![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনার যদি সামুতে জেনারেল অথবা সেইভ নিক থাকে - তাহলে অবশ্যই আপনি থাকতে পারবেন পৃথিবীর সবচাইতে বড় বাংলা ভাষাভাষীদের কেন্দ্র বিন্দুতে ।
ক্ষমতা দখলকারী অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকারের হাতে কোন ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয় উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা আওয়ামীলীগের মুখোশ । তারা ধর্মনিরপেক্ষ নয় , ধর্মহীনতায় বিশ্বাস করে । তারা নিজ ধর্মসহ অন্য সব ধর্মের ওপর আঘাত করে । মঙ্গলবার ঢাকায় শুভ বিজয়া উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি আরো বলেন , হিন্দুদের বিএনপি করতেও বাধা । স্বীকার করছি খালেদা জিয়া হিন্দুদের কল্যাণে জোড়ালো ভূমিকা নিয়েছেন । শুধু খালেদা জিয়াই নন । হিন্দুদের কল্যাণে যারাই ভূমিকা নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন তাদের কাছে আমার আর্জি এই, আগে হিন্দুদের কৃষ্টি রীতিনীতি ফিরিয়ে দিন । তারপর দলভূক্ত করুণ । বাংলাদেশে আজ ক;’জন হিন্দু আছেন যারা পশু বলী দিয়ে মাংস খান । আমার জানামতে হাতে গোনা । হিন্দুরা এখন জবাই বা বলী কোনটাই খান না । কারণ পান না । হিন্দুরা খান ফেসানো (জবাইও না বলীও না) এমন মাংস । মুসলমানরা যেমন , হারামও না আবার হালালও না এখন খাবারকে মাকরু বলেন । হিন্দুদের মাংস খাওয়ার রীতিনীতিও আজ এখানে এসে ঠেকেছে ।
পশু বলী দিয়ে মাংস বিক্রি হয় এমন বাজার বাংলাদেশের কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই ।
লক্ষীপূজার রাতে হিন্দুরা চুরি করলে কেউ আর এখন ক্ষমা করবে না । ধোলাই দিয়ে পুলিশে দেবে । এভাবে হিন্দুদের পূজার কৃষ্টিও হারিয়ে যেতে বসেছে । কোন রাজনৈতিক দল কি পারবে হিন্দুদের ধরে রাখতে ? ইতিহাস কি বলে ।
বাংলাদেশের প্রাচীন নাম বঙ্গ ও বাঙ্গাল হতে এর অদিবাসীদের বাঙ্গাল বা বাঙ্গালী নাম হয়েছে । বঙ্গ ও পুন্ড্র এর আদিম অধিবাসী ছিল । এরা দ্রাবিড় ও আর্যদের থেকে পৃথক ছিল এবং ভারতের অন্যান্য আদিম অধিবাসীদের ন্যায় এরা বর্তমানের কোল, ভীল , শবর প্রভৃতি লোকদের আদিপুরুষ ছিল । পন্ডিতরা বাংলাদেশের অধিবাসীদেরকে অষ্ট্রো- এশিয়াটিক বা অষ্ট্রিক নামে অভিহিত করেছেন । এদেরকে নিষাদ জাতিও বলা হয় । নিষাদ জাতির পর আরও কয়েক জাতীয় লোক বাংলাদেশে আসে । এদের মধ্যে মোঙ্গল ও দ্রাবিড় ছিল না । পরে পামির অঞ্চল হতে হোমো আলপাইনাস নামে এক জাতীয় লোক বাংলায় আসে । এদের হতে বাংলাদেশের ব্রাহ্মন, কায়স্থ ও অন্যান্য হিন্দুদের উদ্ভব হয়েছে । এরা বৈদিক আর্যদের হতে পৃথক জাতীয় ছিল । পরবর্তী যুগে কিছুসংখ্যক আর্য বাংলাদেশে এসেছিলো । এর ফলে বাংলার অদিবাসীদের উপর আর্যদের ভাষা, ধর্ম, কৃষ্টি ও রীতিনীতির প্রভাব পড়েছিলো ।মুসলমানদের পূর্বে কিছু সংখ্যক আরব মুসলমান বাণিজ্য উপলক্ষে ও ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে এসেছিলো । মুসলমানদের শাসনকালে বহু তুর্কী , আরব, ইরানী হাবসী আফগান ও মুগল মুসলমান বাংলায় বসতি স্থাপন করে । কালক্রমে এদের সংক্যা বৃদ্ধি পায় । সুফী ও আলেমরা এদেশে ব্যাপকভাবে ইসলাম ধর্ম প্রচারের কাজ করেন । এর ফলে বহু হিন্দু ও বৌদ্ধ ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয় । মুসলমানরা সাড়ে সাত শত বছর বাংলাদেশ শাসন করেন । ১৯৪৭ এরপর ১৯৭১ সালের পর থেকে হিন্দুদের সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে । হিন্দুদের জমি জমা বেদখল হয়ে যাচ্ছে । হিন্দুরা নির্যাতিত এবং ভীত হয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন ভারতে । ক্রমশ: কমছে হিন্দুদের সংখ্যা । আর যারা আছেন তাদেরকে নিয়েও চলছে দলাদলি । সাংবিধানিকভাবে চিহ্নিত বাংলাদেশে ২য় শ্রেণীর নাগরিক হিন্দুদেরকে কি কোন রাজনৈতিক দল ১ম শ্রেনীর নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি দেবেন ?
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৪৭
ল্যাটিচুড বলেছেন: আমার জানা মতে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বহুবছর আমরা হিন্দু - মুসলিম - খৃষ্টান - বোদ্ধ সবাই বাংলাদেশের ১ম শ্রেণীর নাগরিক ছিলাম। বাংলাদেশে প্রথম শ্রেনী-দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক বলে কিছু ছিল না।
একদিন হঠাৎ একটি দল - সংখ্যালঘু - সংখ্যালঘু রব তুলে হিন্দু ভাইদের দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক বানিয়ে ফেলল।
আর আমাদের হিন্দু ভায়েরা তা বিনাদ্বিধায় মেনেও নিল- হায় কি বিচিত্র এই দেশ!