![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনার যদি সামুতে জেনারেল অথবা সেইভ নিক থাকে - তাহলে অবশ্যই আপনি থাকতে পারবেন পৃথিবীর সবচাইতে বড় বাংলা ভাষাভাষীদের কেন্দ্র বিন্দুতে ।
মনোনেশ দাস : বাংলাদেশে পাক হানাদার ও তাদের দোষররা নির্বিচারে অগনিত মানুষকে হত্যা করে । মুক্তাগাছার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এর বর্ণনা দিয়ে কাঁদতেন আমার কর্তামা (দাদীমা) । ১৯৭১ সালে কর্তা সৌদামনী যামিনী দাস তার নির্মহ যন্ত্রনার বর্ণনা দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠতেন । সেদিন ছিল রবিবার । পাকিস্তানী হানাদার ও তাদের দোষরা পৌরসভাধীন মুজাটিস্থ আমাদের দাস বাড়ি থেকে আমার জেঠা পরেশ দাসকে ধরে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে । ভাই শহীদ হয়েছেন এই খবর পেয়ে বাড়ির বাইরে অবস্থানরত আমার ধনজেঠা নরেশ দাস , রাঙ্গাজেঠা অমরেশ দাস ও আমার বাবা ভবেশ দাস আর বাড়িতে ফিরেন নাই । জেঠিরাও যার যার বাড়ি থেকে পালিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান । বাড়িতে থাকা একমাত্র আমার কর্তাকেই প্রহড়া দিতে হয় । একদিকে পুত্রশোক অপরদিকে অপরাপর পুত্রদের অনুপস্থিতির কারণে পাগলপ্রায় হয়ে যান কর্তা । বাড়িতে একা পেয়ে রাজাকাররা কর্তার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয় । জোর পূর্বক গরুর মাংস খাওয়ায় । শাঁশিয়ে বলে বুড়ি গরু খা নইতে তোর বাকী পুত্রদের হত্যা করবো। স্বাধীনতার ১৫ বছর পর তখন আমার বয়স ১০ বছর । কর্তা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলতেন , ভাই তুই আমার একটা গতি করিস । আমার মৃত্যুর পর তোর জেঠার পিন্ড দিন । ওর আতœাকে শান্তি দিস । আর যদি সম্ভব হয় আমার আতœার শান্তির জন্য প্রায়শ্চিত্য করিস । গরু খেলে হিন্দুরা ধর্মান্তরিত হয়ে যায় । প্রায়শ্চিন্ত করলে পাপ মোচন হয়। আজ কর্তা নেই । রবিবার এলেই কর্তার কথা মনে পড়ে ।এই খানে
©somewhere in net ltd.