..., এদের কথা মনে পড়ে গেল,
মনে পড়ে গেল হ্যারিকেনের চিমনি দিয়ে প্রায় প্রতিদিন ছ্যাকা খাওয়ার কথা, স্কুলের কথা...... আরো অনেক কথা...
আমারো লিখতে বসতে হবে...।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহা মামরা প্রতিবার ধরা খেয়ে বলত আমি আবার ফিরে আসবো ...।
কী দূর্দান্ত একটা শৈশবই না কাটিয়েছি।
অনুরোধ রইলো লিখতে বসেন ...।
বলা যায় না আমি আবার কোন নতুন লেখার উপাদান পেয়েও যেতে পারি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাতত ইট রাইখ্যা গেলাম.. .