নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামু বিশ্বজুড়ে সুবিশাল বাংলা পরিধি

.....Rest on one's oars

ম েনা েন শ দাস

আপনার যদি সামুতে জেনারেল অথবা সেইভ নিক থাকে - তাহলে অবশ্যই আপনি থাকতে পারবেন পৃথিবীর সবচাইতে বড় বাংলা ভাষাভাষীদের কেন্দ্র বিন্দুতে ।

ম েনা েন শ দাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তাগাছায় শ্রীমতির খাবার মাটি তৈরির উত্তরসূরী সংকট

২৭ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

কাঁচামালের অভাব ও ক্রেতার সংখ্যা কমে যাওয়ায় ময়মনসিংহে খাওয়ার মাটি তৈরির কারিগর কুম্ভকার সম্প্রদায়ের দুর্দীন চলছে । জানা যায়, মানুষ মাটি খায় সভ্য সমাজে এটি খুবই অজানা কথা । মানুষ সত্যি মাটি খায় এবং তা বাজারে পাওয়া যায় । এর নাম চেরা মাটি । ময়মনসিংহের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচলিত একটি বদভ্যাস যা খুবই আদিম এই চেরা মাটি খাওয়ার প্রচলন কোন কোন গ্রামের দরিদ্র মানুষের মধ্যে এখনো লক্ষ্য করা যায় । বিশেষ করে পোয়াতি মহিলাদের এই মাটির প্রতি বিশেষ আকর্ষণ । বাজার থেকে প্রয়োজনীয় মাছ তরকারির পাশাপাশি দু’এক টাকার চেরা মাটিও কিনেন তারা । একজন মাটি খেকো মহিলার কাছে প্রশ্ন করে জানা যায় , তাদের মা , দাদী এমনকি নানা- নানীও মাটি খেতেন । এটি একটি সখের খাবার । পেট ভরার চাইতে এর মজা খুব । ময়মনসিংহে মুক্তাগাছা দরিচারআনি বাজারে মাটি বিক্রেতা চন্দন পাল জানান, তার বাবা প্রয়াত সুশিল পালও এই মাটি বিক্রি করতেন । তিনি নিজেও এই মাটি খেতেন । মুক্তাগাছার কুমারগাতা ইউনিয়নের গাড়াইকুটি গ্রামের কুম্ভকার সম্প্রদায়ের মাটি তৈরীর কারিগর শ্রীমতি পাল (৭০) জানান , পরম্পরাগতভাবে তার পূর্ব পুরুষগণ এই মাটি তৈরী করে আসছেন । বিশেষ এক ধরনের মাটি যাতে বালু নেই নাম তার চেরা মাটি । হালকা আগুনে পুড়িয়ে এটি প্রস্তুত করা হয় । তারা গ্রামে-গঞ্জে এই মাটি ফেরি করে বিক্রি করে থাকেন । তিনি জানান , এক সময় ময়মনসিংহ জেলার সর্বত্র ব্যাপক চাহিদা ছিল । পেশায় জড়িত ছিল কয়েক হাজার পরিবার। এখন কমছে । মাটি খাওয়ার প্রচলন উঠে যাওয়ায় এবং লাভ কম হওয়ায় মাটি তৈরির কাজে জড়িত হবেন এমন উত্তরসূরী পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান শ্রীমতি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.